আমি হাসু। মজা করে কথা বলি শরীরের সাথে। সে কথাই বলব তােমাদের।
একদিন দেখি হাত কথা বলছে না। রাগ করেছে। জানতে চাইলাম কেন রাগ করেছ?
হাত বলে, তুমি আমায় ঠিকমত ধােও না। নখ কাট না। নখে ময়লা থাকে। তাই তােমার সাথে রাগ করেছি।
খারাপ লাগে আমার। হাতকে বলি ঠিকমত নখ কাটব। ময়লা নখ রাখব না। হাত ধুয়ে খাবার খাব। একথা শুনে হাতের রাগ চলে গেল।
ছােটরা ছবি আঁকবে। কিন্তু কীভাবে আঁকবে। কোনাে নিয়ম আছে কি? বড়রা যেভাবে ছবি আঁকে সে ভাবেতাে ছােটরা আঁকতে পারে না। এসব কথা সে সময় শিল্পীরা যেমন ভাবতেন আরাে কেউ কেউ ভেবেছেন। কচি-কাঁচার মেলার পরিচালক—রােকনুজ্জামান খান দাদাভাই বিষয়টা নিয়ে ভাবতে শুরু করলেন। শিল্পীদের সঙ্গে এবং শিশু বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অনেক আলােচনা করলেন। বড়দের ছবি আঁকার, গান শেখার, অভিনয় শেখার স্কুল, কলেজ ও নানা রকম ব্যবস্থা আছে। কিন্তু ছােটদের জন্য, শুধু শিশুকিশােরদের জন্য আলাদাভাবে সে রকম কিছু নেই। বিশেষ করে ছবি আঁকার জন্যে মােটেই | কিছু ছিল না, সেই ভাবনা থেকেই ছােটদের জন্য ছবি-আঁকা ও অন্যান্য শিল্পকর্ম করার। জন্যে স্কুল করলেন। নাম দিলেন শিল্পবিতান,। সময়টা ছিল ১৯৫৯ সাল।
মহাকাশযানে এক ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে ছোট্ট স্কাউট শীপ নিয়ে হাইপার জাম্প নিতে বাধ্য হয় তরুণ বিজ্ঞানী নিও। একমাত্র সঙ্গী ছোট্ট রোবট পিপি। দীর্ঘ হাইপার জাম্প শেষে অবতরণ করে সম্পূর্ণ অপরিচিত কিন্তু অবিশ্বাস্য সুন্দর গ্রহ লিপিলে। কিছু বুঝে উঠার আগেই বন্দী হয় মানুষরূপী লিপিল অধিবাসীদের হাতে। হাত পা বেঁধে নিওকে নিক্ষেপ করা হয় ভয়ঙ্কর প্রাণী গোগোর খাদ্য হিসাবে। লিপিলের প্রচলিত আইন অমান্য করে শেষ মুহূর্তে নিওর সাহায্যে এগিয়ে আ সবুজ চোখ, সোনালী চুল আর মায়াবী চেহারার অপূর্ব সুন্দরী নিহি। আইন ভঙ্গের অপরাধে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় নিহিকে। ভয়ঙ্কর পরিণতি অপেক্ষা করছে তার জন্য।
শেষ পর্যন্ত কি ঘটেছিল নিও আর নিহির ভাগ্যে?
বোয়িং ৭৮৭ চেপে মঙ্গোলিয়া যাচ্ছিল রনি ও সজীব। ত্রিশ হাজার ফুট উচ্চতায় হঠাৎ উড়োযানের ফুয়েলট্যাংক চুঁইয়ে হাইড্রোকার্বন হাওয়া! ফলে যাত্রীদের জান বাঁচাতে জরুরি অবতরণ। একরকম বাধ্য হয়ে উলান বাটরের বদলে জাপানের কানসাই এয়ারপোর্টে হামা দেয় রনিদের বিমান। ওরা মরতে মরতে বেঁচে যায়। ওরা রাতের মতো হোটেল বোনান্জায় ওঠে। সেখানেই আচমকা কিডন্যাপ্ড হয় দুই বাঙালি কিশোর। কানটুপিঅলা একজনÑ নিমকু কেন ওদের তুলে নিয়ে কিরি হোটেলে তুলল ওরা জানে না, রনির কিটব্যাগে সে ঢুকিয়ে দেয় ঝা চকচকে এক ধাতব কৌটো। কেড়ে নেয় ওদের পাসপোর্ট। কৌটোর গায়ে লেবেল- ‘জারবোয়া অয়েল’। দুষ্প্রাপ্য জিনিস, এতে নাকি পাগলামি সারে! হোটেল কিরিতেই আলাপ হয় জাপানি মেয়ে তুসকানা রুশি ওরফে তুবার সাথে। বলল, কিরি মানে কুয়াশা। তোমরা এক দুর্ধর্ষ স্মাগলারের পাল্লায় পড়েছ। এর খবর আমি পত্রিকায় পড়েছি। বানজারা হোটেলে খেতে গিয়ে ইন্ডিয়ান কিশোর আকাশের দেখা মেলে। পাসপোর্ট নেই, তাই ওরা এখন নিমকুর হাতের পুতুল। তার গ্যাং ওদের দিয়ে একের পর এক অপরাধ ঘটাতে থাকে। ক্রমশ ওরা জড়িয়ে যায় গভীর চক্রান্তের জালে। পুলিশে রিপোর্ট করবে! তুবা বলল, উঁহু, পুলিশ ধরে নেবে তোমরা নিমকুর গুপ্তচর। সোজা জেলে ঢুকিয়ে দেবে! তাহলে উপায়? হঠাৎ মধ্যরাতে কিরি হোটেলে রেইড দেয় কানসাই পুলিশ। কিন্তু তার আগেই নিমকু ও তার সাগরেদ জারবোয়া তেলের কৌটোসমেত হাওয়া। তারপর .....?
একটি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই এই বইটি লেখা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় অতিক্রম করে আসা ছাত্রদের গণিত শিক্ষায় যে অসম্পূর্ণতা থেকে যায় তা দূর করে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা গ্রহণের উপযুক্ত জ্ঞান দেয়া এই বইয়ের মূল উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ের গণিতের যে সব বই লিখা হয়েছে তাদের কিছু কিছু ধারণাগত ভুল রয়েছে। একারণে ছাত্রদের মাঝে রয়েছে বিভ্রান্তি, যা মোটেই কাম্য নয়। এই বইয়ে গণিতের ধারণা যথাযথ ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। বইটি গভীর মনযোগ সহকারে পড়লে গণিতের বিভ্রান্তি দূর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গামী ছাত্র ছাড়াও মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকবৃন্দ এই বইটি পড়ে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।
সূচিপত্র
*নেকলেস
*ঘোড়ার পিঠে
*নববর্ষের উপহার
*এগার নম্বর ঘর
*প্রেম
*ম্যাদমজেল ফিকি
*বোঝাপড়া
*একজন যাত্রীর গল্প
*অনুতাপ
* শিল্পী
*প্রতিহিংসা
*বেড নম্বর
*আরদালি
*একটি সুতোর কাহিনী
সে ছিল তাদেরই একজন। এমন অনেক সুন্দরী মেয়ে আছে যারা ভাগ্যের পরিহাসে নীচ কুলে জন্মায়; তাদের টাকা বা উপযুক্ত যৌতুক দেবার ক্ষমতা না থাকায় এমন কোনাে ধনীলােকের সঙ্গে যােগাযােগ হবার কোনাে আশা থাকে না যারা তাদের প্রেমে পড়বে এবং তাদের বিয়ে করবে। সে ছিল সেইসব মেয়েদেরই একজন। তাই তাকে শেষপর্যন্ত লােকশিক্ষা দপ্তরের একজন ছােট কেরানিকে বিয়ে করতে প্রায় বাধ্যই হতে হয়েছিল।
সে খুব শাদাসিধে পােশাক পরত; কারণ স্পষ্ট, দামি জমকালাে পােশাক কেনার ক্ষমতা তার ছিল না। বিয়েটা তার সমানে সমানে হয়নি একথা ভেবে সে মনােকষ্ট পেত সবসময়। মেয়েরা সাধারণত বর্ণ, শ্ৰেণী বা বংশমর্যাদাকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। তারা দেহগত সৌন্দর্য আর সুষমাকে তার বংশমর্যাদার চেয়ে দাম দেয় বেশি। তারা মনে করে সহজাত সৌন্দর্যচেতনা, মার্জিত রুচিবােধ এবং সহনশীলতা আভিজাত্য লাভের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এইসব গুণ যেসব মেয়ের আছে তাদেরকেই তারা অভিজাত সমাজের নামকরা মেয়েদের সমপর্যায়ভুক্ত হিসেবে দেখে। ভােগবিলাসের ওপর মেয়েটির যে একটা সহজাত অধিকার আছে এ বিষয়ে একটা দৃঢ় প্রত্যয় ছিল তার মনে, আর এই প্রত্যয়ের জন্যই সবসময় অসন্তোষজনিত একটা তীব্র ক্ষোভ অনুভব করত সে। তার বাড়ির চারদিকের সামাজিক পরিবেশের জন্য অস্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করত সে।
নাসের মানে নাসের পাশা। আবীরের ছােট মামা। বাবা প্রচুর টাকা রেখে গেছেন। সুতরাং শখের গােয়েন্দা হতে কোনাে বাধা নেই। আরও একটা শখ আছে তার। শখ এবং নেশা। আকাশে ওড়ার। দক্ষ বৈমানিক। প্লেন নিয়ে যখনতখন আকাশে ওড়াল দেয়। দুঃসাহসী এই যুবক মামাটিকে দারুণ পছন্দ অনিকআবীরের। ভীষণ গর্ব।
আবীরের বাবা ইউসুফ সাহেব শিল্পপতি। চিটাগাঙে পতেঙ্গা সমুদ্রবন্দর থেকে সামান্য দূরে সাগরের ধারে তাদের বিশাল প্রাসাদের মত বাড়ি। ব্যক্তিগত জেটি আছে। মােটর বােট আছে। এখানে অনিকেরও খানিকটা পরিচয় দেয়া দরকার। অনিকের বাবা রায়হান সাহেব সরকারী কর্মকর্তা। তিন ভাইবােনের মধ্যে অনিক বড়, মিতু মেজো, ইত ছােট। চিটাগাঙেই পােস্টিং ছিল রায়হান সাহেবের। বছরখানেক হলাে বদলি হয়ে খুলনা চলে গেছেন। বাবা-মা'র সঙ্গেই গেছে ইতু-মিতু। কিন্তু অনিকের হয়ে গেছে সমস্যা। স্কুল বদলানাে যেমন-তেমন, বাের্ড বদলালে বিরাট ঝামেলা। তাই চিটাগাঙেই থেকে যেতে বাধ্য হয়েছে সে। থাকার ব্যবস্থা হয়েছে হােস্টেলেই। কিন্তু অতিরিক্ত বন্ধুতুর সুবাদে বেশির ভাগ সময় আবীরদের বাড়িতেই কাটায় সে। আবীরদের বাড়িটা তার নিজের বাড়ির মতই হয়ে গেছে।
আজকেও সে বাইরে তাকিয়েছিল, ঘুরে ফিরে বারবার তার সহঅভিযাত্রীদের কথা মনে পড়ছে। তাদের দলপতি শ্রুরা, ইঞ্জিনীয়ার কিরি, তাদের জীববিজ্ঞানী। ইলিনা নেভিগেটর থুল- আরাে কতজন। যখন ওয়ার্মহােলের প্রবল আকর্ষণে মহাকাশযানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরপাক খেতে খেতে অতল গহ্বরে হারিয়ে যেতে শুরু করেছিল, কী পাগলের মতই না তারা মহাকাশযানটিকে বাঁচানাের চেষ্টা করেছিল ! শেষ রক্ষা করতে পারে নি, প্রচণ্ড বিস্ফোরণে একটা অংশ ছিটকে বের হয়ে গিয়েছিল, আর ঠিক তখন মহাকাশযানের মূল কম্পিউটার মহাকাশযানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোন ভাবে প্রবল আকর্ষণের কেন্দ্র থেকে বের হয়ে এসেছিল। ত্রাতিনা ছিটকে পড়েছিল কন্ট্রোল প্যানেলে, সেখান থেকে মেঝেতে। যখন জ্ঞান হয়েছে নিজেকে আবিষ্কার করেছে একটি ধ্বংসস্তুপে। ইমার্জেন্সী আলাে নিয়ে মহাকাশযানে ঘুরে ঘুরে সে তার সহঅভিযাত্রীদের মৃতদেহ আবিষ্কার করেছে। বিশাল একটা অংশ উড়ে বের হয়ে গেছে, সেখানে যারা ছিল তাদেরকে আর কখনাে খুঁজে পাওয়া যায় নি। অন্যদের মৃতদেহ সে গভীর ভালবাসায় স্টেনলেস স্টীলের ক্যাপসুলে ভরে মহাকাশে ভাসিয়ে দিয়েছে।
রংপুরে গুপ্তপাড়ায় যে বাড়িটায় আমরা ভাড়া থাকতাম, সেখানে আশ্রিতা হিসেবে থাকতেন বু। বকসাদা চুল। মুখের রেখায় বয়সের আঁকিবুকি। বেশির ভাগ দাতই নেই। ফোকলা দাঁতে হাসলে বুকে শিশুর মতাে লাগত।
বু দিনমান ভিক্ষা করতেন, রাতে এসে আমাদের ওই বাসাটায় থাকতেন। বাসাটায় আমরা সাত-আটজন শিশু। সবাইকে কী যে ভীষণ আদর করতেন! তখন চার আনায় হজমি মিলত। আট আনায় সন্দেশ কিংবা টুংটুং ঘণ্টা বাজিয়ে বাক্সগাড়ি ঠেলে নিয়ে চলা দোকানের আইসক্রিম। কতবার বুর কাছে আবদার করে টাকা নিয়েছি। | দশ পয়সা-পাঁচ পয়সার চল তখনাে উঠে যায়নি। ভিক্ষে হিসেবে সেসবই দিত লােকে। তখন বুঝিনি, আজ ভাবি, এক টাকার সমান ভিক্ষে পেতেই ওই বুড়াে শরীর নিয়ে কত হাঁটতে হতাে বুকে।
তবে আমরা একটু আবদার করলেই বুলুকোনাে জর্দার কৌটো থেকে বের করে দিতেন সিকি-আধুলি। কখনাে যে কিপ্টেমি করেননি, তা-ও নয়। বু লুকিয়ে লুকিয়ে টাকা জমাতেন, আমরা জানতাম।
সূচিপত্র
*অসীম রাশি ও অসীম ধারা
*পাই সিরিজ
*ই সিরিজ আরও কিছু মজার সিরিজ
*এক নজরে আরও কিছু সিরিজ
*সহজ প্রমাণ
*প্রমাণগুলো ততটা সহজ নয়
*প্রমাণগুলো মোটেও সহজ নয়
*প্রাথমিক ত্রিকোণমিতি
*প্রাথমিক সিরিজ
*প্রাথমিক ক্যালকুলাস
গুডুবুড়া খায় না, দায় না। গুডুবুড়ার শরীরটা তাই শুকনাে পাটকাঠি। সেই পাটকাঠির ওপরে বসানাে গােল মাথাটা। দেখতে লাগে একটা চাবির মতাে। একটা লােহার দণ্ড, ওপরে একটা গােল। কিংবা বাচ্চারা মানুষের ছবি আঁকলে যে রকম আকার দেয়, একটা খাড়া রেখা, তার ওপরে একটা গােল্লা, গুডুবুড়া দেখতে সেই রকমই। তবে যেহেতু সে শার্ট পরে, প্যান্ট পরে, তাকে দেখায় কাকতাড়ুয়ার মতাে। মানে একটা বাঁশের কঞ্চি খাড়া করে পোতা, তার বুক বরাবর আরেকটা কঞ্চি আড়াআড়ি বাঁধা, তার ওপরে একটা হাঁড়ি। আর ওই কঞ্চির গায়ে জামাকাপড় পরানাে।
গুডুবুড়া কিছুই খেতে চায় না।
মা বলেন, বাবা, একটু ভাত খাও।
মা, আমার খিদে নেই মা। আমি কিছুই খাব না।
মা বলেন, বাবা, সকালবেলা স্কুলে যাবি, একটু নাশতা খেয়ে যা।
গুডুবুড়া বলে, মা, আমার নাশতা খেতে ইচ্ছা করছে না।
মা তাকে টিফিন দিয়ে দেন। ক্লাস থ্রিতে পড়ে গুডুবুড়া। ছােটবেলায় তবু কিছুটা খাওয়াদাওয়া করেছে। গত দুই বছর খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়েছে বললেই চলে। ক্লাস টু থেকে থ্রিতে ওঠার সময় রেজাল্ট ছিল ভয়াবহ।