আমি ব্যক্তিগতভাবে যদিও আলেকজান্ডারের চরিত্রের ব্যাপারে বেনের সঙ্গে একমত, তবু মনে করি যে, আলেকজান্ডারের কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই উপকারী ছিল, কারণ তিনি ছাড়া হেলেনিক সভ্যতার সমগ্র ঐতিহ্যই বিলক্ষণ ধ্বংস হয়ে যেতে পারত। তার ওপর অ্যারিস্টটলের প্রভাবের ব্যাপারে যার যার মতাে করে আমরা অনুমান করে নিতে পারি, যা আমাদের কাছে সবচেয়ে বিশ্বাসযােগ্য মনে হয়। ব্যক্তিগতভাবে আমার ধারণা, আলেকজান্ডারের ওপর অ্যারিস্টটলের প্রভাব ছিল শূন্য। আলেকজান্ডার ছিলেন একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও আবেগপ্রবণ বালক; পিতার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল খারাপ এবং সম্ভবত লেখাপড়ায় তার অনাগ্রহ ছিল। অ্যারিস্টটল মনে করতেন কোনাে রাষ্ট্রের নাগরিকের সংখ্যা ১ লাখের বেশি হওয়া উচিত নয় এবং তিনি মধ্যপন্থা অবলম্বনের মতবাদ প্রচার করতেন।
বাউলরা যতােকাল ক্ষমতাবানদের নজরের বাইরে ছিলেন সমস্যার মাত্রা ততােকাল তীব্র ছিল না। বাংলার সমাজমানস থেকে বিকশিত হয়েছিল বাউল তত্ত্ব, আর লােকসমাজ থেকে জন্ম নিচ্ছিলেন বাউল-সাধক। নদী-ভাঙনের দেশের মানুষ জীবনের অনিত্যতা সম্পর্কে সহজাত ধারণা গড়ে নেয়। আর সমাজের
একেবারে দরিদ্রজনের জন্য এই অনিত্যতা যেমন প্রাকৃতিক তেমনি সামাজিকও বটে। ফলে বাউলসাধনায় তাদের প্রবেশাধিকার ছিল সহজ। তাে এই বাউল সম্প্রদায় প্রথম সরকারের সদয়দৃষ্টি তথা কৃপালাভ করলেন আইয়ুব আমলে। পূর্ব পাকিস্তানের অর্ধশিক্ষিত লাট বাহাদুর মােনেম খানকে আইয়ুব বশংবদ তল্পিবাহক হিসেবে পেয়েছিলেন এবং বাঙালি সংস্কৃতির পাকিস্তানিকরণ তথা ইসলামীকরণের যে প্রয়াস নেয়া হয়েছিল তার অভিঘাত থেকে লালনও রেহাই পান নি। লালনের।
এই কাহিনীর ঐতিহাসিক পটভূমিকা Robert Sewell-এর A Forgotten Empire এবং কয়েকটি সমসাময়িক পান্থলিপি হইতে সংগৃহীত| Sewell-এর গ্ৰন্থখানি ৬৫ বছরের পুরাতন। তাই ডক্টর রমেশচন্দ্র মজুমদার মহাশয়ের সম্পাদিত সাম্প্রতিক গ্ৰন্থ The Delhi Sultanate পাঠ করিয়া Sewell-এর তথ্যগুলি শোধন করিয়া লইয়াছি। আমার কাহিনীতে ঐতিহাসিক চরিত্র থাকিলেও কাহিনী মৌলিক; ঘটনাকাল খৃ ১৪৩০-এর আশেপাশে। তখনো বিজয়নগর রাজ্যের অবসান হইতে শতবর্ষ বাকি ছিল।
অনেকের ধারণা পোর্তুগীজদের ভারতে আগমনের (খৃ ১৪৯৮) পূর্বে ভারতবর্ষে আগ্নেয়াস্ত্রের প্রচলন ছিল না। ইহা ভ্ৰান্ত ধারণা। ঐতিহাসিকেরা কেহ কেহ অনুমান করেন, সুলতান ইলতুৎমিসের সময় ভারতবর্ষে আগ্নেয়ন্ত্রের ব্যবহার ছিল। পরবর্তীকালে স্বয়ং বাবর শাহ তাঁহার আত্মজীবনীতে লিখিয়া গিয়াছেন যে, বাঙ্গালী যোদ্ধারা আগ্নেয়াস্ত্ৰ চালনায় নিপুণ ছিল। এই কাহিনীতে আগ্নেয়াস্ত্রের অবতারণা অলীক কল্পনা নয়। তবে বাবর শাহের আমলেও ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্ৰ ভারতে আবির্ভূত হয় নাই।
দেশ-মান সম্বন্ধে সেকালে নানা মুনির নানা মত দেখা যায়। চাণক্য এক কথা বলেন, অমরসিংহ অন্য কথা। আমি মোটামুটি ৬ ফুটে ১ দণ্ড, ২০ গজে ১ রাজু এবং ২ মাইলে ১ ক্রোশ ধরিয়াছি।
‘বাউল ফকির কথা’ রূপের আড়ালে অরূপরতন সন্ধানের এক উজ্জ্বল উপাখ্যান। এই বইয়ের প্রতিপদ্যা আজকের বাংলায় বাউল-ফকিরদের প্রকৃতি অবস্থান ও সাংসারিক অবস্থা, তাঁদের জীবনের ছন্দ, বাণী আর সুরের উৎস সন্ধান। সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো যাবতীয় জ্ঞাতব্য সারণি, বিস্তৃত তথ্যপঞ্জি ও ফকিরদের আত্মকথন- সেইসঙ্গে সংগৃহীত বাউল ও ফকিরি গান, স্বরলিপি ও আলোকচিত্র সম্ভারে অপররূপ এই রচনা ও তার প্রকাশগত শৈলী । বাংলা সংস্কৃতির নির্মাণে বহু বিচিত্র গৌণ ধর্মাচারীদের কাহিনি ও তাঁদের নারীজীবনের বর্ণবিভায় উদভাসিত অন্তরমহল মরমি লেখনীতে ব্যক্ত হয়েছে। বাউল-ফকিরদের দেহতত্ত্বের রহস্যময় আয়নার বিচ্ছুরণ এ বইকে স্বাদু ও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। আবু তাহের ফকিরের লেখা ‘ফকিরি-নামা’ এবং লোকসংগীত বিশেষজ্ঞ দিনেন্দ্র চৌধুরীর সঙ্গে লেখকের আলাপচারি উল্লেখ্য সংযোজনে সমৃদ্ধ।
নেতাজী সুভাষ বসু যখন আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্ব গ্রহণ করে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত, তখন কংগ্রেস নেতারা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে হাত মেলানাের অভিযােগ তুলে নেতাজীর বিরােধিতা করছিলেন। জওহরলাল নেহেরু বলেই বসলেন, তিনি মুক্ত তরবারি হাতে সুভাষ বসুকে প্রতিরােধ করবেন। কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে সম্ভবত একজনই ভিন্নভাবে কথা বলেছেন। তিনি হচ্ছেন গান্ধীজী। ইতিপূর্বে মহাত্মা গান্ধী সুভাষ বসুর প্রসঙ্গে তার মহৎ আত্মার পরিচয় তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সুভাষ বসুর অন্তর্ধান ও আজাদ হিন্দফৌজ গঠনের পর তিনি নেতাজীর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠেছিলেন।
বরেন্দির ভূমিপুত্রনেতা ভীম ও তার সহযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করতে রামপালের সাথে যোগ দিয়েছে আঠারো রাজা-সামন্ত-মহাসামন্ত। অঙ্গদেশাধিপতি মথন দেব, মহাপ্রতিহার শিবরাজদেব, রাজা কাহ্নুর দেব, রাজা সূবণ্যদেব, পীটীর রাজা দেবরক্ষিত মগধের অধিপতি ভীমযশাঃ, কোটাটবীর রাজা বীরগুণ, উৎকলরাজ জয়সিংহ, দেবগ্রামের রাজা বিক্রমরাজ, অপরমন্দারের মহারাজা লক্ষীপূর, তৈলকম্পের কল্পতর রুদ্রশিখর, কুজবটীর শূরপাল, উচ্ছালের রাজা ময়গলসীহ, ঢেক্করীর রাজা প্রতাপসীহ, কজঙ্গলের নরসিংহার্জুন, সঙ্কটগ্রামের চণ্ডার্জুন, নিদ্রাবলীর বিজয়রাজ আর কোশাম্বীপতি দ্বোরবর্ধন রথী পদাতিক অশ্বারোহী হস্তিযুথ নিয়ে ভীমের বিপক্ষে।
সূচিপত্র
* নাগিব মাহফুজ ও তার ছোটগল্প
* যাত্রীছাউনির নিচে
* অন্ধকার
* মধুচন্দ্রিমা
* লোকটি স্মৃতি হারিয়েছে দু’বার
* মমির জাগরণ
* শাহেরযাদ
* সাপুড়ে ছিনিয়ে নিয়েছে থালা
* নিদ্রা
ভূমিকা
এই বইটিতে আমি পবিত্র কোরান শরীফের দু’টি আয়াত ব্যবহার করেছি।সূরা জাসিয়া ৩৬ নং আয়াত এবং সূরা যারিনা ৪৭ নং আয়াত।এই আয়াত দু’টির অনুবাদ অংশ নিয়েছি বসিরউদ্দিন মাহবুদের লেখা গ্রন্থ ‘Doomsday and life after death' থেকে (মিল্লাত বুক সেন্টার, দিল্লী, লখনৌ) দু’টি আয়াতই আমার খুব পছন্দের।
হুমায়ূন আহমেদ |
গুজরাতী প্রথা অনুসারে পুত্রের নামের সঙ্গে পিতার নাম যুক্ত করে পরিশেষে যােগ করতে হয় বংশের পদবী। যেমন গান্ধী বংশের করমচাঁদের পুত্র মােহনদাস। যেমন তাতা বংশের নাসরবানজীর পুত্র জামশেটজী। তেমনি খােজানী বংশের ঝীণাভাইয়ের পুত্র মহম্মদালী। বড়াে হয়ে মহম্মদালী তার নামটাকে দুই ভাগে বিভক্ত করেন। মহম্মদ আলী। তাঁর পিতার নামকেও দুই ভাগে বিভক্ত করে প্রথম ভাগটাকেই করেন তার পদবী। দ্বিতীয় ভাগটা বর্জন করেন। বাদ যায় বংশপদবীও। বিলিতী কায়দায় বানান করতে গিয়ে ঝীণা হয়ে যায় এমন একটি শব্দ যার উচ্চারণ সাহেবদের মুখে জিনা, ভারতীয়দের মুখে জিন্না, আরবদের মুখে জিন্নাহ। যেমন আল্লাহ। ইংরেজদের বানানে মহারাজা শব্দটির অন্তেও এইচ জুড়ে দেওয়া হতাে। বার্মার অন্তেও। হাওড়ার অন্তে এখনাে হয়।
Discover how to:
Eliminate fifty percent of business worries immediately
Reduce financial worries
Avoid fatigue—and keep looking you
Add one hour a day to your waking life
Find yourself and be yourself—remember there is no one else on earth like you!
How to Stop Worrying and Start Living deals with fundamental emotions and ideas. It is fascinating to read and easy to apply. Let it change and improve you. There’s no need to live with worry and anxiety that keep you from enjoying a full, active and happy life!
The war against Voldemort is not going well; even the Muggles have been affected. Dumbledore is absent from Hogwarts for long stretches of time, and the Order of the Phoenix has already suffered losses.
And yet . . . as with all wars, life goes on. Sixth-year students learn to Apparate. Teenagers flirt and fight and fall in love. Harry receives some extraordinary help in Potions from the mysterious Half-Blood Prince. And with Dumbledore's guidance, he seeks out the full, complex story of the boy who became Lord Voldemort -- and thus finds what may be his only vulnerability.
It's been almost ten years since I first ran for political office. I was thirty-five at the time, four years out of law school, recently married, and generally impatient with life. A seat in the Illinois legislature had opened up, and several friends suggested that I run, thinking that my work as a civil rights lawyer, and contacts from my days as a community organizer, would make me a viable candidate. After discussing it with my wife, I entered the race and proceeded to do what every first-time candidate does: I talked to anyone who would listen. I went to block club meetings and church socials, beauty shops and barbershops.
In his fifth year at Hogwart's, Harry faces challenges at every turn, from the dark threat of He-Who-Must-Not-Be-Named and the unreliability of the government of the magical world to the rise of Ron Weasley as the keeper of the Gryffindor Quidditch Team. Along the way he learns about the strength of his friends, the fierceness of his enemies, and the meaning of sacrifice.
বাংলাদেশী সংস্করণের ভূমিকা ‘পুঁজিবাদ : এক ভৌতিক কাহিনী’ অরুন্ধতী রায়ের লেখা একটি বড় প্রবন্ধ। লেখাটি তিনি শুরু করেছেন বোম্বেতে নির্মিত ভারতের অন্যতম বড় ধনী মুকেশ আম্বানীর বিলাসবহুল ২৭ তলা বাড়ি ‘এন্টিলা’ প্রসঙ্গ তুলে। কিন্তু এই লেখায় মূলত তিনি ভারতীয় বুর্জোয়াদের পোস্টমর্টেম করেছেন। একই সাথে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থাকেও উন্মোচন করেছেন। অরুন্ধতী রায় বিশ্বখ্যাত সাহিত্য পুরস্কার বুকার বিজয়ী লেখক। বাংলাদেশেও খুব জনপ্রিয় তিনি। তিনি কমিউস্টি নন, কিন্তু মাওবাদী কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের নেতৃত্বে ভারতের আদিবাসী ও নিপীড়িত কৃষকের মুক্তি আন্দোলনের জোরালো সমর্থক। তিনি মাওবাদীদের ঘাঁটি অঞ্চল ‘দণ্ডকারণ্য’ সফর করেছেন। সেই সফরের ভিত্তিতে লিখেছেন, ‘মাওবাদী কমরেডদের সাথে অরণ্যে’ সেই প্রতিবেদনের অংশবিশেষÑ ‘আমি গিয়েছি, থেকেছি তাদের মাঝে, অনেক সময় নিয়ে হেঁটেছি তাদের সাথে।… … বলেছি, সশস্ত্র সংগ্রামের পয়লা শিকার হবে নারীরা। কিন্তু যখন অরণ্যে ঢুকলাম, দেখেছিÑ এর বিপরীতটাই সত্য। দেখলাম সশস্ত্র ক্যাডারদের অর্ধেকই মহিলা।’ ‘পুঁজিবাদ : এক ভৌতিক কাহিনী’র মূল ইংরেজি ভাষ্য ভারতের ‘আউটলুক’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় মার্চ ২৬, ২০১২-এ। এর বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করে ‘নিউ হোরোইজন বুক ট্রাস্ট’, ৫৭/১ পটুয়াটোলা লেন, কলকাতা ৭০০০০৯। বাংলাদেশে পাঠকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশের জন্য তাদের প্রতিনিধি নির্ঝর মণ্ডল ফোন আলাপের মাধ্যমে অনুমোদন করেছেন। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। এখানে প্রকাশ করার লক্ষ্যে এখানকার ভাষার সাথে সামঞ্জস্য বিধানের জন্য কিছু ভাষাগত সম্পাদনা করা হয়েছে। আশা করি এখানকার পাঠক সমাজ এই লেখার মাধ্যমে আরো ভালোভাবে অরুন্ধতী রায় ও তার সাহিত্যের সাথে পরিচিত হবেন।
Harry Potter is midway through his training as a wizard and his coming of age. Harry wants to get away from the pernicious Dursleys and go to the International Quidditch Cup. He wants to find out about the mysterious event that's supposed to take place at Hogwarts this year, an event involving two other rival schools of magic, and a competition that hasn't happened for a hundred years. He wants to be a normal, fourteen-year-old wizard. But unfortunately for Harry Potter, he's not normal - even by wizarding standards. And in his case, different can be deadly.
অধিকাংশ প্রথম লেখকদের মতাে আমিও বইটির প্রকাশনা নিয়ে আশা ও নিরাশার দোলাচলে ছিলাম- আশাবাদী ছিলাম এ কারণে যে বইটির সফলতা হয়তাে আমার তারুণ্যের স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে যাবে, আর নিরাশাবাদী ছিলাম এ কারণে যে আমার বক্তব্য যত সুন্দর করে বলা যেত তত সুন্দর করে বলতে মনে হয় ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু বাস্তবতা এ দুটোর মাঝামাঝি ছিলাে। সমালােচনা ছিলাে মৃদু সন্তেষিজনক। আসলে যে ক’জন লোেক আমার বইটি পড়েছিলেন তা আমার প্রকাশকের কল্যাণেই। বই বিক্রির সংখ্যা ছিলাে হতাশাব্যঞ্জক এবং কয়েক মাস পর আমি আমার নিজের জীবন নিয়ে মগ্ন হয়ে পড়লাম। পেশাজীবী লেখক হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত তিরােহিত, কিন্তু প্রক্রিয়া টিকিয়ে রাখতে পেরে আমি সন্তুষ্ট ছিলাম আর আমার মর্যাদাও কমবেশি অক্ষুন্ন ছিলাে।
Lilly Singh isn’t just a superstar. She’s Superwoman—which is also the name of her wildly popular YouTube channel. Funny, smart, and insightful, the actress and comedian covers topics ranging from relationships to career choices to everyday annoyances. It’s no wonder she’s garnered more than a billion views. But Lilly didn’t get to the top by being lucky—she had to work for it. Hard.
Now Lilly wants to share the lessons she learned while taking the world by storm, and the tools she used to do it. How to Be a Bawse is the definitive guide to conquering life. Make no mistake, there are no shortcuts to success, personal or professional. World domination requires real effort, dedication, and determination. Just consider Lilly a personal trainer for your life—with fifty rules to get you in the game, including
• Let Go of FOMO (Fear of Missing Out): Temptation will try to steer you away from your goals. FOMO is just a test of your priorities, a test that a bawse is ready to pass.
• Be Nice to People: Treat niceness like an item on your daily to-do list. People will go out of their way to help and support you because you make them feel good.
• Schedule Inspiration: Lack of motivation isn’t permanent or a sign of weakness. Expect it and proactively schedule time to be creative.
• Be the Dumbest: Challenge yourself by surrounding yourself with people who know more than you do. It’s a vital way to learn and improve.
Told in Lilly’s hilarious, bold voice and packed with photos and candid stories from her journey to the top, How to Be a Bawse will make you love your life and yourself—even more than you love Beyoncé. (Yes, we said it!)
WARNING: This book does not include hopeful thoughts, lucky charms, or cute quotes. That’s because success, happiness, and everything else you want in life need to be worked for, not wished for. In Lilly’s world, there are no escalators, only stairs. Get ready to climb.