দারতায়া নামক এক ১৮-১৯ বছরের এক যুবকের মাস্কেটিয়ার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গ্রাম থেকে প্যারিসে প্রত্যাবর্তন নিয়ে। সেখানে গিয়ে দারতায়ার ঝগড়া বাধে একি সাথে অপর তিন বন্ধু অ্যাথোস, পর্থোস ও আরামিসের সাথে। কিন্তু লড়ায়ের পরিবর্তে ঘটনাক্রমে তারা হয়ে উঠে পরম বন্ধু। আর দারতায়া হয়ে যায় একজন মাস্কেটিয়ার ও রাজার প্রিয়।
এরপর ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ও রানীর মাঝে শুরু হয় দ্বন্দ। রানীর দাসী হিসেবে কাজ করে কন্সট্যান্ট বোনাসিও নামে এক সুন্দরি, দারতায়া যার প্রেমে পড়ে যায়। এরপর রানীর কাজে সহায়তা দরকার হলে কন্সট্যান্ট দারতায়াকে বললে সে তা, তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে সফলতার সাথে করে। আস্তে আস্তে তারা পরাক্রমশালী হয়ে ওঠে আর এটা মেনে নিতে পারে না প্রধানমন্ত্রী রিশেলিও। সে মিলাডি নামক এক সুন্দরি কিন্তু ভয়ানক কুচক্রী মহিলাকে ব্যবহার করে রানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কাজ করাতে। এর মধ্যে দিয়ে অনেক ঘটনা প্রবাহ ঘটতে থাকে। আর শেষের দিকে মিলাডি কন্সট্যান্টকে বিষ দিয়ে হত্যা করে। আর দারতায়া ও তার তিন বন্ধু তার বিচার করে মৃত্যুদন্ড দেয়। এ দন্ড দেয়ার ঘটনাটাও অনেকটা থ্রিলার টাইপের। মজা পাবেন। শেষে প্রধানমন্ত্রী/কার্ডিনাল দারতায়ার সাহস, বীরত্ব ও বিচক্ষণতা দেখে তাকে মাস্কেটিয়ার বাহিনীতে লেফটেন্যান্ট পদে নিয়দ দেন। এখানেও নাটকীয়তা আছে অনেক
বিজ্ঞান বললেই আমাদের কারও কারও মনে হয়তো একটা ভয়ের জায়গা তৈরি হয়ে যায় যে, "বিজ্ঞানের বই মানেই প্রচুর সমীকরণ আর গাণিতিক বিশ্লেষণের সংমিশ্রণ থাকবে ।আমি এগুলো গণিত-টণিত একটু কম বুঝি ।এ বিজ্ঞান আমার জন্য নয় ।" তাদেরকে বলছি মূলত আপনার জন্যই মনে হয় প্রখ্যাত লেখক জাফর ইকবাল তার এই বইটিতে কোন গণিত ব্যবহার করেন নি ।বরং তিনি অত্যন্ত সহজ ভাষায় অথচ বিজ্ঞানের প্রকৃত বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ।তবে বইটি পড়ে আপনি বিজ্ঞানের অনেক বিষয়েরই মৌলিক ধারণাটুকু পাবেন ।যা বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে নয় ,বরং প্রতিটি মানুষেরই জানা একান্ত জরুরি বলে মনে করি । আপনি কি খেয়াল করেছেন আমি আগে একটা মিথ্যা কথা বলেছি ?আমি বলেছিলাম যে, এ বইয়ে কোন গণিত নেই ।কিন্তু একটি পরিচ্ছেদে কিন্তু আপনার সাথে গণিতের দেখা মিলবে ,বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের ভাষা-গণিত নামক পরিচ্ছদে ।তবে আপনার হতাস হওয়ার কারণ নেই এটা কোন আহামরি গণিত নয় ।আর এ পরিচ্ছদেই জাফর স্যার গণিতটা বিজ্ঞানে কিভাবে কাজে লাগে সেটা নিয়ে আলোচনা করেছেন ।
এইচ থ্রি'র কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে আহমদ মুসা। এই মুক্তিটাই আবার সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকান সরকার ও আহমদ মুসার জন্য। আহমদ মুসা সব গোপন তথ্য আমেরিকান সরকারকে জানিয়ে দিলে আমেরিকা অ্যাকশনে আসবে এই ভয়ে এইচ থ্রী সন্ত্রাসীরা আমেরিকার উপর ভয়ঙ্কর গোপন অস্ত্র প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এই মহাবিপজ্জনক মুহুর্তে শুধুমাত্র আমেরিকাকে বাঁচাতে পারে আবার আহমদ মুসাকে নিখোঁজ হয়ে যেতে হলো। .... আমেরিকার উপর এ যেন 'মরার উপর খাড়ার ঘা'। চুপসে গেছে আমেরিকান সরকার। এল আমেরিকার উপর তিন দিনের আল্টিমেটাম- তিন দিনের মধ্যে শর্ত মেনে না নিলে গোপন অস্ত্র প্রয়োগ করবে সন্ত্রাসীরা। শর্ত মেনে নিলে আমেরিকা আবার আমেরিকা থাকে না। অন্যদিকে এই ভয়ঙ্কর গোপন অস্ত্র মোকাবিলা করার ক্ষমতা নেই আমেরিকার। সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ধ্বংস করাই এখন একমাত্র পথ, কিন্তু সময় কোথায়? পথে নামল আহমদ মুসা। কিন্তু কোথায় ওদের অস্ত্র? শুরু হল আহমদ মুসার জীবনের সবচেয়ে বিপজ্জনক, ঝুকিপূর্ণ ও ভয়ঙ্কর অভিযান।
কম্পিউটার মূলত একটি বুদ্ধিশূণ্য যন্ত্র। এর সুবিধা একটাই, একে যা করতে বলা হয়, সে খুব দ্রুত সেই কাজ করে ফেলে। যতটকু বলা হবে ঠিক ততটুকু করবে, একটু বেশিও নয় আবার কমও নয়। তবে মানুষ যেহেতু বুদ্ধিমান প্রাণি, তাই কম্পিউটারের এই কর্মতৎপরতাকে কাজে লাগিয়ে নানারকম কাজ করিয়ে নেয় যা অনেকসময় মানুষের বুদ্ধির কাছাকাছি চলে যায়। এই বইটি আপানকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কী এবং এর ইতিহাস ও প্রোগামিং করে কী কী সুবিধাগুলো পেতে পারি তার একটি স্পষ্ট ধারণা দিবে। এই বইটি পড়ার জন্যে আপনাকে আগে থেকে প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জানতে হবে না।
বাবা সরকারী চাকুরে হবার কারণে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরার অভিজ্ঞতা হয়েছে জাফর ইকবাল এর। সেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পশু এবং পাখি নিয়ে তার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তিনি বনর্না করেছেন এই বইয়ে। তার বিভিন্ন বইয়ে বিভিন্ন পশু চরিত্র এসেছে, সেগুলোর অভিজ্ঞতা যে তিনি এই সব ঘটনা থেকেই পেয়েছেন, তা বলেই দেয়া যায়। তিনি হুমায়ুন আহমেদ এর মত করে ঘটা করে তার ছেলে বেলার স্মৃতি নিয়ে আসেননি, আসলে হুমায়ুন আহমেদই যা বলার বলে দিয়েছেন, বাকি ভাইবোনদের জন্য তেমন কিছু বাকি রাখেননি!! তার এই বইটি পড়ে আমি অনেক সময় আক্ষেপ করেছি, এই পশুগুলোকে যদি আমি পুষতে পারতাম!! তবে আমার দৌড় বেড়াল পযর্ন্তই.. বইটি উপভোগ্য। যে কেউ পড়ে মজা পাবে।
জেনারেল রোকী অনেক চেষ্টা করেও ই-ফোর্স যোদ্ধা সোমোকে হত্যা করতে পারে নি। বন্ধুদের নিয়ে সোমো পৌঁছে গেছে কিজার ল্যাবে। পৃথিবী ধ্বংসের যাবতীয় তোড়জোড় চলছে এখানে। ল্যাবের ভাইরাস মিসাইলের গুদাম তারা বোমা মেরে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হলেও ধরা পড়ে গেল কিজার হাতে। ডন, রব আর পাহাড়ের জায়গা হলো রোকীর চিড়িয়াখানায়। সোমো বন্দি হলো ড. জরের ভয়ঙ্কর ল্যাবে। সে কি পারবে মুক্ত হয়ে তার মিশন শেষ করতে?
ডায়নোসর পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ছ' কোটি বছর আগে। দুর্দান্ত প্রতাপশালী যে প্রাণী একসময় সারা পৃথিবী চষে বেড়াতো সময়ের অতলে পরে তাদের চিহ্ন ও খুঁজে পাওয়া দায়। তবু আজও অনেক জায়গায় আর্কিওলজিস্টদের পাওয়া জীবাশ্ম/ ফসিল আমাদের মনে করিয়ে দেয় ডায়ানোসর নামক প্রাণীর অস্তিত্ব। এমন ও তো হতে পারে হাজার কোটি বছর আগে আমাদের দেশ এই প্রাণীর বিচরণক্ষেত্র ছিলো, হঠাৎ করেই দেশের কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলে আবিষ্কার হয়ে যেতে পারে টি রেক্স নামক হিংস্র ডায়নোসরের জীবদ্দশার প্রমাণ। বইয়ের নাম: টি রেক্সের সন্ধানে লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশকাল: ১৯৯৫ সাল প্রকাশনা: জ্ঞানকোষ প্রকাশনী পৃষ্টাসংখ্যা: ৭৮ রকমারি মূল্য: ৯০ টাকা বইয়ে যা আছে: মালিবাগ মোড়ের চায়ের দোকানটার গলির মাথায় দাঁড়ানো টোপনদের দুইতলা বাসাটা নাকি জগতের মাঝে সবথেকে আনন্দহীন বাসা। এই বাসার মানুষজনের মাঝে আছেন হাড়কিপ্টে বড়চাচা, অলস জয়নাল চাচা, গুলপট্টি দিতে ওস্তাদ সুন্দর চাচা আর এদের থেকে আলাদা মজার মানুষ বোকাসোকা ছোটচাচা। টোপনের বাবার থাকার কোন উপায় নেই, তিনি ওর জন্মের আগেই মারা গিয়েছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর টোপনের মা যেন একটু কেমন হয়ে গেছেন।
ইউনিভার্সিটির ডিগ্রিধারী বেসিক আলী। খাওয়া আর ঘুম এই নিয়েই দিন কেটে যাচ্ছিল তার। বাবা বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী তালিব আলী কায়দা করে তাকে ব্যাংকের চাকরিতে ঢুকিয়ে দিলেন। অফিস কলিগ রিয়া হকের সঙ্গে গড়ে উঠল নতুন এক সম্পর্ক। বেসিকের ছোট বোন মেডিকেল কলেজের ছাত্রী নেচার আর ছোট ভাই ইস্কুল ছাত্র ম্যাজিক খবরটা তুলে দিল বাবা-মায়ের কানে। কিন্তু বেসিকের ঘুম কাতুরে স্বভাব অফিসে গিয়েও কাটে না। আত্মভোলা বন্ধু হিল্লোলের পেছনে লাগাও তার আরেকটা স্বভাব। বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে উদ্ভট কার্যকালাপ আর বাইরে রিয়ার মজাদার সঙ্গ এই নিয়ে কেটে যায় বেসিকের দিনকাল।
ইউনিভার্সিটির ডিগ্রিধারী বেসিক আলী। খাওয়া আর ঘুম- এই নিয়েই দিন কেটে যাচ্ছিল তার। বাবা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তালিব আলী কায়দা করে তাকে ব্যাংকের চাকরিতে ঢুকিয়ে দিলেন। অফিস কলিগ রিয়া হকের সঙ্গে গড়ে উঠল নতুন এক সম্পর্ক। বেসিকের ছোটবোন মেডিকেল কলেজের ছাত্রী নেচার আর ছোট ভাই স্কুল ছাত্র ম্যাজিক খবরটা তুলে দিল বাবা-মায়ের কানে। কিন্তু বেসিকের ঘুম কাতুরে স্বভাব অফিসে গিয়েও কাটে না। আত্মভোলা বন্ধু হিলোলের পেছনে লাগাও তার আরেকটা স্বভাব। বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে উদ্ভট কার্যকলাপ আর বাইরে রিয়ার মজাদার সঙ্গ এই নিয়ে কেটে যায় বেসিকের দিনকাল….
মোল্লা নাসিরুদ্দিন হোজ্জা একজন গল্পবুড়ো। কত হাজার রকমের গল্প যে সে বলেছে তার কোনো শেষ নেই। গল্প বলতে সে ভালোবাসে। গল্প বলে সে মজা পায়। আবার মানুষকে নানা কিছু শিখিয়ে দেয়। তার জন্মভূমি তুরস্ক। তার ঝুলিতে কত শত গল্প যে আছে কেউ তা বলতে পারে না। এখন সে বাংলাদেশে । সে পথশিশু ছেলেমেয়েদের গল্প শোনাতে এসেছে।
সাগরের মতো কেমন করে বড় হব মামা। আমি তো সাগর দেখিনি। তুমি আমাকে সাগরের কাছে নিয়ে যাও। আমারতো আর সময় নেই। আমিতো চলে যাচ্ছি। তবে সাগরের ছবি তোকে ভেবে নিতে হবে। নিজের বুকে হাত রেখে নিজেকে বলবি, আমি একটা সাগর । চারদিক তাকাবি। সাগর কেমন তা বুঝতে চেষ্টা করবি।
এ বই কিশোর-কিশোরীদের জন্যে, তরুণ-তরুণীদের জন্যে। এই বই আনন্দের জন্যে, এই বই আলোকপ্রাপ্তির জন্যে। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এক বহুমুখী প্রতিভার নাম, অপ্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠক, জনপ্রিয় টিভি-উপস্থাপক, প্রাবন্ধিক, কবি, গল্পকার, অনুবাদক, নাট্যকার-তাঁর পরিচয়ের শেষ নেই। কিন্তু আরো একটা কারণে তাঁর পরিচয়ের শেষ নেই। কিন্তু আরো একটা কারণে তাঁর খ্যাতি দেশজোড়া, অসাধারণ বাগ্মী তিনি; তাঁর বক্তৃতা পাণ্ডিত্য, সরসতায়, সৌন্দর্যে অপূর্বতায় উজ্জ্বল। এই বইয়ে থাকলো প্রধানত স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সামনে দেওয়া বিভিন্ন উপলক্ষে তাঁর বক্তৃতাগুলো। হাসির ছটা দিয়ে বক্তৃতাগুলো মুরু হয়েছে সাধারণ, কিছুক্ষণের মধ্যেই গল্পচ্ছলে বক্তা ঢুকে গেছেন বিষয়ের গভীরে, কেবল তত্ত্বকথা নয়, জীবনরসিকের জীবনাভিজ্ঞতার আলোয় ঋদ্ধ এই বক্তৃতাগুলো। আছে সাধারণ কৌতুক থেকে শুরু করে মনীষীদের জীবনের সত্য ঘটনার উল্লেখ, আছে কবিতা কিংবা সাহিত্যের উজ্জ্বল উদ্ধৃতি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কিংবা রণদাপ্রসাদ সাহার মতো ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বক্তৃতাও ঠাঁই পেয়েছে এই দুই মলাটের মধ্যেই-যে ভাষণের উদ্দিষ্ট শ্রোতাদের সবাই হয়তো তরুণও নয়।
ডেভিড বেঞ্জামিন কোহেন (ডিবিসি) একটু ঝুকে পড়ে টেবিলের উপর রাখা একটা মানচিত্রের উপর গভীরভাবে চোখ বুলাচ্ছিল। ডেভিড বেঞ্জামিন কোহেন ‘ এক মানুষ এক পৃথিবী’ সংগঠনটির ইউরোপ- ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের নতুন প্রধান। রত্নদ্বীপের ব্ল্যাক সিন্ডিকেট- এর বিপর্যয়ের পর ‘এক মানুষ এক পৃথিবী’র পক্ষে সে এসেছে চূড়ান্ত সিন্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়ে।
বইটার নাম 'ক্ষীরের পুতুল'। লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পাতায় পাতায় ছবি। 'ক্ষীরের পুতুল' হচ্ছে আমার প্রথম-পড়া 'সাহিত্য'। সাহিত্যের প্রথম পাঠ আমি আমার বাবা-মা'র কাছ থেকে পাইনি। বাবার বিশাল লাইব্রেরি ছিল। সেই লাইব্রেরির পুস্তকসংখ্যা মাথা ঘুরিয়ে দেবার মতো। সমস্ত বই তিনি তালাবদ্ধ করে রাখতেন। বাবার লাইব্রেরির বই আমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের নাগালের বাইরে ছিল। বাবা হয়তো ভেবেছিলেন, এসব বই পড়ার সময় এখনও হয়নি। শুক্লাদি তা ভাবেননি। তিনি অসাধারণ একটি বই একটি বাচ্চা-ছেলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে তার স্বপ্নজগতের দরজা খুলে দিলেন। স্বপ্নজগতের দরজা সবাই খুলতে পারে না। দরজা খুলতে সোনার চাবির দরকার। ঈশ্বর যার-তার হাতে সেই চাবি দেন না। সে চাবি থাকে অল্পকিছু মানুষের কাছে। শুক্লাদি সেই অল্পকিছু মানুষদের একজন। ...বাসায় এসেই বসেছি ক্ষীরের পুতুল নিয়ে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। লাল টকটকে সূর্য রঙ ছড়াচ্ছে মুঠি মুঠি লাল। পাহাড়ের ওপরে, গায়ে ঠিকরে পড়ছে লাল। পাহাড়ের ওপরে, গায়ে ঠিকরে পড়ছে লাল আভা। ঝিরঝির করে বইছে বাতাস, তিরতির করে কাপছে খেজুর পাতা। পাহাড়ের চূড়োয় বসে আছে শেফাক। এক মনে কী যেন ভাবছে।
,যখন ত্রিশ টাকার ভাড়া স্কুটারওয়ালা চাইল পঁয়ত্রিশ টাকা।শুরু হলো তুমুল ঝগড়া, হঠাৎ করেই ঝগড়াতে বাগড়া দিল যন্ত্রপাতি হাতে অদ্ভুত এক মেয়ে, ক্যালকুলেটর টিপে বলে দিল স্কুটারওয়ালা মোটেও মিথ্যা কথা বলে নি!!যাওয়ার সময় জাফর সাহেবের হাতে হাবিজাবি লেখা কার্ড ধরিয়ে দিয়ে গেল মেয়েটা,জাফর ইকবাল তখনও জানেন না,এই মেয়েটার নাম সায়রা এবং ইনি একজন সায়েন্টিস্ট!! . জাফর ইকবাল সাহেব ভেজিটেবল টাইপের মানুষ,জগত সমন্ধে তার জানার আগ্রহ বা ইচ্ছা কোনটাই নাই।এই যুগেও উনি ই-মেইলকে মেইল ট্রেন জাতীয় কিছু একটা মনে করেন।এই কথা শুনে বিল্টুর লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার মতো অবস্থা!!
ভোরবেলা সন্তু তার কুকুরটাকে নিয়ে বের হয়েছে। উদ্দেশ্য মর্নিং ওয়াক করবে। সন্তুর কাকাবাবু মানে রাজা রায়চৌধুরী তখন ঘুমে। বাড়ি থেকে বের হতে না হতেই দেখা বন্ধু জোজোর সাথে। সন্তু ভীষণ অবাক। এই সাত সকালে জোজো কেন? জোজোকে জিজ্ঞেস করতেই জানা গেলো, জোজোদের বাড়িতে নাকি সাইমন বুবুম্বা এসেছেন। আফ্রিকার কোন এক রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট! তার জন্য পিন হেড মাশরুম যোগাড় করতে হবে। সন্তু মনে মনে হাসলো। সকালবেলায় শুরু হয়ে গেছে ওর কল্পনাশক্তির লাগামছাড়া দৌড়। জোজোর এমনি সব ঠিক থাকলেও এইটা একটা বড় সমস্যা। তবে হ্যাঁ, ওর এসব অদ্ভূত গল্প নিয়ে কখনো কোন বিপদে পড়তে হয় নি এখনো।
নিষাদের বাবার কথা শেষ হওয়ার আগেই।নিষাদের মা স্পষ্ট গুনলেন- খলবল হাসির শব্দ। একজন না, কয়েকজন হাসছে। তিনি বলছেন, তুমি কি কোনো হাসির শব্দ শুনেছ?
নিষাদের বাবা বললেন, না তো।
আমি কিন্তু স্পষ্ট শুনেছি।
কারা হাসছে? এংগা, বেংগা , চেংগা?
নিষাদের মা বললেন, তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে তুমি খুব মজা পাচ্ছ ? মজা পাওয়ার মতো কিছু কি ঘটেছে ?
হ্যাঁ ঘটেছে। শুনতে চাও ?
চাই।
নিষাদের বাবা শোয়া থেকে উঠে বসলেন। মজা পাওয়ার মতো কী ঘটেছে তা মনে হয় বলবেন। তার আগেই নিষাদ ডাকল, মা শুনে যাও।
তাড়াতাড়ি এসো।
তিনি ছেলের পাশে এসে দাঁড়ালেন। নিষাদ বলল, মা দেখো এরা তোমার সব খাবার খেয়ে ফেলেছে। নিষাদের মা দেখলেন, টেবিলের নিচে রাখা থালা শূন্য। তিনি একবার থালার দিকে তাকাচ্ছেন, একবার ছেলের দিকে তাকাচ্ছেন।তাঁর কোনো হিসাবই মিলছে না।
বাবলুকে একা বাসায় রেখে তার বাবা-মা ভৈরবে বেড়াতে গেছেন। সকালের ট্রেনে গেছেন, ফিরবেন রাত ন’টায়। এই এত সময় বাবলু একা থাকবে। না, ঠিক একা না, বাসায় কাজের বুয়া আছে। বাবলুর খুব ইচ্ছা ছিল সেও ভৈরবে যাবে। অনেক দিন সে ট্রেনে চড়ে না। তার খুব ট্রেনে চড়তে েইচ্ছা করছিল।
একদিন রাগ সামলাতে না পেরে এলেংয়ের মা এলেংকে জিব দিয়ে ঠাস করে চড় লাগাল। ( ব্যাঙরা জিবকে হাতের মতো ব্যবহার করে । পোকামাকড় ধরে খায়, আবার চড়-থাপ্পড়ও দেয়)। এলেং অবাক হয়ে বলল, মারলে কেন মা?
মা বলল, সারাক্ষণ বাবার সামনে হাঁ করে বসে থাকিস ।