সবাই ঝুঁকে এল দেখার জন্য। পাতার পর পাতা উল্টে চলল কিশাের। এই যে একটা লিস্ট... চোরাই মালের হতে পারে। রূপার বাতিদান, সিগারেটের বাক্স, ওপরে লেখা এ.জি.বি., চারটে রূপার কাপ, তাতে...'
লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল মুসা। বুঝতে পেরেছি। সকালে কাগজে পড়ছিল বাবা । চোরাই মালের লিস্টই, বিখ্যাত ক্রিকেটার হেনরি ফেয়ারওয়েলের বাড়ি থেকে চুরি গেছে। তুড়ি বাজাল সে। পুলকিত কণ্ঠে বলল, কিশাের, মনে হয় পেয়ে গেলাম একটা কেস!'
বিশাল দেহের কালা কুচকুচে কুকুরটাকে দেখে আঁতকে উঠল লিয়া। এই কুকুরটাকে সে খুব ভয় পায়। কারণ সে জানে এই কুকুরটা কুকুর নয়, ভয়ংকর এক কালা পিশাচ। কখনো কখনো মানুষের অবয়ব নিয়ে আসে। এজন্য কুকুরটার পাগুলো দেখতে মানুষের হাতের মতো। যেভাবেই হোক এই কালা পিশাচটা তার ডান পা থেকে রক্ত খাবে। এ উদ্দেশ্যে কুকুরূপী কালা পিশাচটা কাঁমড়ে তার ডান পায়ে দুটো ক্ষতেরও সৃষ্টি করেছে। সেই ক্ষত থেকেই চেটে চেটে রক্ত খায় পিশাচটা। লিয়ার মুক্তির কোনো উপায় নেই। কারণ রক্ত খেতে দিতে না চাইলে তার পায়ে ভয়ংকর অসহনীয় ব্যথা হয়। তখন সে উম্মাদ হয়ে যায়। ব্যথা সহ্য করতে না পেরে নিজের পা-টা নিজেই কেটে ফেলার চেষ্টা করে, কিন্তু পারে না। শেষে পিশাচ তাড়ানোর জন্য ’তীর বাবা’ কে ডাকা হয়। কিন্তু প্রথম দিনের পর আর হদিস পাওয়া যায়নি ’তীর বাবার’। আরও একজন ফকিরকে ডাকা হলে ফকিরও নিজের অক্ষমতা স্বীকার করে। এদিকে কালা পিশাচ জানিয়ে দেয় সে খুব শিঘ্রী লিয়াকে নিষ্ঠুর আর নির্মমভাবে হত্যা করবে। তাই তো লিয়াকে সে নিয়ে যেতে থাকে গভীর জঙ্গলে, যেখানে তাকে সাহায্য করার কিংবা উদ্ধার করার মতো কেউ নেই। লিয়া সেখানে একা, একেবারেই অসহায়।
কালা পিশাচের হাত থেকে শেষ পর্যন্ত লিয়া কী নিজেকে বাঁচাতে পেরেছিল?
সাইকেল চালানাে শেখার জন্য সন্তুকে এখন ভােরবেলা বালিগঞ্জ লেকে আসতে হয়। ওদের পাড়ার পার্কটা মেট্রো রেলের জন্য খুঁড়ে ফেলা হয়েছে, সেখানে এখন খেলাধুলাে করার উপায় নেই। ভােরবেলাতেই বালিগঞ্জ লেকে বেশ ভিড় থাকে। বহু বয়স্ক লােক আসেন মর্নিং ওয়াক করতে। অল্পবয়েসি ছেলেমেয়েরা দৌড়য়। অনেকে রােয়িং করে। কালীবাড়ির উল্টো দিকের গ্রাউণ্ডটায় ফুটবলের কিক প্র্যাকটিস হয়। লেকের পেছনদিকটায় যেখানে লিলিপুল আছে, সেখানকার রাস্তাটা অনেকটা নির্জন। ওই জায়গাতেই দুতিনটে দল সাইকেল শেখে।
রু কোমল গলায় প্রায় হাসিমুখে বললেন, সেটা তােমার ইচ্ছে রিকি। কিন্তু তুমি যেহেতু বিষয়টি তুলেছ তােমাকে একটা ঘটনার কথা বলি। প্রায় কুড়ি বৎসর আগে পশ্চিমের পাহাড়ের অঞ্চলের একটা কৃষিজীবি এলাকার বাচ্চাদের স্কুল থেকে আমি একটা চিঠি পেয়েছিলাম। স্কুলের একজন শিক্ষকের চিঠি অনেক ঘুরে আমার কাছে এসেছিল। চিঠিতে শিক্ষক লিখেছেন তার ক্লাশে নাকি একজন অস্বাভাবিক প্রতিভাবান শিশু রয়েছে। আমি শিশুটির সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তার বয়স তখন সাত, সে ছয় বৎসর বয়সে মহাজাগতিক সূত্রের প্রথম সমাধানটি করেছিল। সাত বৎসর বয়সে সে সময়ে পরিভ্রমণের উপর প্রায় সঠিক একটা সূত্র দিয়েছিল। আমি তাকে এবং তার পরিবারকে রাজধানীতে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। বাচ্চাটি রাজী হয়নি। সে বিজ্ঞানে উৎসাহী নয় ।
সূচিপত্র
* সেট তত্ত্বে জীবন
* গানিতিক জীবন
* শূন্য আবিষ্কার
* সংখ্যা
* সমীকরণ ও অভেদ
* পরিমাপ ও একক
* মজার বর্ষ : অধিবর্ষ
* জ্যামিতির ধারনা
* জ্যামিতির শ্রেণি বিভাগ
* বিন্দু, রেখা, তল
* জ্যামিতির কিছু প্রতীক
* কোণ পরিচিতি
* ক্ষেত্র পরিচিতি
* ক্ষেত্র সম্পর্কিত সূত্রবলী
* বৃত্ত্ পরিচয়
* ঘন বস্তুর পরিচয়
* আশ্চর্য মজার ধ্রুবক π (পাই) কাহিনি
* গ্রীক বর্ণমালার পরিচয়
* প্রয়োজনীয় গানিতিক সূত্রবলী
* সংখ্যার খেলায় মজা
* সরল অংকের নিয়ম
* গনিত ম্যাজিক : বার নির্ণয়
* আরো একটি মজার গল্প
* বড় সংখ্যার কেমন নাম
* উপপাদ্য জগত
* গানিতিক প্রশ্নোত্তর
আরবি ভাষায় যাকে ‘আইয়ামে জাহেলিয়া বলা হয়, বাংলায় তাকে বলা হয় অন্ধকার যুগ’ । প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আবির্ভাব-পূর্ব আরবদেশকে অন্ধকার যুগের আরব বলে অভিহিত করা হয়। সে যুগের আরবের লােকেরা ছিল বাধাবন্ধনহীন এক উচ্ছল ও অসভ্য জাতি। মূর্তিপূজার ন্যায় ঘূণিত অপকর্ম ছিল তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সেজন্য তাদের পৌত্তলিকও বলা হয়। তাদের মনগড়া দেবতার মূর্তি বানিয়ে তারা তার উপাসনা করত। এই পৌত্তলিকতা তাদের সমস্ত মানবীয় গুণাবলী ও সুকুমারবৃত্তিকে ধ্বংস করে ফেলেছিল এবং সেই সাথে তাদের মধ্যে অদ্ভুত সব কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস গড়ে উঠেছিল। দুনিয়ার সমস্ত বস্তু উপকারী-অপকারী সমস্ত বস্তুকেই তারা দেবতাজ্ঞানে পূজা করত। যেমন- পাথর, বৃক্ষ, চাদ, সূর্য, পাহাড়, সমুদ্র সমস্ত কিছুই ছিল তাদের আরাধ্য। আরবরা দৈত্য-দানব, ভূত-প্রেত ইত্যাদি অদৃশ্য বস্তুসহ তাদের পূর্বপুরুষদেরও মূর্তি বানিয়ে পূজা করত। এমন কি, যে জ্বিন।
বেল রিয়ােজ এসকর্ট ছাড়াই চলাচল করেন। গ্যালাকটিক এম্পায়ারের অগ্রযাত্রায় ক্ষুব্ধ হয়ে আছে এমন এক স্টেলার সিস্টেমে অবস্থানরত সামরিক বহরের প্রধানের জন্য কাজটা ইম্পেরিয়াল কোর্ট এর নিয়ম বহির্ভূত।
কিন্তু বেল রিয়ােজ তরুণ এবং উদ্যমী-নিরাবেগ এবং হিসেবি রাজদরবারের নির্দেশে মহাবিশ্বের শেষ প্রান্তে ছুটে যাওয়ার মতাে যথেষ্ট উদ্যমী-তা ছাড়াও তিনি কৌতূহলী। লােক মুখে ছড়ানাে অদ্ভুত চমকপ্রদ কিছু কাহিনী তার কৌতূহল বাড়িয়ে তুলেছে। একটা সামরিক অভিযানের সম্ভাবনা তার প্রথম বৈশিষ্ট্য দুটোকে একত্রিত করেছে। সব মিলে তিনি হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরােধ্য।
পুরােনাে গ্রাউণ্ড কার থেকে নেমে জীর্ণ ভবনের দরজার সামনে অপেক্ষা করতে লাগলেন। দরজার ফটোনিক দৃষ্টি জীবন্ত হয়ে উঠল। কিন্তু দরজা খােলার পর দেখা গেল সেটা হাতে ধরা।
সৌরজগতের উৎপত্তি কী করে হলো? ব্ল্যাক-হোল কী? ব্ল্যাক-হোল কখন, কীভাবে তৈরি হয়? পালসার ও নিউট্রন তারার পার্থক্য কী? আমাদের গ্যালাক্সির বৈশিষ্ট্য কী> গ্যালাক্সি কী করে তৈরি হয়? এই অষংখ্য গ্যালাক্সি মহাবিশ্বে কিভঅবে সজ্জিত আছে? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, আমাদের বিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে কী করে? বস্তুর মৌলিকতম উপাদান কী? কেমন তার আচরণ? সৃষ্টির মাহেন্দ্র ক্ষণটিতে কি তার কোনো ভূমিকা ছিল? নাকি সে নির্গুণ অকর্মণ্য, কেবলই এক নীরব দর্শক? বিশ্বের প্রসারণ কি চলতেই থাকবে নাকি এর কোনো শেষ আছে? সর্বোপরি মহাবিশ্বের নিয়তি কী? বহির্বিশ্বে কি প্রাণ সম্ভব? এইসব মিলিয়ন ডলার প্রশ্নের উত্তর এবং আরো অনেক নতুন প্রশ্নের ঝাঁপি নিয়ে মহাকাশের কথা। আজকের মানুষ মহাশূন্যে স্পেস-স্টেশন স্থাপন করেছে, অন্য গ্রহে বসতি স্থাপনের চিন্তা করছে। এমনকি এই দেশেই আছে নভোথিয়েটার। এই যখ পরিপ্রেক্ষিত, তখন কি স্পেস/ অ্যাস্ট্রনমি/ কসমোলজি এখনো উদাসীন বিজ্ঞানীর চিন্তার বিষয় হয়েই থাকবে? যারা আজকের এবং আগামী দিনের আধুনিক বিশ্বের নাগরিক হবেন তারা কি ‘অদ্ভুত উঠের পিঠে’ই চলতে থাকবেন?
পাখ, আপনার কী অভিমত?
পালকিখানা ঠাকুরমাদের আমলের। খুব দরাজ বহর তার, নবাবি ছাদের। ডাণ্ডা দুটো আট আট জন বেহারার কাঁধের মাপের। হাতে সােনার কাঁকন, কানে মােটা মাকড়ি, গায়ে লালরঙের হাতকাটা মেরজাই পরা বেহারার দল সূর্য-ডােবার রঙিন মেঘের মতাে সাবেক ধনদৌলতের সঙ্গে সঙ্গে গেছে মিলিয়ে। এই পালকির গায়ে ছিল রঙিন লাইনে আঁকজোক কাটা, কতক তার গেছে ক্ষয়ে; দাগ ধরেছে যেখানেসেখানে, নারকেলের ছােবড়া বেরিয়ে পড়েছে ভিতরের গদি থেকে। এ যেন একালের নাম-কাটা আসবাব, পড়ে আছে খাতাঞ্চিখানার বারান্দায় এক কোণে। আমার বয়স তখন সাত-আট বছর। এ সংসারে কোনাে দরকারি কাজে আমার হাত ছিল না; আর ঐ পুরানাে পালকিটাকেও সকল দরকারের কাজ থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়েছে। এইজন্যেই ওর উপরে আমার এতটা মনের টান ছিল। ও যেন সমুদ্রের মাঝখানে দ্বীপ, আর আমি ছুটির দিনের রবিনসন-ক্রুশাে, বন্ধ দরজার মধ্যে ঠিকানা হারিয়ে চার দিকের নজরবন্দি এড়িয়ে বসে আছি।
হাত ঘড়িতে সঠিক সময়টা দেখে নিলেন ড. অ্যারেক্স। জাস্ট ফোর ফোরটি ফোরপিএম। বাহ্ অদ্ভুত সময়ে তাঁর সাফল্য এলাে। এদিকে তারিখটাও ফোরথ এপ্রিল, শুধু বছরটা অন্য সংখ্যার। ২১১৩ সাল। সে যাই হােক পৃথিবীর ইতিহাসে তাঁর অবদান যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে সে কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক অভূতপূর্ব সাফল্যের দ্বার আজ থেকে উন্মােচিত হলাে। কিন্তু বিস্ময়কর সাফল্যের এই খবরটা তিনি এখনই সমগ্র বিশ্ববাসীকে জানাতে চান না। তার আগে দীর্ঘ এই গবেষণার দুই সহকারী এবং স্ত্রী লিভাকে খবরটা জানাতে হবে। কারণ গবেষণার পেছনে এদের কারাের অবদান খাটো করে দেখার উপায় নেই। দুই সহকারীর একজন ড. এনা শরীর ব্যবচ্ছেদ বিদ্যার অধ্যাপক। অন্যজন শরীর তত্ত্ববিদ্যার অধ্যাপক ড. ফিজি। দুজনেই হার্ভার্ড মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের সঙ্গে জড়িত। এদের দুজনই নিরলসভাবে ড. অ্যারেক্সকে সাহায্য করে আসছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার নির্জন এলাকায় ড. অ্যারেক্সের ল্যাবরেটরি গড়ে তােলার পেছনেও তাঁদের অবদান আছে। এনা ও ফিজি দুজনেই বয়সে ড. অ্যারেক্সের ছােট। অ্যারেক্সের বয়স পঞ্চাশের ওপরে। ওদের কাছে তিনি বিশেষ শ্রদ্ধার পাত্র। তাই ক্যালিফোর্নিয়া থেকে দূরে থেকেও ওরা নিয়মিত যােগাযােগ রক্ষা করছেন।
টুকু একটা খবরের কাগজের টুকরা কুড়িয়ে পেয়েছে। সেই টুকরায় আবার সিনেমার নায়ক-নায়িকার খবর । আজ শাকিবের জন্মদিন। সে বানান করে করে পড়ল। পথশিশুদের একটা ইশকুল আছে কারওয়ান। বাজারের ভেতরে। মুরগির মার্কেটের পেছনের দোতলার অন্ধকার সিড়ি পার হলে তাদের ইশকুল । তিনটা ঘর । আলাের পাখি সেই ইশকুলের নাম। তিনজন আপা সেখানে বাচ্চাদের পড়ান। টুকু পড়ে সেখানে। দিনে দুই ঘণ্টা। দিনের বাকিটা টুকুর অবাধ স্বাধীনতার সময়।
তেজগাঁও রেলস্টেশনে পড়ে থাকা ট্রেনের বগিতে সে ঘুমায় । কারওয়ান বাজারে ডালা হাতে মিন্তিগিরি করে। সাহেবেরা বাজার করতে আসেন গাড়ি করে ।