সংখ্যা নিয়ে কথা বলার আগে তােমাদেরকে একটা প্রশ্ন করি। আচ্ছা, বলতাে সংখ্যা আর অঙ্কের মধ্যে পার্থক্য কী? এরা কি একই? আমার বিশ্বাস তােমরা সবাই জানাে এদের মধ্যে পার্থক্য কী। তবে যাদের যাদের এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না, তাদের জন্য আমি পার্থক্যটা ছােট্ট করে বলছি। এক লাইনে বলতে গেলে পার্থক্যটা হচ্ছে, এক বা একাধিক অঙ্ক দিয়ে সংখ্যা গঠিত হয় এবং আমরা যে সংখ্যা-পদ্ধতি ব্যবহার করি তাতে শূন্য হতে নয় পর্যন্ত মােট দশটি অঙ্ক আছে। অর্থাৎ 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9। তােমরা চিন্তা করে দেখাে, যত ছােট বা বড় সংখ্যাই হােক-না-কেন, তােমরা তা এ দশটা অঙ্ক ব্যবহার করে লিখতে পারাে।
ঈর্ষার চোখে বাকের দিকে তাকাত। বাককে পেয়ে মিঃ মিলারের দুই ছেলে ওকে তাদের সঙ্গে পুকুরে সাঁতার কাটতে ডাকত। তবে সে সেই ডাকে সাড়া দিত না। বরং প্রভু বন্ধু মিলারের পাশে হেঁটে বেড়াতে বেশি। পছন্দ করত। প্রাতঃভ্রমণ শেষে খামারের এক প্রান্তে হেমন্তের ফলেভরা বাগানে যেত তারা। বাগানে মালীর সহকারী ম্যানুয়েল বাকের দিকে। তাকিয়ে মনে মনে হাসত। একমাত্র সেই জানত বাকের এই আয়েসী জীবন অচিরেই শেষ হতে যাচ্ছে। রাতে খাবারের পর বাক তার মনিবের পায়ের কাছে চুল্লির পাশে শুয়ে আগুনের শিখার দিকে তাকিয়ে থাকত। এ সময় তার বৃদ্ধ মনিব মানুষের মতােই তার সঙ্গে সুখ-দুঃখের কথা বলতেন, ‘জানাে বাক, আজকাল মানুষ স্বর্ণের জন্য পাগল হয়ে উঠেছে।
অপূর্বর নাম অপূর্ব। মা বাবা আদর করে ডাকেন অপু। স্কুলের | বন্ধুরা দুষ্টুমি করে বলে অপূর্ব মিত্র। মুসলমান ছেলেদের নামের
শেষে মিত্র হয় না তবুও বন্ধুদের কথায় রাগ করে না অপূর্ব। অপূর্ব মিত্র নামটা ওর খারাপ লাগে না। স্কুলে ওর একটি ভালাে নাম আছে। দশ অক্ষরের লম্বা নাম। নামটা খুব অপছন্দ অপুর । কেউ নাম জিজ্ঞেস করলে লম্বা নামটা ভুলেও উচ্চারণ করে না সে। প্রথমে বলে, অপু। তারপর অপূর্ব। এ পর্যন্তই। হাজার চেষ্টা করেও পুরাে নামটা অপুর মুখ থেকে কেউ বের করতে পারে না। বেশি বাড়াবাড়ি করলে সে রেগে যায় । অপু ছেলেটা খুব রাগী।
এক পাহাড়ের চূড়ায় আমার বাংলা। সামনেই সমুদ্র। বর্ষার সময় কাদায় ভরে যায় বাংলাের চারপাশ, তখন হাঁটাচলা করা দুষ্কর হয়ে ওঠে।
যে জানালার কাছে বসে আমি লিখতাম, সেটা দিয়ে সামনে তাকালেই দেখা যেত একটা জলাশয়। ওই জানালা দিয়েই প্রথমবার দেখি আমি ক্যাভরকে। তখন সূর্য ডুবতে বসেছে। আকাশে সবুজ আর হলুদ রঙের ছড়াছড়ি। দিগন্তের সেই উজ্জ্বল, রঙচঙে পটভূমিতে অদ্ভুত দেখাচ্ছিল তখন লােকটাকে । বেঁটে আর মােটা। মাথায় ক্রিকেট খেলােয়াড়দের টুপি, গায়ে ওভারকোট। অদ্ভুত ভঙ্গিতে মাথা দুলিয়ে হাত ঝাঁকাতে ঝাকাতে এগিয়ে আসছিলেন তিনি। আমার জানালার কাছে এসে হঠাৎ
ইংল্যাণ্ডে ফিরে বিয়েটা সেরে ফেললাম। তারপর লণ্ডনে শুরু করে দিলাম । প্র্যাকটিস। কিন্তু দু বছরের মধ্যেই বুঝতে পারলাম দেশে বসে পােষাবে।
স্ত্রীকে রাজি করিয়ে আবার। জাহাজের ডাক্তার হয়ে গেলাম। পরের ছটা বছরে জাহাজের ডাক্তার হিসেবে ঘুরে বেড়ালাম ইস্ট আর ওয়েস্ট ইণ্ডিয়া। প্রচুর কামিয়েছি এ সময়ে। নিজের খাওয়া খরচ বাদ দিয়ে বাড়িতেও টাকা পাঠাতে পেরেছি। জাহাজের চাকরিতে একটা লাভ হয়েছে বেশ কিছু বিদেশী ভাষা শিখতে পেরেছি বিভিন্ন বন্দরে নােঙর করার সুবাদে। স্মৃতিশক্তিটা বেশ প্রখর বলে দ্রুত শিখে ফেলেছি বিভিন্ন ভাষা, যা পরবর্তী সমুদ্র অভিযানে কাজে লেগেছে।
সূচিপত্র
মৃত্তিকার সন্তান
পাঠ ও জীবন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা
যুক্তির ভাষা ও বিবেচনা
তাঁর মেন্টর
মাতুব্বর ও গ্যালিলিও
পরশপাথর
মর্মের আত্মীয়বৃন্দ
বিজ্ঞান ও দর্শন
উপসংহার
‘গণিতের রাজ্যে পাই’ বইটিতে শ্রদ্ধেয় জাফর স্যারের লেখাটা স্যার এবং শ্রদ্ধেয় কায়কোবাদ স্যারের ‘নিউরনে অনুরণন’ বই থেকে নেওয়া। মুনির ভাইয়ের দুটি লেখাই পাই দিবস উপলক্ষে প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছিল। সারা দেশে পােই দিবসকে ছড়িয়ে দিতে মুনির ভাইয়ের আগ্রহের কোনো অন্ত নেই। স্ব-উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে পাইয়ের মান নির্ণয় সৌমিত্র ও অভীকের পাইয়ের প্রতি সুবিশাল ভঅরোবাসার পরিচয় দেয়। আর বাকি লেখাগুলোর মধ্যে ‘আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল’ লেখাটি পাইয়ের মানের অংকগুলোর বিক্ষিপ্ততা নিয়ে লেখা। অভীকের ‘পাইয়ের সরস গণিত’ অনেকের কাছেই নীরস (!!) লাগতে পারে। লেখাটি পাইয়ের বিভিন্ন গাণিতিক উৎকর্ষ নিয়ে লেখা। পাই-পাগল চমকের লেখাটি একটু ভিন্নমাত্রার যুক্তির পাশাপাশি পাইয়ের প্রতি মানুষের অপরিসীম আবেগ আর ভালোবাসাও তো আর কম নয়! বর্তমানে ইংল্যান্ডে বসবাসরত রক্তিম বড়ুয়াকে তার লেখা দুটির জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।
১. ডোরেমন কমিক্স ১ : সুদূরের এক ভবিষ্যৎ দুনিয়া থেকে
২. ডোরেমন কমিক্স ২ : মিরাকল পেন
৩. ডোরেমন কমিক্স ৩ : ব্ল্যাক বেল্ট নবিতা
কিন্তু তুমি শ্বাসের মাধ্যমে যে পরিমাণ অক্সিজেন দেহে গ্রহণ করাে, তার চার ভাগের এক ভাগই ব্যবহার করে তােমার মস্তিষ্ক। অথচ আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, কোনাে কাজ না করে খুলির মধ্যে শুধু শুধু বসে থাকে মস্তিষ্ক। কিন্তু এসব ঘটনায় নিশ্চিতভাবেই প্রমাণিত হয়, মস্তিষ্ক এমন বিশেষ কোনাে কাজ করে, যা আমাদের দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবার ধরাে, বিশেষ কোনাে কারণে মাঝে মাঝে অনেকের শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হতে দেখা যায়। এর ফলে তার দেহের ভেতর প্রয়ােজনীয় অক্সিজেন যেতে পারে না। দেহের বেশির ভাগ অংশই অক্সিজেন ছাড়া কিছুটা সময় টিকে থাকতে পারে। কিন্তু অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই অকেজো হয়ে যায় মস্তিষ্ক। এতে মস্তিষ্কের সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সব শেষে মানুষটি মারা যায়।