অনেকে অভিযোগ করেন, আমার জীবন নাকি অস্বাভাবিক! তাঁদের মতে, স্বাভাবিক মানুষের জীবন এমন ঘটনাবহুল হতে পারে না ৷ যদিও নিজেকে আমি পাগল বা গণ্ডমূর্থের মতো নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করছি না, তবে তর্কের খাতিরে এখানে কেবল এই প্রশ্ন বোধহয় করতে পারি, নেপোলিয়ন কি স্বাভাবিক মানুষ ছিলেন না? তিনি মাত্র বাহান্ন বৎসর বেঁচে ছিলেন ৷ তার ভেতর থেকে প্রথম পঁচিশ বৎসর অনায়াসেই বাদ দেওয়া যায় ৷ কিন্তু বাকি মাত্র সাতাশ বৎসরের মধ্যে নেপোলিয়নের জীবনের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল যে ঘটনার-পর-ঘটনার প্রচণ্ড বন্যা, তাদের অবলম্বন করে কি অসংখ্য নাটক ও উপন্যাস রচনা করা চলে না?
ছেলেবেলা থেকেই আমার আদার্শ হচ্ছেন ডাঃ লিভিংস্টোন, ন্যানসেন, রবার্টু পিয়ারি ও কাপ্তেন স্কট প্রভৃতি দুঃসাহসী মহাজনরা - নতুন-নতুন বিপদসস্কুল অজানা দেশে নতুন-নতুন অভিযানে বেরিয়ে যাঁরা অকাতরে প্রাণদান করেছেন বা বিপজেয়ী হয়ে ফিরে এসেছেন ৷ সুখশয্যাশায়ী বিলাসীকে আমি ঘৃণা করি, আমার শ্রদ্ধা জাগে কণ্টকশয্যাশায়ী হঠযোগীকে দেখলে । পিতামাতার পরলোক গমনের পর প্রথম যখন স্বাধীন হলূম তখনই স্থির করলুম, এতদিন ধরে যে দিবাস্বপ্নের সাধনা করে আসছি সর্বাগ্রে তাকেই সফল করে তৃলব ৷ পৈত্রিক সম্পত্তির অভাব ছিল না।
ভীমগড়ের পাহাড়ি জঙ্গলে শেষ মার্চের বিকেলে কর্নেলের সঙ্গী হয়ে বেরুনাের সময় চৌকিদারের ওইসব কথা শুনে বেশ অম্বস্তিতে পড়ে গিরেছিলূম । কিন্তু কর্নেলের মুখ দেখে বুঝতে পেরেছিলুম, তিনি কেমন যেন নির্বিকার । বারকয়েক কালো দৈত্যের ব্যাপারটা কী হতে পারে, জিগ্যেস করেও কোনও উত্তর পাইনি ৷ তিনি ভীমগড়ের শেষদিকটার খানা-খন্দে ভরা পিচরাস্তায় পাখিদের ডাকাডাকি স্বাভাবিক।
তারপরই ডোর-বেল বাজল ৷ কর্নেল যথারীতি হাঁক দিলেন,-ষষ্ঠী ! একটু পরে একজন বেঁটে নাদূস-নূদুস গড়নের মধ্যবয়সী ভদ্রলােক ঘরে ঢুকে বললেন,-নমস্কার কর্নেলসায়েব ! আমি ঘনশ্যাম মজুমদার ৷ কাল কপালীগড় থেকে আপনাকে টেলিফোন করেছিলুম ৷ কর্নেল বললেন,-বলুন ঘনশ্যামবাবু ৷ আলাপ করিয়ে দিই । ইনি পাইভেট ডিটেকঢিভ মিঃ ক কে হালদার ৷ রিটায়ার্ড পুলিশ ইন্সপেক্টর ৷ গণেশ অ্যাভেনিউতে এঁর ডিটেকটিভ এজেন্সি আছে ৷ আর'-'জয়ন্ত চৌধুরি ৷ দৈনিক সত্যসেবক পত্রিকার সুখ্যাত ক্রাইম-রিপোর্টার ৷ ঘনশ্যামবাবূ আমাদের নমস্কার করে বললেন,-আমার পরিচয় দেবার মতো কিছু নেই । কপালীগড় রাজবাড়ির কেয়ারটেকার।
হেমন্ত চৌধুরীকে আমি ছেলেবেলা থেকেই অসাধারণ মানুষ ব’লে মনে ক’রে অাসছি। পাঠশালা থেকে ইস্কুলে, ইস্কুল থেকে কলেজ আমরা দুজনে বরাবরই একসঙ্গে শিখেছি লেখাপড়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ব্বোচ্চ ধাপ পর্য্যন্ত ওঠবার পরেও জীবনের যাত্রাপথে আমাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়নি।
গোপন কুঠুরি থেকে জমিদারবাড়ির গৃহলক্ষ্মীর বহুমুল্য গয়না চুরি হয়ে গেল রহস্যজনকভাবে। নিপাট ছাপোষা জয়গো পালের সস্তার জুতোগুলো একের-পর-এক চুরি হতে থাকে। কে যেন রাতের অন্ধকারে বাড়ির পোষা কুকুরের ধড় আর মুন্ডু আলাদা করে ভাসিয়ে দেয় খালের জলে|..
কর্নেল নীলাদ্রিশেখর সরকার, প্রকৃতিবিদ ও রহস্যসন্ধানী চলে এলেন জয়ন্তকে নিয়ে। সঙ্গে আছেন রিটায়ার্ড পুলিশকর্তা হালদারমশাইও।
তীব্র বুদ্ধির আলোয় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় রহস্যের কুয়াশা, অপরাধী ধরা পড়ে। রহস্য-রোমাঞ্চে ঠাসা দু-দুটি রহস্য উপন্যাসঃ ‘ঠাকুরদাদার সিন্দুক রহস্য’ বই হয়ে বেরোল এই প্রথম।
খাঁ-খাঁ-করা মোমিনপুরের মাঠের আশপাশ দিয়ে দিনের বেলাতেও লোকে চলতে ভয় পায়। তার কারণ অন্য কিছু নয় - কারণ হচ্ছে কলঙ্কিনীর ভয়। লোকে বলে, কলঙ্কিনী লীলাবতীর আত্ন আজও নাকি বিলের আশপাশে ঘুরে বেড়ায় মাঝরাতে। গভীর রাতে লীলাবতীর সেই প্রেতাত্মার কান্না ভেসে যায় দূর থেকে দূরান্তরে।
তার বিচারের ক্ষেত্রে সাক্ষী দিতে কাকাবাবু এসেছেন আফ্রিকায়। অন্য সাক্ষী হল পবনরতন লোহিয়া। প্রথমে পবনরতন লোহিয়ার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে তাকে তুলে নিয়ে আসে ফিলিপের ভাই রবার্ট, যে নিজেও ভাইয়ের ব্যবসায় জড়িত। এরপর কাকাবাবু আফ্রিকায় পৌঁছুলে নানা ফন্দি ফিকির করে তাকেও নিয়ে আসা হয় পবনরতনের কাছে। দুই বন্দির জায়গা হয় তানজিনিয়ার গোরংগোরো আগ্নেয়গিরিতে। শেষ পর্যন্ত কি হবে কাকাবাবু আর পবনরতনের? তাঁরা কি বেঁচে ফিরতে পারবেন নাকি সিংহের খাদ্যে পরিণত হবেন? সেই উত্তর মিলবে এই উপন্যাসের শেষে। খুবই ঘটনাবহুল এই উপন্যাসটি। তবে সেই তুলনায় অ্যাডভেঞ্চার আর টানটান উত্তেজনার সিচুয়েশন ছিল খুবই কম। সন্তু-জোজোকে মাত্র একটা পরিচ্ছেদে দেখা গেছে কিন্তু তাদের সাথে সরাসরি এই কাহিনীর কোন যোগ ছিল না।
মিসির আলি সাহেবকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়- আপনি ভূত বিশ্বাস করেন তিনি তৎক্ষণাৎ বলবেন ”না”। যুক্তিতে ভূত আসে না। হিমুকে এই প্রশ্ন করলে, হিমু বলবে- অবশ্যই ভূত বিশ্বাস করি। যুক্তি শেষে কথা নয়- জগতের অনেক রহস্যই যুক্তির বাইরে ।
বাবলুকে একা বাসায় রেখে তার বাবা-মা ভৈরবে বেড়াতে গেছেন। সকালের ট্রেনে গেছেন, ফিরবেন রাত ন’টায়। এই এত সময় বাবলু একা থাকবে। না, ঠিক একা না, বাসায় কাজের বুয়া আছে। বাবলুর খুব ইচ্ছা ছিল সেও ভৈরবে যাবে। অনেক দিন সে ট্রেনে চড়ে না। তার খুব ট্রেনে চড়তে েইচ্ছা করছিল।
ভোরবেলা সন্তু তার কুকুরটাকে নিয়ে বের হয়েছে। উদ্দেশ্য মর্নিং ওয়াক করবে। সন্তুর কাকাবাবু মানে রাজা রায়চৌধুরী তখন ঘুমে। বাড়ি থেকে বের হতে না হতেই দেখা বন্ধু জোজোর সাথে। সন্তু ভীষণ অবাক। এই সাত সকালে জোজো কেন? জোজোকে জিজ্ঞেস করতেই জানা গেলো, জোজোদের বাড়িতে নাকি সাইমন বুবুম্বা এসেছেন। আফ্রিকার কোন এক রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট! তার জন্য পিন হেড মাশরুম যোগাড় করতে হবে। সন্তু মনে মনে হাসলো। সকালবেলায় শুরু হয়ে গেছে ওর কল্পনাশক্তির লাগামছাড়া দৌড়। জোজোর এমনি সব ঠিক থাকলেও এইটা একটা বড় সমস্যা। তবে হ্যাঁ, ওর এসব অদ্ভূত গল্প নিয়ে কখনো কোন বিপদে পড়তে হয় নি এখনো।
ডেভিড বেঞ্জামিন কোহেন (ডিবিসি) একটু ঝুকে পড়ে টেবিলের উপর রাখা একটা মানচিত্রের উপর গভীরভাবে চোখ বুলাচ্ছিল। ডেভিড বেঞ্জামিন কোহেন ‘ এক মানুষ এক পৃথিবী’ সংগঠনটির ইউরোপ- ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের নতুন প্রধান। রত্নদ্বীপের ব্ল্যাক সিন্ডিকেট- এর বিপর্যয়ের পর ‘এক মানুষ এক পৃথিবী’র পক্ষে সে এসেছে চূড়ান্ত সিন্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়ে।
এইচ থ্রি'র কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে আহমদ মুসা। এই মুক্তিটাই আবার সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকান সরকার ও আহমদ মুসার জন্য। আহমদ মুসা সব গোপন তথ্য আমেরিকান সরকারকে জানিয়ে দিলে আমেরিকা অ্যাকশনে আসবে এই ভয়ে এইচ থ্রী সন্ত্রাসীরা আমেরিকার উপর ভয়ঙ্কর গোপন অস্ত্র প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এই মহাবিপজ্জনক মুহুর্তে শুধুমাত্র আমেরিকাকে বাঁচাতে পারে আবার আহমদ মুসাকে নিখোঁজ হয়ে যেতে হলো। .... আমেরিকার উপর এ যেন 'মরার উপর খাড়ার ঘা'। চুপসে গেছে আমেরিকান সরকার। এল আমেরিকার উপর তিন দিনের আল্টিমেটাম- তিন দিনের মধ্যে শর্ত মেনে না নিলে গোপন অস্ত্র প্রয়োগ করবে সন্ত্রাসীরা। শর্ত মেনে নিলে আমেরিকা আবার আমেরিকা থাকে না। অন্যদিকে এই ভয়ঙ্কর গোপন অস্ত্র মোকাবিলা করার ক্ষমতা নেই আমেরিকার। সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ধ্বংস করাই এখন একমাত্র পথ, কিন্তু সময় কোথায়? পথে নামল আহমদ মুসা। কিন্তু কোথায় ওদের অস্ত্র? শুরু হল আহমদ মুসার জীবনের সবচেয়ে বিপজ্জনক, ঝুকিপূর্ণ ও ভয়ঙ্কর অভিযান।
যেসব আকর্ষণীয় গোয়েন্দা কাহিনির সিরিজ লিখে শ্রীস্বপনকুমার জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তার বেশ কয়েকটিই প্রকাশিত হয়েছিল দেব সাহিত্য কুটীর থেকে। সেরকমই একটি অতি জনপ্রিয় সিরিজ ‘বিশ্বচক্র সিরিজ’। এই সিরিজে শ্রীস্বপনকুমার মোট একশোটি ছোট উপন্যাস লিখেছিলেন। তার থেকে মোট কুড়িটি উপন্যাস এই সংকলনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর প্রত্যেকটি উপন্যাসই আকর্ষণীয়, একবার শুরু করলে শেষ না করে পারা যায় না, সুতরাং এই গ্রন্থও পাঠকদের কাছে খুব আদরের হবে, নিঃসন্দেহে বলা যায়।
একদা শ্রীস্বপনকুমারের যে খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা ছিল, আজ তা নেই। কিন্তু একদিন কাহিনি গ্রন্থনের যে মুন্সিয়ানায় তিনি পাঠকদের সম্মোহিত করে রেখেছিলেন, রচনার সেই জাদুর সঙ্গে আজকের পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেবার জন্যই আমরা এই গ্রন্থ প্রকাশে আগ্রহী হয়েছি।
ভূত এর ব্যাপারে আমি ছোট বেলা থেকেই অনেক বেশি আগ্রহী। ভুতের গল্প গুলো এক কথায় গোগ্রাসে গিলতে ইচ্ছে হয়। যেখানে পায় পড়ে ফেলি।যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন ডাঃ গৌরী দে এর "হানাবাড়ী" নামক একটা ভুতের গল্প পড়েছিলাম।অস্থির ভাল লেগেছিল। "অতৃপ্ত আত্মা " নামক একটি গল্প আমার মনে বেশ ভাল ভাবেই দাগ কাটে।গল্পটি আমার মনে বেশ ভীতির সঞ্চার করেছিল ।তার পর থেকেই ডাঃ গৌরী দে এর মোটামুটি ভক্ত হয়ে গেলাম।তার লেখা " রোমাঞ্চকর ভূতের গল্প " বইটি আমার জন্য অনেকটা উপহার সরুপ বলা যায়। বইটিতে মোট এগারোটি ভূতের গল্প নিয়ে রচিত। বইটি কিশোরদের জন্য অনেক ভাল লাগার মত হবে।বইয়ের প্রত্যেকটা গল্পের মাঝে ভয় আর ভূতুড়ে জিনিস পাবেন যা অনেক ভাল লাগার মত। আমার কাছে এক দুই তিন, অতৃপ্ত আত্মা ও ভুতের প্রতিশোধ শিরোনামে গল্প গুলো বেশি ভাল লাগছে। গল্প গুলো রহস্য আর ভয় এর সংমিশ্রনে এক অপরুপ রচনার সৃষ্টি করেছেন লেখক ডাঃ গৌরী দে। ভূতের সংকেত নামক গল্পটা অনেক মজার তাছাড়া আফ্রিকার ভূত ও কংকাল নামক গল্পগুলো ও বেশ ভয়ংকর আর রোমান্সময়।
বোয়িং ৭০৭ পরপর দুবার গোত্তা মেরে নীচে নামার চেষ্টা করল। পারল না। ছিটকে লাফিয়ে উঠল। পবল ঝাঁকুনি। সিট বেল্ট বাঁধা অবস্থাতে ও থরথর করে কাপছি। পাশে অনন্ত সরখেল। চক্ষু বন্ধ। ঠোঁটদুটো নড়ে যাচ্ছে। সামনের সিটে বিপুলকায় ভদ্রলোক চেঁটিয়ে-চেঁচিয়ে জপ করছেন,
মহীশূর রাজ্যের কাদুর জেলার মধ্যে একটা রেলওয়ে স্টেশনের নাম হলো বীরুর। বীরুরের পশ্চিমে একটা রেললাইন টানা চলে গেছে সিমোগাতে । পাশেই বেশ উচু একটা পাহাড়; হোগারখান নামে পরিচিত। অর্ধচন্দ্রের আকারে সারি সারি পাহাড়গুলোকে বলা হয় বাবা বুধনবা মাউন্টেন অফ্ ক্রিসেন্ট।
রাজ্য ইংল্যান্ড। শহর নটিংহাম। সে বহুকাল আগের কথা। নটিংহামের কাছাকাছি বিশাল এক গহিন। গভীর সবুজ বনভূমি, নাম শেরউড জঙ্গল । রবিন হুড নামে এক দস্যু থাকত ওখানে । কিভাবে সে দস্যু হলো সেটাই এখন বলব তোমাদের। সে-সময় ইংল্যান্ডের শাসনভার ছিলো রাজা হেনরির হাতে।
বিভূতিভূষণের জন্ম হয় তাঁর মাতুলালয় কাঁচড়াপাড়ার সমীপবর্তী ঘোষপাড়া- মুরাতিপুর গ্রামে। জন্মতারিখ ২৮ ভাদ্র, ১৩০১ (ইং ১২ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪)। তাঁর পৈতৃক নিবাস যশোর জেলার (বর্তমানে ২৪ পরগণা জেলার ) অন্তর্ভুক্ত বনগ্রাম মহকুমার অবস্থিত ইছামতী নদীতীররস্থ ব্যারাকপুর গ্রাম। তাঁর পিতার নাম মহানন্দ বন্দ্যোপাদ্যায় শান্ত্রী, পেশা ছিল কথকতা; মাতা মৃণালিনী দেবী।
*ভূপাল রহস্য
*জঙ্গলের মধ্যে এক হোটেল
*জঙ্গলগড়ের চাবি
*রাজবাড়ির রহস্য
*বিজয়নগরের হিরে
*কাকাবাবু ও বজ্রলামা
ভিন্নধর্মী এডভেঞ্চারের স্বাদ পাবেন এই কাকাবাবু সিরিজের বইগুলোতে। কাকা বাবু গোয়েন্দা নন, এক শারীরিক প্রতিবন্ধী অথচ অসমসাহসী এক ব্যক্তিত্ব। তার ভাইয়ের ছেলে সন্তুকে নিয়ে তিনি একের পর এক এডভেঞ্চারে জড়িয়ে পড়েন। একবার পড়তে শুরু করলে সবগুলো গল্প পড়তে ইচ্ছা করবেই।
এক রাতের ঘটনা। রাত ৪ টা বাজার কাছা-কাছি।অথাৎ এখন তার ঘুমাতে যাওয়ার সময়।খাটে উঠতে যাবে, এমন সময় শুনতে পেলো এক নারীর আত্মনাদ। কৌতুহলের কারনে বিনস দৌড়ে জানালার কাছে চলে যায়। আশে পাশে সব কিছু নিশ্চুপ।রাস্তায় একটা দামি গাড়ি দাড় করানো।হঠাৎ হেনরি বিনস দেখল সেই বাড়ি থেকে একটা লোক বেরিয়ে এলো, লোকটা গাড়ির দিকে যাচ্ছে এবং লোকটা যখন গাড়িতে উঠতে যাবে তখনই তার সাথে বিনসের চোখাচখি হল।হেনরি বিনস লোকটাকে দেখে, একদম স্থির ভাবে দাঁড়িয়ে পড়ল, কারন লোকটা আর কেও নই আমেরিকার ৪৪ তম প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান!!
অদৃশ্য এক ষড়যন্ত্র এসে তাদের ঘিরে ধরেছে। তারা অব্যহত গুম, খুন ও ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার। তাদের শস্যক্ষেত অজ্ঞাত কারণে বিরান এবং তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো রহস্যময় অগ্নিকান্ডের শিকার হচ্ছে। এর তদন্ত ও প্রতিবিধান করতে গিয়ে আর্মেনিয়া সরকারের চার দক্ষ গোয়েন্দা, ইউনেস্কো, ওআইসি আর রাবেতার পাঁচ কর্মকর্তা নির্মমভাবে নিহত হলো। তদন্ত ও প্রতিকার তৎপরতা বন্ধ হয়ে গেছে। অসহায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে দশ হাজার নারী পুরুষ শিশু। ধ্বংস হওয়াই কি তাদের ভাগ্য? ..... না, আহমদ মুসা ছুটল এবার আর্মেনিয়া সীমান্তে। .... কিন্তু সেখানে পা দিয়েই টের পেল ষড়যন্ত্র জটিল, সর্বব্যাপি! ভয়াবহ রকমের হিংস্র এরা।