এরকম করেই ঘটনাটা শুরু হয়েছিল। আমি সেই মহৎ মানুষটিকে কিছুই বলিনি। এখন কৃতিত্ব দাবি করাটা শক্ত; কারণ আমার মনে হয় না যে, যখন তাকে প্রথম দেখি তখন পর্যন্ত তার নামটি আমি শুনেছি। ব্রাউনিং, শেলি এবং তাদের মতাে ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ে যতটুকু পড়েছি, ততটুকুই ইংরেজি সাহিত্য সম্পর্কে আমার জানা। মহাত্মা গান্ধির ডাকে সাড়া দিয়ে গর্ধোপের মতাে ইংরেজি শিক্ষা ছেড়ে দেওয়ার আগে বছরখানেক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করেছিলাম আমি। আমার বন্ধু এমনকি শত্রুদের সমৃদ্ধি অর্জন ও সম্মানিত হয়ে ওঠা দেখেও ইংরেজি শিক্ষাকে নিজের জীবনের জন্য নিঃস্প্রেয়ােজন মনে করেছিলাম। যদি ও সেটি একটি বিশাল ব্যাপার। সে সম্পর্কে তােমাকে অন্য সময়ে বলব।
ওই বয়সেও ওরা হাফপ্যান্ট পরত, আমরা অবশ্য ধূমপান করতাম না, খেলাধুলাের মধ্যে তাদের সবচেয়ে পছন্দ ছিল ফুটবল আর আমরা ঢেউয়ে লাফ দিতে শিখছিলাম, ঝাপ দিতাম উঁচু “টেরেস”টার দোতলা থেকে, হ্যা, ওরা চঞ্চল, দুষ্টু, বাঁধনহারা, কৌতূহলী, ভীষণ উদ্যমী আর সাহসী। ওই বছর শোম্পানা স্কুলে ভর্তি হল কোয়েইয়ার। ব্রাদার লেওনসিও, জানি, জানি, একটা নতুন ছানা ঢুকেছে, ক্লাস থ্রি, সেকসন-এ, তাই না ব্রাদার? হ্যা, ব্রাদার লেওনসিও মুখের ওপর থেকে চুলের গােছা সরিয়ে নেয়, সে একদম চুপ করে যায়।
অন্ধকারের মধ্যে আমাদের জানালার নিচ দিয়ে সৈন্যদের মার্চ করে যাওয়ার শব্দ শুনতাম। মােটর-ট্রাক্টর দিয়ে কামান টেনে নিয়ে যাওয়ার আওয়াজও পেতাম। রাতে গাড়ি চলাচল করত বেশি। গাধার পিঠের দুপাশে ঝােলানাে প্যাক স্যাডলে করে গােলাগুলির বাক্স বহন করা হত। সৈন্য পরিবহন করা হত ধূসর রঙের মােটরট্রাকে। বহরে ক্যানভাস দিয়ে ঢাকা মাল টানার ট্রাকও থাকত। সেগুলাে চলত ধীরগতিতে।