Categories


ষড়যন্ত্র

তরুণ চিত্রশিল্পী তৌফিক সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল নিজের কাজে। পথে হঠাৎ সংঘর্ষ ঘটল একটি গাড়ির সাথে। ড্রাইভারের সাথে ঝগড়া করতে গিয়েও করা হয়ে উঠল না তার কারণ ড্রাইভারের আসনে বসে আছে অনিন্দ্য এক সুন্দরী! জোশী, ধনী বাবার একমাত্র মেয়ে। তার পিছু নিতে গিয়ে ঘটনাচক্রে জোশীর বডিগার্ডের চাকরি পেয়ে গেল তৌফিক। এদিকে জোশীকে কিডন্যপ করতে উঠে পড়ে লেগেছে কুখ্যাত শিল্পপতি বাবর সোবহানের দল। তৌফিক কি পারবে জৌশীকে কিডন্যাপদের হাত থেকে রক্ষা করতে? জোশী কি পারবে তৌফিকের আসল পরিচয় জানতে? তারা দুজন কি পারবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে?


রাজার কুমার নিনিত

এখন আমাদের বাসার অবস্থা খুব ভালো। আমি নিষাদ ভাইয়ার সঙ্গে খেলা করি। বাবা-মা যখন বাসায় থাকেন তখন খালা ‘রাজার কুমার’ ‘রাজার কুমার’ বলে অনেক আদর করে।
বাবা-মা যখন বাসায় থাকে না তখন খালা আমাকে আদর না করলেও আগের মতো ভেজা ডায়াপারে ফেলে রাখে না। কারণ আমি খালা আমাকে দেখতে না পায় এমন অবস্থায় বলি, এই বড়ি। রাজার কুমারের ডায়াপার বদলে দে।

খালা বলে, অবশ্যই অবশ্যই। এখনই বদলাইতেছি।

দেখলেন আমার কত বুদ্ধি?

রাজার কুমারদের অনেক বুদ্ধি থাকতে হয়।


জারুল চৌধুরীর মানিকজোড়

বাসায় ঢােকার আগেই বুঝতে পারলাম আজকে আমার কপালে দুঃখ আছে। ছােটখাট দুঃখ নয়, বড়ােসড়াে ডাবল সাইজের দুঃখ। বাইরে দড়িতে একটা লুঙ্গি ঝুলছে, তার মানে বাবা এসেছেন। শিউলী গাছের একটা ডাল আজকে আমার পিঠে ভাঙা হলে; বাসার এত কাছে শিউলী গাছ থাকার কোন অর্থই হয় না। সারা বছরে মাসখানেক তিন-চারটা ফুল দিয়েই তার কাজ শেষ, লাভের মাঝে লাভ বাবা যখন খুশি তখন পেটানাের জন্যে সেখান থেকে একটা ডাল ভেঙে আনতে পারেন। 

আমি ভয়ে ভয়ে ভিতরে ঢুকলাম। মনে খুব একটা দুর্বল আশা, দড়িতে যে লুঙ্গিটা কুলছে সেটা বাবার না, অন্য কারাে! গ্রামের বাড়ি থেকে কেউ বেড়াতে এসেছে, কারাে বিয়ে কিংবা অসুখ, জমি নিয়ে মামলা করতে এসেছে বা সে রকম একটা কিছু। ভিতরে ঢুকতেই আমার আশা ফাটা বেলুনের মত চুপসে গেল। শুনতে পেলাম বাথরুমে বাবা ঘড়ঘড় শব্দ করে জিব পরিষ্কার করছেন। জিব পরিষ্কার করার এই ব্যাপারটা আমি বাবা ছাড়া আর কাউকে কখনাে করতে দেখিনি।

প্রথমে একটা চিকন বাঁশের চাছ দিয়ে জিবটা চেঁছে ফেলেন। তারপরে শােল মাছ ধরার মত নিজের জিবটা ধরার চেষ্টা করতে থাকেন, সেটা বারবার পিছলে যায়, তবু তিনি হাল ছাড়েন না। একবার ধরার পর সেটা নানাভাবে কচলাতে থাকেন, ঘষতে থাকেন, রগড়াতে থাকেন, তখন একই সা? তার গলা থেকে এক রকম ঘড়ঘড় শব্দ বের হতে থাকে। শুনলে মনে হবে কেউ বুঝি তাকে জবাই করে ফেলার চেষ্টা করছে। পুরাে ব্যাপারটাই একটা খুব খারাপ দৃশ্য, দেখার মত কিছু নয়। মাসে এক-দুইবার যখন বাবা আসেন তখন আমাদের প্রত্যেক বেলা সেই।

 


সায়েন্স ফিকশান সমগ্র ২য় খণ্ড

সুহান শুয়ে শুয়ে দূরে তাকিয়ে থাকে। বহুদূরে নীল পাহাড়ের সারি। ওই পাহাড়গুলাের | কোনাে কোনােটা আগ্নেয়গিরি। সময় সময় ভয়ঙ্কর গর্জন করে অগ্ন্যুৎপাত হয়। মাটি থরথর করে

কঁপে, আকাশ কালাে হয়ে যায় বিষাক্ত ধোয়ায়, গলিত লাভা বের হয়ে আসে ক্রুদ্ধ নিশাচর | প্রাণীদের মতাে। এখন পাহাড়গুলাে স্থির হয়ে আছে। ট্ৰিনি বলেছে, পৃথিবীর পাহাড় হলে ওই পাহাড়ের চূড়ায় শুভ্র তুষার থাকত। এটা পৃথিবী নয়, তাই দূর পাহাড়ের চূড়ায় কোনাে শুভ্র তুষার নেই। এই গ্রহটি পৃথিবীর মতাে নয় কিন্তু এটাই সুহানের পৃথিবী, সুহানের গ্রহ। তার নিজের গ্রহ। যে গ্রহে ট্ৰিনি তাকে বুকে আগলে বড় করেছে। সুহান দীর্ঘ সময় দূর পাহাড়ের | দিকে তাকিয়ে থেকে থেকে এক সময় ক্লান্ত হয়ে চোখ বন্ধ করল। আজকাল হঠাৎ হঠাৎ তার বুকের মাঝে বিচিত্র এক অনুভূতি হয়। সে এই অনুভূতির অর্থ জানে না। কাউকে সে এই অনুভূতির কথা বলতে পারবে না। ট্ৰিনি অনুভূতির অর্থ জানে না। ট্ৰিনি একটি রবােট। দ্বিতীয় প্রজাতির রবােট। তার, কপােট্রনে অসংখ্য তথ্য কিন্তু বুকে কোনাে অনুভূতি নেই।

 


কিশোর সমগ্র

আমাদের ক্লাসে মুনির ছেলেটা একটু অদ্ভুত ধরনের। কারাে সঙ্গে কথা বলে না। সব সময় পেছনের বেঞ্চিতে বসে। ক্লাসের সারাটা সময় জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে। স্যার কিছু জিজ্ঞেস করলে চোখ পিটপিট করতে থাকে। তখন তার মুখ দেখে মনে হয়, সে স্যারের একটি কথাও বুঝতে পারছে না। মুনিরের এই স্বভাব স্কুলের সব স্যাররা জানেন। কাজেই কেউ তাকে কিছু জিজ্ঞেস করেন না। শুধু আমাদের অঙ্ক স্যার মাঝে মাঝে ক্ষেপে গিয়ে বলেন, 'কথা বলে না। ঢং ধরেছে। চার নম্বুরী বেত দিয়ে আচ্ছা করে পেটালে ফড়ফড় করে কথা বলবে।

আমাদের স্কুলের কমনরুমে নম্বর দেয়া নানান রকমের বেত আছে। বেত যত চিকন তার নম্বর তত বেশি। চার নশ্বরী বেত খুব চিকন বেত। এক নম্বুরী বেত সবচেয়ে মােটা।

কথায় কথায় বেতের কথা তুললেও অঙ্ক স্যার কখনো বেত হাতে নেন না। কিন্তু একেক দিন মুনিরের উপর অসম্ভব রাগ করেন। যেমন আজ করেছেন। রাগে তাঁর শরীর কাঁপছে। মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে।

 


সাকিব আল হাসান আপন চোখে ভিন্ন চোখে

বইয়ে যা আছে

মুখবন্ধ: হাবিবুল বাশার/দেবব্রতর কৈফিয়ত/

সাকিবের সাকিব/
আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখি: ২০০৯/
এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে: ২০১১/
নিজেকে হারাতে চাই না: ২০১৪/
তাহাদের সাকিব/
আমার ফয়সাল আগের মতোই আছে: শিরিন আখতার; সাকিবের মা/
নিজের স্বপ্ন সত্যি করেছে ফয়সাল: মাশরুর রেজা; সাকিবের বাবা/
আমার ভাইয়া লুডুতেও সেরা: জান্নাতুল ফেরদৌস রিতু/
ওকে নিয়ে আমার ভয় নেই: উম্মে আহমেদ শিশির/
আমার আর কিচ্ছু চাওয়ার নেই: সাদ্দাম হোসেন গের্কি/
আমরা ছিলাম চ্যাম্পিয়ন: সৈয়দ তারিক আনাম প্রতীক: সাকিবের বাল্যবন্ধু/
একদিন যেন দেশকে সেরা করতে পারে: সালাউদ্দিন আহমেদ; কোচ/
চ্যাম্পিয়নরা উদ্ধতই হয়: জেমি সিডন্স/
সর্বকালের সেরাদের একজন হতে হবে: মাশরাফি বিন মুর্তজা/
সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার: তামিম ইকবাল/
সাকিবের সঙ্গে এক দলে খেলাটা ভাগ্যের ব্যাপার: মুশফিকুর রহিম/
সাকিবের মূল্যায়ন যথার্থ হয় না: আব্দুর রাজ্জাক/
সে অলরাউন্ডার ক্লাবের যোগ্য সদস্য: জ্যাক ক্যালিস/
সাকিব ভাই আমাদের প্রেরণা: সালমা খাতুন/
আমিও সাবিবের ভক্ত: জাহিদ হোসেন এমিলি/
চাকচিক্যে ভোলেনি সাকিব: নিয়াজ মোরশেদ/
চাপটা সবচেয়ে ভালো সামলাতে পারে: আতহার আলী খান/
বিস্ময়কর কমিটমেন্ট: সঞ্জয় মাঞ্জরেকার/
সাকিবের যত্ন নিতে হবে: ওয়াসিম আকরাম/
বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নেবে: সাকলাইন মুশতাক/
মিডিয়া গেমটা খুব ভালো বোঝে: অ্যান্ডু মিলার/
ভিনু মানকড়ের সঙ্গে তুলনা করতে চাই: শিল্ড বেরি/
আমাদের আন্তর্জতিক পরিচয় সাকিব: আনিসুল হক/
রোজকার দেখা চরিত্র নয় সাকির: উৎপল শুভ্র/
সাকিবের এবং ক্রিকেটের মঙ্গল চাই: মোস্তফা মামুন/
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভুল বোঝো মানুষ: রাবিদ ইমাম/
আমাদের সাকিব/
মাগুরা থোক এভারেস্ট/ (সাকিবের সংক্ষিপ্ত বায়োগ্রাফি)
এক নজরে সাকিব/


লাইলী

“লাইলী” খুব সম্ভবত বাংলাপ ভাষায় প্রথম গ্রাফিক নভেল। অর্থহীন এই বইটির মূল চরিত্র বদরাগী, মারদাঙ্গা, সুন্দরী, চাকরিজীবি রমনী লাইলী। এ গল্পে বলতে গেলে কোনো প্লট নেই। তবে আছে বিভিন্ন উদ্ভট চরিত্র যাদের মনে হবে কোথায় যেন দেখেছি। কারণ এর পটভূমি বর্তমানের ঢাকা। লাইলীর প্রিয় কাজ হচ্ছে ছ্যাঁচড়া রংবাজদের সাইজ করা আর তার বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রেমে পড়া।
এই বইয়ের কুফলঃ এটা পড়ে কিছু বিটলা বুদ্ধি ছাড়া কিছুই শিখতে পারবেন না।
এই বইয়ের সুফলঃ এটা পড়লে ব্লাড প্রেশার বাড়বে না। বার বার ঘুমিয়ে পড়বেন এবং এতে স্বাস্থের উন্নতি হবে।


মহাবিপদে পাঁচ গোয়েন্দা

ডিটেকটিভ ফাইভের মেইলটা খুলেই চমকে উঠল তৌশি। পল্লবীর সাতানব্বই নম্বর রোডের চারশ তিন নম্বর প্লটে যে ছয়তলার বিল্ডিংটা আছে, তার পাঁচতলার বাম দিকের ফ্ল্যাটে একটা খুন হবে-ঠিক সাড়ে তিন ঘন্টা পর! মেইলটা কখন পাঠানো হয়েছে দ্রুত সেটা দেখে নিল তৌশি। এক ঘন্টা পঞ্চাশ মিনিট আগে। দ্রুত একটা হিসেব করে ফেলল সে।.... এক ঘন্টা চল্লিশ মিনিট পর খুন হবে। কপাল কুঁচকে ফেলল তৌশি। মেইলটা আবার পড়তে শুরু করল সে- হ্যালো ডিটেকটিভ ফাইভ, তোমাদের কাউকে কখনো দেখি নি, চিনিও না। তবে নাম শুনেছি তোমাদের। মেইল অ্যাড্রেসটাও কোথায় যেন পেয়েছিলাম, লিখেও রেখেছিলাম ডায়রিতে। এখন থেকে ঠিক সাড়ে তিন ঘন্টা পর, সন্ধ্যার আধাঘন্টা পরই, নিচের ঠিকানায় একটা খুন হবে। এই খুনটা ঠেকাতে গিয়েই তারা পড়ে গেলে বিপদে, তারপর মহাবিপদে!


দুর্জয়-৩ঃ অবাধ্য

দুরজয়ের অরিজন গল্প, কাহিনি তুমুল ক্লাইম্যাক্স থেকে হঠাতই যেন দম নিতে ঘুরে গেল কিছুটা পেছনে। নেভীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার সাইদুল হক নেহাকে দুর্জয়ের ইতিহাস বলা শুরু করেছেন, সমান্তরালে আবার চলছে ঢাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের সাথে দুর্জয়ের শিকার শিকারী খেলা। এদিকে এবারের গল্পে সাইদুল হক দুর্জয়কে নিয়ে গেছেন সেই ১৫ বছর আগে, ওয়ার্ল্ড কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচ এ।নেপালী লড়াকু ক্রিয়ান কাশাকু বনাম দুর্জয়। জমজমাট ম্যাচ- চলছে ধারা বর্ণোনা, আর এদিকে বর্তমানে চলছে নেহাকে মারা সুপারি জারি করা জামাই মিলনের কথা, কী হচ্ছে এবারে?


নাসিরুদ্দিন হোজ্জার ১০০ গল্প

মােল্লা নাসিরুদ্দিন আর তার এক বন্ধু একদিন ঠিক করলেন তাঁরা একটা বাগানে গিয়ে পােলাও রান্না করে খাবেন। হাঁড়িকুড়ি, মাল-মসলা নিয়ে বাগানে গেলেন তাঁরা। বন্ধু বললেন, ভাই নাসিরুদ্দিন, আমি তাে কিছুই পারি না। উনান ধরাতে পারি না, হাঁড়ি চড়াতে জানি না। গাজর কাটতেও পারি না। আমি বরং একটু ঘুমিয়ে নিই। রান্না হলে আমাকে ডেকে তুলল। গরম গরম পােলাও খাওয়া যাবে।

নাসিরুদ্দিন উনান ধরালেন, গাজর কাটলেন, হাঁড়ি চড়ালেন। রান্নাও করলেন একাই। তারপর পেট ভরে পােলাও খেয়ে আচ্ছা করে ঢেকুর তুলতে তুলতে বাসন মাজতে লাগলেন। এমন সময় ঘুম থেকে উঠে চোখ ডলতে ডলতে বন্ধুটি বললেন, নাসিরুদ্দিন, আমাকে না ডেকে গােগ্রাসে একলাই পােলাও গিললে তুমি! অসভ্য, বর্বর, লােভী কোথাকার!'

নাসিরুদ্দিন বললেন, 'কী করব বন্ধু, তুমি তাে কিছুই পারাে না, কিছুই জানাে না। তাই মনে হলাে পােলাওটাও খেতে জানাে না তুমি। তাই একাই খেলাম রান্না করা পােলাও।'

 


হাইপারসনিক রহস্য

সান্তা মনিকা পর্বতে রহস্যময়ভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল ছোট্ট একটি বিমান। খুনের গন্ধ পেল গোয়েন্দাপ্রধান কিশোর পাশা। দুই সহকারী মুসা আর রবিনকে নিয়ে তদন্তে নামল সে। খুনির গন্ধ শুঁকে শুঁকে, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পৌঁছল গিয়ে নেভাডা মরুভূমিতে। ‘এক্স’,‘ওয়াই’ ও ‘জেড’-এর জটিল রহস্যের সমাধান না করে তারা ছাড়বে না। কিন্তু মরুভূমির আকাশে রাতের বেলা অদ্ভুত ভায়া হয়ে যা ওড়ে, ওটা আসলে কী?


দুর্জয়-৫ নরাধম

দুর্জয় এর ইতিহাস জানাচ্ছেন তার বাবার বন্ধু সাইদুল হক। একসময়ের কিকি বক্সিং এ তরুণদের মধ্যে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন দুর্জয়ের কিভাবে এই হাল হল টা বলে যাচ্ছেন তিনি, ঘটোনা এগোচ্ছে খুব দ্রুত। দুর্জয়ের মা রেহানা মনসুর, তাঁর আবিষ্কার করা এন্টি ড্রাগ ফর্মুলা মাথা খারাপকরে দিয়েছে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর আরো অনেক অবৈধ ড্রাগ ব্যবসায়ীর, মায়ের সাথে ঝগড়া করে বের হয়ে আবার বাসায় ফিরে আসছে সদ্য ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন দুর্জপয়, এমন সময় বাসা থেকে অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেল সে, আশপাশ থমথমে, ভেসে আসছে লাউড স্পিকারে ব্যান্ড এর গান- যা তার মা একেবারে পছন্দ করে না। তবে?


সোমোর অভিযান ভবিষ্যতের শত্রু

ডন আর রব- দুই গুপ্তধন শিকারি। ওর বেরিয়েছে সুন্দরবনের গভীরে এক হারিয়ে যাওয়া দুর্গ খুঁজতে । সঙ্গে আছে পাহাড় নামের এক কিশোর মাঝি। দলবলসহ ওদের পিছু নিয়েছে ভয়ংকর জলদুস্যু গোঙ্গা। এদিকে সোমো নামের অবিষ্যৎকালের এক যোদ্ধা টাইম মেশিন ব্যবহার করে সুন্দরবনে এসে পড়েছে। সে এসছে বাঘের রক্ত সংগ্রহ করতে। সোমোর অদ্ভুত সব ক্ষমতা দেখে ডন আর রব চাইছে সোমোর সাহায্য নিয়ে সে দুর্গ খুঁজে বের করতে। কেউই জানে না সোমোর পিছু পিছু কীভাবে বর্তমানকালের মাটিতে নেমে এসেছে কয়েকজন ভবিষ্যতের শত্রু!


সায়েন্স ফিকশান সমগ্র ১ম খণ্ড

সূচিপত্র
*কপোট্রনিক সুখদুঃখ
*মহাকাশে মহাত্রাস
*ক্রুগো
*ট্রুাইটন একটি গ্রহের নাম
*বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার
*ওমিক্রনিক রূপান্তর
*টুকুনজিল
*যারা যায়োবট


গ্রাফিক নভেল-১ : মুজিব (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী অবলম্বনে)

এই বইটির বিষয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক সমকালকে বললেন, গ্রাফিক নভেল সিরিজ 'মুজিব'-এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের সামনে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনকে জানা যাবে। বইটির প্রথম পর্বে খেলাধুলা, পড়াশোনা, ডাক্তারের কাছ থেকে পলায়নের মতো বিভিন্ন ব্যতিক্রমী ও সাহসী কাজের পাশাপাশি তরুণ মুজিবের গ্রামীণ জীবনযাপনের ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। গ্রাফিক জীবনকথার মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে মানুষ এবং দেশের প্রতি তরুণ বয়স থেকেই তার বিশ্বস্ততার অঙ্গীকার। বঙ্গবন্ধু নিজের বিশ্বাসের পক্ষে দাঁড়াতে কখনও কুণ্ঠাবোধ করেননি। তিনি তার বাবার সঙ্গে অনেক ঘনিষ্ঠ ছিলেন, যিনি একজন স্নেহশীল বাবার পাশাপাশি ন্যায়-অন্যায় বোধসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। তার কাছ থেকেই তরুণ মুজিব নিজের কাজের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেছিলেন। গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তার হাত ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। ১৯৬৭ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ অবস্থায় স্ত্রী ও সহযোদ্ধাদের উৎসাহে আত্মজীবনী লেখার কাজে হাত দিয়েছিলেন শেখ মুজিব, যা আর শেষ করা হয়নি। ৪৪ বছর পর তার মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে সেই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই আকারে প্রকাশিত হয়। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কথা বলেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। তিনি বলেন, “আমার জন্ম ১৯৮০ সালের দিকে। আমার নানা, মামা-মামি কাউকে দেখিনি। তবে ছোটবেলা থেকেই মা-এর কাছ থেকে তাঁদের গল্প শুনেছি। আমি মাকে জিজ্ঞাসা করতাম, “তোমরা দুষ্টুমি করলে নানা তোমাদের বকত কি না।” নানার বিষয়ে জানতে মাকে শুধু প্রশ্ন করতাম। বলতাম আরেকটি বলো।” বক্তৃতায় তাঁর ছেলেবেলার স্মৃতিচারণা করে রাদওয়ান বলেন, “মার কাছ থেকে শোনা গল্প স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের বলতাম। কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুকে চিনত না। অনেক টিচার বলত, “বঙ্গবন্ধুর নাম এত বেশি বেশি বোলো না। অনেকে তাঁর নাম শুনলে ঘাবড়ে যায়।” একদিন এক টিচার বলল, “বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু ছিলেন না, ছিলেন বঙ্গশত্রু”। রাদওয়ান বলেন, “আজ এই বইটা হাতে নিয়ে খুব আনন্দ লাগছে। আশা করি সকলেই পছন্দ করবে। নাতি হয়ে নানার জন্য এই ক্ষুদ্র কাজটুকু করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে”। জানা যায়, ‘মুজিব’ নামের গ্রাফিক নভেলটি বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই অবলম্বনে রচিত হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে ১২টি খণ্ডে প্রকাশিত হবে এই গ্রাফিক নভেলটি। এই নভেলের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সময় একটি অ্যানিমেটেড সিনেমাও তৈরি করা হতে পারে। নভেলটিতে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী লেখার প্রেক্ষাপট, জন্ম ও শৈশব, স্কুল ও কলেজের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা।