Categories


টম সয়ারের দুঃসাহসিক অভিযান

‘গেল ছেলেটা। আমি কি কোনওদিন কিছু শিখতে পারব না? এরকম চালাকি আমার সাথে তাে ও কম করে নাই যাতে আজকে আমি ওকে ধরতে পারব না। কিন্তু বােকা বুড়িদের চেয়ে আর বােকা নাই । যেমন কথায় বলে, বুড়া কুকুর নতুন কৌশল শিখতে পারে না। কিন্তু, কী কারবার, ও তাে একই কৌশল দুই দিন খাটায় না! তাইলে কারও পক্ষে কিভাবে আন্দাজ করা সম্ভব যে কী হতে যাচ্ছে? ওর কাণ্ড দেখে মনে হয় ও জানে কতক্ষণ পর্যন্ত জ্বালাতন করলে আমি রেগে উঠব। আর ও জানে আমাকে এক মিনিটের জন্য ঠাণ্ডা করতে পারলে বা একটু হাসাতে পারলে সব আবার ঠিকঠাক, আমি আর তাকে একটাও চড়-থাপ্পড় দিতে পারব না। আমি এই ছেলেটার ব্যাপারে আমার কর্তব্য পালন করছি না। এইটাই পরম সত্য, আমি ঠিক জানি। শাস্ত্রে বলেছে ডাণ্ডা নামিয়ে রাখলে বাচ্চা গােল্লায় যাবে। আমি আমাদের দুইজনের জন্য পাপ আর শাস্তি বাড়াচ্ছি। আমি জানি ওর খালি শয়তানি আর শয়তানি। কিন্তু হায় কপাল, ও যে আমার মরা বােনের ছেলে, এতিম বেচারা, মােটের উপর ওকে পিটাতে আমার মন চায় না। ওকে ছেড়ে দিলে প্রত্যেকবার আমার বিবেক আমাকে কী যে কষ্ট দেয়, আবার মার দিলেও প্রতিবার এই বুড়ির মন যে একদম ভেঙে যেতে চায় । ও হ্যা, ধর্মগ্রন্থে বলে, মেয়ে মানুষের থেকে যে মানুষ জন্ম নেয় সে অল্প ক’দিন টেকে আর তার দিনগুলি হয় জ্বালাযন্ত্রণায় ভরা।

 


অশুভ আত্মা

ধীরে ধীরে চোখ খুলল স্বপন। প্রথমে তার চোখের সামনে সবকিছু অস্পষ্ট থাকলেও অল্প সময়ের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে এল। সামনে যার মুখটা সে দেখতে পাচ্ছে সে আর কেউ নয়, তার স্ত্রী জিনিয়া।

স্বপন বেডরুমে খাটের ওপর পড়ে আছে। নড়ে ওঠার চেষ্টা করে বুঝতে পারল, তার হাত-পা শক্ত করে স্কচ টেপ দিয়ে বাঁধা। নিজের এ অবস্থা দেখে নিজেই বিস্মিত হলাে সে। কীভাবে তার এ অবস্থা হলাে মনে করতে পারল না। জিনিয়াকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করতে গিয়ে প্রশ্নও করতে পারল না। মুখটাও স্কচ টেপে আটকানাে। চাইলেও সে এখন আর চিৎকার করতে পারবে না। নিজের এরকম অসহায় অবস্থা বুঝতে পেরে আতঙ্কিত হয়ে উঠল সে। আরও আতঙ্কিত হলাে যখন দেখল জিনিয়ার হাতে প্রায় এক ফুট লম্বা একটা ছুরি। এই ছুরিটা সে আগে কখনাে দেখেনি, আজই প্রথম দেখছে। ভয়ে তার একেবারে জমে যাওয়ার মতাে অবস্থা হলাে।

স্বপনের অবস্থা দেখে মৃদু হাসল জিনিয়া। হাসিটা আরও বিস্তৃত করে সে বলল, আ..আমি তােমাকে তােমার পাপের শাস্তি দিতে চাই।

 


জেমস বন্ড সমগ্র

জেমস বন্ডের জীবনে মাঝে মাঝে এমন একটা সময় আসে যখন তার কাছে সবকিছুই একেবারে অর্থহীন বলে মনে হয়। আজ ছিল সেই রকমই একটা খারাপ দিন।

প্রথমত, সে নিজের কাছে নিজেই খুব লজ্জা পাচ্ছিল। শরীর তার দারুণ খারাপ লাগছিল। সেই সাথে আবার মাথাব্যথা আর দেহের গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা। খুব বেশি সিগারেট আর মদ খাওয়ার ফলে কাশির সাথে সাথে তার চোখের সামনে ভেসে উঠছিল ধোয়ার মত একগাদা কালাে কালাে ফুটকি। গত রাতে সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে এগারাে নম্বর গেলাস শেষ করার পর স্বভাবতঃই বন্ড নিজের মস্তিষ্কের করুণ অবস্থাটা আন্দাজ করতে পেরেছিল। তা সত্ত্বেও সে রাজী হয়ে গেল, আর এক বাজি তাস খেলতে—একশাে পাউন্ড পাঁচ পাউন্ড হিসেবে! এর ওপর আবার মদের ঝোঁকে শেষ দানটায় ‘রি-ডাবল দিয়ে দিল, আর খেলল একটা গাধার মত।

নিজের ফ্ল্যাটে আয়নার সামনে দাড়িয়ে গালের কাটাটায় ওষুধ লাগাচ্ছিল বন্ড । আয়নার নিজের বিষন্ন চেহারা দেখে তার নিজেকে ঘেন্না করতে ইচ্ছে হল। এসব কিছুর আসল কারণ হল এই যে, বন্ডকে গত এক মাস ধরে স্রেফ অফিসে বসে কলম পেশার কাজ করতে হচ্ছে। তার ওপর তার সেক্রেটারী পড়ল জ্বরে। বাইরে বৃষ্টি পড়ছে। বন্ড ওষুধের বড়ি দুটো গিলে ফেলল। এমন সময় শােবার ঘরের টেলিফোনটা হঠাৎ দারুণ জোরে বাজতে শুরু করল।

 


সেরা বারো ভূতের গল্প

একদিন অবাক হয়ে দেখি সােনা আমাদের বাগানে বসে আছে। বিকেলবেলা। আমাদের মফস্বল শহরে মাঘ গিয়ে ফারুন পড়েছে। বিকেলবেলা সূর্যের শেষ আলােয় বড় সুন্দর দেখায় শহরটি। অদূরে নদী, নদীর তীর জুড়ে ধুধু বালিয়াড়ি। বহুদূরে নদীর চরে ফাল্গুন মাসের বিকেলবেলায়ও পাতলা একটা কুয়াশার রেখা পড়ে। একটা দুটো গাঙচিল অনবরত নদীর ওপর চক্কর খায়, জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে চেলামাছ তুলে নেয় ঠোটে। আর আছে নৌকা। কত রকমের যে! মহাজনী (নৗকা, পানসি নৌকা, জেলে নৌকা, কেরায়া নৌকা। অনবরত পুবে যায় নৌকা, পশ্চিমে যায়।

সােনাকে প্রথম দেখি আমি। হাঁটুতে মাথা গুঁজে বসে আছে হাসুহেনা ঝােপটার কাছে। আমি তখন খেলতে যাচ্ছিলাম মাঠে। সােনাকে দেখেই খেলার কথা ভুলে যাই। দৌড়ে বাগানে গিয়ে ঢুকি। তার আগে চেঁচিয়ে সারাবাড়ি মাত করে ফেলি। সােনা এসেছে। সােনা এসেছে। | সােনা আমাদের কাজের ছেলে। আমার বয়সী। দশ-বারাে বছর হবে। খুব ছােটবেলা থেকে আমাদের বাড়িতে আছে সােনা। বাবা ওকে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন।

আমার বাবা থানার বড় দারােগা। আগে ছিলেন বরিশালের পিরােজপুর থানায়। সেখানেই একদিন এক ঝােপের ধারে পাঁচ বছরের সােনাকে কুড়িয়ে পান। গায়ে প্রচণ্ড জুল ছিল সােনার। অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল ঝােপঝাড়ের ধারে। বাবা গিয়েছিলেন ডাকাত ধরতে। 

 


রুদ্র প্রয়োগের চিতা ডক্টর মরোর দ্বীপ কনটিকি অভিযান

তিনটি ক্লাসিক কাহিনি একত্রে ভলিউম আকারে প্রকাশিত হলো। বিচ্ছিন্ন একটা দ্বী, সেখানে আছে অত্যন্ত সুরক্ষিত এক গবেষণাগার। অদ্ভুত কিছু লোক ঘুরে বেড়ায় সে-দ্বীপে, যারা আসলে মানুষ কিনা বোঝা যায় না প্রথমে। অদ্ভুত, রহস্যময় ঘটনার সঙ্গে পরিচয় ঘটল লেখকের...‘ডক্টর মরোর দ্বীপ’ এর কাহিনি এভাবেই শুরু হয়েছে। জাহাজ কিংবা স্টিমার নয়, ভেলায় চেপে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার এক দুঃসাহসিক অভিযাত্রা শুরু হলো। লেখক থর হেয়ারডল , ও সঙ্গে আরও পাঁচজন দুঃসাহসী সঙ্গী । শেষ পর্যন্ত তারা কি এই অভিযানে সফল হতে পেরেছিল...? ‘কনকিটি অভিযান’ পড়লে উত্তর মিলবে সবকিছুর। এখানে ‘রুদ্র প্রয়োগের চিতা’ থেকে সামান্য তুলে দিচ্ছি: ছাগলটার কাছ থেকৈ মাচান মাত্র বিশ ফুট দূরে। কিন্তু গাঢ় অন্ধকারের জন্য ছাগলটার কিছুই আমি দেখতে পাচ্ছিলাম না। চোখ বুজে শব্দ শুনতে পাওয়ার জন্যে মনো নিবেশ করাই এই অবস্থায় শ্রেয়। ছোট্র একটা টর্চ লাইট ফিট করা ছিল রাইফেলের নলে। বলাই বাহুল্য, নলটা ছাগলটার দিকে ফেরানো ছিল। হঠাৎ গাছের গোড়া থেকে কী যেন একটা ছুটে গেল আর সেই সাথে জোরে বেজে উঠল ছাগলের গলার ঘণ্টাটা টর্চের বোতামের উপরই আঙুলটা ছিল। বোতামটা টিপতেই দেখলাম রাইফেলের নিশানা চিতার কাঁধে ঠিকঠাক মত সই হয়ে রয়েছে। ট্রিগার টিপে দিলাম। গুলির শব্দ উপত্যকার মধ্যে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে এক সময় মিলিয়ে গেল। ঘরের দরজা খুলে চেঁচিয়ে প্রশ্ন করল পণ্ডিত, আমার কোনো সাহায্যের প্রয়োজন আছে কিনা। জবাব দেবার মত অবসর ছিল না আমার। পণ্ডিত বেশিক্ষণ অপেক্ষা না করে তাড়াহুড়া করে বন্ধ করে দিল তার দরজা....তিনটি ক্লাসিক কাহিনির এই ভলিউমটি যে পাঠকপ্রিয়তা পাবে, কতা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


কাকাবাবু সমগ্র-৬

সমগ্র সমূহ
*কাকাবাবু ও সিন্দুক-রহস্য
*কাকাবাবু ও একটি সাদা ঘোড়া
*এবার কাকাবাবুর প্রতিশোধ
*কাকাবাবুর চোখে জল
*কাকাবাবু আর বাঘের গল্প
*আগ্নেয়গিরির পেটের মধ্যে


রাঘববাবুর বাড়ি

সকালবেলায় পুরুতমশাই নন্দলাল ভট্টচার্য রাঘব চৌধুরীর বাড়ির নিত্যপূজা সেরে বেরােচ্ছেন। হঠাৎ নজরে পড়ল বাইরের দিককার বাগানে একটা মুশকো চেহারার লােক উবু হয়ে বসে বাগানের কাঁটাতারের বেড়া মেরামত করছে। মুখটা ভারী চেনা-চেনা ঠেকল। এ গাঁয়ের লােক নয়, তবে কোথাও একে দেখেছেন। নন্দলালের টিকিতে একটা কলকে ফুল বাঁধা, গায়ে নামাবলী, বাঁ বগলে ছাতা, ডান হাতে সিধের পুঁটুলি, পরনে হেঁটো ধুতি, পায়ে খড়ম। দেখলেই মানুষের ভক্তিশ্রদ্ধা হওয়ার কথা। হয়ও। নন্দলালকে দেখলেই লােকে একটু তটস্থ হয়ে পড়ে।


কিশোর মুসা রবিন -ইনকা রাজার গুপ্তধন

রকি বীচ। আমেরিকা হলিউডের কাছে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরের এই শহরটাতেই তিন গােয়েন্দার বাসস্থান।

পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লিভিং রুমে বসে আছে কিশাের, মুসা, রবিন। সবাই চুপ। হাতে কোনাে কাজ নেই। বসে থেকে থেকে সময় যেন আর কাটে ।

‘ধুর, হঠাৎ বলে উঠল মুসা। আর পাঁচ মিনিটের মধ্যে কোনাে কিছু না ঘটলে পাগল হয়ে যাব।

যেন তাকে পাগল হওয়া থেকে বাঁচাতেই ঠিক এই সময় দরজায় থাবা পড়ল।

জ্বলজ্বল করে উঠল কিশােরের চোখ। দরজার দিকে তাকিয়ে হাঁক দিল,

‘কে?

‘কিশাের, আমি, বােরিস!’ জবাব এলাে দরজার বাইরে থেকে।

 


ক্লাসে কালোজাদু

বিপি স্কুলের হেড স্যারের নাম ছাত্ররা রেখেছে ডুগি স্যার। নামের সার্থকতাও। মারাত্মক। কারণ তার শরীরের অধিকাংশ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গােল।

বিশেষ করে ভুঁড়িটা বেশ আকর্ষণীয়। হাঁটার সময় ভুঁড়ি দুলতে থাকে। তার মুখটাও ভুড়ির মতােই অদ্ভুতরকম গােল। চোখ দুটো সে তুলনায় ছােট। নাক বলতে দুটো ফুটো আছে- এই যা।

ডুগি স্যারের আসল নাম নজরুল ইসলাম। বাবা-মা খুব আদর করে বিদ্রেহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে মিল রেখে নামটা রেখেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি কাজী নজরুলের পুরাে উল্টো। বিদ্রোহী কবির আঁকড়া চুল থাকলেও তার পুরাে মাথা টাক। কানের ওপর কয়েক গােছা সাদা মেঘের মতাে কিছু চুল ঝুলে আছে। বাম পাশের এক গােছা চুল ডুগি স্যার বড় করেছেন। সেই চুলে চুপচুপা করে তেল দিয়ে বাঁ পাশ থেকে টাকের ওপর দিয়ে ঘুরিয়ে ডান পাশে আঁচড়ে আনেন। চার-পাঁচটা চুল দিয়ে টাক ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টার মানে কী কে জানে!

 


কাকাবাবু সমগ্র ৫

সমগ্র সমূহ

 

*কাকাবাবু ও চন্দনদস্যু

*কাকাবাবু ও এক ছদ্মবেশী

*কাকাবাবু ও শিশুচোরের দল

*কাকাবাবু ও মরণফাঁদ

*কাকাবাবু ও ব্ল্যাক প্যান্থার

*কাকাবাবু ও আশ্চর্য দ্বীপ


হারানো মুকুট

শিক্ষাসফর শেষে ময়মনসিংহ থেকে ফেরার পথে ট্রেনে সামিয়া আর তার দাদু হাবিবুর রহমানের সাথে পরিচয় হয় লেলিনের। কথাপ্রসঙ্গে লেলিন জানতে পারল সামিয়ার দাদুর কাছে ঐতিহাসিক এবং দুষ্প্রাপ্য একটি মুকুট রয়েছে। এই মুকুট বিক্রি করেই সামিয়ার ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা করা হবে। কিন্তু ঘটনাক্রমে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে মুকুটটি হাতছাড়া হয়ে যায়। মুকুট উদ্ধারে তখন অভিযানে নামে শিশিলিনের দুই সদস্য শিশির আর লেলিন। কিন্তু কীভাবে তারা খুঁজে পাবে প্রতারক চক্রের অন্যতম সদস্য সবুুর মিয়াকে? আন্ডারওয়ার্ল্ডের জগৎ যে বড় ভয়ংকর! এখানে অপরাধীদের যারা ধরতে আসে তারাই ধরা পড়ে অপরাধীর হাতে। পরিণতি হয় ভয়াবহ। শিশির আর লেলিনের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটল না। তারা যখন মুকুটটি উদ্ধারের দ্বারপ্রান্তে তখনই আটকে পড়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের ভয়ংকর এক অপরাধী চক্রের বাড়িতে। অপরাধী চক্রের সবাই ততক্ষণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে তারা হত্যা করবে শিশির আর লেলিনকে। মুকুট উদ্ধারের পরিবর্তে শিশির আর লেলিন তখন ব্যস্ত হয়ে পড়ল নিজেদের জীবন বাঁচাতে। কিন্তু কে তাদের সাহায্য করবে নির্জন বাড়িতে? শেষ পর্যন্ত কী শিশির আর লেলিন নিজেদের বাঁচাতে পেরেছিল? আর মুকুটটির শেষ ঠিকানাই-বা কী হয়েছিল?


কিশোর মুসা রবিন-সোনার মূর্তি

সোনার মূর্তি প্রিয় কিশোর বন্ধুরা, আমি কিশোর পাশা বলছি, শখের গোয়েন্দা। শোনে , খবর পেয়েছি রহস্যময় এক সোনার মূর্তি নাকি রয়েছে পরিত্যক্ত এক ভূতুড়ে প্রাসাদে, যেটাকে পাহারা দিয়ে রেখেছে চারটে কুকুরের প্রেত। বিশ্বাস হলো না, তাই না? আমারও হয়নি। তাই আমার দুই সহকারী রবিন আর মুসাকে নিয়ে কেসটা তদন্ত করতে যাচ্ছি। সাহস থাকলে চলো আমাদের সঙ্গে, চেষ্টা করে দেখি সবাই মিলে এই জটিল রহস্যটার সমাধান করতে পারি কি না। দুঃস্বপ্নের রাত বন্ধুরা, আমি রবিন। অদ্ভুত এক গল্প শোনাতে চাই তোমাদের। এক ঝড়তুফানের রাতে গিয়েছিলাম এক পিশাচের বাড়িতে। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল। ভয়ঙ্কর রূপ দেখতে পেলাম পিশাচটার। আর তারপর থেকেই শুরু হলো আমার প্রাণ হাতে নিয়ে পালানো। দুর্গম বনের যাত্রী বন্ধুরা, আমি মুসা বলছি। শখের গোয়েন্দা মুসা আমান। আমাদের গোয়েন্দাগিরির অনেক গল্পই তো পড়েছ, এবার একটা ভিন্ন ধরনের গল্প শোনাই। আমার ‘রবিনসন ক্রুসো’ হওয়ার গল্প। কুমির, সাপ, আর নানা ভয়ঙ্কর প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকার গল্প।


গোয়েন্দা কাহিনী বিষাক্ত ভাইরাস

ধীরে ধীরে ধোঁয়ায় ভরে যাচ্ছে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটান হােটেলের বলরুম। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে লােকজন। অথচ কয়েক মিনিট আগেও হৈ-হুল্লোড় করছিল ওরা। আনন্দে। পুলিশ-প্রধান টমাস ক্যাপ বেইলি মেয়র হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তারই পার্টি চলছিল।

হ্যাচকা টানে সুজাকে সরিয়ে আনল রেজা। আরেকটু হলেই সুজার গায়ের ওপর এসে পড়েছিল টাক্সেডাে পরা লােকটা। দরজার দিকে ছুটে গেল সে।

ছােটাছুটি শুরু করেছে আরও অনেকেই। তাদেরকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরােধ জানাচ্ছেন বেইলি, মুখের সামনে মাইক্রোফোন। দোহাই আপনাদের, হুড়াহুড়ি করবেন না। লাইন দিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যান।

কিন্তু কেউ তার কথা শুনল না। ধোঁয়া ঘন হচ্ছে। লােকের চিৎকারে ঢাকা পড়ে গেল তার কণ্ঠ। দরজা বন্ধ! চেঁচিয়ে উঠল একজন। আমরা আটকা পড়েছি! কাশতে

শুরু করল সে। কেশে উঠল আরও কয়েকজন। কার আগে কে বেরােবে সেই চেষ্টা করছে এখন সম্মানিত অতিথিরা।

 


কিরীটী অমনিবাস

“কিরীটি অমনিবাস” বইয়ের সূচীপত্র:
* কিরীটিী-তত্ত্ব (ভূমিকা) শ্ৰীপ্রমথনাথ বিশী
* কিরীটিীর আবির্ভাব
* রহস্যভেদী
* চক্ৰী
* বৌরাণীর বিল
* হাড়ের পাশা


মাসুদ রানা : লাইমলাইট-১ম খণ্ড

কোথায় গেলেন বিজ্ঞান আসিফ হায়দার চৌধুরী? কারা কিডন্যাপ করল তাঁকে?.. মরুভূমির ভেতর ডেভিলস ওয়েসিস কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে তাঁকে। একের পর এক বাধার মুখে পড়ে পড়ে রানার মনে হলো, এবার বুঝি হার মানতেই হবে। আসরে কারাগারের ভিতরে ঢোকা যত সোজা, তার চেয়ে ১০০ গুণ কঠিন বেরিয়ে আসা। রানা জানে না, আসলে বিজ্ঞানী আছেনিই বা কারাগারের ঠিক কোন জায়গাটিতে ! এবার কাহিনির সামান্য অংশ এখানে তুলে দিচ্ছি : ভীষণ চমকে গিয়ে একমুহুর্তে রানা ভুলে গেল, ও কে এবং কোথায় আছে। ঝনঝন করছে মাথার ভিতরের মগজ। কানে ঢুকল দূরের গোলাগুলির আওয়াজ। এক সেকেণ্ড পর মনে পড়ল কী ঘটেছে। চট্ করে চোখ মেলল রানা, পরক্ষণে শিউরে উঠল ভয়ে। বুদ্বুদ তোলা তেলের প্রস্রবণ গলগল করে নামছে রিগের পায়া বেয়ে, সেখান থেকে চল্লিশ ফুট দূরে আছে ও। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে আকাশে উড়ে যাওয়ার কথা কিন্তু আপার ডেক ঘিরে রাখা সেফটি নেটের ভিতর জড়িয়ে রয়ে গেয়েগেছে। যে কণ্টেনারের পিছনে লুকিয়ে পড়েছিল, সেটা এক ক্রুড অয়েলে ছাওয়া সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। কিন্তু আরপিজি ডেটোনেট হওয়ার সময় যে লোককে সরিয়ে এনেছিল, তার কোনে চিহ্ন নেই কোথাও। এখনও থরথর করে কাঁপছে নেট, চট করে উপুড় হলো রানা, মাকড়সার মত তিরতির করে রওনা হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর প্ল্যাটফর্মের পাশে পৌঁছে গেল ও, খুব সাবধানে উঁকি দিল ওদিকে। রিগের নিয়ন্ত্রণ েএখনও বজায় রেখেছে মার্সেনারিরা, ওর নিজের লোকরা পিছিয়ে পড়েছে, কমে আসছে তাদের গোলাগুলি... রানা সিরিজের ৪২৩ ও ৪২৪ তম বইয়ের এই কাহিনি একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে ওঠার কোনো উপায় নেই। কাহিনির সঙ্গে মানানসই প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী রনবীর আহমেদ বিপ্লব। লাইম লাইট-১ শীঘ্রি পাঠকজনপ্রিয়তা অর্জন করবে।


ভূতের রাজ্য (কিশোর-মুসা-রবিন- ৭)

জাদুর মোহে রিনকে আচ্ছন্ন করে ফেলল লর্ড হূম। তাকে সাহায্য করতে হলে তিন গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিনকে যেতে হবে ভূতের রাজ্যে, যেখানে শুধু মৃতদের বাস, নিজে না মরে ওখানে যাওয়া যায় না।
তবু বন্ধুর খাতিরে সেই অসম্ভব রাজ্যে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিল তিন গোয়েন্দা, সে যেভাবেই হোক। ঢুকলও ওরা। তবে তাড়াতাড়ি একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভূতের রাজ্য থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে নিজেরাও ওরা ভূত হয়ে যাবে।


গোয়েন্দা কাহিনী চোরের খোঁজে

বার্ষিক পরীক্ষা শেষ, সামনে লম্বা ছুটি। বিকেল ছ'টায় রহস্যভেদী আট-এর মিটিং, নির্দিষ্ট ছাউনিতে নয়। বাইরে, বাগানে, ঝােপের ধারে। মিশা আর জিমি এসে গেছে। অন্যদের আসবার অপেক্ষা করছে।এখানে বলে রাখা ভাল, ‘রহস্যভেদী আট’ হলাে রাজু, অপু, অজিত, বব, মিশা, রানু, অনিতা ও জিমির গােয়েন্দা সংস্থার সাংকেতিক নাম। প্রথম সাতজন কিশাের বয়েসী। আর জিমি হলাে একটা কুকুরের নাম। কুকুরটার মালিক রাজু। যাই হােক, ঝােপের কাছে এসে অপু নতুন সঙ্কেত বলল, নতুন হেডকোয়ার্টার।


তিন গোয়েন্দা ভলিউম ৩/২

হ্যালো কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বীচ থেকে ।জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলিসে,প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জান না, তাদের বলছি, আমরা তিনি বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি,নাম তিন গোয়েন্দা।

আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে । দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরশ আমেরিকান ,রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা লক্কড়ের জঞ্জালের নীচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেড কোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি, এসো না , চলে এসো আমাদের দলে।