কোন এক ঝড়ো সন্ধ্যায় হঠাৎ রাশেদ সাহেবের বাড়িতে বশির আলী নামের হাতকাটা অদ্ভুত এক আত্মাসাধক উপস্থিত হয়। সকলের কৌতূহল রক্ষার্থে আত্মাসাধক বশির আলী ডেকে নিয়ে আসে এক বিশেষ অশরীরি আত্মাকে। তখনও কেউ বুঝতে পারেনি কতটা ভয়ঙ্কর আর নিষ্ঠুর হতে পারে এই আত্মা। এমনকি স্বয়ং বশির আলীও রেহাই পায়নি আত্মার নিষ্ঠুরতা থেকে। ভয় আর আতঙ্কে সবাই যখন দিশেহারা ঠিক তখনই আত্মা দাবি করে বসে এই বাড়ির অন্য যে কারো আত্মা তার চাই-ই-চাই। রাশেদ সাহেবকেই সিদ্ধান্ত দিতে হবে পরিবারের কার আত্মা তিনি উৎসর্গ করবেন। অন্যথায় অশরীরি আত্মা রাশেদ সাহেবের বড় মেয়ে পূর্বার আত্মা নিয়ে নেবে। অর্থাৎ নিশ্চিত, নিষ্ঠুর আর করুণ মৃত্যু ঘটবে সবার প্রিয় পূর্বার।
শেষ পর্যন্ত কি রাশেদ সাহেবের পরিবার ভয়ানক এই অশরীরি আত্মার হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছিল?
মুহম্মদ জাফর ইকবাল, কিশোর গল্প-উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি ছাড়াও নাটক লেখায়ও তাঁর রয়েছে দ্বীপ্ত পদচারণা। বিভিন্ন সময়ে শিশু-কিশোরদের জন্যে তাঁর রচিত প্রতিটি নাটকই দর্শক মহলে বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিভিন্ন টেলিভিশন মিডিয়াতে প্রচারিত তাঁর বেশকিছু নাটক দর্শক বিচারে শীর্ষে। শিশু-কিশোরদের জন্য তাঁর রচিত দর্শক নন্দিত ছয়টি নাটকের সংকলন গ্রন্থ কিশোর নাটকসমগ্র প্রকাশিত হলো।
নাটক মূলত দেখার বিষয়, কিছু বইয়ের পাতায় পাতায় শব্দে নাটকের আবেদন হয়ে উঠে অন্যরকম। পড়তে পড়তে নাটকের প্রতিটি মুহূর্ত উপলব্ধি করার প্রতি পাঠকের আগ্রহের কথা ভেবেই এই সংকলন গ্রন্থটি প্রকাশের প্রয়াস। আার উৎসাহী পাঠকদের প্রতি আমন্ত্রণ রইল একটু ভিন্নভাবে নাটক উপভোগ করার ...
একদিন সকালে দাদি ইকরিকে একটা টব উপহার দিলেন। নকশা-আঁকা টবটা দেখতে খুব সুন্দর, দাদি বললেন, ‘তুমি এতে ফুলের গাছ লাগাতে পারাে ইকরি। ফুল ফুটলে টবটা আরও সুন্দর লাগবে। দাদির কথা শুনে ইকরি দারুণ খুশি হলাে। ইকরি একটু ভেবে দাদিকে বললাে, ‘ইকরির মাথায় একটা ভাবনা এসেছে দাদি। ইকরি দাদিকে তার ভাবনার কথা জানালাে। শুনে দাদি বললেন,‘দারুণ একটা কাজ হবে ইকরি!
*অদ্ভুত এক ভূতুড়ে শহর, ছোটরা নাম দিয়েছে ডেথসিটি। দিনে দুপুরে এখানে ভূত বেরোয়, সূর্যাস্তের অপেক্ষা করে না। এই শহরে কিশোরের চাচার একটা বাড়ি আছে। মাঝে মাঝে সেখানে বেড়াতে আসে কিশোর, মুসা ও রবিন। এই শহরের স্থায়ী বাসিন্দা রোডা ও গ্র্যাহাম। একদিন পড়ল ওরা ভয়ানক এক ডেলি-দানবের খপ্পরে। তৈলাক্ত, স্বচ্ছ, থলথলে, কালো রঙের আঠালো দানবটা যখন গ্র্যাহামকে তুলে নিয়ে গেল, রুখে দাঁড়াল বাকি সবাই। এই দানবরহস্যের সমাধান না করে ছাড়াবে না গোয়েন্দারা।
সূচিপত্র
* আঁধারের আতঙ্ক
* পিশাচ বাড়ি
* ছায়ামানুষ
* ডাইনি
* অপারেশন
* চোখের আড়াল হলে
* কালীর অভিশাপ
* ফাঙ্গাস
* অশুভ প্রহর
* প্রতিবিম্ব
* বন্ধ ঘরের রহস্য
* সপ্তম সিতিমা
* শাহেরজাদী
* মধুচন্দ্রিমা
* পাশের ঘরে কে
* রুমমেট
* ড্রাকুলা
* অদ্ভুত লাশ
* কুহক
* ভূতুড়ে ক্রিকেট ম্যাচ
* পৈশাচিক সম্মোহন
বিচিত্র ধরনের কিছু শব্দের মধ্যে অবতরণ করল শিপটি। ধাতব গা কেটে সরে যাওয়া বায়ুমণ্ডলের দূরবর্তী হিসহিস, সংঘর্ষজনিত তাপ সামাল দেয়া কন্ডিশনারগুলাের অবিরাম গুনগুন, গতি মন্থরে ব্যস্ত এঞ্জিনগুলাের চাপা, ভারী গুম গুম । সেই সঙ্গে রয়েছে ডিবাকেশন রুমগুলােতে জড়াে হওয়া নারী-পুরুষের সম্মিলিত কণ্ঠ আর শিপের লম্বা অক্ষ বরাবর ব্যাগেজ, মেইল এবং অন্যান্য মালামাল তােলায় ব্যস্ত হয়েস্টগুলাের | ধুপধাপ; মালামাল পরে আনলােডিং প্লাটফর্মে সরিয়ে নেয়া হবে।
কম্বলের তলা থেকে হাত বের করে দিল যুবক বাঁ হাত। একটু অবাক হলাম, অপমানিতও। সুন্দর চেহারা যুবকের। দেখেই বােঝা যায় সম্রান্ত বংশীয়, নিশ্চয় শিক্ষাদীক্ষা আছে। আদব-কায়দা বিশেষ জানেটানে বলে মনে হল না। যাই হােক, রােগী দেখতে এসে এতসব মনে করলে চলে না। নাড়ি দেখে ওষুধ দিয়ে চলে এলাম। পরদিন আবার গেলাম। নাড়ি দেখতে চাইলে আবার বাঁ হাত বের করে দিল যুবক।
তার পরদিন আবার গেলাম। তার পরের দিন আবার। পরপর দশ দিন যেতে হল আমাকে। নাড়ি দেখতে চাইলে রােজই বাঁ হাত বের করে দেয় যুবক। রীতিমতাে অপমানই বােধ করি। একদিন দু'দিন হলে কথা ছিল। পরপর দশ দিন একই ব্যবহার সহ্য করা যায় না। কোতােয়ালের বাড়ির লােক বলে কঠিন কিছু বলতেও সাহস করি না।
একটা মামলার মধ্যে আটকে রয়েছেন শার্লক হােমস। তার শরীরের যা অবস্থা ভালাে নয়—দিনের পর দিন রােগা হয়ে যাচ্ছেন, খাওয়া দাওয়া একরকম ছেড়েই দিয়েছেন। ড. ওয়াটসন জিজ্ঞেস করেছিলেন, খাবেন কখন? তাতে তিনি বলেছিলেন, পরশু সাড়ে সাতটায়।
বিলি হােলাে হােমসের ছােকরা চাকর। খুব চালাক আর চটপটে। হােমসের জীবনের একাকিত্বের ফাক অনেকটা ভরাট করেছে সে। বিলি ড, ওয়াটসনকে বলল—কাকে যেন ধরার চেষ্টা করছেন। পরশু বেরিয়েছিলেন জনমজুর সেজে, যেন কাজ খুঁজছেন, আর আজ বেরিয়েছিলেন এক বুড়ির সাজে।
কিন্তু তারও একটা বিহিত করা যায়। দেনা মিটিয়ে যদি কিছু হাতে নগদ আর বিষয়-আশয় রাখতে চায় ছেলেরা, সে ব্যবস্থা অনায়াসেই হতে পারে। মস্ত বড় যে জঙ্গলের মহালটা রয়েছে সেইটে আর কিছু বার দিকের খুচরাে জমি বিক্রি করে ফেললে সুরাহা হবে। কেবল সেমিয়ােনভ তালুকটা যেটা সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সম্পত্তি অর্থাৎ চার হাজার বিঘে আন্দাজ পােডড়ামাটির জমি, চিনির কারখানা, আর দুশাে বিঘের মস্ত বড় বিল— এইটে রাখলেই যথেষ্ট। যদি এই বিষয়টুকু ভালােমতাে তদ্বির-তদারক করা যায়, জমিদারিতে নিজে বসবাস করে বুদ্ধি খাটিয়ে চাষ-আবাদ করা যায় তাহলে ওই আবাদেই ফলবে সােনা। অনর্থক খরচ বাঁচিয়ে যে মিত্যব্যয়ীভাবে জমি-জমা চালাতে জানে তার পক্ষে গুছিয়ে নেওয়া কিছু শক্ত নয়।