Categories


গণিতের শতপ্রশ্ন

মাথায় যত গণিতের প্রশ্ন আসে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে তার প্রায় সব প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়। এ এক আকর্ষণীয় স্থান। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছেলেমেয়ে ছুটে আসে তাদের মাথায় যত প্রশ্ন আসে তার জবাব জানার জন্য। শত শত প্রশ্ন, বানের মতাে ছুটে আসতে থাকে মঞ্চে উপবিষ্ট গণিতবিদদের দিকে। কোনােটার জবাব সহজ, আবার কোনােটার জবাব দেওয়া বেশ কঠিন। সময়ের অভাবে সব প্রশ্নের জবাব দেওয়া সম্ভব হয় না। অনেকে মন খারাপ করে! তাদের মনকে ভালাে করতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।

 


হিচ-হাইকার

সম্পাদকের দাবি, এক কুড়ি কাহিনি নিয়ে তাঁরএ বই পাঠককে কাঁদাবে, হাসাবে এবং ভাবাবে। তিনি বলছেন, ‘চূড়ান্ত বাছাই এবং সম্পাদনাশেষ মনে হয়েছে-নাহ্ ,সত্যিই চমৎকার একটি সংকলন আমি উপহার ‍দিতে যাচ্ছি আমার পাঠকদেরকে। ‘ ‘সত্যিই কি তাই?পাঠক,নিজে দেখুন না একবার পরখ করে! আশা করি বিশ্ববিখ্যাত লেখকদের লেখা গল্পগুলো পড়ে আপনপার নানান বিচিত্র অণুভূতি হবে সম্পাদকের মত কখনও অশ্রুসজল হয়ে উঠবে, কখনও ফেটে পড়বেন অট্রহাসিতে, আবার রোমাঞ্চ জাগবে শরীরে ,হবেন শিহরিত!


চে গুয়েভারা

ফুফু বিয়াত্রিসের বাড়িতে চে প্রায়ই যেত। রাতে খাবার খেত। রাত জেগে পড়াশুনা করত। ফুফু তাকে মা’র সমতুল্য আদর-যত্ন করতেন। অবিবাহিত ফুফু বিয়াত্রিস ছিলেন সূচিবায়ুগ্রস্ত। কারাে সঙ্গে হাত মেলানাের পর হাত ধুয়ে ফেলতেন। নিম্নশ্রেণীর লােকদের সঙ্গে মেলামেশা পছন্দ করতেন না। এই নিয়ে চে তার ফুফুর সঙ্গে খুব মজা করত। কোনাে মেয়ের সঙ্গে চে’র বন্ধুত্ব হয়েছে শুনলে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চাইত মেয়েটির জাত-পাত কী? চে তখন হেয়ালি করে বলত—নিচু শ্রেণীর মেয়ে। আর শুরু হয়ে যেত বিয়াত্রিসের শাসন-বারণ ।


রাজবাড়ির রহস্য

টুক করে একটা শব্দ হতেই শৈবাল দত্তর ঘুম ভেঙে গেল। এত সহজে তাঁর ঘুম ভাঙে না। শব্দটা ঠিক যেন কোনও ঘরের ছিটকিনি খােলার শব্দের মতন। তিনি বেডসাইড টেবলের ঘড়িটা দেখলেন। অন্ধকারে ঘড়ির কাঁটাগুলাে জ্বলজ্বল করছে, এখন রাত দুটো বেজে কুড়ি মিনিট।

গতকাল রাতেও প্রায় এই সময়েই একটা গণ্ডগােলে তাঁর ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। সিড়ির কাছে একটা জোর শব্দ হয়েছিল হুড়মুড় করে। শৈবাল ছুটে গিয়ে দেখেছিলেন, দোতলা থেকে একতলায় নামার সিড়ির মাঝখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে দেবলীনা।

 


দ্বিতীয় পৃথিবী

 মহাশূন্যে ছুটে চলছে স্কাউটশিপ ওমেগা। তাদের লক্ষ্য মাদার স্পেসশিপ প্রিটিনিন। প্রিনিন বিশাল আকৃতির একটা অনুসন্ধানী স্পেসশিপ। প্রিটিনিনের মূল কাজ নতুন নতুন গ্রহে অভিযান পরিচালনা করা। পৃথবী থেকে রওনা করে প্রিটিনিন মাস তিনেক হলাে একটা গ্রহপুঞ্জের মাঝামাঝি অবস্থান করছে। সেখান থেকে ছােট ছােট অনুসন্ধানী স্কাউটশিপে অভিযাত্রীরা আশেপাশের গ্রহে অভিযান পরিচালনা করছে। এরকমই একটা অনুসন্ধানী স্কাউটশিপ ওমেগায় করে ব্রিটি গ্রহে অভিযানে গিয়েছিল চব্বিশ বছর বয়সী নারী অভিযাত্রী জীববিজ্ঞানী নিয়ানা এবং বত্রিশ বছর বয়সী নভােচারী সিভিন। তথ্য সংগ্রহের মূল দায়িত্ব ছিল নিয়ানার | ওপর আর সিভিনের দায়িত্ব ছিল স্কাউটকিপ পরিচালনাসহ সার্বিক বিষয়ে সহায়তা করা। তাদের আর একজন সঙ্গী ছিল আইটু নামের একটি সপ্তম মাত্রার রােবট। আইটু তিন ফুট হলেও অনুসন্ধানী কার্যক্রমে অত্যন্ত দক্ষ।


নিতুর ডায়েরি ১৯৭১

নিতু মনের খেয়ালে ডায়েরি লিখতে শুরু করে ১৯৭১ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে। সে তখন ১৩ বছরের কিশোরী। নিতু তার মনের সুন্দর ভাবনাগুলো ডায়েরিতে লেখে। গ্রামে ঘটে যাওয়া মজার ঘটনা লেখে। নিতুদের সাজানো গোছানো পরিপাটি সংসার। সেই ভালোবাসাময় সংসারের কথা জানা যায় নিতুর ডায়েরি থেকে। মার্চের ২৫ তারিখ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি মিলিটারি ঝাঁপিয়ে পড়ে এই দেশের নিরপরাধ মানুষের উপর। শুরু হয় যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। যুদ্ধের আঁচ লাগে নিতুদের গ্রামে। কাজলরেখা নদী দিয়ে মানুষের লাশ ভেসে যায়। নিতু ডায়েরিতে লেখে সেইসব কথা। নিতুর ডায়েরি সাক্ষী হয় মুক্তিযুদ্ধের। বাবা, বড় ভাই, হাসান স্যার, যতিন মাস্টার সকলেই যুদ্ধে চলে যান। পাকিস্তানি মিলিটারিরা নিতুদের ইশকুলে ক্যাম্প করে। তারা উর্দু স্যার আর হাশিম মৌলানাকে মেরে ফেলে। লতিফ মামু পাকিস্তানি মিলিটারিদের সঙ্গে হাত মেলায়। নিতুদের জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ সংকট। পাকিস্তানি মেজর ইশতিয়াক নিতুর বড় বোন মিতুকে বিয়ে করতে চায়। যুদ্ধ থেকে বড় ভাই আসে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। পাকিস্তানি মিলিটারিদের ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়ে যায় সে। মিতু পাকিস্তানি মিলিটারির হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। বাবার ফেরার প্রতীক্ষায় থাকে নিতু। সেই প্রতীক্ষা দীর্ঘতর হয়। যুদ্ধ মানবতার বিপক্ষে দাঁড়ায়।


বুদ্ধিমতী মাশা

'বুদ্ধিমতী মাশা' বইয়ের ভূমিকা:বইটি পড়লেই বুঝবে মাশা কেমন বুদ্ধিমতী। তবে সে তো এমনিই বোঝা যায়। বুদ্ধিমতী না হলে কি আর তাকে নিয়ে কেউ বই লেখে? ছবি আঁকে? এমন কি এক্কেবারে ছোটতেই, মাশা যখন দোলনায়, তখনই সে এক হাতে ঝুমঝুমি বাজাত, আর এক হাতে মশা তাড়াত। তাই না দেখে মাশার বাবা-মা, দিদিমা, তাদের আত্মীয়স্বজন, চেনা পরিচিত, পরিচিতদের আত্মীয়, আত্মীয়দের পরিচিত, সবাই একবাক্যে বলেছিল, ‘সত্যিই মাশা খুবই, খুবই, খুবই বুদ্ধিমান।’দুঃখের কথা মাশার ছোটো ভাই ভিতিয়া সম্পর্কে কিন্তু বলা যায় না যে সে বুদ্ধিমান। তবে তাতে যায় আসে না। বইটা পড়লেই তোমরা দেখবে একা মাশার বুদ্ধিতেই দুজনার কুলিয়ে যাবে। আর ববিক, রবিক, লবিক, জুবিক সম্পর্কে কী করা যায়? কেবল প্রশংসা। এরা হলো দুনিয়ার সবচেয়ে চালাক, সবচেয়ে দৌড়বাজ, সবচেয়ে বাধ্য কুকুর। বিশ্বাস না হয় পড়ে দেখো।


তারিণীখুড়োর কীর্তিকলাপ

যাই হােক, খেলা শেষ করে বাড়ি ফিরছিল শ্রীপত। তখন রাত এগারােটা। হেঁটেই ফিরত। রাজবাড়ি থেকে শ্রীমলদের বাড়ি হাফ-এ-মাইল। পথে পড়ে রাম সরােবর। ভারী সুদৃশ্য লেক, ঠিক মধ্যিখানে একটি শ্বেতপাথরের মিনি-প্রাসাদ, নৌকো করে যাওয়া যায় সেখানে। সেই লেকের ধারে কে জানি রিভলভার দিয়ে গুলি করে শ্রীপতকে। পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মেরেছে, এক গুলিতেই সাবাড়। পুলিশ নারায়ণকে সন্দেহ করে। সে যে শ্রীপতকে মারবে বলে শাসিয়েছে, সে-কথা জেরাতে আড্ডার সকলেই স্বীকার করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে নারায়ণ বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। আমি অবশ্য খুনের সময় কাছেই ছিলাম।


সোনার কেল্লা (ফেলুদা উপন্যাস ৩)

একটা চারমিনার ধরিয়ে পর পর দুটো ধোঁয়ার রিং ছেড়ে ফেলুদা বলল, ‘জিয়ােমট্রির বই বলে আলাদা কিছু নেই। যে-কোনও বই-ই জিয়ােমেট্রির বই হতে পারে, কারণ সমস্ত জীবনটাই জিয়ােমেট্রি। লক্ষ করলি নিশ্চয়ই—ধোঁয়ার রিংটা যখন আমার মুখ থেকে বেরােল, তখন ওটা ছিল পার্ফেক্ট সার্কল। এই সার্কল জিনিসটা কী ভাবে ছড়িয়ে আছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সেটা একবার ভেবে দ্যাখ। তাের নিজের শরীরে দ্যাখ। তাের চোখের মণিটা একটা সার্কল। এই সার্কলের সাহায্যে তুই দেখতে পাচ্ছিস আকাশের চাঁদ তারা সূর্য। এগুলােকে ফ্ল্যাটভাবে কল্পনা করলে সার্কল, আসলে গােলক—এক-একটা সলিড বুদ্বুদ, অর্থাৎ জিয়ােমেট্রি। সৌরজগতের গ্রহগুলাে আবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে এলিপটিভ কার্ভে। এখানেও জিয়ােমেট্রি। তুই যে একটু আগে জানালা দিয়ে থুক করে রাস্তায় থুতু ফেললি—অবিশ্যি ফেলা উচিত নয়—ওটা আনহাইজিনিক—নেক্সট টাইম ফেললে গাঁট্টা খাবি—ওই থুতুটা গেল কিন্তু একটা প্যারাববালিক। কার্ভে-জিয়ােমেট্রি। মাকড়সার জাল জিনিসটা ভাল করে দেখেছিস কখনও।