Categories


দ্য বুক অব ফ্যাক্টস-২

কয়েক ধরনের ইয়ােরােপীয় ঈল এদের ডিম পাড়ে মেক্সিকো উপসাগরের প্রান্তে অবস্থিত সারগ্যাসসা সাগরে, এদের বাড়ি থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে। ডিম পাড়ার স্থানে পৌছার জন্য, এরা যেকোনাে ধরনের জলপথ ব্যবহার করে, অথবা এমনকি মাটির ওপর দিয়েও কিছু দূর যায় যখন বাঁধের মতাে প্রতিবন্ধক এদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, ইয়ােরােপীয় স্রোত ত্যাগ করে। যখন এরা মহাসাগরে পৌছায়, এরা ৩,০০০ থেকে ৬,০০০ মাইল দূরে এদের গন্তব্যের জন্য যাত্রা শুরু করে। পূর্ণ বয়স্ক ঈল প্রজননক্ষেত্র থেকে ফিরে আসে না বরং, উপসাগরের স্রোতে ভেসে, ডিম থেকে বের হওয়া নতুন লার্ভা ইয়ােরােপে ফিরে আসে, প্রায় তিন বছরের একটা ভ্রমণ। কার্যকরী দিক দিয়ে ডলফিনের লেজের চালনাশক্তি জাহাজের প্রােপেলারের চালনাশক্তির চেয়ে ভালাে নির্দিষ্ট শক্তি অর্জনের জন্য এদের কম শক্তি ব্যয় করতে হয়।

 


ইংল্যান্ডের রূপকথা

ইংল্যান্ডে প্রচুর পরিমাণে স্বদেশী রূপকথার সন্ধান পাওয়া যায়। আইরিশ, স্কটিশ এবং ব্রিটিশ জাতির মধ্যে ঐতিহ্যবাহী রূপকথার গল্পের প্রচলন রয়েছে সুদীর্ঘকাল ধরে। এই বইয়ে ইংল্যান্ডের কয়েকটি রূপকথার গল্প সংকলিত হয়েছে। ইংল্যান্ডের রূপকথার নিজস্বতা রয়েছে। একটু দীর্ঘ ও প্রলম্বিত ধাচের গল্প এগুলাে, বীরতু ও শৌর্যগাথাই এইসব গল্পের মূল বৈশিষ্ট্য। কাহিনীর পর কাহিনীর গ্রন্থনাতে একেকটি গল্প যেন পুষ্পমালার মতাে গড়ে উঠেছে। গুচ্ছ গুচ্ছ স্তবকে তৈরি হয়েছে অনুপম একেকটি রূপকথার অবয়ব। বাংলার রূপকথার ভঙ্গির সঙ্গে ইংল্যান্ডের রূপকথার তেমন মিল নেই। বাংলার রূপকথা যেমন কাব্যময় তেমনই দ্রুত গতিবেগসম্পন্ন। ইংল্যান্ডের রূপকথায় কাহিনীর ঘনঘটার প্রতি পক্ষপাত বেশি।

চরিত্রগুলাে বীরত্বব্যঞ্জক। নৈতিকতার জয় আর অত্যাচারীর পরাজয় এইসব গল্পের প্রধান উপপাদ্য বিষয়। জ্যাক ও শিমগাছ ইংল্যান্ডের একটি বহুল প্রচলিত গল্প । দরিদ্রঘরের সন্তান জ্যাক দৈত্যের ধনসম্পত্তি সংগ্রহ করে বীরের বেশে কীভাবে ধনী হয়ে উঠল সেই প্রেক্ষাপটে গল্পটি তৈরি হয়েছে। এই একটি গল্প ব্যবচ্ছেদ করলেই ইংল্যান্ডের রূপকথার মূল রূপটি ধরা পড়ে। দৈত্য ও মলির গল্প-তেও সেই চেতনার ঐক্যগত সূত্র খুঁজে পাওয়া যাবে। জাদু আর জাদু, পৃথিবীর শেষ ঝরনা, মাছের মুখে আংটি গল্পগুলাে পড়লেই টের পাওয়া


অঁহক

আমার সায়েন্স ফিকশানগুলি আসলেই সায়েন্স ফিকশান হয় কি না এ বিষয়ে অন্য অনেকের মত আমারো সন্দেহ আছে। আমি এই ধারার গল্পে বিজ্ঞানের সূত্র অবশ্যই ব্যবহার করি কিন্তু বিজ্ঞানের বাইরের ব্যাপারগুলিই শেষ পর্যন্ত প্রাধান্য পায়। সায়েন্স ফিকশান না বলে অন্য কোন নাম দিতে পারলে আমার কাছে ভাল লাগত।


ভাষা শিক্ষা ও ভাষাবিজ্ঞান পরিচিত

ধর্মাদ্ধদের হিংস্র থাবার আঘাতের প্রতিক্রিয়ায় আজ হতে চার বছর আগে তাঁর প্রয়াণ ঘটে স্বজনহীন চিকিৎসা-বঞ্চিত পরিবেশে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার তীর্থ ভূমি জার্মানিতে। গতানুগতিক প্রথায় আবদ্ধ আমাদের সমাজ পরিবেশের নিয়ামকদের অসামান্য মূর্খতার সমান্তরালে গ্রাম্যে কুচক্রের মুখোশ উন্মোচনের জন্যপ্রথাবিরোধী লেখক হিসেবে বিতর্কিত হয়েছেন তিনি। নির্দ্বিধায় উচ্চকন্ঠে সত্য বলার সাহসের জন্য পেয়েছেন মুক্তমনা তরুন সমাজের ভালোবাসা। তাঁর প্রয়াণ এই বাংলাদেশের সমা্জ -রাষ্ট্রের ক্ষতি , মানবেতার ক্ষতি সন্দেহ নেই। সন্দেহ নেই অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে আমাদের বিদ্যালয় অঙ্গনে , শিক্ষার ক্ষেত্রে । এই প্রসঙ্গে বলতে হয় আমাদের গ্রন্থভবন জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চায় অত্যন্ত দীন। এই দীনতার রাজ্যে ভাষা বিজ্ঞান চর্চায় বিশেষ করে চোমস্কি উত্তর বস্তু নিষ্ঠ তাত্ত্বিক শাস্ত্রাটির ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনা শুরু করেছিলেন ভাষাবিজ্ঞানী ড. হুমায়ুন আজাদ। বিগত শতকে তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনায় ব্যাপৃত থাকলেও বর্তমান শতকের শুরুতে তিনি ভাষাবিজ্ঞানের ফলিত শাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন।বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জ্ঞান পিপাসুদের আকাঙ্খা পূরনের জন্য ভাষার ব্যাকরণ রচনার তাগিদে ড. হুমায়ূন আজাদ লিখতে শুরু করেছিলেন ভাষা ও ভাষাবিজ্ঞান শিক্ষার প্রণালীর পদ্ধতির ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ। কিন্তু প্রকৃতির নিষ্ঠুর পরিহাসে ভাষাবিজ্ঞানের প্রায়োগিক শাখায় পদচারণা তার অকস্মাৎই থেমে গেল। পড়ে রইল তাঁর পাঠ কক্ষের বহুবিধ কাগজ পত্র, পাণ্ডলিপির ভিড়ে যৎসামান্য রচনা।


সমগ্র শিশু সাহিত্য

“সমগ্র শিশু সাহিত্য” বইয়ের প্রধান সূচীপত্র:
* ভূমিকা
* আবোল তাবোল
* খাই খাই
* অতীতের ছবি
* অন্যান্য কবিতা
* হযবরল
* পাগলা দাশ
* বহুরুপী
* অন্যান্য গল্প
* নাটক
* জীবনী
* জীবজন্তু
* বিবিধ
* বাল্য রচনা ও অন্যান্য
* স্বরলিপি
* গ্রন্থপরিচয়


জন্মদিনের উপহার

ছােটবেলাটা খুব মজার সময়। ১০ মিনিটের পরিচয়ে শিশুরা একে অন্যের আজীবনের বন্ধু হয়ে যায়, বন্ধু হয়ে থাকার প্রতিজ্ঞা করে ফেলে। তারা তাদেরসবচেয়ে পছন্দের খেলনাটাও বন্ধুকে দিয়ে দেয়, কিছু চিন্তা না করেই। বন্ধুর দুঃখে কাদে, আনন্দে হাসে।

বড়বেলায় এমন বন্ধু পাওয়া কষ্টের। বড় হতে হতে মানুষ অনেক পড়াশুনা করে অনেক অংক শিখে ফেলে । বন্ধু বানানাের আগে তখন তারা অনেক অংক কষে। অংক কষে বন্ধু বানায়, অংক কষে হাসে-কাদে।

আমি খুবই সৌভাগ্যবান মানুষ । বড়বেলায় এসেও এমন দু’জন বন্ধু পেয়েছি যারা ভালাে অংক পারেন না। তারা কোনােকিছু হিসেব না করে ১০ মিনিটের পরিচয়েই আমার বন্ধু হয়েছেন। তারা আমার দুঃখে-সুখে কাদে-হাসে।

আমার দুই পুত্র তাদেরকে মামা বলে ডাকে। তােমরাও তাদেরকে মামা বলেই ডেকো।

 


বাঙালীর হাসির গল্প ১

ছুটিয়া যাইয়া সাপ ঢুকিল এক শাপলা-বিলে। আমি সাপের ফণার উপর বসিয়াই চারটি শাপলাফুল ছিড়িয়া ফেলিলাম। তারপর সাপের ফণাটা ঘুরাইয়া ধরিলাম বাড়ির দিকে। ওই আম-বাগানতক আসিয়া সাপ খােড়লে ঢুকিল। আমি শাপলাফুল কয়টি লইয়া তােমাদের এখানে আসিলাম। তােমরা সাপের কথা সঁচা না মনে করিলে আম-বাগানের ওখানে খুঁড়িয়া। দেখিতে পার, আর আমার হাতের শাপলাফুল ত দেখিতেই পাইতেছ।” সুতরাং তার কথা সঁচা না মানিয়া আর উপায় আছে। কে যাইবে সাপের খােড়ল খুঁজিতে!

এইরূপ গলপের আর শেষ নাই। কোনােদিন সে আসিয়া বলে, “মৌমাছির চাক কুলগাছের উপর। তার উপরে যাইয়া বসিয়া পড়িলাম। অমনি মৌমাছির দল মৌচাক লইয়া আসমানে উড়িতে লাগিল। আমি ত চাকের উপরে বসিয়াই আছি। উড়িতে উড়িতে উড়িতে আসমানে চলিয়া গেলাম।


জাপানের রূপকথা

সে বলল, “কোজিরাে, তুমি যদি স্বর্গে থাকতে চাও, তবে তােমাকে আমাদের মতাে হয়ে যেতে হবে। আমি তােমাকে তিনটি কাজ করতে | দেব। যদি তুমি সেই তিনটি কাজই করে দিতে পার, তবেই তুমি পারবে আমার মেয়ের কাছে স্বর্গে থাকতে চিরদিন। তােমার সামনেই পাহাড় দেখতে পাচ্ছ। পাহাড়গুলাে গাছ আর ঘাসের জঙ্গলে ছেয়ে গেছে। কাল সকালে তােমাকে ওই সমস্ত গাছ আর ঘাস কেটে পরিষ্কার করতে হবে। রানি-তারা এই বলে বিদায় নিল।

পরের দিন সকালবেলা কোজিরাে গেল পাহাড়ে। তানাবাতা সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছিল। তার হাতে ছিল একটা জাদু-পাখা। সে মিষ্টি সুরে বলল, “তুমি এত কাজ করতে পারবে না। আমি তােমাকে সাহায্য করব। সে তার হাতের পাখাটি মেলে ধরল। হাওয়া করতে লাগল। মুহূর্তের মধ্যে পাখাটির ভেতর থেকে বারােটি শাদা ইদুর বেরিয়ে এল। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা পাহাড়ের সমস্ত গাছপালা, ঘাস উপড়ে ফেলল তাদের ধারালাে দাঁত দিয়ে।

 


হীরার গাছ - ৪

বাগানে হাঁটছিল হীরা। বাগানে কত গাছ! গাছ হীরার খুব ভাল লাগে।

হীরা দাঁড়ায় একটা গাছের কাছে। এটা পাতাবাহার গাছ। হীরা গাছটা তুলে নিল।

গাছটা হীরা রাখে জানালার ওপর। ভাবে, গাছটা সব সময় দেখবে। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে হীরা।

সকালে চোখ গেল গাছের দিকে। একি! গাছটা এমন মরা কেন? সবুজ রং গেল কোথায় ? খুব খারাপ লাগে হীরার ।

 


বৃক্ষকথা

বাংলাদেশে বৈচিত্র্য ও প্রকার অনুযায়ী সবচেয়ে বড় ঔষধি বৃক্ষের বাগান রয়েছে গাজীপুরের হোতাপাড়ায় অবস্থিত নুহাশ পল্লীতে। এখানে রয়েছে শতাধিক ঔষধি বৃক্ষ - আদা, কদম্ব, গাঁজা, বেল, বাসক, বকফুল, শেওড়া, পারিজাত, জয়তান, অশ্বগন্ধ.... এই ঔষধি বাগানটি গড়ে তুলেছেন বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদের বৃক্ষপ্রেমের পরিচয় শুধু তাঁর নিজের তৈরি নন্দকানন নুহাশ পল্লীই নয়, তাঁর গল্প-উপন্যাসের পাঠকরা জানেন যে, তার নানা লেখায়ও রয়েছে বৃক্ষপ্রেমের নিদর্শন। বৃক্ষপ্রেমিক হুমায়ূন আহমেদ ৫০টি ঔষধি বৃক্ষের নানা গুণাগুণ আর মজার সব তথ্য নিয়ে লিখেছেন ‘বৃক্ষকথা’ বইটি


বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ত্রাতুলের জগৎ

তাদের একেবারে সােজা সাপটা কাড়াকাড়ি করে খাওয়া দেখতে আমার এক ধরনের আনন্দ হয়। প্রাণীগুলাে আজকাল আমাকে ভয় পায় না, আমার আস্তিনের নিচে নির্বিবাদে লুকিয়ে থাকে কিংবা আমার কাঁধে বসে কিচিরমিচির করে ডাকাডাকি করে। এই এলাকার রােবটগুলাে ভাবলেশহীন মুখে আমাকে লক্ষ্য করে, কিন্তু তাদের সবুজ ফাটাসেলের চোখে আলাের তারতম্য দেখে আমি বুঝতে পারি তাদের কপােট্রনে খানিকটা হলেও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং তারা নিজেদের ভেতরে কোনাে একটা হিসেব মেলাতে পারে না। একজন অল্পবয়সী মানুষের সুউচ্চ অট্টালিকার দেয়ালে হেলান দিয়ে চুপচাপ বসে থাকার কথা নয়, তার শরীরের ওপর দিয়ে পশুপাখির ছােটাছুটি করার কথা নয়। রােবটগুলাে কখনােই আমাকে বিরক্ত করেনি। কিন্তু সাইবর্গ এবং এন্ড্রয়েডগুলাে মাঝে মাঝেই থমকে দাঁড়িয়ে কৌতুহল প্রকাশ করেছে, কখনাে কখনাে অবজ্ঞা, তাচ্ছিল্য কিংবা ক্রোধ প্রকাশ করেছে। আমাকে দেখে মানুষেরা অবশ্যি সবসময়ই সহজাত সৌজন্যের কারণে নিজেদের অনুভূতি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সেটি কখনাে গােপন থাকেনি। আমি বুঝতে পারি তারা আমার জন্যে এক ধরনের করুণা এবং অনুকম্পা অনুভব করছে। প্রাচীনকালে মানুষ মানসিক রােগাক্রান্ত হয়ে জীবনবিমুখ হয়ে যেতাে- গত কয়েক শতাব্দীতে তার কোনাে উদাহরণ নেই। 


সলোমনের গুপ্তধন

কয়েকশ বছর আগে সুলিমান পর্বতের ওপার থেকে ঘুরে এসেছিলেন এক অভিযাত্রী। তাঁর চিরকুটে তিনি লিখেছিলেন নিজের দেখা অসীম ঐশ্বর্যের কথা। এই চিরকুটটোকেই সত্যি বলে ধরে নিয়ে তিন দুঃসাহসী অভিযাত্র্রী বের হলো ‍গুপ্তধনের খোঁজে। গুপ্তধনের খোঁজ পেতে হলে তাদের পার হতে হবে তপ্ত মরুভূমি আর তুষার ঝরা প্রান্তর। শেষ পর্যন্ত কুকুয়ানার দেশে পৌঁছে তারা শক্তিশালী কুকুয়ানা যোদ্ধা, হিংস্র রাজা টোয়ালা আর ভয়াল ডাইনি গাগুলের মুখোমুখি হলো। তারা কি পারবে সলোমনের গুপ্তধরন উদ্ধার করতে।