সব লেখকেরই কখনো কখনো ইচ্ছে করে বিচিত্র কোন একটি চরিত্র সৃষ্টি করতে, শ্যালক্স গ্রুন নামে সেরকম বিচিত্র একটি চরিত্র সৃষ্টি করতে গিয়ে আমি ‘ত্রিনিত্রি রাশিমালা’ নামে এই বিজ্ঞান কল্পকাহিনীটি লিখেছিলাম
ডুংরু পাশেই শিশির ভেজা ঘাসের উপর বাজনাটা রেখে শুধু-গলায় গান ধরল। ওর কান ভালাে, তাই দুদিন শুনেই তুলে নিয়েছে গানটা। হনুমান ফটকের বাইরে বসে যে ভিখিরি গানটা গায়, সে অবিশ্যি সঙ্গে সঙ্গে বাজনাও বাজায়। তাই ডুংরুর শখ হয়েছিল সেও বাজাবে। এই বাজনাটা সবজিওয়ালা শ্যাম গুরুঙের। ডুংরু এক বেলার জন্য চেয়ে এনে রেখে দিয়েছে তিন দিন। ছড় টেনে সুর বার করা যে এত শক্ত তা কি ও জানত?
ডুংরু গলা ছাড়ল। সামনে ভুট্টা খেতের ওপরে দুটো মােষ আর কয়েকটা ছাগল ছাড়া কাছে-পিঠে কেউ নেই। ডুংরুর ঠিক পিছনেই খাড়া পাহাড়, তার নিচে একটা বাদাম গাছ, তারই ঠিক সামনে ডুংরুর বসার ঢিবি। ওই যে দূরে ইটের তৈরি টালির ছাতওয়ালা দোতলা বাড়ি, ওটা ডুংরুদের বাড়ি। ভুট্টার খেতটাও ওদের । উত্তরে কুয়াশার আবছা পাহাড়ের পিছনে তিনটে বরফে ঢাকা পাহাড়ের মধ্যে যেটার চূড়াে মাছের লেজের মতাে দু’ভাগ হয়ে গেছে, যেটার নাম মাচ্ছাপুছরে, সেটার ডগা এখন গােলাপী।
প্রথম দুটো লাইন গাইবার পর তিনের মাথায় যেখানে সুরটা চড়ে, সেখানে আসতেই আকাশ ভাঙল। গুড় গুড় শব্দটা শুনেই ডুংরু এক লাফে পাঁচ হাত পাশে সরে গিয়েছিল, নইলে ওই হাতির মাথার মতাে পাথরটা বাজনাটার সঙ্গে সঙ্গে ওকেও থেঁতলে দিত ।
দুরজয়ের অরিজন গল্প, কাহিনি তুমুল ক্লাইম্যাক্স থেকে হঠাতই যেন দম নিতে ঘুরে গেল কিছুটা পেছনে। নেভীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার সাইদুল হক নেহাকে দুর্জয়ের ইতিহাস বলা শুরু করেছেন, সমান্তরালে আবার চলছে ঢাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের সাথে দুর্জয়ের শিকার শিকারী খেলা। এদিকে এবারের গল্পে সাইদুল হক দুর্জয়কে নিয়ে গেছেন সেই ১৫ বছর আগে, ওয়ার্ল্ড কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচ এ।নেপালী লড়াকু ক্রিয়ান কাশাকু বনাম দুর্জয়। জমজমাট ম্যাচ- চলছে ধারা বর্ণোনা, আর এদিকে বর্তমানে চলছে নেহাকে মারা সুপারি জারি করা জামাই মিলনের কথা, কী হচ্ছে এবারে?
সূচিপত্র
* শর্ট-কাট পদ্ধতির মূল কথা
* যোগ
* বিয়োগ
* গুণ
* ভাগ
* ভগ্নাংশ, মিশ্র সংখ্যা এবং শতকরা হার
আপনি কি জানেন যে, রাশিয়ার ক্রেমলিনের ভেতরে ৪৭ জন জারের কবর হয়েছে ? ইংল্যান্ডের রানি হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর ভিক্টোরিয়ার প্রথম কাজ ছিল মায়ের ঘর থেকে নিজের বিছানা সরিয়ে আনা ? দুই টনেরও বেশি দক্ষিণ আফ্রিকান খনিজ শিলা থেকে এক আউন্সেরও বেশি সােনা পাওয়া যায়? ১৪৯২ সালে পশ্চিম গােলার্ধে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ইন্ডিয়ান ছিল ? ১২,০০০ বছর আগে, আলাস্কার বুকে হাতি, সিংহ এবং উট চরে বেড়াত ?
জ্যোতির্বিদ্যা থেকে বিনােদন জগৎ, আবিষ্কার থেকে শুরু করে আইন কানুন ছাড়া বিশ্বের সর্ববিষয়ে যে প্রশ্ন মনে জেগেছে করা যায়নি তার সব উত্তর এই বইয়ে আছে। বইটি একটি বিশ্বের সেরা তথ্যের সংকলন।
আজিমভ যে সময় এই বইটি লিখেছিলেন, আজ থেকে ৩২ বছরেরও বেশি আগে। পরবর্তী সময়ের মধ্যে কিছু কিছু বিষয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু যেহেতু বইটি দ্য বুক অব ফ্যাক্টস-১ আইজ্যাক আজিমভ নামে বের হচ্ছে তাই এর সাথে তথ্যগুলাের কোনাে আপডেট বা পরিবর্তন করার দৃষ্টতা দেখাইনি।
সূচিপত্র
গোপ্যার বউ
আয়না
নাপিত-ব্রাহ্মণ
নাপিত-ডাক্তার
জিদ
কে বড়
পরের ধনে পোদ্দারি
টুনটুনি আর টুনটুনা
টুনটুনির বুদ্ধি
জামায়ের শ্বশুরবাড়ি যাত্রা
চুক্তি
শুরুঠাকুরের ভাগবত পাঠ
সত্যকার আলসে
ঠেলাঠেলির ঘর
দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত
তিন মুসাফির
বোকার বাণিজ্য
তুমভি কাঁঠাল খায়া
সেরটা কত বড়
সমানে সমান
ভাগাভাগি
ঠাকুরমশায়ের লাঠি
মাঝি ও পণ্ডিত
আমের স্বাদ
অনুমতিপত্র কে দেখাইবে
শ্বশুর জামাই
অচ্ছুৎ
মহাজাগতিক প্রাণীটি যে ভাসমান যানটাতে উঠল সে রকম যান সায়েন্স ফিকমানের সিনেমাতেও দেখা যায় না। সেটি একটি মাইক্রোবাসের মতো বড় আর যন্ত্রপাতিতে বোঝাই। চকচকে ধাতব রঙের, দুই পাশে ছোট ছোট দুটি পাখা, মাথাটা সুচালো।পিছনে গেলে একটা ইঞ্জিন। ভিতরে পাশাপাশি তিনটা সিট।মাঝখানে মহাজাগিতিক প্রাণী বসেছে, দুই পামে শাহনাজ আর ক্যাপ্টেন ডাবলু।ভাসমান যানটা শুরু করার আগে শাহনাজ ভয়ে ভয়ে বলল, “এটা বেশি ঝাঁকাবে না তো? ঝাঁকুনি হলে আমার কিন্তু শরীর খারাপ হয়ে যায়।”
রিশান পাহাড়ের উপরে দাঁড়িয়ে নিচে তাকাল, যতদূর চোখ যায় ততদূর বিস্তৃত এক বিশাল অরণ্য, সবুজ দেবদারু গাছ ঝােপঝাড় লতাগুল্ম জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে আছে। উপর থেকে এই বিশাল অরণ্যরাজিকে মনে হচ্ছে একটি কার্পেট, কেউ যেন নিচে গভীর উপত্যকায় খুব যত্ন করে বিছিয়ে রেখেছে। দূরে পর্বতমালার সারি, প্রথমে গাঢ় নীল, তার পেছনে হালকা নীল, আরাে দূরে ধূসর রং হয়ে দিগন্তে মিশে গেছে। কাছাকাছি উঁচু একটা পাহাড়ের চূড়ায় সাদা খানিকটা মেঘ আটকা পড়ে আছে। এ ছাড়া আকাশে কোথাও কোনাে মেঘের চিহ্ন নেই, স্বচ্ছ নীল রঙের আকাশ যেন পৃথিবীকে স্পর্শ করার চেষ্টা করছে। পাহাড়ের পাদদেশে যে বুনাে নদীটি পাথর থেকে ভয়ঙ্কর গর্জন করে ঝাঁপিয়ে পড়ছিল এই চুড়াে থেকে সেই নদীটিকেই মনে হচ্ছে একটি শান্ত স্রোতধারা । চারদিকে এক ধরনের আশ্চর্য নীরবতা, কান পাতলে গাছের পাতার মৃদু শব্দ, ঝরনার ক্ষীণ গুঞ্জন বা বন্যপাখির অস্পষ্ট কলরব শােনা যায় । কিন্তু সেসব পাহাড়ের চূড়ায় এই আশ্চর্য নীরবতাকে স্পর্শ করে না। রিশান প্রকৃতির প্রায় এই নির্লজ্জ সৌন্দর্যের দিকে মুগ্ধ বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। সে গ্রহ থেকে গ্রহে, উপগ্রহ থেকে উপগ্রহে ঘুরে বেড়িয়েছে, মহাকাশের গভীরে হানা দিয়েছে, সৌরজগতের সীমানা ছাড়িয়ে পার হয়ে গেছে; কিন্তু নিজের পৃথিবীর এই
ঠাকুরদাদা মারা গেলে পর, তাঁর লােহার সিন্ধুকে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে একটি ছােট বাক্স পাওয়া গেল। সে বাক্সের ভিতরে নিশ্চয়ই কোনাে দামি জিনিস আছে মনে করে মা সেটি খুলে ফেললেন। কিন্তু তার মধ্যে পাওয়া গেল শুধু একখানা পুরনাে পকেট-বুক, আর একখানা ময়লা কাগজে মােড়া কী একটা জিনিস। মা কাগজটা খুলেই জিনিসটা ফেলে দিয়ে হাউমাউ করে চেঁচিয়ে উঠলেন।
আমি ব্যস্ত হয়ে বললুম, “কী, কী হল মা?”
মা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে মাটির দিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বললেন, “কুমার,
শিগগির ওটা ফেলে দে!”
জানুয়ারিতে আর্জেন্টিনার গ্রীষ্মের গুমােট রাত। কালাে আকাশ ছেয়ে গেছে তারায়। শান্তভাবে নােঙর ফেলে আছে ‘জেলি-মাছ' জাহাজ। জলের ছলাৎ বা মাস্তুলের কঁাচকঁাচানি কিছুই নেই, নিঝুম রাত। মনে হয় গভীর ঘুমে ঢলে পড়েছে মহাসাগর। | ডেকে শুয়ে আছে অর্ধনগ্ন মুক্তো-সন্ধানীরা। কাজের চাপ ও প্রচণ্ড রােদে অবসন্ন তারা ঘুমের মধ্যেই এপাশ-ওপাশ করছে, চেঁচিয়ে উঠছে। থেকে থেকে চমকে উঠছে। হাত-পা। স্বপ্নে হয়তাে দেখেছে তাদের দুশমন কোনাে হাঙর। নির্বাত এই তপ্ত। দিনগুলােয় ওরা এতই ক্লান্ত যে নৌকাগুলােকেও ডেকে তােলেনি। তবে তার দরকারও ছিল না, আবহাওয়া বদলাবার কোনাে লক্ষণ দেখা যায় নি, নােঙরের শেকলে বেঁধে তাদের জলেই রেখে দেওয়া হয়েছে। পালটাল কিছুই কষে বাঁধা হয়নি, সামান্য বাতাসেই তিরতিরিয়ে কেঁপে উঠছে সামনের মাস্তুলের তেকোনা পালটা। ডেকের প্রায় সবটা জুড়ে ঝিনুকের স্তুপ, ভাঙা প্রবালের চুনাপাথর, ডুবুরির দড়ি, ঝিনুক জমাবার ক্যানভাসের বস্তা আর ফঁাকা পিপে ছড়ানাে।
মিজেন মাস্তুলের কাছে ছিল একটা পানীয় জলের প্রকাণ্ড পিপে, তাতে শেকলে বাঁধা একটা লােহার মগ। পিপেটার আশেপাশে জল পড়ে কালাে দাগ ফুটেছে। | থেকে থেকেই এক-একজন ডুবুরি উঠে আধ-ঘুমে টলতে টলতে ঘুমন্তদের মাড়িয়ে জল খাবার জন্য যাচ্ছিল পিপেটার কাছে।
বাংলা কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর আসরে স্কটিশ চার্চ কলেজের অধ্যাপক ত্ৰিলোকেশ্বর শঙ্কুর আবিৰ্ভাব উনিশশো একষট্টি সালে। ‘সন্দেশ’ পত্রিকার পাতায় প্রথম বেরুল ‘ব্যোমযাত্রীর ডায়রি’। লেখক সত্যজিৎ রায়। সেই শুরু। সূচনালগ্ন থেকেই শঙ্কুকাহিনী কিশোর পাঠকদের মন জয় করে নিল। প্রথম কাহিনীতে ডায়রির আকারে প্রোফেসর শঙ্কু নিজেই বলেছেন নিজের কাহিনী। তারপর থেকে শঙ্কুর আটত্রিশটি সম্পূর্ণ এবং দুটি অসম্পূর্ণ ডায়রি প্রকাশিত হয়েছে উনিশশো বিরানব্বই পৰ্যন্ত। এই তিরিশ বছরে শঙ্কু স্বয়ং এবং তাঁর কাহিনী ছোটদের কাছে সেরা আকর্ষণ।
এই বৈজ্ঞানিক ও আবিষ্কারক মানুষটি খাঁটি বাঙালি। ভয়ঙ্কর অভিযানে তিনি অকুতোভয়, অথচ আত্মভোলা। আবার আশ্চৰ্য সংযমী। তাঁর কর্মক্ষেত্র কলকাতা হলেও গবেষণাক্ষেত্র বিহারের গিরিডিতে। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীমহলে তিনি সসম্মানে গৃহীত হয়েছেন। তাঁর আত্মপ্রত্যয় ও বিচিত্র উদ্ভাবনী প্ৰতিভা বিস্ময়কর।
প্রোফেসর শঙ্কুর আবিষ্কারের পদ্ধতি যেমন বিচিত্র, তেমনই অদ্ভুত সেইসব আবিষ্কারের নাম। অ্যানাইহিলিন, মিরাকিউরল, নার্ভিগার, অমনিস্কোপ, স্নাফগান, ম্যাঙ্গোরেঞ্জ, ক্যামেরাপিড, লিঙ্গুয়াগ্রাফ ইত্যাদি। এদের কোনওটি ওষুধ, কোনওটি যন্ত্র, কোনওটি বা অন্ত্র কিংবা গ্যাজেট। শঙ্কুর জগতে প্রাকৃত ও অতিপ্রাকৃতের দারুণ সহাবস্থান।
গবেষণা ও আবিষ্কারের সূত্রে শঙ্কু বিশ্বভ্রমণ করেছেন। তিনি ‘সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স কর্তৃক সম্মানিত’। এই ‘বিশ্ববিখ্যাত’ চরিত্রটিকে নিয়ে সত্যজিৎ রায় যেসব আশ্চর্য কাহিনী রচনা করেছেন, তাকে শুধু ‘সায়েন্স ফিকশন’ বা কল্পবিজ্ঞান কাহিনী বললে সবটুকু বলা হয় না। কল্পবিজ্ঞান তো অবশ্যই, একই সঙ্গে এই কাহিনীগুলিতে মিশে আছে ভ্ৰমণ, রহস্য ও অ্যাডভেঞ্চার রস। আবার দুরন্ত অভিযান, অতীন্দ্ৰিয় পরিপার্শ্ব, ফ্যান্টাসি ও রোমাঞ্চের মিশ্রণে গল্পগুলি জমজমাট।
শকুকাহিনীর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য, এই কাহিনীগুলির জগতে ঢুকে ছোট-বড় নির্বিশেষে সকল পাঠক যেন একবয়সী হয়ে ওঠে। সমস্ত কাহিনী একটি খণ্ডে গ্রথিত করে এবার প্রকাশিত হল শঙ্কুসমগ্ৰ৷ এই সংকলনে সংযোজিত হল সত্যজিৎ রায়ের আঁকা বেশ কিছু ছবি—যা এর আগে গ্রন্থাবদ্ধ হয়নি।
কালো আংটির রহস্য: পরার সময় স্বাভাবিক থাকে, পরার সঙ্গে সঙ্গে ছোট হয়ে আযুলের গাঁটে আটকে যায়, এমন আংটির কথা জীবনে শুনিনি আমি। আমাদের ক্লাস টীচারের হাতে দেখলাম আংটিটা। মাঝখানে বড় একটা কালো পাথর বসানো। অতি সাধঅরণ চেহারা । তবু, আংটিটাকে ভীষণ রহস্যময় মনে হলো আমার কাছে । নাহ্, অকারণেই ভাবছি, এর মধ্যে কোনও রহস্য নেই। বললাম বটে নেই, কিন্তু, ওই মুহূর্তে কল্পনাই করতে পারিনি, শ্রীঘ্রই আমার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়াবে ওই আংটি।
ভূতুড়ে গাড়ির রহস্য: নতুন মড়েলের করভেট গাড়ি। আমার বাবা যখন গাড়িটা কিনতে চাইল, গাড়ির মালিকের ঠোঁট দুটো পরস্পরের সঙ্গে চেপে বসল। হাসি নেই মুখে। সেট লক্ষ করে গাড়িটার কোনও গোলমাল আছে কিনা, জানতে চাইল বাবা। ঘুরিয়ে জবাব দিল লোকটা, জবাবটা খুব রহস্যময় হনে হলো আমার কাছে। তার হাত দুটো কাঁপছে। তাড়াতাড়ি ওভারঅলের পকেটে হাত ঢুকিয়ে ফেলল। কোনও কারণে ভয় পাচ্ছে লোকট? নিশ্চয়ই কোন সমস্যা আছে গাড়িটার । সমাস্যাটা যখন বুঝতে পারলাম, তখন আর কিছু করার থাকল না আমাদের । নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ধাবিত হলো ভূতের গাড়ি।
১. একক কাকে বলে?
উত্তর : কোনাে একটি রাশির পরিমাপ বােঝাতে গেলে বিশেষ সুবিধাজনক একটি পরিমাণকে নির্দিষ্ট ধরা হয় এবং ঐ নির্দিষ্ট পরিমাণকে মান ধরে সমপ্রকার যে কোনাে রাশির পরিমাপ নির্ণয় করা হয়ে থাকে। ঐ নির্দিষ্ট পরিমাণ তথা মানকে বলা হয় একক।
২. প্রাথমিক একক ও লব্ধ একক কাদের বলা হয় ?
উত্তর : দৈর্ঘ্য, ভর ও সময় এই তিনের একক পরস্পর পরস্পরের উপর নির্ভর করে । তাই এদের একককে বলা হয় প্রাথমিক একক।
আবার প্রাথমিক একক থেকে অন্যান্য এককও গঠন করা হয়ে থাকে, তাই যে সব একক প্রাথমিক একক থেকে গঠিত হয় তাদেরই বলে লব্ধ একক।