এ কথা আজ বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সত্যজিতের প্রধান সৃষ্টির জগৎ চলচ্চিত্রের জগৎ । এখানে তাঁর সিদ্ধি বিশ্বমানের এবং আবিস্মরণীয়। এমন একজন স্রষ্টা যখন সাহিত্যসৃষ্টিতেও শ্রেষ্ঠ হয়ে ওঠেন, তখন আমাদের বিস্ময়ের অন্ত থাকে না। আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে লক্ষ করি সিনেমার সঙ্গে তিনি সাহিত্যভাবনাতেও ব্যাপ্ত হয়েছিলেন। মগ্ন হয়েছিলেন অন্য এক দিগন্ত রচনায়। বাংলা দেশের এক সম্মানিত সাহিত্যভবন ও সাহিত্যপরিবারের ঐতিহ্য ছিল সত্যজিতের রক্তে। এর সঙ্গে মিশে গিয়েছিল তাঁর প্রতিভা, মেধা, ব্যক্তিস্বতন্ত্র্য, কল্পনা, উদ্ভাবনী মন আর অকৃত্রিম গদ্যশৈলী। গল্প রচনার সূচনালগ্ন থেকেই সত্যজিৎ পাঠকের মন জয় করে নিয়েছিলেন। শুরু থেকেই তিনি লিখেছেন গল্পের মধ্যে জমাটি গল্প। এদিক থেকে বোধ হয় তিনি স্যার ফিলিপ সিডনির তত্ত্বে বিশ্বাসী। সর্বপ্রথমে যা গল্প, সব শেষেও তা গল্প। কোনও জটিল তত্ত্ব নয়, ছোটগল্পে তিনি খুঁজে নিয়েছেন মুক্তি ও বিস্ময়। সুধী সমালোচকের ভাষায়, “আমাদের খণ্ডিত অস্তিত্বের সমস্যাসন্ধুল জগৎটা সেখানে মাথা চাড়া দেয় না। তার বদলে পাই মহাকাশের সংকেত, অতল সমুদ্রের ডাক, মরু বা মেরুর ইশারা অথবা মানুষের, একান্তই ছাপোষা সাধারণ মানুষের অশেষত্বের ঠিকানা। প্রযুক্তি পারঙ্গম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে যে-মানুষের গল্প তিনি শোনান সে-মানুষ গাণিতিক সিদ্ধির জগতে গণিতের অতীত মানুষ।” জগৎ ও জীবনকে সত্যজিৎ এমনই শিল্পীস্বভাবে দেখেছেন আগাগোড়া। ফলে তাঁর গল্পের কিশোরপাঠ্য ও বয়স্কপাঠ্যের বিভাজন রেখা মুছে গেছে। অনায়াসে। সব বয়সী পাঠককে তাঁর গল্পের জগতে সত্যজিৎ টেনে আনতে পেরেছেন। এই সিদ্ধি ও কৃতিত্ব খুব কম সংখ্যক গল্প-লেখকেরই আছে। সময়জয়ী এই গল্পগুলি যে-ভাষায় সত্যজিৎ লিখেছেন তা একান্তভাবে তাঁর নিজের ভাষা। তাঁর গদ্যশৈলী অননুকরণীয়। “এ গদ্যে কোথাও ফেনা নেই। পাতাবাহার নেই। নিম্পত্র অথচ ফলবতী লতার মতো মনোজ্ঞ সে গদ্য।” আবার শব্দ দিয়ে তৈরি করেছেন ছবি। প্রয়োজন মতো সে-ছবিতে রং ধরিয়ে চাক্ষুষ করেও তুলেছেন। সত্যজিতের আশিতম জন্মবর্ষপূর্তিতে শঙ্কু ও ফেলুদার কাহিনীগুলি বাদ দিয়ে তাঁর সমস্ত গল্প, দুটি উপন্যাস ও একটি নাট্যকাহিনী নিয়ে একত্রে প্রকাশিত হল ‘গল্প ১০১’ ।
সংক্ষেপে সব জানালেন সাইমন। নিখোজ লােকটার শেষ ঠিকানা হলাে লণ্ডনের একটা জাহাজ কোম্পানি। শেষ যে জাহাজে করে সে পাড়ি জমিয়েছিল সেটা ফ্রান্সের উপকূলে দুর্ঘটনায় পড়ে ডুবে যায়। ইউরােপের এক গােয়েন্দা সংস্থা খুঁজতে খুঁজতে গিয়ে হাজির হয় ব্রিটানির সেই বাড়িতে, সেখানে এক পরিবারের . সঙ্গে কিছুদিন থেকেছে হলােবি, সেটা বেশ কিছুদিন আগে। একটা সূত্র ফেলে গেছে সেখানে, একটুকরাে কাগজে লেখা একটা মাত্র শব্দ ‘আইল্যাণ্ড'।
‘ইংরেজিতে লেখা শব্দটা, সাইমন বলছেন, বানান আই এস এল আ ডি। তার মানে, আমরা জানি দ্বীপ। প্রথমেই যেটা মনে আসে, মনে হয় কোন দ্বীপে চলে গেছে হলােবি। কিন্তু আমি ভাবছি আরেকটা কথা। অন্য কিছু বুঝিয়েছে সে। আইসল্যাণ্ডের লােকেরা আইসল্যাণ্ডকে উচ্চারণ করে আইল্যাণ্ড। হলােবির বয়েস হবে এখন ষাট। নিশ্চয় সাগরে ঘােরা ছেড়ে দিয়ে বাকি জীবনটা শান্তিতে কাটানাের জন্যে আইসল্যাণ্ডে চলে গেছে। সেটাই জানতে হবে তােমাদের। লােকটাকে খুঁজে বের করতে হবে। প্লেনে করে যাবে, নামবে গিয়ে আইসল্যাণ্ডের রাজধানী রেকিয়াভিকে । ওখান থেকেই খোঁজা শুরু করবে।
চুপ করে আছে রবিন। ভাবছে, জবাবটা কিশােরই দিক।
কিশাের তাকিয়ে আছে সাইমনের দিকে। দীর্ঘ একটা মুহূর্ত চুপ করে থাকার পর বলল, “ঠিক আছে যাব। খরচটা দেবে কে?
‘অবশ্যই ইনশিওরেন্স কোম্পানি। তােমরা তিনজনেই যাচ্ছ, তাে? মুসা কোথায়?
সমগ্র সমূহ
*নীলমূর্তি রহস্য
*মহাকালের লিখন
*উল্কা-রহস্য
*একটি লাল লঙ্কা
*কাকাবাবু হেরে গেলেন?
*সাধুবাবার হাত
*সন্তু ও এক টুকরো চাঁদ
তখন শীতকাল -- নভেম্বরের শেষ। রাত্রি। ডােভারগামী রাজপথ দিয়ে একখানি ডাকবাহী ঘােড়ার গাড়ি চলেছে। সম্মুখে একটি ছােট পাহাড়। নাম সুটার-পাহাড়। পথ গেছে তার ওপর দিয়ে। তাই সেখানে। চড়াই। তার ওপর হাঁটু সমান কাদা; গাড়িখানিও মাল-পত্রে বােঝাই। সেজন্য কোচম্যান ও যাত্রী কয়েকজনকে নেমে গাড়ির পাশে পাশে। চলতে হচ্ছে। তখন দিন-সময় এমন যে দেশে রাজা থাকলেও নগরে ও গ্রামে শান্তি-শৃংখলা ছিল না। অরাজকতা, চরি, ডাকাতি, রাহাজানি, খুন লেগেই ছিল। কে যে সৎ, কে যে দস্যু তা বােঝা ছিল কঠিন। কারণ, যে দিনে শান্তিরক্ষক সেই হয়তাে রাত্রে ডাকাতি করতাে, মানুষ খুন করতেও তার বাধতাে না। দেশের এই রকম অবস্থার মধ্যে সেই ডাকগাড়িখানি ডােভারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তাই তার কোচম্যান, রক্ষী, যাত্রী।
লোকটার আপাদমস্তক জুড়ে রয়েছে অমঙ্গলের ছাট। তার দিকে চাইলে ঘৃণায় রিরি করে ওঠে সর্বাঙ্গূ। অজানা আশঙ্খায় গা ছম ছম করে ওঠে। কে এই মিস্টার হাইড? রক্তমাংসের সত্যিকার মানুষ সে? নাকি নরকের অন্ধকার গহ্বর থেকে উঠে আসা মূর্তিমান পিশাচ?
ইটালির ভিসুভিয়াস পর্বতের পাদদেশে ছোট্র শহর পম্পেই। খ্রীস্টীয় ঊনআশি সালে একদিন প্রবল এক ভূমিকম্প সাবধান করে দিল নগরবাসীকে। কিন্তু মূর্খ নাগরিকরা বুঝতে পারল লনা প্রকৃতির সা্বধানবাণী। ক’দিন পর অকস্মাৎ জেগে উঠল হাজার বছর ধরে ঘুমিয়ে থাকা ভিসুভিয়াস । ছাই, ভস্ম আর লাভার নীচে হারিয়ে গেল গোটা শহর।
রাইন পার হয়ে এগিয়ে চলছিল আহমদ মুসার গাড়ি। আহমদ মুসা ব্রুমসারবার্গ থেকে রাইনের তীর বরাবর এগিয়ে কবলেঞ্জের ব্রীজ দিয়ে রাইন পার হয়েছিল। উঠেছিল ফ্রাংকফুর্ট-বন হাইওয়েতে।
আহমদ মুসার টার্গেট ক্যাসেল, হ্যানোভার হয়ে অ্যারেন্ডসীর দিকে যাওয়া। এর জন্যে ফ্রাংকফুর্ট-ক্যাসেল কিংবা বন-ক্যাসেল হাইওয়েটা বেশি সুবিধাজনক। কিন্তু আহমদ মুসা এই দুই হাইওয়ে এড়িয়ে ফ্রাংকফুর্ট-বন হাইওয়ে আড়াআড়িভাবে ক্রস করে আঞ্চলিক রোড ধরে এগিয়ে চলছে ক্যাসেল-এর দিকে।
হাইওয়ে থেকে এ রাস্তা অনেক ভিন্ন। গাড়ির সেই ভিড় এখানে নেই, সেই স্পিডও কোন গাড়ির নেই। ড্রাইভ তাই এখানে অনেকটাই চাপবিহীন।
বামে টার্ন নিতে গিয়ে আহমদ মুসা রিয়ারভিউ মিররের দিকে তাকাল। তাকাতে গিয়ে নজর পড়ল ড্যাশবোর্ডের উপর রাখা একগুচ্ছ গোলাপের উপর।
গোলাপ গুচ্ছটি তার মনকে টেনে নিয়ে গেল এক তরুণের দিকে। রাত ১২টার দিকে যখন তারা বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল গাড়ি নিয়ে সে সময় দেখা এই তরুণের সাথে।
একজন ফাদারের পোশাক পরা আলদুনি সেনফ্রিড গাড়ি থেকে নেমে গেট লক করছিল। আহমদ মুসা বসেছিল ড্রাইভিং সিটে।
সেই তরুণটি আহমদ মুসার পাশের জানালায় এসে দাঁড়িয়ে তুলে ধরে ঐ ফুলের গুচ্ছ।
আহমদ মুসা তরুণটির দিকে একবার তাকিয়ে ফুলের গুচ্ছটি হাত বাড়িয়ে নিয়ে নিল।
গোলাপের গুচ্ছ দেখেই আহমদ মুসার মন কথা বলে উঠেছিল।
ফুলের গুচ্ছ হাতে নিয়েই তাকিয়েছিল আহমদ মুসা গুচ্ছের মধ্যে একটা চিরকুটের সন্ধানে। তার সাথে সাথে মন একটা প্রশ্নও করেছিল, এ সময় ওদের চিরকুট আসবে কেন? তারা তো যাচ্ছে এখন অ্যারেন্ডসীতে।
ইমােশন সেন্টারের বার্ষিক প্রকাশনা ‘লিম্বিক’-এর প্রচ্ছদ আরও কীভাবে সুন্দর করা যায়, সে বিষয়ে কিছুক্ষণ পরেই মিটিং শুরু হবে। ইমােশন সেন্টারের প্রধান গবেষক মুহম্মদ সাগর শামীম হক এই মিটিঙে সভাপতিত্ব করবেন । হকের রুমেই মিটিং অনুষ্ঠিত হবে । ইমােশন সেন্টারের বারােজন সহকারী গবেষকের মধ্যে নয়জন উপস্থিত হয়েছেন সময়মতােই। বাকি তিনজন ইমােশন-বিষয়ক বেশ কয়েকটি সেমিনারে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছেন। উপস্থিত সহকারী গবেষকের মধ্যে ছয়জনই তরুণ।
মিটিঙের শুরুতে শামীম হক ইসরাত তন্বীকে কিছু নির্দেশনা দিলেন । তারপর তন্বীকে তিনি বললেন লিম্বিকের জন্য করা গ্রাফিকস প্রতিষ্ঠান ক্রোমাে গ্রাফিকসের করা ডিজাইনের স্লাইডগুলাে দেখাতে । তন্বী উঠে গিয়ে প্রজেক্টরের আরও সামনে দাঁড়াল। তারপর অফিস
সহকারীর সহযােগিতা নিয়ে ক্রোমাে গ্রাফিকসের দেওয়া প্রচ্ছদগুলাে দেখাতে থাকল।
টুকনের মামার নাম মাসুদ। তিনি নিজেকে ভাবেন মাসুদ রানা। এই গোয়েন্দা মামা লোক খারাপ নন, কিন্তু তার মাথায় বুদ্ধশুদ্ধি তেমন নেই বললেই চলে। বেকারত্ব ঘোঁচাতে তিনি শুরু করেন গোয়েন্দাগিরি। জীবনের প্রথম অভিযানে তিন রওনা দেন কক্সবাজারের পথে।সঙ্গে চলল ভাগ্নে টুকন। মামা-ভাগ্নে যেখানে আপদ নেই সেখানে। কক্সবাজারে প্রথমেই মামার সঙ্গে দেখা হলো সায়মার। সায়মা আসেলে একজন মনোরোগিনী, যার রোগটা হলো সবাইকে সন্দেহ করা। সায়মা সবাইকে সন্দেহ করে অপরাধী বলে। তারই ভুল নির্দেশনায় উত্তেজিত হয়ে মামা অসুরণ করতে লাগলেন একেকজন নিরীহ মানুষ। ঘটতে লাগল একটার পর একটা হাসির কাণ্ড। কিন্তু এরই মধ্যে পাওয়া গেল ভয়স্কর এক চোরাকারবারীকে। কী হলো তারপর?
বছর তিন-চার আগে আমরা দেশে হাইস্কুলের ছেলেমেয়েদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এ আগ্রহী করে তোলার একটি উদ্যোগ নিই। এটি শুরু হয় ২০১৩ সালে ‘আওয়ার অব কোড’ নামে একটি আন্তর্জাতিক কার্যক্রম দেশে চালু করার মাধ্যমে। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (www.bdosn.org)-এই কাজটি তখন শুরু করে। এর পরের বছরই সরকারের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাইস্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্য ‘জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা’ শুরু করে। গত তিন বছর ধরে এটি সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আওয়ার অব কোড করার সময় আমরা শুরু থেকে লক্ষ করি, খেলার মাধ্যমে প্রোগ্রামিং শেখার এই পদ্ধতি এমনকি খুবই ছোটোরাও শুরু করতে পারে। এবং তারা খুব সহজে এই কাজটি করতে পারে। ২০১৭ সালের আওয়ার অব কোডের আয়োজনে বিডিওএসএনের পক্ষ থেকে সারা দেশের ২০ জেলাতে একদল ভলান্টিয়ারকে পাঠানো হয়। তারা খেলার মাঠে, স্কুলে, পুকুরপাড়ে, বাস স্টপে তথা হাটে-মাঠে-ঘাটে যেখানে ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েকে পেয়েছে সেখানেই ল্যাপটপ খুলে বসে পড়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো জায়গায় পথশিশুরাও যোগ দিয়েছে। আর আমরা আশ্চর্য হয়ে দেখেছি, ওরা খুব সহজে প্রোগ্রামিংয়ের মূল ব্যাপারগুলো ধরে ফেলছে। আমাদের ভলান্টিয়াররা যখন ঢাকায় ফিরে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করল তখন আমরা ভাবলাম সারা দেশের আনাচকানাচে তো এরকম আয়োজন করা সম্ভব হবে না। তাহলে সবার কাছে প্রোগ্রামিংয়ের এই আশ্চর্য জগতের খবর কেমন করে পৌঁছে দেওয়া যাবে?<br.
সহজ উত্তর হলো- বাংলায় একটি বই লিখে ফেলা, যা প্রোগ্রামিংয়ের জটিল পদ্ধতির অবতারণা ছাড়াই প্রোগ্রামিংয়ের মূল ব্যাপারগুলো তুলে ধরতে পারবে। আমাদের মনে পড়ল বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (MIT― Massachusetts Institute of Technology) ঠিক এরকম একটি প্রোগ্রামিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে প্রায় দেড় যুগ আগে! আমরা ভাবলাম, তাহলে আমরা বাংলা ভাষাতে স্ক্র্যাচের একটি বই লিখে ফেলি!
যেই ভাবা, সেই কাজ! আমরা তিনজন মিলে বাংলা ভাষাতে এই বইটি লিখে ফেলেছি। আমরা খুব দ্রুততার সঙ্গে এই বইটি লিখেছি। কাজেই কিছু ভুল-ভ্রান্তি থাকতেই পারে। তবে, আমাদের যত্নের কমতি সেখানে ছিল না। বইটিতে আমরা প্রোগ্রামিং শেখানোর গতানুগতিক পথে না হেঁটে বরং বিভিন্ন কাজ করে দেখিয়েছি। প্রোগ্রামিংয়ের অনেক প্রচলিত শব্দ ও সংজ্ঞা আমরা সযত্নে এড়িয়ে গিয়ে প্রোগ্রাম তৈরিতেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি, যেন শিশুরা প্রোগ্রামিংয়ের আনন্দ খুঁজে পায়। প্রোগ্রামিংয়ের বিষয়টি যেন তারা লেখাপড়ার মতো চিন্তা না করে খেলা হিসেবে গ্রহন করে। আশা করি, বইটি আমাদের শিশুদের চিন্তাজগতকে সমৃদ্ধ করবে।
সূচীপত্র
ভূমিকা
লেখক পরিচিতি
অধ্যায় ১ : প্রোগ্রামিং – কেন দরকার?
অধ্যায় ২ : স্ক্র্যাচে অ্যাকাউন্ট তৈরি
অধ্যায় ৩ : স্ক্র্যাচে প্রথম প্রোগ্রাম
অধ্যায় ৪ : স্প্রাইট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা
অধ্যায় ৫ : স্ক্র্যাচ দিয়ে আঁকাআঁকি
অধ্যায় ৬ : একটুখানি জ্যামিতি
অধ্যায় ৭ : অপারেটর ব্লক
অধ্যায় ৮ : আরো একটু জ্যামিতি
অধ্যায় ৯ : তিনটি মজার প্রোগ্রাম
অধ্যায় ১০ : সহজ অ্যানিমেশন
অধ্যায় ১১ : মিনি করল গোল
অধ্যায় ১২ : জিপিএ ক্যালকুলেটর
অধ্যায় ১৩ : স্ক্র্যাচ দিয়ে মজার গল্প তৈরি
অধ্যায় ১৪ : রাস্তায় গাড়ি চলাচল
অধ্যায় ১৫ : নিউটনের মাথায় আপেল পড়া
অধ্যায় ১৬ : ফুলের পাপড়ি আঁকা
অধ্যায় ১৭ : সংখ্যার মজার খেলা
অধ্যায় ১৮ : আরো বেশি প্রোগ্রামিং</br.
তুষার-ঝরা এক শীতের রাতে গ্রামের পান্থশালায় এসে ওঠে এক আগন্তুক। তার আচার-আচরণ দেখে সন্দেহ জাগে পান্থশালার মালিকের মনে। লোকটি সারা শরীরে ব্যান্ডেজ বেঁধে চলে কেন? নিজেকে আড়াল করবার এত চেষ্টা কেন তার? কোনো অপরাধী পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে না তো? লোকটিকে নিয়ে গ্রামবাসীরাও মেতে ওঠে তুমুল আলোচনায়। অবশেষ সব আড়াল সরিয় আত্মপ্রকাশ করে লোকটি। সে একজন অদৃশ্য মানুষ! সাড়া পড়ে যায় পুরো ইংল্যান্ড জুড়ে। রহস্যময় এই মানুষটিকে নিয়ে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।
‘আমি জামবু। রূপান্তরিত হতে ভাল লাগে না আমার। ভাল লাগে না কোথাও প্রাণীর দেহে হাত রেখে তার দেহ থেকে ডিএনএ জোগাড় করতে। তবুও কাজটা করতেই হয়। বাধ্য হয়ে। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ...... ‘
নিমো, তিয়াপা, সিসি, জিউস, জামবু।
পাঁচটি কিশোর ছেলেমেয়ে।
মৃত্যুর আগে ওদেরকে এক বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে গেছে ভিনগ্রহবাসী এক প্রিন্স, যে কোন প্রাণীর দেহে হাত রাখলেই সেই প্রাণীর দেহ থেকে ওদের গায়ে খানিকটা ডিএনএ চলে আসবে, তারপর ইচ্ছে করলেই সেই প্রাণীতে রূপান্তরিত হতে পারবে ওরা।
এই প্রচণ্ড ক্ষমতা দেয়ার কারণ, ভিনগ্রহবাসী আরেক জাতের প্রাণী, ভয়ঙ্কর ভাবেকরা মহাকাশের বহু গ্রহ দখল করে এখন পৃথিবীতে এসে হাজির হয়েছে। পৃথিবী দখল করে মানুষকে গোলাম বানাতে চায় ওরা।
অতএব, পৃথিবী বাঁচানোর দায়িত্ব এখন ওই পাঁচটি ছেলেমেয়ের হাতে।
সূচিপত্র
* রসায়নের সাধারণ জ্ঞান
* রসায়নের প্রাথমিক জ্ঞান
* পরমাণুর গঠন
* পর্যায় সারণী
* রাসায়নিক গণনা
* গ্যাসীয় অবস্থা
* রাসায়নিক ক্রিয়া ও সমীকরণ
* রাসায়নিক বন্ধন
* দ্রবণ ও মোলারিটি
* জারণ-বিজারণ
* অম্ল-ক্ষারক সাম্যাবস্থা
* তড়িৎ রসায়ন
* রাসায়নিক গতিবিদ্যা
* নিষ্ক্রিয় গ্যাস
* গ্রুপ-IA ও গ্রুপ-IIA মৌলসমূহের রসায়ন
* গ্রুপ-IIIA ও গ্রুপ-IVA মৌলসমূহের রসায়ন
* গ্রুপ-V ও গ্রুপ-VI মৌলসমূহ
* গ্রুপ-VII মৌলসমূহ
* ধাতু ও d-ব্লক মৌলসমূহ
* জৈব রসায়নের সূচনা
* হাইড্রোকার্বন
* অ্যালকোহল, ফেলন ও ইথারসমূহ
* অ্যালডিহাইট ও কিটোন
* জৈব এসিড ও এদের জাতকসমূহ
* অ্যামিনসমূহ
* বায়োঅনুসমূহ
* 40th International Chemistry Olympiad, Theoretical
‘প্রাচীন আমলে ঈস্ট ইণ্ডিজ থেকে অনেক জাহাজ আসত ক্যালিফোর্নিয়ায়,' বলল সে। এই মিউজিয়মের বহু জিনিস এসেছে প্রাচ্য থেকে। নীরবে তার লেকচার শুনতে লাগল দুই সহকারী। এই, কি বকবক শুরু করেছিস ওখানে?' ঘরের আরেক প্রান্ত থেকে ধমক লাগালেন মেরিচাচী। সুযােগ পেলেই বক্তৃতা...আয়, এখানে আয়। ট্রাকে মাল তুলতে হবে না?
‘আসছি,' বলে দুই সহকারীর মুচকি হাসি উপেক্ষা করে এগিয়ে গেল কিশাের।
বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে মিউজিয়মটা। জিনিসপত্র সক বিক্রি করে দিচ্ছে। সেগুলােই কিনতে এসেছেন মেরিচাচী। সাহায্য করার জন্যে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তিন গােয়েন্দাকে। বড়দিনের ছুটির এই প্রথম দিনেই এরকম বিপদে পড়বে, ভাবতে পারেনি ওরা। তাহলে দূরে দূরে থাকত। অন্তত সকালবেলাটা মেরিচাচীর সামনে না পড়লেই চলত।
কি আর করবে? দীর্ঘশ্বাস ফেলে কাজে হাত লাগাল ওরা। এক এক করে জিনিস বয়ে নিয়ে গিয়ে দিতে লাগল ইয়ার্ডের কর্মচারী, বিশালদেহী ব্যাভারিয়ান বােরিসকে। সে ওগুলােট্রাকে তুলতে লাগল। ছেলেদের মনের অবস্থা বুঝে আপন