Categories


বোকা গোয়েন্দা জিনের বাদশা রহস্য

গোয়েন্দারা সাধারণত চালাক হয়। কিন্তু টুকনের মামা মাসুদ এই দুনিয়ার সবচেয়ে বোকা লোক- সবার তাই ধারণা। নিজেকে তিনি মাসুদ রানা বলে দাবি করেন এবং হাস্যকর কাণ্ড কারখানা ঘটাতে থাকেন। এবার টুকন আর তার মামা বেরিয়ে পড়ল রংপুরের উদ্দেশে। তারা যাবে বেগম রোকেয়ার বাড়ি দেখতে। মাসুদ মামা অবশ্য ভাবলেন, এটা তাদের কোনো এক বোনের বাড়ি, রোকেয়াবুর বাড়ি। রংপুরে গিয়েই তারা পড়ে গেলেন জিনের বাদশার খপ্পরে। একটার পর একটা বিপদ ঘটতে লাগল।


ছোটদের উপদেশমূলক গল্প শেয়াল ও বক

একবার এক বনে একটি নিষ্ঠুর শেয়াল বাস করতাে। একদিন আহার করার সময় একটি হাড় তার গলায় আটকে গেলাে। সে প্রচণ্ড ব্যথায় কঁকিয়ে উঠলাে। তাই, সে এই বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য অন্য পশুদের সাহায্য লাভের চেষ্টা করলাে। কিন্তু তার নিষ্ঠুর স্বভাবের জন্য কেউ তাকে বিশ্বাস করলাে না। এমন সময় তার এক বকের কথা মনে পড়লাে। সে তার নিকটে এক হ্রদে বাস করতাে।


বিশ্বের সেরা সত্যি রোমাঞ্চ গল্প

দক্ষিণ-পশ্চিম কলােরাডাের লা প্লাটা পর্বতমালা চোখ ধাঁধানাে সাদা বরফে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। হু হু করে বইছে বাতাস। বেসি জি’র স্বর্ণখনির প্রবেশ দ্বারের বাইরে কাজ করছিলেন ওরা দু’জন। প্রবল ঠান্ডা হাওয়া যেন কামড় বসাচ্ছিল। একমনে কাজ করে যাচ্ছিলেন দু'জনে। কল্পনাও করতে পারেন নি কি দুর্ভোগ রয়েছে কপালে। হঠাৎ দেখতে দেখতে গর্জাতে শুরু করল বাতাস, প্রচন্ড বেগে আছড়ে পড়তে লাগলাে ওদের গায়ে। কিন্তু ওরা তখনাে জানেন না সামনে কি ভয়াবহ বিপদ ওঁৎ পেতে আছে।

 


সেরা কিশোর গল্প

দুটি বাড়ির মধ্যে সরু একটি গলি। সেখানে দেখা হল দুবাড়ির দুটি মেয়ের। বাড়ির ময়লা পানি জমে ছােট একটা ডােবার মতাে হয়েছে গলিটায়। একটা মেয়ে খুবই ছােট, আর আরেকটি একটু বড়। দুজনার মা-ই বেশ নতুন জামা-কাপড় পরিয়ে দিয়েছে তাদের। ছােট মেয়েটির কাপড়ের রঙ নীল, বড়টির হলদে। এ ছাড়া দুজনার মাথায় জড়ানাে লাল রুমাল। এইমাত্র তারা গির্জা থেকে ফিরেছে। প্রথমে একে অপরকে তারা নিজের জামা-কাপড় দেখাল, তারপর শুরু করল খেলতে। একটু পরেই তাদের ইচ্ছে হল পানি ছিটাছিটি করবে। ছােটমেয়েটি তাে জামা কাপড় আর জুতাে পরেই নেমে যাচ্ছিল, তাকে থামাল বড়মেয়েটি। সে বলল, অমন করে পানিতে নেমাে না মালাশা, তােমার মা রাগ করবেন। আমি আমার জুতে-মােজা খুলে রাখছি, তােমারটাও তুমি খুলে ফ্যালাে।


গিগাবাইট দৈত্য

এটি ভবিষ্যতের গল্প। এক শতাব্দী পরের গল্প। বিভিন্ন দেশবাসীর মধ্যে সহযােগিতার ধারণাটি উত্তীর্ণ হয়েছে বিভিন্ন গ্রহবাসীর মধ্যে সহযােগিতার পর্যায়ে! ‘গ্লোবালাইজেশন’-এর মতাে এখনকার ধারণা ‘ইউনিভার্সালাইজেশন’! বর্তমানে অফিসে মানুষ-এলিয়েন যেমন একসঙ্গে কাজ করছে; তেমনি ক্লাসরুমে মানুষ-এলিয়েন একসঙ্গে ক্লাস করছে। মানুষ স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে চলে যায় অন্য গ্রহে; আবার ভিনগ্রহ থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য পৃথিবীতে আসে এলিয়েনরা। লেটুস মামার সঙ্গে যে দুজন এলিয়েন পড়ে, তারা মূলত জমজ ভাই। মামার আসল নাম ‘লেটুস' না; ক্লাসে লেট করে আসতে আসতে এই সুন্দর নামটি তিনি পেয়েছেন!


হ্যান্স এন্ডারসনের সেরা রূপকথা

সারা দেশ কী অপরূপ মনে হচ্ছে! গরমের সময় গমের ক্ষেত হলুদবর্ণ হয়ে আছে, জইক্ষেত সব বুজ; শুকনাে খড়কুটো মাঠের মধ্যে জড় করে রাখা হয়েছে, বকগুলাে লম্বা লম্বা ঠ্যাং নিয়ে ঠুকঠুক করে হেঁটে বেড়াচ্ছে আর কথা বলছে মিশরি ভাষায় মা'র কাছ থেকে তারা এ ভাষাই রপ্ত করেছে কিনা তাই। সামনের মাঠ আর ক্ষেতের একদিক দিয়ে সবুজ বনানীর সারি চলে গেছে দিগন্ত ছুঁয়ে; ওই বনের মধ্যে এক গভীর স্বচ্ছ সরােবর ! সত্যিই, চারদিকে কী অপরূপ শােভা! অনেক পুরনাে একটা বাড়ি, সূর্যালােকে বড় চমৎকার দেখাচ্ছে; বাড়িটার চারদিক ঘিরে খাল চলে গেছে। প্রাচীর থেকে খালের কিনারা পর্যন্ত এক ধরনের বুনাে লতাপাতার গাছ, বার্ডর্ক লতা ভর্তি হয়ে আছে;


ছোটদের প্রিয় ঠাকুরমার ঝুলি

বর্তমান জমিদার খুব ভাল। সেই আশায় দরিদ্র ব্রাহ্মণ আজ কাছারী বাড়িতে এসেছে। একঘর লােক কাছারী ঘরে চিৎকার করে কথা বলছে, কৌতুহলী হয়ে দরিদ্র ব্রাহ্মণ কাছারী ঘরের সামনে গেল, শুনতে পেল একজন বলছে – নগরের উত্তর প্রান্তে বড় অশ্বথ গাছে নাকি একটা ব্রহ্মদৈত্য বাস করে। দিনের বেলা ব্রহ্মদৈত্যকে দেখা যায় না, তবে রাত্রির অন্ধকারে সেই অশ্বথ গাছ থেকে ব্রহ্মদৈত্য মাঠে নেমে আসেন । অনেকদিন আগে একবার নাকি নগরে এক ব্রাহ্মণ বাজি ধরে রাতের বেলায় সেই অশ্বত্থ গাছের তলায় যায়। ফলে যা হবার তাই হল, বহ্মদৈত্য তাকে গাছের নীচে মেরে ফেলল।


মধ্যরাতের ভূত

অ্যাডাম আর স্যালিকে চিঠি লিখেছেন ক্রিস্টাল খালা। দু ভাইবোনকে তিনি নিজের বাড়িতে বেড়াতে যেতে লিখেছেন। সেই বাড়িতে গিয়ে তো ওরা দু জন অবাক! এ কোথায় এসে পড়ল তারা? এক জন অংক নিয়ে ব্যস্ত তো আরেকজন সার্কাস নিয়ে! রাতের বেলা তো ভূতুড়ে কাণ্ড কারখানার কারণে ঘুমোনোই দায়! ওরা দুজন কি পারবে এই পরিবারকে ভৌতিক অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে?


ছোট্ট রাজপুত্র

কাহিনির রহস্যময়তাই আসলে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। আমিও গল্পটিকে সেভাবেই দেখি একজন সাধারণ পাঠকের মতাে। প্রকৃতি ও পরিবেশ চর্চা আমার নেশা ও পেশা। ছােট্ট রাজপুত্রের কাজকর্ম দেখে সহজেই বুঝতে পারি আপন গ্রহের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সে অত্যন্ত যত্নশীল। তিনটি আগ্নেয়গিরিকে সে ঝলকালি থেকে মুক্ত রাখে, নইলে যে বিপদ ঘটবে তা ভালােই জানে। মানুষ তা করে না বলেই পৃথিবীতে এত অগ্ন্যুৎপাত। এই গ্রহে মহাশূন্য থেকে ভালাে ও মন্দ দু' ধরনের বীজ উড়ে এসে পড়ে, ওগুলি থেকে চারা গজায়। নিরাপত্তার জন্য মন্দ চারাগুলিকে উপড়ে ফেলতে হয়। খুব সতর্ক না হলে গােলাপ ও বাওবাবের চারা আলাদা করা যায় না। বাওবাব অতি ভয়ংকর গাছ, ছােটো গ্রহকে চৌচির করে দিতে পারে। তেমন একটি ছবিও আছে বইয়ে। রাজপুত্রের জীবঞ্জালের এ পর্যায় সহজবােধ্য। সে বলছে পরিবেশ সুরক্ষার কথা, ভালাে-মন্দ রাজনৈতিক ভাবাদর্শের বিপদের কথা। এগুলির পার্থক্য শনাক্ত করতে না পারলে পৃথিবীতে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। বাওবাব যে ফ্যাসিবাদের প্রতীক তা কারাে না-বােঝার কথা নয়, যার বিরুদ্ধে একজুপেরি তখন লড়ছিলেন।

 


গোয়েন্দা গগন : কিশোর রহস্য গল্প

গগন ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না সে আসলে কবি না বিজ্ঞানী। নিজেকে সে বিজ্ঞানী ভাবতেই বেশি পছন্দ করে। সেই অনুযায়ী সে বাসার পিছনে বাবার প্যাকিং বক্সে মােটামুটি একটা ল্যাবরেটরীও বানিয়ে ফেলেছিলাে। কিন্তু সমস্যাটা শুরু হয় তখন যখন সালফার গুড়াে করতে গিয়ে আচমকা আগুন ধরে গিয়ে হাত মুখ পুড়িয়ে ফেললাে গগন, সেদিনই তার ল্যাবরেটরী মা ভেঙে দেন।

 


ছোটদের নানা রকম গল্প

অপূর্বর নাম অপূর্ব। মা বাবা আদর করে ডাকেন অপু। স্কুলের | বন্ধুরা দুষ্টুমি করে বলে অপূর্ব মিত্র। মুসলমান ছেলেদের নামের

শেষে মিত্র হয় না তবুও বন্ধুদের কথায় রাগ করে না অপূর্ব। অপূর্ব মিত্র নামটা ওর খারাপ লাগে না। স্কুলে ওর একটি ভালাে নাম আছে। দশ অক্ষরের লম্বা নাম। নামটা খুব অপছন্দ অপুর । কেউ নাম জিজ্ঞেস করলে লম্বা নামটা ভুলেও উচ্চারণ করে না সে। প্রথমে বলে, অপু। তারপর অপূর্ব। এ পর্যন্তই। হাজার চেষ্টা করেও পুরাে নামটা অপুর মুখ থেকে কেউ বের করতে পারে না। বেশি বাড়াবাড়ি করলে সে রেগে যায় । অপু ছেলেটা খুব রাগী।

 


মানুষের কাহিনি

মানুষ এখন গ্রামে অথবা শহরে বাস করে। কিন্তু অনেক — অনেকদিন আগে গ্রামও ছিল না, শহরও ছিল না। তখন ছিল বন। গাছপালা বােঝাই ঘন বন। সেই বনে অন্য জীবজানােয়ারের মতােই মানুষও বাস করত। তখন তাদের বাড়িঘর, খেতখামার, পােশাক-আশাক কিছুই ছিল না। ঐ মানুষদের গা ভর্তি লােম ছিল। মাথায় ছিল ঝকড়া লম্বা চুল। তােমরা তাে বানর দেখেছ। শিম্পাঞ্জি, গরিলা, বেবুন, ওরাংওটাং-এর ছবিও হয়ত দেখেছ কেউ কেউ। এদেরকে বলে নরবানর। আদিম মানুষ দেখতে অনেকটা নরবানরদের মতােই ছিল। মানুষও ওদের মতাে ফলমূল ও পাতা খেত। তারা কখনও গাছের ডালে আবার কখনও গাছের নীচে রাত কাটাত।


ওটেন সাহেবে বাংলো

সাহেবের ক্যাম্প পাতা মাঠের মাঝখানে। কতগুলাে অশথ বট বহুদিন এখানে জটল্লা পাকিয়ে আছে, প্রায় ছ-কাঠা জায়গা জুড়ে। একটু দূরে শ্মশান। চোতববাশেখে মড়া পােড়াতে গিয়ে রােদ সহ্য করতে না পারলে অনেকে এখানে এসে দাঁড়ায়। চারদিকে গাছের ছায়া, রােদ সেঁধােয় না। সাহেব পছন্দ করে এখানে আস্তানা পেতেছিলেন। রাত্রে গরমের দিনে ভারি আরাম তাঁবুর বাইরে এসে ইজি চেয়ার পেতে হাওয়া

 


ব্ল্যাক বিউটি

ব্ল্যাক বিউটি। কালো রঙের একটা ছোট্র ঘোড়ার বাচ্চা। মনিবের সযত্ন পরিচর্যায় বেড়ে উঠছে দিনে দিনে। কিন্তু কপালে তার সুখ সইল না। একটু বড় হয়ে উঠতেই লাগিয়ে দেয়া হলো গাড়ি টানার কাজে। কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হলো ভারী কলার, পিঠে জিন, চোখে ঠুলি। কেড়ে নেয়া হলো তার স্বাধীনতা। তবু আপন বৈশিষ্ট্যে ব্ল্যাক বিউটি ঠিকই আর সবার থেকে স্বতন্ত্র হয়ে ওঠে। গৃহপালিত পশু সম্পর্কে পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারে এ উপন্যাসটি।