জন্মের আগেই পিতৃহারা ডেভিড কপারফিল্ড। মায়ের স্নেহ-মমতায় বড় হচ্ছিল সে একটু একটু করে।কিন্তু বিপদ ঘনিয়ে এলো তখনই, যখন তার মা তাকে কিছু না জানিয়েই আবার বিয়ে করে বসলেন। সৎ-বাবা আর ফুপুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠল ডেভিডের জীবন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শাস্তি তাকে পাঠিয়ে দেয়া হলো বোডিং স্কুলে।
তবু সে হার মানে না। তাকে যে জয়ী হতেই হবে জীবন যুদ্ধের এ লড়াইয়ে!
তুষার-ঝরা এক শীতের রাতে গ্রামের পান্থশালায় এসে ওঠে এক আগন্তুক। তার আচার-আচরণ দেখে সন্দেহ জাগে পান্থশালার মালিকের মনে। লোকটি সারা শরীরে ব্যান্ডেজ বেঁধে চলে কেন? নিজেকে আড়াল করবার এত চেষ্টা কেন তার? কোনো অপরাধী পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে না তো? লোকটিকে নিয়ে গ্রামবাসীরাও মেতে ওঠে তুমুল আলোচনায়। অবশেষ সব আড়াল সরিয় আত্মপ্রকাশ করে লোকটি। সে একজন অদৃশ্য মানুষ! সাড়া পড়ে যায় পুরো ইংল্যান্ড জুড়ে। রহস্যময় এই মানুষটিকে নিয়ে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।
জগতের দুই প্রেতাত্মা কোনাে এক অদ্ভুত শবাধার বহন করে নিয়ে চলেছে দিগন্তবিস্তৃত এই হিমেল প্রান্তরের মধ্যে দিয়ে। কিন্তু তবু তারা মানুষ-ই! আদিগন্ত নিশ্চল জড়তার মধ্যে একমাত্র তারাই সােচ্চার প্রতিবাদ। নির্ভীক দুই অভিযাত্রী বিধাতার সীমাহীন ব্যঙ্গকে উপহাস করে এগিয়ে চলেছে দৃঢ় পায়ে।
অবশ্য ওরা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বড় একটা বলছিল না। কারণ কথা। বলার অর্থই হল শারীরিক শক্তির অযথা অপচয়। মানসিক ক্লান্তিকে তরান্বিত করা। তাই ওরা স্তব্ধ, নির্বাক। আর তারই সুযােগ নিয়ে চতুর্দিকের এই হিমেল নৈঃশব্দও গভীরভাবে চেপে বসছিল ওদের চেতনার ওপর। এখন ওরা
সম্পূর্ণভাবে বিশ্বপ্রকৃতির ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। এই বােধটাও ধীরে ধীরে। জাগ্রত হচ্ছিল ওদের মধ্যে। নিয়তির হাতে অসহায় ক্রীড়নক মাত্র, কিন্তু তবুও নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্যে মরণপণ সংগ্রামেরও বিরাম নেই। যৎসামান্য বুদ্ধি আর সামান্য কিছু কৌশলই ওদের একমাত্র হাতিয়ার।
গ্রীষ্মের ছুটিতে বাড়িতে আসতেই ডার্সলিরা হ্যারি পটারের সাথে এমন নিচ ও ভয়ানক আচরণ শুরু করলো যে, হ্যারি হোগার্টাস স্কুল অব উইচক্রাফট ও উইজারিতে ফিরে যেতে ছটফট করতে লাগলো। কিন্তু হ্যারি যখনই তার জিনিসপত্র গুছাতে লাগলো ঠিক তখনই, এক দুষ্ট প্রকৃতির অজানা জন্তু হ্যারিকে হোগার্টে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে সাবধান করে দিল যে, ভীষণ বিপদ হবে। আসলেই বিপদ শুরু হল। হোগার্টে হ্যারির দ্বিতীয় বর্ষে নতুন সব ভয়ানক পরিস্থিতর আবির্ভাব ঘটতে থাকে, যার মধ্যে ছিল এক অত্যাচারী অধ্যাপক আর মেয়দের বাথরুমে হানা দেয়া এক দুষ্টাত্মা। তারপর শুরু হল আসল বিপদ-কেউ যেন হোগার্টের ছাত্রদের পাথর বানিয়ে দিচ্ছে। সে কি হতে পারে ড্রাকো ম্যালফয়? সে কি হতে পারে হ্যাগ্রিড, যার অতীত রহস্যও অবশেষে এখানে উন্মোচিত হয় কিংবা হতে পারে কি, যাকে সবাই সন্দেহ করছে, হ্যারি পটার নিজেই!
এই অদ্ভুত ভদ্রলােকের নাম কুইক্সাডা। বয়স ছিল পঞ্চাশের কাছাকাছি। তবে শিকারের খুব নেশা ছিল তার। ভাল স্বভাবের এই মানুষটি বই পড়তেও খুব ভালােবাসতেন। আর তার বেশিরভাগ বই ছিল মধ্যযুগের নাইটদের দুঃসাহসিক কীর্তিকাণ্ড ঘিরে। নাইটদের ওপর বই কিনতে গিয়ে কুইক্সাডা প্রায় ফতুর হয়ে যান, নিজের জমির অনেকটা অংশ বিক্রি করে দিতে হয় তাকে। বই পড়ার সময় আশপাশের সব কিছু ভুলে তিনি । বিচরণ করতেননাইটদের রাজত্বে।
বাড়ি ছেড়ে ছেলেটির সঙ্গে পালিয়ে যাবে বলে কথা দিয়েছে ইভা। কাজটা ঠিক বুদ্ধিমানের মতাে হচ্ছে তাে? প্রশ্নটার চতুর্দিক ও চিন্তা-ভাবনা করে দেখে নিতে চায়। যত যাই হােক— বাড়িতে তার নিশ্চিত একটা আশ্রয় আছে, খাবার সংস্থান আছে, সারাজীবন ধরে সে যাদের চেনে, জানে, তারাও আছে সেখানে। যদিও ঘরে-বাইরে দু-দিকেই ইভাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আচ্ছা, সে একটা ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গেছে— দোকানের সবাই যখন কথাটি শুনবে, তখন ওরা কী ভাববে ইভা সম্পর্কে? হয়তাে বলবে— মেয়েটা বােকা; আর সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞাপন দিয়ে লােক আনিয়ে ইভার শূন্য জায়গাটা পূরণ করে নেবে। গেভানমেয়েটি হয়তাে খুশিই হবে। বরাবরই ও একটু কর্তৃত্ব ফলাত ইভার ওপর, বিশেষ করে যখন খবরদারি দেখানাের মতাে লােকজন ধারে-কাছে থাকত
সূচিপত্র
* ওভারকোট পাগলের দিনলিপি
* সেন্ট জন দিসবের আগের সন্ধে
* সরোচিনেৎসের মেলা
* নাক
বাপরে!’ ভাবল এলিস, এরপর সিড়ি থেকে আছাড় খেয়ে নিচে পড়তে একটুও ভয় পাব না আমি। বাড়ির ওরা সবাই কত সাহসী ভাববে আমাকে! ভাববে, কী ব্যাপার, বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গেলেও মেয়েটা কিছু বলছেনা কেন! নিচে, নিচে, আরও নিচে। এলিস নামছে তাে নামছেই। এই নামবার কি কোনাে শেষ নেই? ভাবছি এতক্ষণ ধরে কত মাইল নামলাম। বিস্ময়ে বিহ্বল মেয়েটি গলা চড়িয়ে প্রশ্ন করল। নিশ্চয়ই আমি পৃথিবীর মাঝখানে কোথাও পৌছে যাচ্ছি। আচ্ছা, হিসেব করি...ও-মা, তার মানে চার । হাজার মাইল নিচে!
এই বইয়ের জন্মকথাটা বলি শোনো। আমার এক মেয়ে আছে সাশা। এখন অবশ্য দিব্যি বড়সড়ো হয়ে উঠেছে সে, নিজেই বলে, ‘আমি যখন ছোট্ট ছিলাম...’ তা এই সাশা যখন ছিল একেবারেই ছোট্র তখন ভারি ভুগত সে। কখনো ইনফ্লুয়েঞ্জা, কখনো টনসিলাইটিস। তারপর কানের ব্যথা । তোমাদের যদি কখনো কান কটকট রোগ হয়ে থাকে, তাহলে নিজেরাই বুঝবে সে কী যন্ত্রণা। আর যদি না হয়ে থাকে, তাহলে বুঝিয়ে বলা বৃথা, কেননা সে বোঝানো অসম্ভব ।
একবার সাশার কানের যন্ত্রণা খুব বাড়ল, সারা দিন-রাত সে কাঁদল, ঘুমোতে পারছিল না। আমার এত কষ্ট লাগছিল যেনিজেরই প্রায় কান্না এসে গিয়েছিল। নানা রকম বই পড়ে শোনাচ্ছিলাম আমি, নয়ত মজার মজার গল্প বলছিলাম। বলছিলাম ছোটাবেলায় কী রকম ছিলাম আমি, নতুন বল ছুড়ে দিয়েছিলাম মোটর গাড়ির নিচে । গল্পটা সাশার ভারি ভালো লাগল। ভারি ভালো লাগল যে তার বাবাও একদিন ছোট্র ছিল, দুষ্টুমি করত, কথা শুনত না, শাস্তি পেত। কথাটা মনে ধরল তার। তারপর থেকে যেই কান কটকট করত অমনি সাশা ডাকত,‘বাবা,বাবা, শিগগির!কান কটকট করছে, বলো না ছোটবেলায় তুমি কী করতে!’। আর ওকে যেসব কথা শুনিয়েছিলাম সেগুলোই তোমরা এখন পড়বে।
উঠোনের মুরগিদের সাথে ছুটোছুটি করে বিরক্ত কুকুরছানাটি ভাবে জঙ্গলে গিয়ে পশুপাখি শিকার করতে হবে। নিজেকে সে ভাবে সব থেকে চালাক। বক, ঝুঁটিদার পাখি, তিতির, গিরগিটি, শুঁয়োপোকা, প্রজাপতি, ফড়িং, থুড্ডিপোকা সবাইকে সে শিকার করে ফেলতে পারে একাই। ধেয়ে গেল জঙ্গলে। কী হল তারপর?
রুশ শিশুরা কুকুরছানাদের খুব ভালোবাসে। তাই তাদের এই বই খুব প্রিয়। লিখেছেন ভিতালি বিয়ানকি। আমাদের জন্য মূল রুশ থেকে অনুবাদ করেছেন হায়াৎ মামুদ। অসাধারণ ছবি এঁকেছেন ভিক্তর কিরিল্লভ।
সুবাদার আমির মােহাম্মদ বলছিলেন : মিশরের উত্তর অঞ্চলে গিয়েছিলাম আমি একবার, এক কাজে। উঠেছিলাম ওখানকার বিখ্যাত চাষি ফাল্লাহ’র বাড়িতে। সে তখন বৃদ্ধ। গায়ের রঙ তামাটে অথচ লক্ষ করলাম, তার ছেলেমেয়েরা সব ধবধবে ফর্সা, গালে গােলাপি আভা। রেশমের মতাে হালকা নরম চুল, নীল চোখ।
ভীষণ কৌতূহল হল। শেষে জিগ্যেসই করে ফেললাম ফাল্লাহকে, আপনার রঙ তাে তামাটে। ছেলেমেয়েদের রঙ এত সুন্দর হল কী করে? হেসে ফাল্লাহ বলল, আমার বিবি ফ্র্যাঙ্ক দেশের মেয়ে। যুদ্ধে বন্দি হয়েছিল। আমি তাকে কিনে নিয়েছিলাম। হিতিনের যুদ্ধে সালাহ আল-দিন খ্রিস্টানদের পরাজিত করে জেরুজালেম
থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সে-সব অনেক দিন আগের কথা। তখন আমি যুবক।
'বুদ্ধিমতী মাশা' বইয়ের ভূমিকা:বইটি পড়লেই বুঝবে মাশা কেমন বুদ্ধিমতী। তবে সে তো এমনিই বোঝা যায়। বুদ্ধিমতী না হলে কি আর তাকে নিয়ে কেউ বই লেখে? ছবি আঁকে? এমন কি এক্কেবারে ছোটতেই, মাশা যখন দোলনায়, তখনই সে এক হাতে ঝুমঝুমি বাজাত, আর এক হাতে মশা তাড়াত। তাই না দেখে মাশার বাবা-মা, দিদিমা, তাদের আত্মীয়স্বজন, চেনা পরিচিত, পরিচিতদের আত্মীয়, আত্মীয়দের পরিচিত, সবাই একবাক্যে বলেছিল, ‘সত্যিই মাশা খুবই, খুবই, খুবই বুদ্ধিমান।’দুঃখের কথা মাশার ছোটো ভাই ভিতিয়া সম্পর্কে কিন্তু বলা যায় না যে সে বুদ্ধিমান। তবে তাতে যায় আসে না। বইটা পড়লেই তোমরা দেখবে একা মাশার বুদ্ধিতেই দুজনার কুলিয়ে যাবে। আর ববিক, রবিক, লবিক, জুবিক সম্পর্কে কী করা যায়? কেবল প্রশংসা। এরা হলো দুনিয়ার সবচেয়ে চালাক, সবচেয়ে দৌড়বাজ, সবচেয়ে বাধ্য কুকুর। বিশ্বাস না হয় পড়ে দেখো।
প্রিয় কিশোর-কিশোর বন্ধুরা, বিশ্বখ্যাত ক্লাসিকগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইংরেজিতে এবং বড়দের জন্যে লেখা। তাই সেগুলো তোমাদের সহজে পড়া হয়ে ওঠে না। এ কারণেই তোমাদের জন্যে আমাদের এ প্রয়াস বিশ্ববিখ্যাত লেখকদের সেরা রচনাগুলো তোমাদের উপযোগী ভাষা ও পাতায় পাতায় ছবির মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের এ সিরিজের বইগুলো পড়ে তোমাদের একদিকে যেমন হবে সৃজনশীলতার বিকাশ, অন্যদিকে পাবে বিশ্বসাহিত্যের বিশ্বসেরা ফিকশনগুলো পাঠের আনন্দ।
অনেক দিন আগের কথা। হ্যামেলিন নামে একটি শহর ছিলাে। সেই শহরটি ছিলাে খুবই সুন্দর। কিন্তু হ্যামেলিন শহরে যারা বাস করতাে
তাদের মনে কোনাে আনন্দ ছিলাে না। তাদের সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছিলাে ইঁদুর। শত শত ইঁদুর। হাজার হাজার ইঁদুর। লাখ লাখ ইঁদুর। ছিমছাম শহর হ্যামেলিনের সবখানে শুধু ইঁদুর আর ইঁদুর।
ইংল্যাণ্ডে ফিরে বিয়েটা সেরে ফেললাম। তারপর লণ্ডনে শুরু করে দিলাম । প্র্যাকটিস। কিন্তু দু বছরের মধ্যেই বুঝতে পারলাম দেশে বসে পােষাবে।
স্ত্রীকে রাজি করিয়ে আবার। জাহাজের ডাক্তার হয়ে গেলাম। পরের ছটা বছরে জাহাজের ডাক্তার হিসেবে ঘুরে বেড়ালাম ইস্ট আর ওয়েস্ট ইণ্ডিয়া। প্রচুর কামিয়েছি এ সময়ে। নিজের খাওয়া খরচ বাদ দিয়ে বাড়িতেও টাকা পাঠাতে পেরেছি। জাহাজের চাকরিতে একটা লাভ হয়েছে বেশ কিছু বিদেশী ভাষা শিখতে পেরেছি বিভিন্ন বন্দরে নােঙর করার সুবাদে। স্মৃতিশক্তিটা বেশ প্রখর বলে দ্রুত শিখে ফেলেছি বিভিন্ন ভাষা, যা পরবর্তী সমুদ্র অভিযানে কাজে লেগেছে।
ঈর্ষার চোখে বাকের দিকে তাকাত। বাককে পেয়ে মিঃ মিলারের দুই ছেলে ওকে তাদের সঙ্গে পুকুরে সাঁতার কাটতে ডাকত। তবে সে সেই ডাকে সাড়া দিত না। বরং প্রভু বন্ধু মিলারের পাশে হেঁটে বেড়াতে বেশি। পছন্দ করত। প্রাতঃভ্রমণ শেষে খামারের এক প্রান্তে হেমন্তের ফলেভরা বাগানে যেত তারা। বাগানে মালীর সহকারী ম্যানুয়েল বাকের দিকে। তাকিয়ে মনে মনে হাসত। একমাত্র সেই জানত বাকের এই আয়েসী জীবন অচিরেই শেষ হতে যাচ্ছে। রাতে খাবারের পর বাক তার মনিবের পায়ের কাছে চুল্লির পাশে শুয়ে আগুনের শিখার দিকে তাকিয়ে থাকত। এ সময় তার বৃদ্ধ মনিব মানুষের মতােই তার সঙ্গে সুখ-দুঃখের কথা বলতেন, ‘জানাে বাক, আজকাল মানুষ স্বর্ণের জন্য পাগল হয়ে উঠেছে।
লোম ঝুমঝুম ভাস্কা বেড়াল দিব্যি খেলা করছিল লাফিয়ে লাফিয়ে। ভলোদিয়া আর ভাদিক দুই ভাই মিলে ছবি আঁকছিল বসে বসে। শান্ত আবহাওয়া ঘরটির। হঠাৎ মেঝেয় পড়ে থাকা নিরীহ টুপিটা জ্যান্ত হয়ে উঠল। দুই ভাই আঁতকে উঠে সোফায় চড়ল লাফিয়ে। জ্যান্ত টুপিটা এগুতে শুরু করল সোজা ভাদিকের দিকে। ভয়ে দুই ভাই দৌড়ে গেল রান্নাঘরে। তারপর কী হল? নিকোলাই নোসভের লেখা এই মজার গল্পটি আমাদের জন্য অনুবাদ করেছেন ননী ভৌমিক। ছবি এঁকেছেন ইভান সেমিওনভ।