কাহিনী সংক্ষেপঃ দুর্জয়ের সপ্তম বই, নীহারিকা কে দুর্জয়ের ইতিহাস জানাচ্ছেন নেভির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল হক। অহনা, তার মা অ নেশাখোর ভাই, আর সেই সাথে নিজের মায়ের জীবন মরণের সন্ধিক্ষণ নিয়ে কি অদদ্ভূত আনন্দ বেদনার সময় পার হয়েছে দুর্জয় সেটারই বর্ণনা চলছে। ধীরে ধীরে ঘটনা এগোচ্ছে এক অমোঘ পরিণতির দিকে।
কাহিনী সংক্ষেপঃ নেভীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল হক নেহাকে দুর্জয়ের কাহিনি বলছেন। ওদিকে সেই সময়ে জামাই মিলন নেহাকে খুন করানোর জন্যে টাকা দিয়ে এসেছে খুনীদের, আর তারপরেই আবার তাকে ধরে নিয়ে গেছে দুর্জয় স্বয়ং। এদিকে সাইদুল হকের জবানীতে দুর্জয় নামের আড়ালে লুকিয়ে থাকা কবির মনসুরের সাথে অবাক বিস্ময়ে পরিচিত হচ্ছে সবাই। ধীরে ধীরে যেন খুলে যাচ্ছে অনেক জট। টানটান উত্তেজনায় এগিয়ে চলা গল্প গিয়ে থামছে আবার সেই ভাড়াটে খুনীর ডেরায়। সেখানে কে এই কোবরা সুমন?
সরু চিলচিলে এক নদীর তীরে বাস করত এক জেলে। বয়স তার বেশি নয়। সঙ্গে থাকত তার বুড়ি মা। ছেলেটি রােজ নদীতে যেত মাছ ধরতে। যা পেত তাই নিয়ে যেত হাটে। মাছ বিক্রির টাকা নিয়ে কোনােমতে সংসার চলত ওদের।
একদিন। ছেলেটি নদীতে জাল ফেলে ছােট্ট একটি সােনালি মাছ পেল। রােদের আলােয় চিকমিক করছে মাছটা। ছেলেটি মহাআনন্দে মাছটি নিয়ে এল মাকে দেখানাের জন্য। মা মাছ দেখে মহাখুশি। মাছটি বিক্রি করে ভালাে পয়সা পাওয়া যাবে।
কিন্তু ছেলেটি বলল,
মা, মাছটি আমি রাজাকে উপহার দিতে চাই। রাজা নিশ্চয়ই খুশি হয়ে কিছু-না-কিছু উপহার দেবে আমাকে।
মা বললেন,
বড়মানুষেরা খুব খেয়ালি হয়। রাজা উপহার পেয়ে না জানি কী করেন! কী দরকার রাজাকে মাছ উপহার দেয়ার?
ছেলেটি মায়ের কথা শুনল না। ছেলেটি সােনালি মাছটি নিয়ে গেল রাজার কাছে। রাজা সিংহাসনে বসে ছিলেন আরাম করে। তার পাশে বসে আছে এক মন্ত্রী। বড় ভয়ংকর তার চেহারা। কালাে চুমরানাে গোফ আর লাল টকটকে দুটি চোখ।
ইংল্যান্ডের আকাশে তখন দুর্যোগের কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে। রাজা রিচার্ড যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেননি। কেউ জানে না তাঁর কী হয়েছে। রাজার ছোট ভাই জন সিংহাসন দখল করে বসে আছে আর তাকে ঘিরে আছে কুটিল স্বভাবের একদল অনুচর। সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে সাহসী এক তরুণ। নাম তার আইভানহো। রাজা রিচার্ডের পক্ষ হয়ে সে হাতে তুলে নেয় তলোয়ার। ইংল্যান্ডের সেরা যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সে জীবনপন যুদ্ধে নামে।
বিজ্ঞান আকাদেমির সভাপতি ক্লাউস ট্রিটন সন্ধেবেলা আকাশের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ করে হতচকিত হয়ে গেলেন। সূর্য ডুবে গিয়ে পুরাে পশ্চিমাকাশে একটি বিচিত্র রঙ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রকৃতি যেন নির্লজ্জের মতাে তার সমস্ত সৌন্দর্য নিয়ে পৃথিবীর সামনে উপস্থিত হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে কিছু সূক্ষ্ম ধূলিকণা এসে পড়ার কথা। সন্ধ্যেবেলায় অস্তগামী সূর্যের আলাে সেই ধূলিকণায় বিচ্ছুরিত হয়ে আগামী কয়েকদিনের সূর্যাস্ত অত্যন্ত চমকপ্রদ হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। ক্লাউস ট্রিটন সেটি জানতেন কিন্তু সেই সৌন্দর্য যে এত অতিপ্রাকৃতিক হতে পারে, এত অস্বাভাবিক হতে পারে তিনি সেটা কখনাে কল্পনা করেন নি। ক্লাউস ট্রিটন মন্ত্রমুগ্ধের মতাে কিছুক্ষণ দিগন্তের দিকে তাকিয়ে রইলেন এবং হঠাৎ করে তার নিজের ভিতরে একটি প্রশ্নের উদয় হলাে, তিনি নিজেকে নিজে জিজ্ঞেস করলেন, “আমাদের এই অস্তিত্বের উদ্দেশ্য কী?”
সারাদেশে নিয়মিত গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে গণিতভীতি দূর হয়ে গণিতের প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা তৈরি হয়েছে এবং গণিত অনুশীলনের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।বলা যায়, গণিতের ভিত মজবুত করতে গণিত অনুশীলনের প্রতি সারাদেশে একটি জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।এই জাগরণে সহায়কসঙ্গী হিসেবে এমন একটি বইয়ের প্রয়োজন যেখানে রয়েছে পর্যাপ্ত অনুশীলন করার সুযোগ।এই বইটিতে পর্যাপ্ত অনুশীলনের জন্য সহস্রাধিক সমস্যা রয়েছে, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উপযোগী কতিপয় বিষয়ের উপর একটা পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, যা তাদের স্বপ্নপূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখাবে।
এই বইয়ের সমস্যাগুলোর সমাধান রয়েছ। কিন্তু আমরা আশা করব একেবারে বাধ্য না হলে কেউ প্রথমে সামাধান দেখবে না।এই লক্ষ্যে, প্রতিটি সমস্যা পড়ার সময়ে সেগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করবে এবং কিভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে ভাববে।নিশ্চয়ই এতে সমস্যার সমাধান বুঝতে ও করতে সহজতর হবে।একটি কথা মনে রাখতে হবে, এমনটি নয় যে মাত্র একটি উপায়ে কোনো সমস্যার সমাধান করা যায়। বরং কোনো সমস্যা সমাধানের একাধিক উপায় থাকতে পারে।
আর হ্যাঁ, বইটি মুলত জাতীয় গণিত উৎসবের প্রাইমারি ক্যাটাগরির প্রস্তুতিকে মাথায় রেখে লেখা হয়েছে। তবে যারা গণিতে আনন্দ পেতে চায়, তাদের জন্যও রয়েছে বিস্তার রসদ।নানা ব্যস্ততার মধ্যেও বইটির পাণ্ডুলিপি দেখে মুনির হাসান ভাই আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন।তাছাড়া বইটি প্রকাশে ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নবী, আইয়ুব সরকার, সুব্রত দেব নাথসহ আরো অনেকে আন্তরিক ভূমিকা পালন করেছেন,তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান তাম্রলিপির স্বত্বাধিকারী এ কে এম তারিকুল ইসলাম রনি ভাইয়ের মাধ্যমে বইখানা ক্ষুদে গণিতবিদদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হলো বলে তাকে অনেক ধন্যবাদ।
বইটি যাদের উদ্দেশ্যে লেখা তাদের গাণিতিক দক্ষতা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতার বিকাশ তথা চিন্তাশক্তি বিকাশে কিঞ্চিত পরিমাণও যদি অবদান রাখে তাহলে আমার প্রচেষ্টা স্বার্থক বলে মনে করব।
সূচিপত্র
* ক্যাপিটালিজম বা পুঁজিবাদ ৭ - ১৩
* ইম্পেরিয়ালিজম বা সাম্রাজ্যবাদ ১৪ - ১৮
* ফ্যাসিজম বা ফ্যাসিবাদ ১৮ - ২৬
* সোস্যালিজম বা সমাজতন্ত্রবাদ ২৬ - ৪০
* সোস্যালিজম (সমাজতন্ত্রবাদ) ও কমিউনিজম (সাম্যবাদ) ৪০ - ৪৪
* ডেমোক্র্যাসি বা গণতন্ত্র ৪৫ - ৫০
* জাতীয়তাবাদ, মৌলিকতাবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা ৫০ - ৬২
* পৃথিবীর রাজনীতি : বিপ্লবের পর্ব : মুক্তিযুদ্ধের পর্ব ৬২ - ৭৬
* পৃথিবীর রাজনীতি : নয়া সাম্রাজ্যবাদ : নতুন যুদ্ধচক্র ৭৬ - ৮৮
* সোভিয়েট সমাজতন্ত্রের বিফলতার কারণ ৮৮ - ৯৮
* বিশ্ব-রাজনীতির মূলসূত্র ৯৮ - ১০২
* আমাদের পথ ১০৩ - ১০৪
লাবু গাছের ডালে পা ঝুলিয়ে বসে পাখির বাচ্চটাকে ডাকলাে, “আয়। আমার কাছে আয়।” পাখির বাচ্চাটা অসম্ভব সুন্দর, মাথাটা টুকটুকে লাল, পেটের নিচে হলদে রংটা প্রায় সােনালির মতাে। লাবুকে বিশ্বাস করা ঠিক হবে কি-না সেটা নিয়ে যেন খানিকক্ষণ ভাবল, তার পর খুব সাবধানে এক পা এগিয়ে এলাে। লাবু পাখির বাচ্চাটাকে সাহস দিয়ে বলল, “তাের কোনাে ভয় নেই, এই দেখ আমি তাের জন্যে কতাে মজার খাবার এনেছি!”
পাখির বাচ্চাটা লাবুর কথার উত্তরে কিচির মিচির করে একটু শব্দ করল, তারপর আবার ঘাড় বাঁকা করে লাবুকে দেখলাে, তারপর আবার সাবধানে এক পা এগিয়ে এলাে। লাবু বলল, “গুড বয়!” পাখিটা আরাে একটু এগিয়ে এসে লাবুর হাত থেকে রুটির টুকরােটা নিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে একটু সরে গিয়ে সেটা ঠুকরে ঠুকরে খেতে শুরু করে। লাবু খুশি হয়ে বলল, “কী? আমি তােকে কিছু করেছি? করেছি কিছু?”
ছােট শিশু অর্থহীন কথা বললে বড় মানুষেরা যেভাবে সকৌতুকে তার দিকে তাকায় অনেকে সেভাবে মাথা ঘুরিয়ে তার দিকে তাকাল। কেউ কোনাে কথা বলল না। পৃথিবীর মানুষ আজকাল বেশি কথা বলে না, কী নিয়ে কথা বলবে কেউ জানে না। বৃদ্ধ কুরুর মতাে দুই-একজন ছাড়া সবাই জন্মের পর থেকেই দেখে আসছে পৃথিবীতে খুব বড় দুঃসময়। সবাই সেটা মেনে নিয়ে কোনােভাবে বেঁচে আছে, সেই বেঁচে থাকাটাও খুব অর্থপূর্ণ বেঁচে থাকা নয়। তাই কেউ সেগুলাে নিয়ে কথা বলতে চায় না। সেটা নিয়ে কেউ কোনাে অভিযােগও করে না। শস্যক্ষেত্রের পাশে উচু ঢিবিতে দাড়িয়ে থেকে সবাই উত্তর দিকে তাকিয়ে রইল। বহুদূরে কোথাও আগুন লেগেছে, সেই আগুন থেকে কুণ্ডলী পাকিয়ে কালাে ধোয়া আকাশে উঠছে। এটি কোনাে নূতন দৃশ্য নয়, অনেকদিন থেকেই তারা দেখছে দূরে কোথা থেকে জানি মাঝে মাঝে কুণ্ডলী পাকিয়ে কালাে ধোয়া আকাশে ওঠে। যতই দিন যাচ্ছে সেই ধোয়ার কুণ্ডলী আরাে ঘন ঘন এবং আরাে কাছাকাছি দেখা যাচ্ছে। কে জানে কোনাে একদিন হয়তাে এই গ্রামটা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকবে। এই গ্রামের বাড়িঘর, শস্যক্ষেত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে যাবে আর কুচকুচে কালাে ধোয়া আকাশে পাক খেয়ে উঠতে থাকবে।
সূচিপত্রী
*রুহান রুহান*জলমানব*অন্ধকারের গ্রহ*অক্টোপাসের চোখ*ইকারাস*রবো নিশি*কেপলার টুটুবি
টেবিলের অন্যপাশে বসে থাকা মানুষটা একবার ভিডিও মডিউলটার দিকে তাকালাে, তারপর য়ুহার দিকে তাকালাে, তাকে দেখে মনে হয় সে বুঝি এখনাে বিশ্বাস করতে পারছে না যে যুহা তার সামনে বসে আছে।
“তুমি য়ুহা?”
য়ুহা মাথা নাড়ল, বলল, “হ্যা। আমি য়ুহা। মনে নাই আমি গত সপ্তাহে এসেছিলাম—”
“হ্যা আমার মনে আছে।” মানুষটা মাথা নাড়ল, “তুমি শব্দ দিয়ে কী যেন কর।”
“আমি শব্দশিল্পী।” য়ুহা তার ছেলেমানুষী মুখটা গম্ভীর করার চেষ্টা করে বলল, “তােমরা যাকে বল কবি।”
“কবি?”
“হ্যা। আমি শব্দকে এমনভাবে সাজাতে পারি যে সাধারণ একটা কথা অসাধারণ হয়ে যাবে।”
“তাজ্জবের ব্যাপার।” সামনে বসে থাকা মানুষটা তার গাল চুলকাতে চুলকাতে বলল, “আমি ভেবেছিলাম এসব জিনিস উঠে গেছে। ভেবেছিলাম কোয়ান্টাম নেটওয়ার্ক দিয়ে সব করা যায়। ছবি আঁকা যায়, সংগীত তৈরি করা যায়, কবিতা লেখা যায়—” - মুহা হা হা করে হাসল, বলল, “যাবে না কেন? নিশ্চয়ই যায়। কিন্তু সেই ছবি, সেই সংগীত কিংবা সেই কবিতা হবে খুব নিম্নস্তরের। হাস্যকর, ছেলেমানুষী! খাটি শিল্প যদি চাও তাহলে দরকার খাটি মানুষ। খাঁটি কবিতা লিখতে পারে শুধু খাঁটি মানুষের খাঁটি মস্তিষ্ক।” য়ুহা নিজের মাথায় টোকা দিলে বলল, “আসল কবিতা লিখতে হলে দরকার আসল নিউরনের মাঝে আসল সিনান্স সংযােগ।”
গ্যালাক্সির দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ গ্রহে তখন মানুষের বাস। এর মধ্যে একটিও গ্রহ নেই যেটি এম্পায়ার-এর প্রতি অনুগত নয়। এবং গত পঞ্চাশ বছর ধরে ট্রানটরই এম্পায়ার-এর রাজধানী হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে।
গালের জন্য এবারের এই ভ্রমণ নিঃসন্দেহে তার নবীন শিক্ষা জীবনের চূড়ান্ত পর্ব।
মহাশূন্যভ্রমণ একবারে নতুন নয় তার কাছে। সুতরাং এটাকে স্রেফ একটা আকাশযাত্রা হিসেবে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না ওর। অবশ্যি ওর দৌড় সিন্যাক্স-এর একমাত্র উপগ্রহ পর্যন্ত । গবেষণাপত্রের জন্য উল্কা-পতনের মেকানিক্স সম্পর্কে উপাত্ত সংগ্রহ করতে গিয়েছিল সে উপগ্রহটায়। কিন্তু তাতে কী? পাঁচ মাইলের মহাশূন্যভ্রমণও যে কথা, কয়েক আলােকবর্ষ ভ্রমণও ঐ একই কথা। | হাইপার-স্পেসের ভেতর দিয়ে জাম্প'-এর জন্য শরীরটা একটু শক্ত করে ফেলল সে। আন্তঃগ্রহ ভ্রমণের জন্য অবশ্যি এ-ধরনের জাম্পের প্রয়ােজন হয় না । অনেকদিন থেকেই চলে আসছে জাম্পের ব্যবহার। সম্ভবত অনন্তকাল ধরেই চলবে । কারণ, এক নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্রে যাবার এটাই কার্যকর পদ্ধতি।
কাহিনী সংক্ষেপঃ দুর্জয়ের অষ্টম বই, নীহারিকা কে দুর্জয়ের ইতিহাস জানাচ্ছেন নেভির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল হক। অহনাকে অপহরণকারীদের ত্থেকে উদ্ধার করতে টাকা দরকার, তা না হয় দেয়া গেল। কিনুত অহনার নিরাপত্তা এর পরেও কে নিসচিত করবে? পুলিশকেও জানানো যাচ্ছে না। অগত্যা দুর্জয় নিজেই অহনার মায়ের পিছু পিছু গিয়ে পড়লো দুর্ব্রৃত্তদের ডেরার মুখে। আর সেই পর্যন্ত গেলে একজন কেইজ ফাইটার কি আর খালি হাতে ফিরে আসে? এটুকু জেনেই উত্তেজিত হবেন না। এবারের সমাপ্তি দুর্জয়ের গল্পকে আবার এক টানে নিয়ে আসবে বর্তমানে।
টুনটুনি হলিক্রজ স্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ে। সায়েন্স গ্রুপ। সে জনৈক খলিলুল্লাহর উপর মোটামুটি গবেষণাধর্মী একটা প্রবন্ধ লিখছে। প্রবন্ধের নাম- ‘সে কে?’
খলিলুল্লাহ নামের লোকটির কর্মকান্ডে সে খুবই মজা পাচ্ছে।
টুনটুনির বাবার নাম মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। তিনি মোটেই মজা পাচ্ছেন না। তিনি আতঙ্কে অস্থির হয়ে আছেন। খলিলুল্লাহ আসলে কে? সে কি দ্বিতীয় মানব?
বাড়িতে এসে বুড়ার আর তর সইছিল না। মন তার উড়ু উড়ু কখন রাত আসবে, সবাই ঘুমিয়ে পড়বে, আর তারপর নিজের ঘরের দরােজা জানালা বন্ধ ক'রে দিয়ে কল্পনার পাখা মেলে সে উড়াল দিবে জ্ঞানপুরীর উদ্দেশে, যেখানে সে সাক্ষাৎ পাবে গুরুজীর। তারপর গুরুজী তাকে পছন্দ করলে তাকে সত্যি সত্যি তুলে নিয়ে যাবেন সেখানে। কিন্তু এই শেষােক্ত কথাটা ভাবতে তার গা ছম ছম করছিল। কী হবে যদি সে কোনাে ভুলের কারণে আর ফিরে না আসতে পারে? যদি তাকে সেই নির্জন ভূবনে চিরকালের মতাে থেকে যেতে হয়? যাবার সময়ে তাে গুরুজী তাকে সাহায্য করবেন, কিন্তু যদি আসার সময়ে মাঝপথে মহাশূন্যে কোথাও তার ঘুম ভেঙে যায়?
তাহলে কি তার বিপদ হবে? বিপদের কথা জেনে ফেলে বলেই তাে মানুষ বিপদে পড়ে। সুতরাং মাঝপথে ঘুম ভেঙে গেলে আর যদি পথচলা সম্ভব না হয়? কিন্তু তবুও তাে ভয় পেলে চলবে না। জ্ঞানের অভিযানের ক্ষেত্রে ভয়কে সত্যিকার অর্থে ভয় পাবার ছেলে বুড়া নয়। তাছাড়া বাসুদেব স্যারের ওপর তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আর এমনও তাে হতে পারে যে সেই জগৎটা নির্জন নয়।
হ্যালাে, কিশাের বন্ধুরা-
আমি কিশাের পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে।
জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে,
হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে।
যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানাে না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গােয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম:
তিন গােয়েন্দা।
আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে।
দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান
নিগ্রো; অপরজন আইরিশ আমেরিকান,
রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পােকা।