নাটমণ্ডপের মেঝেটা বাঁধানাে হলেও ছাদ পাকা নয়। টিনের চাল। চালের তলায় চটের সিলিং, এখানে সেখানে চালের ফুটো দিয়ে জল পড়ছে। বাইরে সরু দাগের বৃষ্টি এখন মােটা দাগে পড়ছে। আর একটু বাড়লে মুষলধারা। ঠিক বাগান নয়, তবে কালীবাড়ির ঘেরা জমিতে গাছপালা বড় কম নেই। তারই একটার দিকে চেয়ে ছিল গৌরাঙ্গ। দেড় মানুষ উঁচু টগর গাছ। তাতে হাঁদার মতাে দাঁত বের করে অজস্র টগর ফুল ফুটে আছে। এই ফুটে থাকার কোনও মানে হয়? একেই তাে ফালতু ফুল, তার ওপর কেরামতি দেখাতে ফুটেছে হাজারে বিজারে। ফোট শালারা।
এই মৌলিক প্রশ্নের উত্তর সন্ধান করতে গেলে আর একটি অস্বস্তিকর সত্যের সম্মুখীন হতে হবে আমাদের সাহিত্যের অন্যান্য অনেক শাখার ক্ষেত্রে যে সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা আমরা গ্রহণ করেছি, উপন্যাসের বেলায় সেই অব্যর্থ ও স্বীকৃত কোনাে সংজ্ঞা এখনও গড়ে ওঠেনি। এই সত্য কেবলমাত্র বাংলা উপন্যাসের সম্বন্ধে প্রযােজ্য হলে অস্বস্তির মাত্রা হ্রাস পেত, কারণ বাংলা উপন্যাসের সমালােচনা বােধহয় এখনও প্রাথমিক পর্যায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। কিন্তু ইংরেজি উপন্যাসের আলােচনা সম্পর্কে সে কথা বলা চলে না—এই সব আলােচনায় বিভিন্ন দিক থেকে উপন্যাসের বিশ্লেষণ আমাদের চোখে পড়ে। অথচ, এ বিষয়ে উল্লেখযােগ্য গ্রন্থগুলিও উপন্যাসের স্থিরীকৃত কোনাে সংজ্ঞা ও মানদন্ডে উপস্থিত হতে পেরেছে বলে মনে হয় না।
কর্নেল (অব.) মোহাম্মেদ দিদারুল আলম, বীর প্রতীক, সাগর কন্যা সন্দ্বীপে, এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে যোগদান করেন। দেশ মাতৃকার ডাকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকেই স্বাদীনতা সংগ্রামে যোগ দেন। যুদ্ধে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের জন্য তিনি বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন। কর্মজীবনে তিনি সেনাবাহিনী ও সিভিল প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত দক্ষতায় দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি পত্রিকার সুদক্ষ কলাম লেখক হিসাবে দেশব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছেন। তাঁর প্রবন্ধ সংকলন ‘ঢাকা নবরূপ, ভাষার নবরূপ-দেশের নবরূপ’ ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে।