Categories


কম্পিউটার প্রোগ্রামিং (দ্বিতীয় খণ্ড) (পেপারব্যাক)

আমার কম্পিউটার প্রোগ্রামিং (যেটি পরবর্তী সময়ে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ১ম খণ্ড নামে প্রকাশ করা হয়) বইটি প্রকাশ হওয়ার পরে দেখতে দেখতে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেল। এই সময়ে আরও বেশ কয়েকটি বই লিখলেও কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ২য় খণ্ড লেখার কাজ অনেক ধীরগতিতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বইটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। আশা করি, ১ম খণ্ড পড়ার পরে এই বইটিকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের যেই প্রত্যাশা, সেটি পূরণে বইটি সক্ষম হবে।


বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী : সেরিনা (হার্ডকভার)

আলেক্স হঠাৎ করে গম্ভীর গলায় বলল, “দেখ শামীম। মানুষের প্রতি মহূর্তে বিবর্তন হচ্ছে, মিউটেশান হচ্ছে। তাই ঘটনাক্রমে খুব বিচিত্র কিছু হওয়া অসম্ভব কিছু না। এই মিউটেশানগুলো টিকে থাকে না বলে আমরা এই বিচিত্র উদাহরণগুলো দেখি না। মানুষের চামড়ারপ্রতি বর্গ ইঞ্চিতে চার মিটার রক্তনালী, সেগুলো যদি কোনোভাবে চামড়ার কোষের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন একসচেঞ্জ করতে পারে সে হয়তো চামড়া দিয়ে নিশ্বাস নিতেও পারে। মাছ তার ফুলকা দিয়ে পানি থেকে অক্সিজেন নেয়-”


হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং (হার্ডকভার)

যারা ভয়ের কারণে প্রোগ্রামিং শিখা শুরু করতেই পারে না। প্রোগ্রামিং কঠিন; সায়ন্সের স্টুডেন্ট বা ম্যাথে ভালো না হলে প্রোগ্রামিং শিখতে পারবে না মনে করে মুখ লুকিয়ে রাখে। তাদের জন্য গল্প আর মজার ছলে, চায়ের আড্ডার মাধ্যমে প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক কনসেপ্টগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া স্মার্টফোনে কোনকিছু ইনস্টল না করেই প্রোগ্রামিং প্রাকটিস করতে পারবে। আর যারা প্রোগ্রামিং শিখে কিছুটা এগিয়ে আছে, তারাও বইটি পড়ে প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক কনসেপ্টগুলো ফকফকা করে নিতে পারবে।


গবেষণায় হাতেখড়ি (হার্ডকভার)

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, “রাগিব হাসান আমাদের বিভাগে থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে। তার সমাজ ভাবনা সবাইকে নিয়ে চলার আকাঙ্কা অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয়। কোন এক সময়ে আমার সুযোগ হয়েছিল তার গবেষণা কর্মের সাক্ষী থাকার। তখনই দেখেছি তার গবেষণা করার প্রতিভাই শুধু আছে তা নয় তার আগ্রহ সীমাহীন। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে রাগিব হাসান পিছপা হয় না। আইনস্টাইন বলেছেন তিনি খুব তীক্ষ্ণধী নন তবে একটি সমস্যা নিয়ে তিনি দীর্ঘক্ষণ লেগে থাকতে পারেন গবেষণায় সফলতা অর্জন করতে যদি কোন গোপন মূলমন্ত্র থাকে তাহলো লেগে থাকে। রাগিব অত্যন্ত কর্মঠ এবং সক্রিয়।” রাগিব হাসান নিজেই একজন আন্তর্জাতিক মানেব গবেষক। গোল্ড মেডেল পাওয়া কম্পিউটার বিজ্ঞানের সেরা ছাত্রটি এই বইতে গবেষণার বিষয়, পর্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করেছেন। ফলে দেশে গবেষণা করতে ইচ্ছুক তো বটেই- যারা বিদেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গবেষণা করতে চান তাদের জন্যও বইটি অত্যন্ত উপকারি। গবেষণাকর্মের নানামাত্রিক দিক নিয়ে এমন গ্রন্থ সম্ভবত বাংলা ভাষায় এটাই প্রথম।


১৯৭১ : ভেতরে বাইরে (হার্ডকভার)

গ্রুপ ক্যাপ্টেন (পরে এয়ার ভাইস মার্শাল) এ কে খন্দকার বীর উত্তম মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এবং প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম এ জি ওসমানীর সার্বক্ষণিক সহকারী ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়া চাকরিরত বাঙালি সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন জ্যেষ্ঠ। যুদ্ধের প্রায় সব নীতিনির্ধারণী কর্মকাণ্ডে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। খুব কাছে থেকে যুদ্ধের সফলতা ও ব্যর্থতাগুলো অবলোকন করেন তিনি। যুদ্ধ পরিচালনায় মাঠপর্যায় থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত কী কী সীমাবদ্ধতা ছিল, তা-ও তিনি জানতেন। তিনি যে অবস্থানে থেকে যুদ্ধকে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, তা অন্য অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়নি। সে অভিজ্ঞতার আলোকেই লিখেছেন ১৯৭১: ভেতরে বাইরে। বইটি মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাক্রমের বর্ণনা নয়, এতে পাওয়া যাবে যুদ্ধের নীতিনির্ধারণী বিষয় এবং তার সফলতা, ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতা-সম্পর্কিত বেশ কিছু মূল্যবান তথ্য। প্রচলিত মত ও আবেগের ঊর্র্ধ্বে থেকে বাস্তবতা আর নথিপত্রের ভিত্তিতে বিষয়গুলোকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন লেখক। এমন কিছু বিষয়েরও উল্লেখ আছে বইটিতে, যা নিয়ে এর আগে বিশেষ কেউ আলোচনা করেননি। লেখকের নিজের অভিজ্ঞতার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নথিপত্রের সমর্থন বইটির নির্ভরযোগ্যতা বাড়িয়েছে।


বিজ্ঞানের একশ মজার খেলা

আমি যখন তোমাদের মত ছোট ছিলাম তখন আমার খুব বিজ্ঞানের পরীক্ষা করার সখ ছিল। লাইব্রেরী থেকে মোটা মোটা বই এনে দিন রাত লেগে থাকতাম। দুদিন পরে পরে ঘরের কোনায় টেবিলের নীচে ল্যবরেটরী দাড়া হত, ভয়ংকর সব এক্সপেরিমেন্ট হত সেখানে। অনেক এক্সপেরিমেন্ট আবার করা যেতো না কারণ বেশীরভাগ বই হত বিদেশী আর সেখানে এমন সব জিনিষের কথা লেখা থাকত যেগুলি আমার মত একজ ছোট ছেলের পক্ষে জোগাড় করা ছিল অসম্ভব। একটা নোট বইয়ে আমি সবগুলি টুকে রাখতাম যে বড় হয়ে সেসবগুলি করব। মনে মনে একটু ভয় ছিল যে বড় হওয়ার পর বুঝি গম্ভীর হয়ে শুধু বড় বড় জিনিষপত্র করতে হবে, এই সব ছোট খাট ছেলেমানুষী এক্সপেরিমেন্ট করার আর সব বা সময় থাকবে না। তারপর কতদিন কেটে গেছে, সেই নোটবুক কোথায় হারিয়ে গেছে, কিন্তু সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার হল যে বড় হয়েও আমার সেই সখ কমে নি, সময়েরও অভাব হয় না, এখনো আমি ঘন্টার পর ঘন্টা এসব ব্যাপারে কাটিয়ে দিই! এই সেদিন নিউ জাসীর বাচ্চাদের একটা স্কুল আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিল এরকম কিছু এক্সপেরিমেন্ট করে দেখাতে। এক্সপেরিমেন্ট গুলি দেখে স্কুলে সাত আট বছরের বাচ্চাদের সে কি আনন্দ না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না! একটি বাচ্চা আমাকে চিঠি লিখে জিজ্ঞেস করল, আমি কি কোন এক ছুটির দিনে এসে ভয়ংকর একটা বিস্ফোরণ ঘুটয়ে পুরো স্কুলটা উড়িয়ে দিতে পারব কি না, স্কুল তার একেবারে ভাল লাগে না!


৫২টি প্রোগ্রামিং সমস্যা ও সমাধান (পেপারব্যাক)

প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হলে প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধান করা বা যাকে আমরা প্রবলেম সলভিং বলি, সেই জিনিসটি করার কোনো বিকল্প নেই। কেউ যখন নতুন প্রোগ্রামিং শিখবে, তখন প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারণাগুলো আয়ত্ত্বে আনার পরপর কয়েকশ ঘণ্টা প্রোগ্রামিং চর্চা করা আবশ্যক। ইন্টারনেটে হাজার হাজার প্রোগ্রামিং সমস্যা রয়েছে, যেগুলো সমাধান করে অনলাইন জাজে পরীক্ষা করা যায়। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে ওই সমস্যাগুলো বাংলা ভাষায় লেখা নয়। তাই আমাদের অনেক শিক্ষার্থীরাই সেখানে আগ্রহ পায় না। এছাড়া প্রোগ্রামিংয়ে যারা একেবারে নতুন, তাদের জন্য আলাদাভাবে কোনো রিসোর্স আমার চোখে পড়েনি। তাই এই বইটি লেখার কথা আমার মাথায় আসে।


অসমাপ্ত আত্মজীবনী

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. ডিগ্রি লাভ করেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে অধ্যয়ন করেন। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। তিনি তাঁর দল আওয়ামী লীগকে ১৯৭০ সালের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী করেন। তাঁর এই অর্জন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের অন্যতম প্রেক্ষাপট রচনা করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তিনি এক ঐতিহাসিক ভাষণে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘোষণা করেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” ঐ সংগ্রামের জন্য তিনি জনগণকে “যা কিছু আছে তাই নিয়ে” প্রস্তুত থাকতে বলেন। তিনি ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিরা ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। তাঁরা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করেন এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন হলে শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১০ জানুয়ারি বীরের বেশে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। বাঙালির অবিসম্বাদিত নেতা হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান জীবদ্দশায় কিংবদন্তী হয়ে ওঠেন।


আউটসোর্সিং ২ : কাজ শিখবেন যেভাবে (হার্ডকভার)

জব পেতে কত সময় লাগে? অনেকে এক বা দুইটা জবে অ্যাপ্লাই করেই পেয়ে যায় আবার অনেককে বলতে শোনা যায় কয়েক মাস হয়ে গেল এখনো জব পায়নি। আমি মনে করি জব পেতে সর্বোচ্চ এক মাস সময় লাগে। আপনি যদি প্রোফাইলকে ১০০ Percent করেন এবং আইডি ভেরিফিকেশন করেন তাহলে প্রতি মাসে ৬০টি জবে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। ৬০টি জবে অ্যাপ্লাই করলে আপনি অবশ্যই জব পাবেন। তবে জবে অ্যাপ্লাই করার সময় কভার লেটারটি এমন ভাবে লিখবেন যেন বায়ার বুঝতে পারে আপনি জবের বিজ্ঞাপনটি পড়েছেন এবং কাজটি করতে পারবেন। একই ধরনের কভার লেটার সব জবের আবেদনে কখনোই দিবেন না।


প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম

শান্তর প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ক্যারিয়ার অনেক দীর্ঘ। তবে তাকে প্রথম ভালো ভাবে চিনি যখন "Dhaka Regional ২০০৫" এ শান্ত ও নাফি এর IOI গামী দল বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান দখল করে। "Lattice triangle" গণনার একটি সমস্যা সমাধান করে তারা সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে সেই প্রবলেমের স্রষ্টা ছিলাম আমি। ভিসা জটিলতার কারণে তাদের IOI এ অংশগ্রহন করা হয় নাই, নাহলে বাংলাদেশের IOI পদক অনেক আগেই আসতে পারত। শান্ত সম্ভবত এখনো নানান কনটেস্টে অংশগ্রহন করে, তাই তার চেয়ে দীর্ঘ কনটেস্ট ক্যারিয়ার খুব কম লোকেরই আছে। তার উপর শান্তর রয়েছে সমস্যার সমাধান করার সীমাহীন উৎসাহ ও ধৈর্য। জনশ্রুতি রয়েছে যে শান্ত তার বিয়ের দিনও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছে। কাজেই এত দীর্ঘ ক্যারিয়ার ও সময়ে শান্ত কী পরিমান সমস্যা সমাধান করেছে তা আন্দাজ করাও অনেকের পক্ষে কঠিন হবে। এই বইয়ে তাই নানা ধরনের সমস্যা সমাধান এর কথা উঠে এসেছে। বাংলা ভাষায় এমন বই আগে প্রকাশিত হয়নি এমনকি ইংরেজিতে অনুদিত হলেও এই বই যথেষ্ট সমাদৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস|


গণিতের রঙ্গে হাসিখুশি গণিত (হার্ডকভার)

মাইনাস মাইনাসে হয় প্লাস, শূন্য দিয়ে ভাগ দিলে হয় অসংজ্ঞায়িত, ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল ‘হাপিন্টুভুমিন্টুচ্চতা’ (1/2 * ভূমি * উচ্চতা), (a b)2= a2 2ab b2 গণিত করতে গিয়ে এমন আনেক কিছু আমরা শিখি, মুখস্থ করি। কিন্তু জানি কি- কেন হয়, কিভাবে হয়? বুঝি কি অন্তর থেকে? এগুলো কি Feel করা সম্ভব? এই বইটি যতটা জ্ঞানের তার খেকে বেশি আনন্দের, চিন্তার আনন্দের লেখক মনে করেন, গণিত পৃথিবীর সবচেয়ে মজার বিষয়। অনেক মানুষ এটাকে ভয় পায় কারণ মজার অংশগুলো তাদের জানানো হয় না কেমন অদ্ভুত ছিল গণিতবিদদের জীবন? আসলে কে আবিষ্কার করেছিল পিথাগোরাসের উপপাদ্য? কিভাবে মাথায় এল আইডিটা? তিন মেয়ের সমস্যাটা কী ছিল? মাথায় চুলের সংখ্যা কত? অনন্ত জলিল গণিত নিয়ে সিনেমা বানালে কী সংলাপ বলতেন? এমন মজার সব চিন্তা, সমস্যা আর গল্প নিয়েই গণিতের রঙ্গে: হাসিখুশি গণিত।


দেয়াল (হার্ডকভার)

আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এসব শোকাবহ পর্বের বর্ণনায় যে-পরিসর ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের প্রয়োজন ছিল, বইতে তা দেওয়া হয় নি। বঙ্গবন্ধুর শাসনকালে অনুবস্ত্রের অভাব এবং রক্ষী বাহিনীর অত্যাচার ও তাদের প্রতি সর্বসাধারণের ক্ষোভ ও ঘৃণার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শেখ মুজিবকে বঙ্গপিতা, মহামানব ও বঙ্গবন্ধু বলা হলেও মৃত্যুতে তিনি লেখকের অতটা সহানুভূতি লাভ করেননি যতটা পেয়েছেন তাঁর পরিবারের শিশু ও নারীরা। বঙ্গবন্ধু-হত্যায় মানুষের মধ্যে থেকে যে প্রবল প্রতিবাদ হলো না, বরঞ্চ কোথাও কোথাও আনন্দ-মিছিল হলো, এতে লেখক বিস্মিত (কাদের সিদ্দিকীর প্রতিবাদ সম্পর্কে হুমায়ূনের মন্তব্য : ‘ভারতে তিনি ‘কাদেরিয়া বাহিনী’ তৈরি করে সীমান্তে বাংলাদেশের থানা আক্রমণ করে নিরীহ পুলিশ মারতে লাগলেন। পুলিশ বেচারারা কোনো অর্থেই বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত না, বরং সবার আগে বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করার জন্যে তারা প্রাণ দিয়েছে।”) অবন্তির গৃহশিক্ষক শফিক- যে নিজেকে খুবই ভীতু বলে পরিচয় দেয়, সে-কিন্তু রাস্তায় দাঁড়িয়ে ‘মুজিব হত্যার বিচার চাই’ চলে স্লোগান দেয়, গ্রেপ্তার হয় এবং নিপীড়ন সহ্য করে। খন্দকার মোশতাককে এ-বইতে আমার পাই কমিক চরিত্ররূপে। ‘অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা বীর উত্তম খালেদ মোশাররফ’ এবং ‘মহাবীর কর্নেল তাহেরে’র প্রতি লেখকের শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে এবং উপন্যাসে কর্নেল তাহেররকেও দেখি খালেদ মোশাররফের সাহসিকতা ও চরিত্রগুণের প্রশংসা করতে। জিয়াউর রহমানের আর্থিক সততার প্রশংসা আছে, জনগণের শ্রদ্ধা তিনি অর্জন করেছিলেন, তা বলা হয়েছে, সেই সঙ্গে তাঁর ক্ষমতালোভের কথা বলা হয়েছে এবং সরকারি তথ্য উদ্বৃত করে জানানো হয়েছে যে, ১৯৭৭ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁর গঠিত সামরিক আদালতের বিচারে ১১৪৩ জন সৈনিক ও অফিসারকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিতে হয়েছে। হুমায়ূনের মতে, এদের দীর্ঘনিশ্বাস জমা হয় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে- সেখানে ‘জিয়া প্রাণ হারান তাঁর এক সময়ের সাথী জেনারেল মঞ্জুরের পাঠানো ঘাত বাহিনীর হাতে।’ এই সিদ্ধান্তের সমর্থনে বইতে কোনো তথ্য নেই, বরঞ্চ এই হত্যাকাণ্ডের পশ্চাতে মনজুরের ‘রূপবতী স্ত্রী’র প্রলয়ংকরী স্ত্রীবুদ্ধি কাজ করে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে। বঙ্কিমচন্দ্র যে বলেছিলেন, ‘উপন্যাস উপন্যাস-উপন্যাস ইতিহাস নহে’, সে কথা যথার্থ। তবে ইতিহাসাশ্রিত উপন্যাসে ইতিহাসের সারসত্য অবিকৃত থাকবে বলে আশা করা হয় এবং কল্পনাপ্রসূত আখ্যানেও কার্যকারণ সম্পর্কের ব্যাখ্যা প্রত্যাশিত।


আউটসোর্সিং : শুরুটা যেভাবে এবং শুরু করার পর (হার্ডকভার)

সাধারণ সহজ-সরল ভাষা আর প্রচণ্ড রকমের উৎসাহমূলক যাদুকরী লেখায় লেখক প্রতিটি পর্ব সাজিয়েছেন। বইটি পরে আর কিছু হোক বা না হোক একজন মানুষ প্রচুর পরিমান উৎসাহ পাবে,তার অন্তত মনে হবে ইন্টারনেট শুধুমাত্র ফেসবুকিং বা ব্রাওজিং নয়,একটু সময় আর পরিশ্রম ব্যয় করে খুব সহজ ও সৎ ভাবে উপার্জন করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব।বইটি পরে একজন ছাত্র কিছুটা সময় আর পরিশ্রম ব্যয় করে উপার্জনের মাধ্যমে অন্তত নিজের হাতখরচটা চালাতে পারে।একজন গৃহিণী তার অবসর সময়টা কাজে লাগিয়ে বাড়তি কিছু অর্থ সংসারের কাজে লাগাতে পারেন।


প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ (হার্ডকভার)

ঘুটঘুটে অন্ধকার। নীরব। নিস্তব্ধ। হঠাৎ কোথেকে যেন উদয় হলো আলোর ঝরনাধারা। সেই আলোয় পরিশুদ্ধ হচ্ছে শহর-বন্দর-গ্রাম। ভেসে যাচ্ছে নর্দমা আর নোংরা আবিল। কিন্তু ব্যাপারটা কারও কারও সহ্য হলো না। যে-অন্ধকারে তারা ছিল, সবাইকেই তারা ধরে রাখতে চাইল সেই অন্ধকারে। লেজকাটা শেয়ালের মতো সবাইকে যার যার লেজ কেটে ফেলার “সু”পরামর্শ দিল। বিশাল এক কালো থাবায় ছেদ পড়ল আলোর গতিধারায়। ধীরে ধীরে আবার বাড়তে লাগল নিকষ অন্ধকার। এমনই এক শঙ্কুল সময়ে এগিয়ে এলেন একজন। আজাদ করার ব্রত নিয়ে নামলেন সাদা পাতার কালো হরফে। সরাতে লাগলেন নতুন করে গজিয়ে ওঠা জঞ্জাল; এবং কালো থাবার অশনি। সাজিদ। নতশির। একসময় নত হতো কথিত বিজ্ঞানমনস্কতার নামে ভ্রান্ত বিশ্বাসের পদতলে। সত্যের সন্ধান পেয়ে আজ নত হয় মহান স্রষ্টার সমানে। শুধু নত হয়েই ক্ষান্ত হয়নি; যে-মশালের সন্ধান পেয়েছে, সেটা ছড়িয়ে দিচ্ছে আপনজনের কাছে: কখনো মুসলিম-অমুসলিমদের ভ্রান্ত ও ঊনধারণার মুণ্ডুপাত করে, কখনো মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া মুসলিমদের সংশয় নিরসন করে। ইসলাম নিয়ে নাস্তিক আর সংশয়বাদীদের মৌলিক প্রশ্ন হাতে গোনা। বেশিরভাগই ইসলামের শত্রু আর বিদ্বেষীদের থেকে ধার করা। এগুলো যেমন ছিল ১৪ শ বছর আগে, তেমনি জিইয়ে আছে আজও।


বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬

সরকার বিভিন্ন শ্রমিক সংঘটনের দাবীকে আমলে নিয়ে এবং জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে শ্রমিক ও মালিকের স্বার্থে আইনটিকে যুগােপযােগী করার প্রয়াস চালিয়েছেন। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ২০০৯ সালে বাংলাদেশ শ্রম আইনে সংশােধনী আনা হয়েছে। এ সংশােধনীর মাধ্যমে উক্ত আইনের ষােড়শ অধ্যায় ২৫৩-২৬৩ ধারা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হয়েছে। তাছাড়াও বেশ কয়েকটি ধারার সংযােজন ও বিয়ােজনের মাধ্যমে আইনটিকে আধুনিক, সময়ােপযােগী ও গতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছে। দ্বিতীয় সংস্করণে শ্রম আইনের এ সকল সংশােধনীগুলাে সংযােজন করে পূর্বের সংস্করণের ভুল ত্রুটিগুলাে শােধরানাের চেষ্টা করা হয়েছে। এতে করে একদিকে শ্রম আইন অনুধাবন করতে সহজ হবে এবং অন্য দিকে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে সুযােগ সৃষ্টি হবে। তাছাড়া আইনের মাধ্যমে শিল্পের সাথে জড়িত। শ্রমিকদের অধিকার ও কর্তব্যের প্রশ্নটিকে অতীব গুরুত্বের সাথে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আইনের ব্যাখ্যা দেওয়ার ক্ষেত্রে মনগড়া কথাবার্তা থেকে বিরত থেকে শ্রম আইনে কেবল শ্রমিকের অধিকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি এই বইটিতে শিল্পোন্নত দেশের শ্রম ও শিল্পনীতি কিভাবে আজকের এপর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে সে বিষয়টি ও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শ্রম ও শিল্প আইনের তাত্ত্বিক দিকের সাথে এর বাস্তব প্রয়ােগের সম্পর্ককে এখানে নিবিড়ভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে ।


লর্ড মেকলে নির্বাচিত রচনা

সচেতন পাঠক অবশ্যই লক্ষ্য করবেন যে মেকলের সাময়িক পত্রিকার জন্য লিখিত নিবন্ধগুলি বাহ্যত পুস্তক সমালােচনা মাত্র। তবে এখানে লেখক পুস্তক সমালােচনা ব্যাপারটা ছদ্মবেশ হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন। উদ্দেশ্য, সুযােগটা কাজে লাগিয়ে মূল বিষয়ে স্বীয় অভিমত ব্যক্ত করা।   অতএব এখানে বলার দরকার করে না যে, বর্তমান ক্ষেত্রে মসিয়ে পেরিয়ার একজন রিচার্ড রাে মাত্র। এই মসিয়ে পেরিয়ারকে আর কোথাও উল্লেখ করা হবে না। এর নাম ব্যবহার শুধু মেকিয়াভেলিকে আদালতে হাজির করার জন্য।


মা

মা হচ্ছেন একজন পূর্ণাঙ্গ নারী, যিনি গর্ভধারণ, সন্তানের জন্ম তথা সন্তানকে বড় করে তোলেন - তিনিই অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম ও মা হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। প্রকৃতিগতভাবে একজন নারী বা মহিলাই সন্তানকে জন্ম দেয়ার অধিকারীনি। গর্ভধারণের ন্যায় জটিল এবং মায়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অবস্থানে থেকে এ সংজ্ঞাটি বিশ্বজনীন গৃহীত হয়েছে। তার বিপরীত লিঙ্গ পুরুষ হচ্ছেন বাবা।


বাংলাদেশের নদ-নদীর ইতিকথা

কৌশিকী নদীর তীরে বাস করতেন বিভাণ্ডক নামের এক মুনি এবং তার পুত্র ঋষ্যশৃঙ্গ। পুত্রের ব্রহ্মচর্যব্রত  সঠিকভাবে পালনের জন্যে বিভাণ্ডক তার পুত্রকে কখনও নারী জাতি সম্পর্কে কোনাে ধারণা দেননি। নারী জাতি সম্পর্কে ধারণাহীন অবস্থায় ঋষ্যশৃঙ্গ যৌবনে উত্তীর্ণ হন। এ প্রকৃতিবিরুদ্ধ ব্যাপার বিপত্তি ঘটায় প্রাকৃতিক পরিবেশে- অঙ্গ দেশের সমস্ত অঞ্চল জুড়ে দেখা দেয় খরা আর অনাবৃষ্টি। রামায়ণের এ মূল কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে বুদ্ধদেব বসু লিখেছেন তার বিখ্যাত তপস্বিনী ও তরঙ্গিণী’ নাটক; বাংলা সাহিত্যে এটি একটি উল্লেখযােগ্য সৃষ্টি।


সিডর বিপন্ন উপকূলের বিবর্ণ রূপ

বাংলাদেশ দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকার মানুষ, গবাদি পশু, ফসল, মাঠ-ঘাট-অবকাঠামাে চূর্ণবিচূর্ণ ও লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হানে প্রায় ২২০ কিলােমিটার গতিতে; উপকূলীয় এলাকাকে ধ্বংসস্তুপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে। উপকূলীয়সহ বাংলাদেশে অন্যান্য এলাকার মানুষের স্মৃতিপটে সিডর রেখে গেছে স্বজন-সম্পদ হারানাের করুণ-বেদনার্ত ও শােকের বার্তা। এসব ধ্বংসযজ্ঞের মাঝেও বেঁচে থাকার সহজাত উদ্যম ও স্পৃহা থেকে মানুষ সংগ্রাম করেছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে। এক্ষেত্রে দেশ-বিদেশ থেকে আসা সহযােগিতা-সহমর্মিতা এসব মানুষকে সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছে-সংগ্রামে জয়ী হতে। 


জেলা, উপজেলা ও নদ-নদীর নামকরণের ইতিহাস

বাংলাদেশ প্রাচীন ভূখণ্ড। নদীমাতৃক হওয়ায় বাংলাদেশ জোয়ার-ভাটা আর জলসিঞ্চনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ভাঙ্গাগড়ার খেলায় নিয়ত গড়েছে আর ভেঙ্গেগড়ার খেলায় নিয়ত গড়েছে আর ভেঙ্গেছে।ফলে প্রাচীন হলেও এর প্রাচীনত্ব সর্বত্র অবিচ্ছিন্ন ছিল না।