Categories


পাওয়ার

ক্ষমতা লাভের প্রেরণা দুই প্রকার একটি নেতাদের মধ্যে স্পষ্ট, অন্যটি অনুসারীদের মধ্যে প্রচ্ছন্ন। কোনাে নেতাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুসরণ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে নেতার নেতৃত্বাধীন দল কর্তৃক ক্ষমতার্জন করা। কারণ তারা মনে করে নেতার সাফল্যই তাদের সাফল্য। অধিকাংশ লােকই বিজয়লাভের লক্ষ্যে নেতৃত্বদানে নিজের যােগ্যতায় ভরসা করতে পারে না। তাই তারা এমন এক ব্যক্তিকে তাদের দলের নেতা বানাতে চায় যার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের প্রয়ােজনীয় সাহস ও বিচক্ষণতা আছে বলে মনে হয়। এমনকি ধর্মের বেলায়ও এই আবেগ বিদ্যমান। জোরপূর্বক দাসনীতির ধারণা জন্মাবার জন্যে নিয়েজেক খ্রিষ্টবাদকে দোষারােপ করেছেন। কিন্তু সর্বদা লক্ষ্য ছিল সর্বশেষ বিজয়ের। মহিমান্বিত ব্যক্তিবর্গই ভদ্র কারণ তারাই পৃথিবী পাবে,


থেবস অ্যাট ওয়ার

বৃহদাকৃতির সুসজ্জিত জাহাজটি পবিত্র নদীর উজান বেয়ে চলেছে। এর পদ্মাকৃতির গলুই প্রাচীনকাল থেকে উথিত শান্ত ঢেউ ভেঙে এগিয়ে যাচ্ছে সময়ের সীমাহীন ঝরনায় এক একটি পর্যায়ের মতাে। নদীর উভয় পাশে প্রকৃতির মাঝে বিছানাে গ্রাম, একক ও গুচ্ছভাবে দাঁড়ানাে পাম গাছ। সবুজের বিস্তার পূর্ব থেকে পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত। সূর্য মধ্যগগনে, গাছপালার ওপর আলাে ছড়াচ্ছে এবং যেখানে পানি স্পর্শ করছে সেখানে চকচক করে উঠছে। কিছু কিছু জেলে নৌকার আনাগােনা ছাড়া নদী শূন্য এবং তারা বড় জাহাজটির পথ ছেড়ে দিচ্ছে। নৌকাগুলাের আরােহীরা সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে ও অবিশ্বাসে তাকাচ্ছে উত্তরের প্রতীক পদ্মের দিকে।


হওয়া না-হওয়ার গান

যথার্থ কবি প্রতিভার প্রতিশ্রম্নতি নিয়ে শুভাশিস সিনহা রচনা করেছেন হওয়া না-হওয়ার গান কাব্যগ্রন্থ। কবিতার প্রধান গুণ যে ব্যঞ্জনাধর্মী ও শব্দছন্দ নিরীক্ষা তা এই কাব্যে রয়েছে। বিষয়ভাবনার ক্ষেত্রে হয়তো তিনি চিরাচরিত প্রেম ও প্রকৃতিকেই বেছে নিয়েছেন। কিন্তু ভাবনাটি রূপায়ণের ক্ষেত্রে তা আর চিরাচরিত থাকেনি, চেতনার ও বলার ভঙ্গির জন্য তা হয়ে উঠেছে আলাদা ব্যঞ্জনা সৃষ্টিকারী। আবহমান আকাশ, নদী, রোদ, ঋতুপরিক্রমায় তিনি অমত্মর্বয়ন করেন প্রকৃতির চাঞ্চল্য ও স্থিরতা, প্রেমের ঐতিহ্য ও বর্তমানতা। শব্দ তৈরিতে এই কবির মনোযোগ সবচেয়ে বেশি; নতুন-নতুন শব্দ যেমন গঠন করেছেন, তেমনি পুরনো শব্দকেও অনায়াসে ব্যবহার করেছেন।


নির্বাচিত পামুক

সূচিপত্র

 

* আমার বাবা

* আমার বাবার স্যুটকেস : ওরহান পামুকের নোবেল বক্তৃতা

* নিহিত লেখক

* এপ্রিল ২৯,১৯৯৪ : কিছু টোকা

* আপনি কার জন্য লেখেন

* শিরিনের বিস্ময়

* জানালা দিয়ে দেখা 

* প্রবেশ নিষেধ

* বিচারের কাঠগড়ায়

* ‘আমার নাম লাল’ সম্পর্কে বিভিন্ন সাক্ষৎকারের নির্বাচিত অংশ

* ‘আমার নাম লাল’ সম্পর্কে লেখকের কিছু কথা

* কারস এবং ফ্র্যাঙ্কফার্টে


ওল্ড ম্যান এন্ড দি সী

হেমিংওয়ের রচনায় যে রক্তাক্ত সংগ্রাম আর মৃত্যুর ভয়াবহতার উপস্থিতি তা আকস্মিক নয়। ভীষণের প্রতি তাঁর সহজাত বিশেষ কোন প্রবণতার মধ্যে এর মূল নিহিত একথা বলাও সঙ্গত হবে না। জীবন সম্পর্কে তাঁর বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই তাঁর রচনায় এ-সবের উপস্থিতি। তাঁর গল্প-উপন্যাসের পাত্র-পাত্রীরা। দেখেছে জীবনের গভীরে স্থিতিশীল অনড় কোন বিশ্বাসের ভিত্ নেই। আস্তিক্যবুদ্ধিপ্রণােদিত পরম মঙ্গলময় কোন জগদীশ্বরের উপস্থিতির উপলব্ধিতে প্রশান্ত বিশ্বাস তাদের কাছে অবাস্তব ও অসম্ভব মনে হয়েছে। নৈতিক কোন মহৎ আদর্শের ফাঁপা বুলিতে তাদের মন ভরে না।


যুদ্ধের মেয়েরা ও অন্যান্য গল্প

বাজার আর সােজা রাস্তার প্রতি আকর্ষণ ছিল তার। মহল্লার ছােট বাজার নয়, যেখানে বাচাল মহিলারা খােশগল্প করতে এবং সন্ধ্যায় স্যুপে দেওয়ার ওগিলি কিনতে সূর্যাস্তের সময় জড়াে হয়, বরং কাছের ও দূরের মানুষকে হাতছানি  দেওয়া একটি বিরাট, সর্বগ্রাসী হাটবাজার। এবং এই গাঁয়ে শুরু আর ওই ঝরনায় শেষ এমন ধূলিধূসর, জীর্ণ পায়ে চলা পথ নয়, বরং আদি-অন্তহীন প্রশস্ত, কালাে, রহস্যময় জনপদ। বিস্তর পরিক্রমণের পর এ ধরনের একটি জনপদযুক্ত দুটি হাটবাজারের সন্ধান পেল সে; ফলে তার পরিক্রমণও শেষ হলাে। একটি বাজার আফো, আরেকটি ইকে।

 


ময়ূর সিংহাসন

মোগল শাহজাদা শাহ সুজা পালাচ্ছেন। রাজমহল থেকে টেকনাফের দিকে। এই তাঁর আখেরি সফর। একদিকে তাঁর অন্তরে চলছে হরেক ভাবনার টানাপোড়েন-ক্ষমতার টান আর তা থেকে পিছলে যাওয়ার পরিণতির, শরীরে প্রবাহিত তৈমুরের রক্তের তাপ আর পলায়নকারী বাস্তবতার, দৌলত আর কিসমতের। তিনি যাচ্ছেন। পেছনে চলেছে কাফেলা। বাংলার দীর্ঘ পথজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে তাঁর পলায়নের স্থায়ী চিহ্ন-সড়কে, স্থাপনায়, মানুষের মুখে মুখে তৈরি হয়ে ওঠা গীতে। শাহ সুজার পেছনে চলেছে এক প্রেমিকও। পেশায় কলমচি, আচরণে উভকামী। পথে পথে কত কিসিমের মানুষের সঙ্গেই না তার মোলাকাত-পর্তুগিজ জাহাজের লশকর, শোলক-কাটা জেনানা, মাতাল, হিজড়া, পানের আড়তদার, মক্তবের মিয়াজি। তাদের ধূলিমাখা কাহিনি এসে পৌঁছায় রোহিঙ্গাদের এ সময়ের রক্তাক্ত ইতিহাসে। এ কাহিনি যোগের-রাজাপ্রজা-নির্বিশেষে মানুষের সঙ্গে মানুষের, ইতিহাসের সঙ্গে বর্তমানের। শাহীন আখতার লোকগান থেকে বের করে এনেছেন সামন্তযুগে চাপা পড়া সাধারণ মানুষের কথা। তুলে ধরেছেন মানুষের চিরন্তন কুহকী মন।


চোর ডাকাতের গল্প

নাহ্, সুখ-টুখের বালাই নেই ফৈজুদ্দির জীবনে -কথাটি জানান দিতেই যেন ফৈজুদ্দি সরব হয়ে নিজেকে শােনায়, সুখ-টুখ সব চুলােয় গেছে। মানে, হাইজ্যাকারদের চুলােয়। ওদের চুলােতেই এখন রাজ্যের পােলাও-কোর্মার ঢালাও রান্নাবান্না। আর আমাদের মতাে বনেদি ডাকাতের উনুনে খড়ি-কাঠও জ্বলে না। নুন আনতে পান্তা ফুরনাের ব্যবস্থা -এই আমাদের ঘরে। ফৈজুদ্দি তখন অনেক দিন আগের এক ভোঁতা হয়ে যাওয়া ভােজালিতে শান দিতে ব্যস্ত। খানিক আগে বউ এসে শাড়িটাকে গাছকোমর করে শাণিত গলায় শুনিয়ে গেছে, ঐ ভােজালিতে কাজ দিবে কি কোননা, এ্যা? বলি, কোনাে লাভ হবে কি এসব ভােজালি-টোজালিতে শান দিয়ে?


দুই অপরাধী কেভিনহুলার

দুই অপরাধী : মানুষের নিষ্পাপ অভিপ্রায় কি কখনও ধ্বংসাত্নক পরিণতি নিয়ে আসতে পারে? এই গল্পে দুইজন ভিন্ন প্রকৃতির অপরাধীদের জীবন সম্পর্কে নিজেদের পৃথক দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলা হয়েছে। গল্পের অল্প বয়স্ক জেলেটির কোনো ধারণা ছিল না তার উপকারী কর্মকান্ড অপর জনের জীবনের সমাপ্তি টেনে আনবে।

কেভিনহুলার : মানুষ কি কখনও শর্তযুক্ত উপহার পেতে পারে? এই গল্পে একজন মেধাবী আবিষ্কারক জাদুর শক্তি উপহার হিসেবে পায়। কিন্তু কেভিনহুলার কেন তাকে সমস্যা উপহার ফিরিয়ে দিতে চাচ্ছে?


অলীক মানুষ

‘অলীক মানুষ’ বইয়ের প্রাপ্ত পুরস্কার গুলির নাম ও সালঃ

* ভুয়ালকা পুরস্কার - ১৯৯০

* বঙ্কিম স্মৃতি পুরস্কার - ১৯৯৪

* সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার - ১৯৯৪

* সুরমা চৌধুরী মেমোরিয়াল আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার - ২০০৮