Categories


ফেলুদা সমগ্র-২

ডুংরু পাশেই শিশির ভেজা ঘাসের উপর বাজনাটা রেখে শুধু-গলায় গান ধরল। ওর কান ভালাে, তাই দুদিন শুনেই তুলে নিয়েছে গানটা। হনুমান ফটকের বাইরে বসে যে ভিখিরি গানটা গায়, সে অবিশ্যি সঙ্গে সঙ্গে বাজনাও বাজায়। তাই ডুংরুর শখ হয়েছিল সেও বাজাবে। এই বাজনাটা সবজিওয়ালা শ্যাম গুরুঙের। ডুংরু এক বেলার জন্য চেয়ে এনে রেখে দিয়েছে তিন দিন। ছড় টেনে সুর বার করা যে এত শক্ত তা কি ও জানত?

ডুংরু গলা ছাড়ল। সামনে ভুট্টা খেতের ওপরে দুটো মােষ আর কয়েকটা ছাগল ছাড়া কাছে-পিঠে কেউ নেই। ডুংরুর ঠিক পিছনেই খাড়া পাহাড়, তার নিচে একটা বাদাম গাছ, তারই ঠিক সামনে ডুংরুর বসার ঢিবি। ওই যে দূরে ইটের তৈরি টালির ছাতওয়ালা দোতলা বাড়ি, ওটা ডুংরুদের বাড়ি। ভুট্টার খেতটাও ওদের । উত্তরে কুয়াশার আবছা পাহাড়ের পিছনে তিনটে বরফে ঢাকা পাহাড়ের মধ্যে যেটার চূড়াে মাছের লেজের মতাে দু’ভাগ হয়ে গেছে, যেটার নাম মাচ্ছাপুছরে, সেটার ডগা এখন গােলাপী।

প্রথম দুটো লাইন গাইবার পর তিনের মাথায় যেখানে সুরটা চড়ে, সেখানে আসতেই আকাশ ভাঙল। গুড় গুড় শব্দটা শুনেই ডুংরু এক লাফে পাঁচ হাত পাশে সরে গিয়েছিল, নইলে ওই হাতির মাথার মতাে পাথরটা বাজনাটার সঙ্গে সঙ্গে ওকেও থেঁতলে দিত ।

 


তিন গোয়েন্দা ভলিউম- ১৪৩

হ্যালাে, কিশাের বন্ধুরা-

আমি কিশাের পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে। 

জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে,

হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে।

যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানাে না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গােয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম:

তিন গােয়েন্দা।

আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে।

দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান 

নিগ্রো; অপরজন আইরিশ আমেরিকান,

রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পােকা।

 


জিম করবেট রচনাসমগ্র

আমরা কালাধুঙ্গির বাের নদীর পুরানাে কাঠের সেতুটার এক পাশে বসে ড্যানসির ভূত-পেত্নীর কিস্সা শুনছিলাম। সে সব গল্প এমনই ভয়াল যে, শুনলে শরীরের রক্ত হিম হয়ে আসে। আমরা আট থেকে আঠারাে বছর বয়সের চৌদ্দজন ছেলেমেয়ে একজন অন্যজনের গায়ের সাথে গা লাগিয়ে বসেছি। তবু ভয়ে দলের মেয়েদের মধ্য থেকে কেউ-কেউ ভয়-পাওয়া চোখে পেছনের ঘন অন্ধকার জঙ্গলটার দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে বারবার তাকাচ্ছিল। 

 তখন সবেমাত্র সন্ধ্যার অন্ধকার ধীরে ধীরে ঘন হয়ে আসছে। আশেপাশের ঝােপ-জঙ্গল থেকে শুকনাে কাঠ-পাতা জড়াে করে আমরা আগুন জ্বেলেছিলাম। সেই আগুন নিভে গেলেও গনগনে লালচে আঁচ তখনাে রয়ে গেছে। এই গা ছমছম-করা পরিবেশে ড্যানসির ভূত-পেত্নীর গল্পগুলাে আমাদের কাছে খুবই বিশ্বাসযােগ্য মনে হচ্ছিল।

আয়ারল্যান্ডের মানুষ ড্যানসি। ওরা ভূত-প্রেতে চরমভাবে বিশ্বাসী। সে এতক্ষণ শুনিয়েছে আপাদমস্তক ঢাকা-দেওয়া মূর্তি, তাদের হাড়ের ঠকঠকানি, রহস্যজনকভাবে ঘরের দরজা খুলে-যাওয়া আর বন্ধ-হওয়া আর পুরানাে বাড়ির সিড়িতে মচমচ শব্দ—এসব নিয়ে নানা রকম জমজমাট সব ভূতের কিস্সা। 

এসব ভূতের কিসসা শুনতে শুনতে আমরা যখন সবাই সম্মােহিতের মত প্রায়—এমন সময় একটা বুড়াে শিঙাল পেঁচা কর্কশ স্বরে ডাকতে ডাকতে আমাদের মাথার ওপর দিয়ে উড়ে গেল। হয়তাে বাের নদীর মাছ আর ব্যাঙ ধরতে বেরােলাে। পেঁচার ডাক শুনে, সুযােগ বুঝে ড্যানসি তার গল্পের মােড় ঘুরিয়ে দিল। এবার শুরু করল ভয়াবহ সব বশির কিস্সা।

 


দানব

ভেসে যাচ্ছে। ছেলেটার চোখে মুখে এক ধরনের বিস্ময়, যেন সে এখনাে বুঝতে পারছে না কী হচ্ছে। রাজু দেখলাে ছেলেটা তার মুখে বিস্ময়ের ভঙ্গীটা ধরে রেখে আস্তে আস্তে বাম দিকে ঢলে পড়ল। তার সামনে আরাে দুজন রক্ত মাখা ছেলে দাঁড়িয়ে চিৎকার করছে, সার্টের বােতাম বুক পর্যন্ত খােলা, চিৎকার করে কী বলছে বােঝা যাচ্ছে না।

“রাজু! রাজু!”

রাজু ঘুরে তাকালাে, চৈতী চিৎকার করে তাকে ডাকছে। রাজু তখন উঠে দাঁড়ালাে, তাকে এখন চলে যেতে হবে এখান থেকে। মাঠে যারা ক্রিকেট খেলছিলাে তারাও দৌড়তে শুরু করছে। দূরে কোথাও আবার একটা বােমা ফাটার শব্দ হলাে- চিৎকার শােনা যাচ্ছে অনেক মানুষের। চৈতী তার হাত ধরে টেনে নিতে নিতে বলল, “তুই, ওখানে বসে ছিলি কেন? উঠে আসলি না কেন?”

 


সাইমুম সিরিজ - ৪ : পামিরের আর্তনাদ

বরফ মোড়া পামির উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তানের পাথুরে
মালভূমি, আগুন ঝরা মরুমাঠ
আর আমুদরিয়া শির দরিয়ার স্বচ্ছ নীল পানি
সবটা জুড়ে প্রচন্ড একটা ঝড়-----
ফ্র-এর অশুর শক্তির সাথে সাইমুমের বিশ্বাস-শক্তির এক রক্তক্ষয়ীসংঘাত।
এ সংঘাতের পরিণতি কি?
আয়েশা আলিয়েভা কি হারিয়েই গেল? তাসখন্দে রোকাইয়েভা,
মস্কোতে ফাতিমা ফারহানা কি করছে?-----
আহমদ মুসা, হাসান তারিকরা
এক অসম্ভব মিশনে হাত দিয়েছ।
এ মিশন কি সফল হবে?
মানুষ যেখানে আবার হাসবে?
বুক ভরে নিতে পারবে স্বস্তির নিশ্বাস?
এসব প্রশ্নের জবাব নিয়ে আসছে সাইমুম সিরিজের।
পরবর্তী বই 


তিন গোয়েন্দা ভলিউম-২৪

সূচীপত্র
* অপারেশন কক্সবাজার
* মায়া নেকড়ে
* প্রেতাত্মার প্রতিশোধ


স্পাই

বোয়িং ৭৮৭ চেপে মঙ্গোলিয়া যাচ্ছিল রনি ও সজীব। ত্রিশ হাজার ফুট উচ্চতায় হঠাৎ উড়োযানের ফুয়েলট্যাংক চুঁইয়ে হাইড্রোকার্বন হাওয়া! ফলে যাত্রীদের জান বাঁচাতে জরুরি অবতরণ। একরকম বাধ্য হয়ে উলান বাটরের বদলে জাপানের কানসাই এয়ারপোর্টে হামা দেয় রনিদের বিমান। ওরা মরতে মরতে বেঁচে যায়। ওরা রাতের মতো হোটেল বোনান্জায় ওঠে। সেখানেই আচমকা কিডন্যাপ্ড হয় দুই বাঙালি কিশোর। কানটুপিঅলা একজনÑ নিমকু কেন ওদের তুলে নিয়ে কিরি হোটেলে তুলল ওরা জানে না, রনির কিটব্যাগে সে ঢুকিয়ে দেয় ঝা চকচকে এক ধাতব কৌটো। কেড়ে নেয় ওদের পাসপোর্ট। কৌটোর গায়ে লেবেল- ‘জারবোয়া অয়েল’। দুষ্প্রাপ্য জিনিস, এতে নাকি পাগলামি সারে! হোটেল কিরিতেই আলাপ হয় জাপানি মেয়ে তুসকানা রুশি ওরফে তুবার সাথে। বলল, কিরি মানে কুয়াশা। তোমরা এক দুর্ধর্ষ স্মাগলারের পাল্লায় পড়েছ। এর খবর আমি পত্রিকায় পড়েছি। বানজারা হোটেলে খেতে গিয়ে ইন্ডিয়ান কিশোর আকাশের দেখা মেলে। পাসপোর্ট নেই, তাই ওরা এখন নিমকুর হাতের পুতুল। তার গ্যাং ওদের দিয়ে একের পর এক অপরাধ ঘটাতে থাকে। ক্রমশ ওরা জড়িয়ে যায় গভীর চক্রান্তের জালে। পুলিশে রিপোর্ট করবে! তুবা বলল, উঁহু, পুলিশ ধরে নেবে তোমরা নিমকুর গুপ্তচর। সোজা জেলে ঢুকিয়ে দেবে! তাহলে উপায়? হঠাৎ মধ্যরাতে কিরি হোটেলে রেইড দেয় কানসাই পুলিশ। কিন্তু তার আগেই নিমকু ও তার সাগরেদ জারবোয়া তেলের কৌটোসমেত হাওয়া। তারপর .....?


জাপানের রূপকথা

সে বলল, “কোজিরাে, তুমি যদি স্বর্গে থাকতে চাও, তবে তােমাকে আমাদের মতাে হয়ে যেতে হবে। আমি তােমাকে তিনটি কাজ করতে | দেব। যদি তুমি সেই তিনটি কাজই করে দিতে পার, তবেই তুমি পারবে আমার মেয়ের কাছে স্বর্গে থাকতে চিরদিন। তােমার সামনেই পাহাড় দেখতে পাচ্ছ। পাহাড়গুলাে গাছ আর ঘাসের জঙ্গলে ছেয়ে গেছে। কাল সকালে তােমাকে ওই সমস্ত গাছ আর ঘাস কেটে পরিষ্কার করতে হবে। রানি-তারা এই বলে বিদায় নিল।

পরের দিন সকালবেলা কোজিরাে গেল পাহাড়ে। তানাবাতা সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছিল। তার হাতে ছিল একটা জাদু-পাখা। সে মিষ্টি সুরে বলল, “তুমি এত কাজ করতে পারবে না। আমি তােমাকে সাহায্য করব। সে তার হাতের পাখাটি মেলে ধরল। হাওয়া করতে লাগল। মুহূর্তের মধ্যে পাখাটির ভেতর থেকে বারােটি শাদা ইদুর বেরিয়ে এল। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা পাহাড়ের সমস্ত গাছপালা, ঘাস উপড়ে ফেলল তাদের ধারালাে দাঁত দিয়ে।

 


তিন গোয়েন্দা ভলিউম-২/২

হ্যালো কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বীচ থেকে ।জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলিসে,প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জান না, তাদের বলছি, আমরা তিনি বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি,নাম তিন গোয়েন্দা।
আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে । দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরশ আমেরিকান ,রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা লক্কড়ের জঞ্জালের নীচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেড কোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি, এসো না , চলে এসো আমাদের দলে।


মাসুদ রানা : টেরোরিস্ট (৪১৪)

মানুষরূপী পিশাচ বলতে যা বোঝায়, ডেমিয়েন কেইন ঠিক তা-ই। পেশাদার টেরোরিস্ট সে, ইণ্টারপোলের অন্যতম মোস্ট ওয়াণ্টেড আসামী-আটটা বিমান ছিনতাই করেছে গত এক দশকে, বোমা মেরেছে এক ডজনের বেশি জায়গায়, খুন করেছে অগিনত মানুষ। ফ্লোরিডায় ধরা পড়ল সে। হাতকড়া পরিয়ে যাত্রীবাহী এক বিমানে করে বিচারের জন লস অ্যাঞ্জেলেসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাকে। কিন্তু এত সহতে হার মানার পাত্র নয়। কেইন। ছদ্ম-পরিচয়ে ওর-সঙ্গীসাথীরা উঠেছে একই বিমানে । যথাসময়ে আত্নপ্রকাশ করল তারা, হাইজ্যাক করল বিমান। এখন উপায়? ওফফো, পাঠক, আপনারদেরকে বলতে ভুলে গেছি,উল্লেখযোগ্য আরেকজন যাত্রী আছে এ-বিমানে। দুর্ধর্ষ এক বাঙালি যুবক -তার নাম মাসুদ রানা হাইজ্যাক করেছে কেইন!


কিশোর মুসা রবিন

বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে কিশাের পাশা। ফরেস্টভিলে চলেছে। ডক্টর জেরাল্ড ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের বাড়িতে। স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে তার। একমাত্র মেয়ে লিন্ডাকে নিয়ে থাকেন। মেরিচাচীর দূর সম্পর্কের ভাই। সে-হিসেবে কিশােরের আঙ্কেল, আঙ্কেল ফ্র্যাঙ্ক। অনেক ছােটবেলায় একবার চাচীর সঙ্গে সে-বাড়িতে গিয়েছিল কিশাের। তারপর চলেছে আজ এত বছর পর। বাড়িটার কথা স্পষ্ট মনে আছে তার। পুরানাে আমলের, বিশাল প্রাসাদের মতাে বাড়ি। লম্বা হলওয়ে। অনেকগুলাে ঘর। তাতে পুরু হয়ে ধুলাে জমে থাকা পুরানাে ধাঁচের বড় বড় চেয়ার, কাউচ।

মনে আছে আঙ্কেলের ল্যাবরেটরিতে রাসায়নিক তরলে ক্রমাগত বুদবুদ উঠতে থাকা বীকার, নানা রকম পেঁচানাে নলওয়ালা কাচের যন্ত্র, জট পাকানাে রাশি রাশি বৈদ্যুতিক তার, তাকে তাকে অজস্র কাচের টিউব, আরও কত রকম যন্ত্রপাতি।

 


তিন গোয়েন্দা ভলিউম-৩/১

হ্যালো কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বীচ থেকে ।জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলিসে,প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জান না, তাদের বলছি, আমরা তিনি বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি,নাম তিন গোয়েন্দা।
আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে । দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরশ আমেরিকান ,রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা লক্কড়ের জঞ্জালের নীচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেড কোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি, এসো না , চলে এসো আমাদের দলে।


ছায়ালীন

কিছু বলার আছে। অতি সাধারণ ঘটনা সেটা শুনেই সবাই হেসে কুটি কুটি হয়। গরমের ছুটিতে মৌসুমী নামের মেয়েটিরই শুধুমাত্র সত্যিকার অর্থে বলার মতাে একটি ঘটনা রয়েছে। তার দূর সম্পর্কের এক চাচা বেড়াতে এসে সবাইকে নিয়ে চক্রে বসে মৃত আত্মাদের ডেকে এনেছিলেন। চক্রে বসা মানুষদের ওপর আশ্রয় নিয়ে মৃত আত্মারা কথা বার্তা বলেছে, মৌসুমীর নিজের চোখে দেখা ঘটনা অবিশ্বাস করার উপায় নেই। ঘনিষ্ঠ বান্ধবীদের আড্ডায় গল্পটি এর মাঝে অনেক বার শােনা হয়ে গেছে এবং আজ রাতে ঠিক যখন আড্ডা ভাঙ্গার সময় এসেছে তখন নীতু এই চক্রে বসার প্রস্তাবটি করেছে। শাহানা দুর্বলভাবে একটু আপত্তি করল, বলল, “কিন্তু কীভাবে চক্রে বসতে হয় আমরা তাে জানি না।”

নীতু বলল, “কে বলেছে জানি না? মৌসুমী আমাদের বলল না?”