A storehouse of stories for young boys, 365 Stories for Boys is a creative treasury of stories guaranteed to delight and entertain young minds. Enjoy reading one story a day, and see your favorite heroes fabulously illustrated with different styles of artwork. A beautiful hardback book worth keeping in your library.
This book provides a systematic exposure to EIA principles and procedures. Its focus is on the methodology of EIA so that it becomes a viable applications oriented exercise. Major dimensions of environmental pollution like air and water quality, noise, soil and geology, aesthetics, indoor climate, and socio-economic factors are highlighted. Measurement of environmental indicators and economists` approaches to EIA are also discussed. An assessment of the impact of sectors like rural, urban, energy, transport and the industrial environment is given. The book would serve as an excellent reference source to senior students of environmental engineering and management, architecture and town planning, economics and projects planning. Practicing engineers, professionals and policy makers involved in these areas would also find this book to be extremely useful. Contents: Introduction Measurement of Environmental Impacts Air Quality Impact Assessment Noise Impact Analysis Water Quality Impact Analysis Soil and Geological Impact Assessment Biotic Impact Assessment Assessment of Socio-economic Impacts Assessment of Aesthetic Environmental Impacts Economic Approaches to Environmental Impact Assessment The Human Environment: Indoor Climate of Pollution Sectoral Analysis of Environmental
"বাচ্চা" দেখলেই এক দৌড়ে কাছে গিয়ে আদর করা, কোলে তুলে নেয়া, একটু গাল টিপে দেয়া, নাক টিপে দেয়া- কিছু মানুষের খুব প্রিয় কাজ। ভীষণ বাচ্চা প্রীতি তাদের। আর কিছু মানুষ বাচ্চা দেখলেই হলো। উল্টা দিকে দৌড়। ভুলেও বাচ্চাকাচ্চার ছায়া মাড়াবে না। যতো শান্ত বাচ্চাই হোক না কেন ভুলেও ধারের কাছে আসবে না। প্রবল বাচ্চা ভীতি তাদের। আমাদের গল্পের রইসউদ্দিন হলেন দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ। বাচ্চাকাচ্চা খুব ভয় পান। সবসময় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। অথচ এমনিতে তিনি ভীষণ সাহসী ব্যক্তি। মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন।
চাঁদের পাহার- এই অসাধারন বইটি একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে উঠা কঠিন।চমৎকার ভাষার প্রয়োগ,সুস্পষ্ট ভাবে পরিপার্শ্বিকের বর্ণনা,আনন্দ-বেদনার সংমিশ্রনে বইটি বাংলা সাহিত্যের সেরা অ্যাডভাঞ্চার বইয়ে পরিনত করেছে।অ্যাড ভাঞ্চার প্রিয় মানুষদের আবেগ যথাযত ভাবেই উপলদ্ধি করেছেন লেখক। অ্যাডভাঞ্চারে যাদের অনীহা,তাঁদেরও মনে অ্যাডভাঞ্চারের প্রবল ইচ্ছা জাগাবে এতি।আফ্রিকার গহিন অরন্য,ভয়ঙ্কর সব প্রাণী,বিশাল মরু,ভবঘুরে মানুষদের বিপদের নেশায় ঘুরে বেরানো ,সবি যেন চোখের সামনে ভেসে উঠে।মনে সৃষ্টি করে সত্যিকারের আনন্দ।
ওদের একটা ডিটেকটিভ ক্লাব আছে। ওরা মানে- ইবু, হীরা, নান্টু, মিশু আর সলিল। এর আগে ওদের একটা ফুটবল ক্লাব ছিল, তারও আগে হাসপাতাল। হাসপাতালের ডাক্তার ছিল মাসুদ। ওর আব্বা ডাক্তার কিনা তাই। মাসুদরা চলে যাবার পর হাসপাতালটাও উঠে গেল। ওই সরকারি বাসায় আবার নতুন এক পরিবার এসেছে। ইবু (গল্প কথক) দোয়া করছে যাতে এবার একটা ওদের বয়সি ছেলে থাকে। তাহলে ফুটবল ক্লাবটা আবার খোলা যাবে। কিন্তু বিধি বাম। ছেলে ঠিকই এলো কিন্তু সেই ছেলেটার একটা হাত কনুইয়ের পর থেকে কাটা। আর কি মেজাজ ছেলেটার।।। প্রথম দর্শনেই তরতর করে গাছে উঠে বলে, "তোরা সব এ পাড়ার ছেলে? হ্যাঁ?" কোন ভাল মন্দ জিজ্ঞেস করা নেই, ভদ্র ভাষা নেই, সোজা তুই। কিন্তু কিছুদিন পর বোঝা গেল ছেলেটার মন আসলে খুব ভাল। তাই সবাই প্রানের বন্ধু হয়ে গেল।
এই নীল গ্রহটি হল আমাদের পৃথিবী ৷ ওপর থেকে একে নীল দেখায় কারণ পৃথিবীর তিন ভাগের দু’ভাগ জল । এই জল নিয়ে তৈরি হয়েছে কয়েকশো সাগর আর পাঁচটি মহাসাগর । সোনা জলের বিশাল ব্যাপ্তি নিয়ে আছে এই মহাসাগরণ্ডালা ৷ এদের মধ্যে সবচেয়ে বড়, গভীর আর বিপজ্জনক হল প্রশান্ত মহাসাগর। এই নাম দিয়েছে পর্তুগিজ নাবিক ম্যাগেলান। ভারত মহাসাগর রয়েছে ভারতের ধার ঘেঁষে।
ওর বাবা বলে, চাষাভুষোর ছেলের স্কুলে গিয়ে কি হবে? তারচেয়ে আমার সঙ্গে ধানক্ষেতে নিড়ানি দেবে । অনেক ধান হলে আমরা পেট পুরে ভাত খেতে পারব । ধান বেচে নুন তেল কিনতে পারব, পরনের কাপড় যােগাড় হবে । লেখাপড়া করে আমাদের কি হবে? ধান চাষের জন্য লেখাপড়া লাগে না । বাবা ওকে পড়তে দেয়নি বলে মন খারাপ করেনি সাগর ৷ স্কুলে না যাওয়ার জন্য কেঁদে বুক ভাসায়নি । অন্য ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে দেখে হাসতে হাসতে বাবাকে বলেছে, বাজান ধান ক্ষ্যতেই মোর
কী লজ্জার কথা বলুন ত দেখি ! ‘যাব যাব করেও যাওয়া হয়নি মশাই ৷ আর সত্যি বলতে কি, আমরা ত ট্যাগােরের রাস্তা ছেড়ে অন্য রাস্তা ধরিচি কিনা, তাই শান্তিনিকেতন-টেতনকে তেমন আর পাত্তা দিইনি ৷ ‘হনলুলুতে হুলুস্থুল’ যে লিখছে সে আর কবিগুরু থেকে কী প্রেরণা পেতে পারে বলুন।’ ‘আপনি বীরভূম বলতে আশা করি শুধু শাস্তিনিকেতন ভাবছেন না ৷ বক্রেশ্বরের হট স্প্রিংস আছে, কেন্দুলীতে কবি জয়দেবের জন্মস্থান আছে, বামাক্ষ্যাপা যেখানে সাধনা করতেন সেই তারাপীঠ আছে, মামা-ভাগ্নের দুঃরাজপুর আছে, অজস্র পােড়া ইঁটের মন্দির আছে-
কিন্তু এই কৃতিত্ব কি শায়েস্তা খাঁর একার? সিবাস্তিয়ান গঞ্জালেসের মত লোক কেন নিজে থেকে শায়েস্তা খাঁর হাতে ধরা দেবে? সেও কি সম্ভব? না, তা সম্ভব না। তাকে এই কাজে বাধ্য করেছিল এক অতি সাধারণ বাঙালি যুবক, বিশু ঠাকুর। কিভাবে সেই অসাধ্য সাধন করেছিল বিশু ঠাকুর? সেই রুদ্ধশ্বাস কাহিনীর পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা পাওয়া যাবে 'জলদস্যু' উপন্যাসে। 'জলদস্যু' এমন এক ঐতিহাসিক উপন্যাস যা লেখা হয়েছে মূল ঘটনার কয়েকশ বছর পর। তাও আবার এতে স্থান পেয়েছে এমন একটা ঘটনা যা ঐতিহাসিককের অজ্ঞতার কারণে ক্রমেই বিস্মৃতির আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছিল। সেরকম একটা ঘটনাকে আবারো পাঠকের সামনে নিয়ে আসার সব ক্রেডিট লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের। কিন্তু এ-ও মনে রাখা দরকার, স্বভাবতই উপন্যাসের সকল ঘটনা হান্ড্রেড পারসেন্ট নিখুঁত না।
ভারতের উত্তর-পাঁশ্চম সীমান্তে কাশ্মীর নামে এক রাজ্য আছে । প্রাচীনকালে ঐ কাশ্মীর রাজ্যে সর্ব গুণসম্পন্ন একজন সুলতান রাজত্ব করতেন ৷ তাঁর একটি কন্যা ছিল । কন্যার নাম ফরোখনাজ । ফারাখনাজ যেমন ছিল নানা ৰিদ্যায় সুশিক্ষিতা, তেমনিই ছিল অসামান্য রূপবতাী ৷
শিশু-সাহিত্যের পবিত্র উদ্যানে পদার্পণ করবার আগে প্ৰণাম জানাই দেবতার পায়ে ; তারপর বাংলাভাষাভাষী প্রত্যেকটি লোককে সাদরে সম্ভাষণ জানিয়ে, আমাদের _পুরােবত্তী অপরাপর শিশু-সহবােগীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ক্যাছি৷ র্তাদের পরিশ্রম ও আদর্শ বাঙালী ছেলেমেয়েদের কোমল বুকে অনেক দিন হতে সঞ্জীবন-রসের কাজ করে আসছে
আপনি পল্লীর জীবন অধ্যয়ন করিয়াছেন, -তবে জানিতে পারিয়াছেন যে মূল্যে বিদ্বজ্জনের সভা-দরবারের শাস্ত্র-কথায় তর্ক-বিতণ্ডা উথিত হয়, কাব্য-দর্শনের চর্চ্চা-কােলাহল আসর সরগরম করিয়া তােলে,- যেমন আর এক পার্শ্বে আমাদের তাল-বেতালের বা প্রবাদ প্রবচনের কঠিন প্রশ্ন-সমস্যার গভীর চিস্তাকূলিত ভাব রেখা দিয়া উঠে, বা মজলিসে মজলিসে বৈঠকীয় রসকথায় হাস্যে লহরে লহরে খেলে।
বাজু একসঙ্গে মাথাা আর হাত নাড়তে নাড়তে বলে, ‘না দাদাই, ভূত-টুত বলে কিসসু নেই। স্রেফ গাঁজা।’ বাজুর বন্ধু বিট্টুও ঠোঁট উলটে দিয়ে বলে, একদম বোগাস।’ ফি বছর বাজু পুজোর ছুটিতে মামাবাড়ি আসে। পুরো ছুটিটা কাটিয়ে একেবারে ভাইফোঁটার পর নিজেদের বাড়ি ফিরে যায়।
এ বাড়ির নিয়ম হচ্ছে যাদের বয়স বারোর নিচে তাদের বিকেল পাচঁটার আগে ঘরে ফিরতে হবে। যাদের বয়স আঠারোর নিচে তাদের ফিরতে হবে ছ’টার মধ্যে। খোকনের বয়স তেরো বছর তিন মাস। কাজেই তার বাইরে থাকার মেয়াদ পাঁচটা। কিন্তু এখন বাজছে সাড়ে সাতটা। বাড়ির কাছাকাছি এসে খোকনের বুক শুকিয়ে তৃষ্ণা পেয়ে গেল।
টগর সোফায় আধশোয়া হয়ে টিভিতে কার্টুন চ্যানেল দেখছিল। কার্টুন চ্যানেল দেখার সময় তার চোখ আনন্দে ঝলমল করে। আজ তার চোথে কোনো আনন্দ নেই। খুব মন দিয়ে সে যে কিছু দেখছে তাও না । ’টম এন্ড জেরি’ হচ্ছে। যথারীতি টম নামের বিড়াল টা জেরি নামের ইঁদুরকে দৌড়াচ্ছে।
টুকুন তার মিথ্যা চালিয়েই যাচ্ছে। তবে টুকুন কোন মিথ্যা বলছে না, ইদানিং তার সাথে একটা কাক গল্প করে এটাতে মিথ্যার কি থাকতে পারে আর এটা অবিশ্বাস করারই বা কি আছে বুঝতে পারেনা টুকুন। প্রতি সকাল বেলায় কাক এসে তার সাথে বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলে। এমনকি জন্মদিনেও কাক তাকে উপহার দিয়েছে ঝোং এর বাচ্চা। যেটাকে চোখে দেখা যায়না তবে সে কাগজ খায় কিন্তু সবার সামনে খায়না। টুকুন প্রমাণ পেয়েছে যে সত্যি সত্যি ঝোং এর বাচ্চা আছে। কিন্তু একদিন প্রচন্ড শাস্তির কোপে পড়ে টুকুন যখন স্বীকার করতে বাধ্য হয় ঝোং এর বাচ্চা এবং কাকের কথা বলা পুরাটাই তার কল্পনা ঠিক তখনই তার বাবা পা ঝোং এর বাবার অস্তিত্ব পায়। সত্যিই অসাধারন কাহিনী, আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
তুহিনদের বাড়ির সামনে একটা প্রকাণ্ড কাঠগোলাপের গাছ। কাঠগোলাপের গাছ সাধারণত এত বড় হয় না। এই গাছটা হুলস্থুল বড় । ফুল যখন ফোটে তখন গন্ধে চারদিক ম ম করে । তুহিনদের বাড়ির সামনে দিয়ে যারা যেত তারা অবশ্যই কিছুক্ষণের জন্যে থমকে দাঁড়াত।
একদিন রাগ সামলাতে না পেরে এলেংয়ের মা এলেংকে জিব দিয়ে ঠাস করে চড় লাগাল। ( ব্যাঙরা জিবকে হাতের মতো ব্যবহার করে । পোকামাকড় ধরে খায়, আবার চড়-থাপ্পড়ও দেয়)। এলেং অবাক হয়ে বলল, মারলে কেন মা?
মা বলল, সারাক্ষণ বাবার সামনে হাঁ করে বসে থাকিস ।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। লাল টকটকে সূর্য রঙ ছড়াচ্ছে মুঠি মুঠি লাল। পাহাড়ের ওপরে, গায়ে ঠিকরে পড়ছে লাল। পাহাড়ের ওপরে, গায়ে ঠিকরে পড়ছে লাল আভা। ঝিরঝির করে বইছে বাতাস, তিরতির করে কাপছে খেজুর পাতা। পাহাড়ের চূড়োয় বসে আছে শেফাক। এক মনে কী যেন ভাবছে।
এ বই কিশোর-কিশোরীদের জন্যে, তরুণ-তরুণীদের জন্যে। এই বই আনন্দের জন্যে, এই বই আলোকপ্রাপ্তির জন্যে। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এক বহুমুখী প্রতিভার নাম, অপ্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠক, জনপ্রিয় টিভি-উপস্থাপক, প্রাবন্ধিক, কবি, গল্পকার, অনুবাদক, নাট্যকার-তাঁর পরিচয়ের শেষ নেই। কিন্তু আরো একটা কারণে তাঁর পরিচয়ের শেষ নেই। কিন্তু আরো একটা কারণে তাঁর খ্যাতি দেশজোড়া, অসাধারণ বাগ্মী তিনি; তাঁর বক্তৃতা পাণ্ডিত্য, সরসতায়, সৌন্দর্যে অপূর্বতায় উজ্জ্বল। এই বইয়ে থাকলো প্রধানত স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সামনে দেওয়া বিভিন্ন উপলক্ষে তাঁর বক্তৃতাগুলো। হাসির ছটা দিয়ে বক্তৃতাগুলো মুরু হয়েছে সাধারণ, কিছুক্ষণের মধ্যেই গল্পচ্ছলে বক্তা ঢুকে গেছেন বিষয়ের গভীরে, কেবল তত্ত্বকথা নয়, জীবনরসিকের জীবনাভিজ্ঞতার আলোয় ঋদ্ধ এই বক্তৃতাগুলো। আছে সাধারণ কৌতুক থেকে শুরু করে মনীষীদের জীবনের সত্য ঘটনার উল্লেখ, আছে কবিতা কিংবা সাহিত্যের উজ্জ্বল উদ্ধৃতি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কিংবা রণদাপ্রসাদ সাহার মতো ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বক্তৃতাও ঠাঁই পেয়েছে এই দুই মলাটের মধ্যেই-যে ভাষণের উদ্দিষ্ট শ্রোতাদের সবাই হয়তো তরুণও নয়।
সাগরের মতো কেমন করে বড় হব মামা। আমি তো সাগর দেখিনি। তুমি আমাকে সাগরের কাছে নিয়ে যাও। আমারতো আর সময় নেই। আমিতো চলে যাচ্ছি। তবে সাগরের ছবি তোকে ভেবে নিতে হবে। নিজের বুকে হাত রেখে নিজেকে বলবি, আমি একটা সাগর । চারদিক তাকাবি। সাগর কেমন তা বুঝতে চেষ্টা করবি।
হাজার বছর আগে আমাদের প্রথম প্রধান কবি, কাহ্নপাদ, বলেছিলেন : নগর বাহিরে ডোম্বি তোহোরি কুড়িআ। তাঁর মতো কবিতা লিখেছিলেন আরো অনেক কবি। তাঁদের নামগুলো আজ রহস্যের মতো লাগে : লুইপা, কুক্কুরীপা, বিরুআপা, ভুসুকুপা, শবরপার মতো সুদূর রহস্যময় ওই কবিদের নাম। তারপর কেটে গেছে হাজার বছর, দেখা দিয়েছেন অজস্র কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, গল্পকার। তাঁরা সবাই মিলে সৃষ্টি করেছেন আমাদের অসাধারণ বাঙলা সাহিত্য। বাঙলা সাহিত্য চিরকাল একরকম থাকে নি, কালে কালে বদল ঘটেছে তার রূপের, তার হৃদয়ের। সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন সৌন্দর্য। মধ্যযুগে কবিরা লিখেছেন পদাবলি, লিখেছেন মঙ্গলকাব্য। উনিশশতকে বাঙলা সাহিত্য হয়ে ওঠে অপরূপ অভিনব। তখন কবিতায় ভরপুর বাঙলা সাহিত্যে দেখা দেয়। গদ্য, বাঙলা সাহিত্য হয়ে ওঠে ব্যাপক ও বিশ্বসাহিত্য। বিশশতকের বাঙলা সাহিত্যের শোভার কোনো শেষ নেই। বাঙলা সাহিত্যের অনেক ইতিহাস লেখা হয়েছে, আর কবি হুমায়ুন আজাদ বাঙলা সাহিত্য নিয়ে লিখেছেন লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী, যা শুধু বাঙলা সাহিত্যের ইতিহাস নয়, এটি নিজেই এক সাহিত্য সৃষ্টি। কবি হুমায়ুন আজাদ হাজার বছরের বাঙলা সাহিত্যকে তুলে ধরেছেন কবিতার মতো, জ্বেলে দিয়েছেন বাঙলা সাহিত্যের নানান রঙের দীপাবলি। এ-বই কিশোরকিশোরীদের তরুণতরুণীদের জন্যে লেখা, তারা সুখ পেয়ে আসছে এ-বই পড়ে, জানতে পারছে তাদের সাহিত্যের ইতিহাস; এবং এ-বই সুখ দিয়ে আসছে বড়োদেরও। লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী এমন বই, যার সঙ্গী হ’তে পারে ছোটোরা, বড়োরা, যারা ভালোবাসে বাঙলা সাহিত্যকে। বাঙলার প্রতিটি ঘরে আলো দিতে পারে।
আমি যখন টুনটুনি ও ছোটাছু নিয়ে লিখতে শুরু করেছিলাম তখন একবারও ভাবিনি যে এদের নিয়ে দ্বিতীয় একটি বই লেখা হবে। এখন সবিস্ময়ে আবিষ্কার করছি, শুধু দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় নয়, চতুর্থারও লেখা হয়ে গেছে। বলা বাহুল্য, আমার এই লেখালেখি করার কারণ হচ্ছে পাঠকদের চাপ। পাঠকেরা যদি কমবয়সী শিশুকিশোর হয়, তাদের চাপ অত্যন্ত কঠিন, সেখান থেকে বের হয়ে আসা সোজা কথা নয়! আরো লিখতে হবে কি না জানি না-যদি লিখেও ফেলি, সেই বইয়ের নাম কীভাবে দেব?