বিজ্ঞান বললেই আমাদের কারও কারও মনে হয়তো একটা ভয়ের জায়গা তৈরি হয়ে যায় যে, "বিজ্ঞানের বই মানেই প্রচুর সমীকরণ আর গাণিতিক বিশ্লেষণের সংমিশ্রণ থাকবে ।আমি এগুলো গণিত-টণিত একটু কম বুঝি ।এ বিজ্ঞান আমার জন্য নয় ।" তাদেরকে বলছি মূলত আপনার জন্যই মনে হয় প্রখ্যাত লেখক জাফর ইকবাল তার এই বইটিতে কোন গণিত ব্যবহার করেন নি ।বরং তিনি অত্যন্ত সহজ ভাষায় অথচ বিজ্ঞানের প্রকৃত বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ।তবে বইটি পড়ে আপনি বিজ্ঞানের অনেক বিষয়েরই মৌলিক ধারণাটুকু পাবেন ।যা বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে নয় ,বরং প্রতিটি মানুষেরই জানা একান্ত জরুরি বলে মনে করি । আপনি কি খেয়াল করেছেন আমি আগে একটা মিথ্যা কথা বলেছি ?আমি বলেছিলাম যে, এ বইয়ে কোন গণিত নেই ।কিন্তু একটি পরিচ্ছেদে কিন্তু আপনার সাথে গণিতের দেখা মিলবে ,বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের ভাষা-গণিত নামক পরিচ্ছদে ।তবে আপনার হতাস হওয়ার কারণ নেই এটা কোন আহামরি গণিত নয় ।
বাবা সরকারী চাকুরে হবার কারণে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরার অভিজ্ঞতা হয়েছে জাফর ইকবাল এর। সেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পশু এবং পাখি নিয়ে তার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তিনি বনর্না করেছেন এই বইয়ে। তার বিভিন্ন বইয়ে বিভিন্ন পশু চরিত্র এসেছে, সেগুলোর অভিজ্ঞতা যে তিনি এই সব ঘটনা থেকেই পেয়েছেন, তা বলেই দেয়া যায়। তিনি হুমায়ুন আহমেদ এর মত করে ঘটা করে তার ছেলে বেলার স্মৃতি নিয়ে আসেননি, আসলে হুমায়ুন আহমেদই যা বলার বলে দিয়েছেন, বাকি ভাইবোনদের জন্য তেমন কিছু বাকি রাখেননি!! তার এই বইটি পড়ে আমি অনেক সময় আক্ষেপ করেছি, এই পশুগুলোকে যদি আমি পুষতে পারতাম!!
মোল্লা নাসিরুদ্দিন হোজ্জা একজন গল্লবুড়ো । কত হাজার রকমের গল্প যে সে বলেছে তার কোনো শেষ নেই । গল্প বলতে সে ভালােবাসে ৷ গল্প বলে সে মজা পায় ৷ আবার মানুষকে নানা কিছু শিখিয়ে দেয় ৷ তার জন্মভূমি তুরস্ক ৷ তার ঝুলিতে কত শত গল্প যে আছে কেউ তা বলতে পারে না ৷ এখন সে বাংলাদেশে ৷ সে পথশিশু ছেলেমেয়েদের গল্প শোনাতে এসেছে ৷ ঢাকার পথে পথে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে রমনা পার্কের গাছের ছায়ায় বসেছে ৷ ভাবছে, ছেলেমেয়েদের সামনে গল্পের ঝুলি খুলে দেবে ৷ সারা কাি কাজ করে ছেলেমেয়েগুলো ঘুমিয়ে পড়ে ৷
ওর বাবা বলে, চাষাভুষোর ছেলের স্কুলে গিয়ে কি হবে? তারচেয়ে আমার সঙ্গে ধানক্ষেতে নিড়ানি দেবে । অনেক ধান হলে আমরা পেট পুরে ভাত খেতে পারব । ধান বেচে নুন তেল কিনতে পারব, পরনের কাপড় যােগাড় হবে । লেখাপড়া করে আমাদের কি হবে? ধান চাষের জন্য লেখাপড়া লাগে না । বাবা ওকে পড়তে দেয়নি বলে মন খারাপ করেনি সাগর ৷ স্কুলে না যাওয়ার জন্য কেঁদে বুক ভাসায়নি । অন্য ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে দেখে হাসতে হাসতে বাবাকে বলেছে, বাজান ধান ক্ষ্যতেই মোর
নেবুলা তার প্রম্যাণে এই লুকােচুরির কাজটি করেছে ভাষার মারপ্যাচঁ ( !) দিয়ে, যদিও সেটা যে খুব ভালোভাবে করা যায়নি তা খুবই স্পষ্ট । যদি আপনার মনে হয়ে থাকে গণিতে ভাষা ব্যাকরণের জায়গা নেই, তবে আপনি একটা বড় ভুল করবেন, গণিতে ভাষার ব্যবহারের একটা বড় প্রয়োগ আছে, যদিও সেটা এই বইয়ের আলােচ্যের বাইরে ৷ নেবুলার তত্ত্ব ভ্রান্তির একটা দুর্বল উদাহরণ ৷ কিন্তু এমন এমন সব গাণিতিক ভ্রান্তি গঠন করা সম্ভব যাতে ভুল খুঁজে বেড়াতে গলদঘর্ম হয়ে যেতে হতে পারে । তবে এ কথা সত্যি, গণিতের বিষয়ে মৌলিক ধারণাগুলো জানা থাকলে এসব ভ্রান্তি থেকে পার পাওয়াটাও বেশ সহজ । কারণ ভ্রান্তি গুলাে তৈরি করা হয় আমাদের এই জানার ঘাটতিটাকে ব্যবহার করেই । তাই এটাও বলা যায়, গণিত শিক্ষার্থীদের গণিতের মৌলিক ধারণাগুলো সম্পর্কে জানানোর খুব সুজনশীল পদ্ধতিগুলোর একটা হল “ভ্রান্তি”।
মিলি আর টিটন অবাক হয়ে দেখল কটকটি টেলিভশনের ভিতরে ডাকাত দুজনের সাথে মারপিট শুরু করেছে। চিৎকার চেঁচামেচি ধুমধাম শব্দ শুনে কানে তালা লেগে যাবার অবস্থা।
আব্বু আর আম্মু ছুটে এলেন, জিজ্ঞেস করলেন, “কী হয়েছে? কী হয়েছে?”
মিলি বলল, “কটকটি টেলিভশনের ভিতর ঢুকে ডাকাতদের সাথে মারপিট করছে। ডাকাতেরা তাকে আচ্ছা মতোন পেটাচ্ছে।”
আব্বু বললেন, “সর্বনাশ! এখন কী করা যায়?”
টিটন বলল, “চ্যানেল বদলে দিই!”
সে দৌড়ে চ্যানেল বদলে দিতেই সেটা হয়ে গেল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল। সেই চ্যানেলে তখন দেখাচ্ছিল একটা রয়েল বেঙ্গর টাইগার। সেই বাঘটা কটকটিকে দেখে তার ওপর লাফিয়ে পড়ল, কটকটি তখন চিৎকার করে বলল, “ও বাবা গো! খেয়ে ফেলল গো!”
পুতুল একটি এগারো বছরের বালক। সে সমাজের এলিট শ্রেণির একটি পরিবারের সন্তান। জন্ম থেকে হার্টের সমস্যার কারনে তার পিতামাতা তাবে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে। পুতুলের পিতামাতা সারাদিন বাড়ির বাইরে কাজে ব্যাস্ত থাকায় পুতুলকে বেশি সময় দিতে পারে না। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পুতুল বাসা থেকে বের হয়ে হাটতে হাটতে চলে যায় সোহরাওয়ার্দি উদ্যান। সেখা দেখা হয় তার বয়সি ছেলে অন্তুর সাথে। অন্তু এবং তার দুই বছরের ছোটবোন মরিয়ম কমলাপুর রেল স্টেশনে ঘুমায়।
আমাদের ক্লাসে মুনির ছেলেটা একটু অদ্ভুত ধরনের ৷ কারো সঙ্গে কথা বলে না । সব সময় পেছনের বেঞ্চিতে বসে । ক্লাসের সারাটা সময় জানালা দিয়ে বাইরে তাকািয় থাকে । স্যার কিছু জিজ্ঞেস করলে চোখ পিটপিট করতে থাকে ৷ তখন তার মুখ দেখে মনে হয়, সে স্যারের একটি কথাও বুঝতে পারছে না ৷ মুনিরের এই স্বতাব স্কুলের সব স্যাররা জানেনা কাজেই কেউ তাকে কিছু জিজ্ঞেস করেন না ৷ শুধু আমাদের অঙ্ক স্যার মাঝে-মাঝে ক্ষেপে গিয়ে বলেন, ‘কথা বলে না ৷ ঢং ধরেছে।
আজকে টুনটুনি র মেজাজ মোটেও ভালো নাই।কেমন করে ভালো থাকবে অংক পরিক্ষায় আজ সে এত বড় একটো গোল্লা েপেয়েছে...
ছাত্র-ছাত্রীদের উল্লাসিত ও উদ্বেলিত চকচকে চোখ ও মুখোর অপার হাসি ৷ তারই টানে ’আপনার তালে’ নেচে উঠে উপন্যাস হিসেবে লেখার সিন্ধান্ত নিলাম দুখুর জীবনকাব্য । পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার জামুরিয়া থানার চূরুলিয়া গ্রাম থেকে ময়মনসিংহের ত্রিশালের দরিরামপুর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে এ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ৷ দূখুর এই বিচরণভূমি ও সময়কাল ধরে কি বাংলা সাহিত্যে আর কোনো উপন্যাস রচিত হয়েছে? উত্তরে বলা যায় দূখুর শিশুকাল থেকে দরিরামপুর পর্যন্ত সময়কাল ঘিরে আলাদা কোনো উপন্যাসের খোঁজ পাওয়া যায়নি । দরিরামপুর স্কুল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরই বাস্তবে বাল্যবন্ধু শৈলজানন্দের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে উঠেছিলাম পশ্চিমবঙ্গের শিয়ারলোলে।
প্রত্যেক প্রাণীর মত মানুষেরও প্রথম সচেতনতা হলো আত্মরক্ষা । আত্মরক্ষার জন্য যেমন খাদ্য দরকার, তেমনি দরকার বাসস্থান, হিংস্র পশুর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা, ঝড়-বৃষ্টি, ভূমিকম্প, অসুখ-বিসুখ প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা দুর্যোগ মোকাবিলা করে নিজের অস্তিত্ত্ব টিকিয়ে রাখা ৷ এ সবই ইহজাগতিক ব্যাপার ৷ খিদে লাগলে খেতে হবে ৷ কোনো অশরীরি অপ্রাকৃতিক শক্তির কাছে প্রার্থনা করে আহার জুটবে না ৷ নিজেকেই আহার জোগাড় করতে হবে ৷ যে করেই হোক ৷ হিঃস্র মাংসাশী কোনো পশুর আক্রমণ থেকে নিজেকেই আত্মরক্ষা করতে হবে ৷ কোনো দেবদেবী বা ঈশ্বরের কাছে করজােরে প্রার্থনা করে বাঁচা যাবে না।
দুর্ভাগ্যবশত আমাদের এ জগতে আমরা হৃদযের শান্তির দেখা এখনও পাই নি, এমনকী অনুভবও করতে পারি । কিন্তু কেন ? কারণ, সূক্ষ্মভাবে অথবা সংক্ষিপ্তভাবে বলতে গেলে আমরা অনুভব করার চেষ্টা করেছি উজ্জ্বল ও দীপ্তিশীল মনের দ্বারা । যতক্ষণ আমরা আমাদের মনের মাধ্যমে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করবো, দুঃখজনকভাবে আমরা শুধুই অকৃতকার্য হবো। আমারা তখনই কৃতকার্য হবো যখন আমরা আমাদের হৃদয়ের ক্ষমতার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্ঠা করতে পারব।
আম্মু রান্নাঘরে রান্না করছেন। গরম তেলের মাঝে মাত্র ইলিশ মাছের টুকরো দিয়েছেন তখন ঝিলমিল এসেছে রান্নাঘরে। আম্মুকে ডেকে বলল, “আম্মু, তুমি কীকরছ?” আম্মু বললেন, “ইলিশ মাছ ভাজা করছি।” ঝিলমিল বলল, “ আমি কি তোমার সাথে ইলিশ মাছ ভাজ করতে পারি?”
We wish to acknowledge the significant number of government agencies, NGOs, other organizations, and individuals who work tirelessly every day in tobacco control. Without their enthusiasm and dedication to the issues of tobacco control and poverty reduction, the types of networks described in this guide would not exist. In particular, we thank our partners who shared their many experiences and lessons learned with us as this guide was produced. The contributors to this guide include: Joy Alampay, Southeast Asia Tobacco Control Alliance Jacqui Drope, American Cancer Society Prakash Gupta, Healis ‐ Sekhsaria Institute for Public Health (India) Le Viet Hoa, HealthBridge (Vietnam) Maïga Djibo Ibrahim, SOS Tabagisme‐Niger Paula Johns, Aliança de Controle do Tabagismo (ACT) (Brazil) Mirta A. Molinari, International Union Against Tuberculosis and Lung Disease (The Union) Shanta Lall Mulmi, Resource Center for Primary Health Care (RECPHEC) (Nepal) Md. Rashedujjaman Shamim, WBB Trust (Bangladesh) Yvona Tous, Framework Convention Alliance
সাধারণ পাঠক, চলচ্চিত্রে নবীন উৎসাহীদের জন্য এই রুপরেখা এই বইটি। ভারতবর্ষের মত বহুভাষী দেশেচলচ্চিত্র, সবাক চলচ্চিত্রও বহুভাষী। হিনি, বাংলা, তামিল-তেলেগু, মালয়ালম-কন্নড়, অসমীয়, ওড়িয়া, আরও অন্যান্য ভাষার চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে। ভাষার বৈচিত্রের পাশাপাশি আছে ধরণের বৈচিত্র।
লেখক হূমায়ুন আহমেদ, ”তোমাদের জন্য রুপকথা” বইটিতে শিশুদের জন্য রুপকথাগল্প সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। যা শিশুদের দৃষ্টি আর্কষন করবে। বইটিতে যে গল্পগুলো রয়েছে তা হল:-
১.কানী ডাইনী
২.রানী কলাবতী
৩.বোকা দৈত্য
৪.মিতুর অসুখ
৫.আলাউদ্দিনের চেরাগ
৬.বনের রাজা
৭.হলুদ পরী
প্রথম যুগের উদয়দিগঙ্গনে
প্রথম দিনের উষা নেমে এল যবে
প্রকাশপিয়াসি ধরিত্রী বনে বনে
শুধায়ে ফিরিল সুর খুঁজে পাবে কবে॥
এসো এসো সেই নবসৃষ্টির কবি
নবজাগরণযুগপ্রভাতের রবি –
গান এনেছিলে নব ছন্দের তালে
তরুণী উষার শিশিরস্নানের কালে
আলো-আঁধারের আনন্দবিপ্লবে॥
সে গান আজিও নানা রাগরাগিণীতে
শুনাও তাহারে আগমনীসঙ্গীতে
যে জাগায় চোখে নূতন-দেখার দেখা।
যে এসে দাঁড়ায় ব্যাকুলিত ধরণীতে
বননীলিমার পেলব সীমানাটিতে,
বহু জনতার মাঝে অপূর্ব একা।
অবাক্ আলোর লিপি যে বহিয়া আনে
নিভৃত প্রহরে কবির চকিত প্রাণে,
নব পরিচয়ে বিরহব্যথা যে হানে
বিহ্বল প্রাতে সঙ্গীতসৌরভে
দূর আকাশের অরুণিম উৎসবে॥
আশা। দুই অক্ষরের ছোট্ট একটা শব্দ। অথচ প্রচণ্ড ক্ষমতাধর এই শব্দটা। স্বপ্ন। আমাদের মনের গহীনে থাকা চিন্তা, ভবিষ্যতের কথা, অব্যক্ত বাসনার চিত্রময় প্রকাশ। অনুপ্রেরণা. মন জাগাবার, আলো দেখার অনুভূতি, ভাবনা। এই আশা, স্বপ্ন, আর অনুপ্রেরণা আছে বলেই আমরা মানুষ, আমরা নই রোবট। জীবন সবসময় সরলরেখায় চলেনা, সেই জীবনের পথ চলায় কখনো কখনো দেয়ালে ঠেকে যায় পিঠ। আলোর বদলে চোখে ভাসে কেবলই আঁধার। এই বইটা তাদের জন্য, যাদের জীবন থেকে আশার আলো হারিয়ে গেছে, হতাশা আর দুঃখ স্থান করে নিয়েছে মনে।
আমাদের সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে আপন জিনিষ হলো আমাদের মন। সেই মন যদি হয় বিক্ষিপ্ত, কিছুতেই মনকে ভালো করতে না পারেন, তবে মনটাকে সারিয়ে নিন। মন প্রকৌশল হলো সেটাই — বেয়াড়া মনকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আনার, স্বপ্ন দেখার অভ্যাস গড়ে তোলার, অনুপ্রেরণা পাবার কলা কৌশল।
বাংলা ভাষায় অনুপ্রেরণামূলক বইয়ের বড়ই অভাব। প্রিয় জিনিষটি না পেয়ে, স্বপ্নের পেশা কিংবা পড়ার বিষয় না পেয়ে জীবন থেকে আশা, স্বপ্ন চলে গেছে বহু মানুষের। এই বইটা তাঁদের জন্যেই লেখা। জীবনের দুঃসময়ে অল্প একটু কথা, অল্প একটু স্বপ্ন দেখাতে পারলেই কারো কারো জীবন যেতে পারে পাল্টে। গত এক বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই স্বপ্ন দেখার কথাগুলা বলে প্রচুর মানুষের সাড়া পেয়েছি, স্বপ্ন দেখতে চাওয়া স্বপ্নবাজদের সংখ্যা দুনিয়াতে কম নয়।
এই বইটা আলাদিনের চেরাগ নয়। সবার জীবনের সব সমস্যা রাতারাতি দূর করে দেয়ার মতো জাদুর কাঠি আমার হাতে নাই। কিন্তু এই বইতে যা আছে তা হলো ছোট্ট কিছু পরামর্শ, পথ দেখার নির্দেশনা। মন প্রকৌশলের এসব কাজগুলা করলে, এই লেখাগুলা পড়লে হয়তোবা কেউ না কেউ পাবেন চলার পথের দিশা, দেখতে পাবেন স্বপ্ন, আর সেই স্বপ্ন আর অনুপ্রেরণায় গড়ে নিতে পারবেন জীবনকে।
স্বপ্ন দেখার, অনুপ্রেরণায় জীবনকে পাল্টে দেয়ার সময়টা এক্ষুনি। কাল বা পরশু নয়। তাই শুরু করে দিন।