টালীতে যখন যে কাজই করেন না কেন কাজ শেষে আবার আগের জায়গায় মানে Gateway of Tally তে চলে আসবেন। এই Gateway of Tally কে আমি কোথাও কোথায় শুধু Gateway বলেছি।
- সর্টকাট কমান্ডগুলাে অবশ্যই গেটওয়েতে থাকা অবস্থায় প্রয়ােগ করতে হবে। - ভালভাবে বুঝার জন্য সিকুয়েন্স রক্ষা করে এগুলে ভাল ফল দেবে।
- Non Accounitng Background দের জন্য Basic Accounting Chapter টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। - বইতে উদাহরণে লেনদেন গুলাে ১, ২ এবং ৩১ তারিখে করা হয়েছে কারণ বেশীরভাগ স্টুডেন্ট/ইউজার Educational ভার্সনে এ্যাকটিস করবে আর এডুকেশনাল ভার্সন এই তিনটি তারিখে বাইরে যায়না।
- যখনি F11:Feature এ যেতে বলব, তখন দেখবেন আপনি কোন অংশের প্র্যাকটিস করছেন। যদি একাউন্টিং অংশের প্র্যাকটিস করেন তাহলে Accounting Feature এ যাবেন। আর ইনভেন্টরী সেকশনে থাকলে ইনভেন্টরী ফিচারে যাবেন। - টালীতে অল্টার বলতে এডিট বা পরিবর্তন বুঝায়।
Adobe Premiere দিয়ে আপনি বিভিন্ন সাের্স ম্যাটেরিয়াল বা ক্লিপস থেকে মুভি (ভিডিও) তৈরী করে, উইন্ডােজ ভিডিও বা কুইকটাইম ভিডিও হিসাবে চালাতে পারেন, যে কোন সফটওয়্যার যেমন উইন্ডােজ মিডিয়া প্লেয়ার, সুপার ডিকোডার, হিরাে সফট, জিং পেগ, লিং পেগ, কুইকটাইম ইত্যাদি দিয়ে চালাতে পারেন। বিভিন্ন ক্লিপস সাজানাে এবং এডিটিং এর পর একটি মুভি ফাইল তৈরী করা হচ্ছে। প্রিমিয়ার ফাইনাল মুভি। যে কোন সফটওয়্যার ব্যবহারের সময় আমরা আরও অধিক অপশন বা সুযােগ সুবিধা খুজে থাকি। অথবা অনেক সময় কোন কোন বিষয়ের ক্ষেত্রে মনে হয় বিষয়টি অন্যভাবে হলে সহজ হতাে ইত্যাদি। ইউজারদের এই আকাঙ্ক্ষা থেকেই কোম্পানীগুলাে তাদের প্রােডাক্ট আপগ্রেড করে থাকে। Adobe Premiere এর শেষ ভার্সন Premiere Pro CS6 এখন বাজারে। যদিও পূর্ণাঙ্গ ভার্সন Adobe এখনও বাজারে ছাড়েনি। তবুও Net থেকে পাওয়া তথ্য এবং আনুসঙ্গিক সাহায্য থেকে পাওয়া বিভিন্ন ম্যাটেরিয়াল এর ভিত্তিতে Adobe Premiere Pro CS6 সম্বন্ধে বিস্তারিত আলােচনা করা হলাে। Workspace সম্বন্ধে প্রথম চ্যাপটারে একটি পূর্ণাঙ্গ অংশ এবং এক ঘন্টায় প্রিমিয়ার অংশে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রােজেক্ট দেওয়া হলাে। এতে Premiere Pro CS6-তে ব্যবহৃত সমস্ত নতুন অপশন এবং ব্যবহার পদ্ধতি পূর্ণাঙ্গ আলােচনা করা হয়েছে। নবীন ব্যবহারকারীদের জন্য প্রথমে Premiere 6.5 ব্যবহার করে বইটি অনুশীলন করা এবং প্রােফেশনালদের জন্য ইচ্ছা অনুসারে প্রথমে Premiere 6.5 অথবা প্রথম দুইটি চ্যাপ্টার ব্যবহারের পর সরাসরি Premiere Pro CS6 ব্যবহারের অনুরােধ রইল। নবীন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে চ্যাপ্টার ২ এর পর থেকে Premiere 6.5 ব্যবহারের জোড় অনুরােধ রইল। Premiere Pro CS6 ক্ষেত্রে একটি সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলাে, Windows 7 (64 Bit Machine) বা তার পরবর্তী ভার্সন ছাড়া Premiere Pro CS3 রান করবে না অথচ এখনও প্রচুর ইউজার জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম Windows XP ব্যবহার করে থাকেন। এদের প্রতি লক্ষ্য রেখেই Premiere 6.5 এর উপর আলােচনা অব্যহত রাখা হলাে অপরদিকে Premiere Pro CS6-র উপরও পূর্ণাঙ্গ আলােচনা করা হলাে। বইটির পরবর্তী সংস্করণের জন্য পাঠকদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
মাইক্রোসফ্ট এ্যাকসেস্ ২০১৩ ১ম অধ্যায় ১.১ Microsoft Access 2013 কি? (What is Ms Access 2013) Microsoft Access (MSA) 2013 হচ্ছে Database তৈরি এবং মেইনটেইন (Maintain) করার প্রােগ্রাম (Program). ১.২ ডেটাবেজ কি? (What is Database) Database হচ্ছে Data সংরক্ষন (Store) করার স্থান। যেখানে সুসজ্জিত (Organized) ভাবে Data সংরক্ষণ (Store) করা য়ায এবং প্রয়ােজনে খুব সহজেই সেই Data ঐ Database থেকে নেওয়া যায়। ডেটাবেজ এ Data রাখা Data নেওয়া এবং ডেটা ব্যবহার করে প্রয়ােজন অনুযায়ী Information সরবরাহ (Provide) করার প্রসেস গুলাে করা হয় Ms access 2013 দ্বারা। Ms Access 2013 উপরােক্ত Process গুলাে ৪ টি Object দ্বারা সম্পন্ন করা হয়। ১.৩ Ms Access 2013 এর Object সম্পর্কে ধারনা ঃ (Concept access 2013 Object) Ms Access 2013 সাধারনত ৪টি Object থাকে। মূলত এই ৪টি Object দিয়ে database মেইনটেইন (Maintain) করা হয়। নিচে ৪টি Object দেওয়া হলাে। ১. Table : Ms Aceess এ টেবিলের (Table) মাধ্যমে Data রাখা হয়। ২. Form: Form এর মাধ্যমে খুব সহজেই টেবিলে Data রাখা যায়। ৩. Queries: কিউরির (Query) এর মাধ্যমে Database থেকে কোন নির্দিষ্ট Data নিয়ে আসা হয়। ৪. Reports: রিপাের্ট (Report) এর মাধ্যমে খুব সহজেই পাঠক (Reader) এর কাছে information উপস্থাপন করা যায়।
Drafting-Design এবং Manufacturing sector এ CAD একটি tools মাত্র, জীবনযাত্রার মানকে করে সুন্দর ও সহজতর। যদিও এক সময় CAD একটি ব্যয়বহুল Setup ছিল কিন্তু আজকাল CAD System আয়ের সাথে তাল মিলিয়ে অতি সহজ সাধ্য হয়ে এসেছে। সাধারণ PC তেই করতে পারছেন CAD ভিক্তিক কাজ গুলাে। আশির দশকে CAD এর প্রচলন সাধারণ মানুষের নাগালে চলে এলেও বাংলাদেশে এর প্রয়ােগ এসেছে অনেক পরে। বাংলাদেশের মত একটি উন্নয়নশীল দেশে CAD যে অত্যান্ত প্রয়ােজনীয় তা বুঝানাে মুশকিল। বাংলাদেশের Footware শিল্প তথা চামড়া শিল্পের ভবিষ্যত অতি উজ্জল আর এই চামড়া শিল্পেই প্রয়ােগ রয়েছে বিশাল CAD-CAM এর। ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে তথা Civil, Electrical, Mechanical, Marine, Agricultural সকল ক্ষেত্রেই CAD এর প্রয়ােগ চলছে বাংলাদেশেই। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় Project ছিল যমুনা সেতু নির্মান যার Design/Drafting হয়েছে CAD এর মাধ্যমে। বর্তমান গার্মেন্টস সেক্টরেও CAD-CAM এর প্রয়ােগ চলছে। Textile Engeering এর প্রয়ােগ খুবই ফলপ্রসু।
তাহলে CAD কি এক ধরণের Tools?
CAD এক ধরণের Design/Drafting Software tools. Drawing করতে প্রয়ােজন হয় paper, Pencil, Setsquare, Compass, Divider ইত্যাদি Instruments বা tools এর, যা প্রায় অতীত ইতিহাস হতে চলছে। বর্তমানে কম্পিউটারের যুগে ড্রয়িং করা হচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে। কম্পিউটারের সাহায্যে চালানাে হচ্ছে বিভিন্ন প্রােগ্রাম। যেমন Ms-word যার মাধ্যমে টাইপরাইটার এবং তার চেয়েও অনেক বেশী কাজ করা যায়, Ms-excel যাবতীয় হিসাব নিকাশ, ফর্মুলা এনালাইসিস করা যায় CAD তেমনই কম্পিউটার একটি প্রােগ্রাম যার মাধ্যমে আমরা হাতে কলমে যে সকল Drawign/Design করি তার সব কিছুই করা যায় Full Scale-এ, কম সময়ে এবং নিখুঁতভাবে। Computer Aided Design এর abreviation হচ্ছে CAD। CAD program-এ Drafting করার জন্য যেমন লাইন, সার্কেল, আর্ক ইত্যাদি geometric shape এ আঁকতে হয়, তার সবই আঁকা যায়, ইরেজ বা মুছামুছি করার জন্য ইরেজ টুলস বা কমান্ড রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের CAD Package বা Drafting/Design প্রােগ্রাম বা Software tools বের হয়েছে যেমন AutoCAD, Microsation, ZWCAD, ইত্যাদি। structural analysis এর জন্য রয়েছে ETABS, STAAD ইত্যাদি।
কম্পিউটারের সূচনা বেশীদিন আগের কথা নয়, যখন মানুষ প্রকৃতির কাছে ছিল অসহায়। তারা বেঁচে থাকতাে জঙ্গলের ফলমূল অথবা কাঁচা মাংস খেয়ে। ধীরে ধীরে তারা শক্তির ব্যবহার শিখলাে। আগুনের ব্যবহার মানুষের জীবন প্রণালী পাল্টে দিল। দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি বড় ধরনের বিপদের বিরুদ্ধে আগুনই ছিল প্রধান অস্ত্র। আগুনই সভ্যতার চাকা ঘুরালাে। পরবর্তীতে বিদ্যুত এসে ঘটিয়ে দিল আমূল পরিবর্তন। এখনকার দিন কম্পিউটারের দিন অর্থাৎ ডিজিটাল লাইফ। এটি ব্যবহৃত হচ্ছে- অফিসে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, হাসপাতাল, পুলিশ ষ্টেশন, মহাকাশ স্টেশনসহ সকল ক্ষেত্রে। যােগাযােগ রক্ষা, সময় গণনা, বিনােদনসহ সকলক্ষেত্রে রয়েছে এর ব্যবহার। চলুন প্রথমে খুব সংক্ষেপে আনুসাঙ্গিক বিষয় নিয়ে সামান্য আলােচনা করা যাক। কম্পিউটার (Computer) হলাে আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিস্কার। এটা হচ্ছে বিশেষ ধরনের একটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। যদিও কম্পিউটার আবিস্কার বেশী দিনের নয় তবুও কম্পিউটার বর্তমানে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। নিত্যদিনের ব্যবহার করা আপনার ডিজিটাল ঘড়িটি, হিসাব নিকাশের জন্য ক্যালকুলেটর, খাবার গরম করার জন্য ডিজিটাল ওভেন, সংযােগ রক্ষার্থে ডিজিটাল টেলিফোন, মােবাইল ফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি খেলনাসহ সব ধরনের ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রই কম্পিউটারের অংশ বিশেষ বা কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরী করা। সুতরাং প্রশ্ন হচ্ছে কম্পিউটার কি? কম্পিউটার কি? কম্পিউটার হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যার মাধ্যমে খুব সহজে এবং অল্প সময়ে প্রচুর তথ্য সম্বলিত বড় গানিতিক (Mathematical) হিসাবসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায়। এতে রয়েছে মেমরী, নিয়ন্ত্রণ অংশ, গানিতিক ও যুক্তি গ্রহণ অংশ ও নির্গমন অংশ। এটি সমস্ত ধরনের ডাটাকে নাম্বারে রূপান্তরিত করে সমাধান শেষে আবার ডাটায় রূপান্তরিত করে প্রকাশ করে। এটি কোন টেক্সট, সাউন্ড বা ছবিকে নাম্বারে রূপান্তরিত করা ছাড়া চিনতে পারে না। এটি ডাটা গ্রহণ করে, পরে এনালাইস করে এবং ফলাফল প্রকাশ করে। এটি অতি দ্রুত এবং নির্ভুল ফলাফল প্রকাশ করে। কম্পিউটারের আবিস্কার। চালর্স ব্যাবেজ নামে একজন ইংরেজ গণিতবিদ ১৮৩০ সালে প্রথম এনালগ কম্পিউটার আবিস্কার করেন। এরপর হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হাউয়ার্ড একিন' একটি ম্যাকানিক্যাল কম্পিউটার তৈরী করেন। পরবর্তীতে ডিজিটাল কম্পিউটার আবিস্কৃত হয় যা ম্যাকানিক্যাল কম্পিউটারের থেকে ২০০ গুন গতি সম্পন্ন এবং সেটি ধীরে ধীরে উন্নত হয়ে আজকের কম্পিউটার। লর্ড বায়রণের মেয়ে লেডী এ্যাড়া বায়রণ পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার প্রােগ্রামটি তৈরী করেন। কম্পিউটারের কাজ করার পদ্ধতি কম্পিউটার কাজ করে আই পি ও (I-P-0) সাইকেলের মাধ্যমে। ইহা প্রথমে তথ্য গ্রহণ (Input) করে কী-বাের্ডের মাধ্যমে। সুতরাং কী-বোের্ড একটি ইনপুট ডিভাইস (Input Device)। এরপর তথ্যের (Data) প্রক্রিয়াকরণ (Processing) করে সিপিইউ নামের সিসটেম ডিভাইসের মাধ্যমে এবং ফলাফল প্রকাশ করে আউটপুট ডিভাইস (Output Device) ভিডিইউ (VDU) এর মাধ্যমে।
ইন্টারনেটের মৌলিক বিষয়াবলী বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক সার্ভার যেকোনাে নেটওয়ার্কের জন্য সার্ভার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সার্ভারকে বলা যেতে পারে ইন্টারনেটের রিসাের্স। সার্ভার ঠিক মতাে সার্ভিস দিতে না পারলে পুরাে ইন্টারনেটই অর্থহীন হয়ে যাবে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের জন্য বহুলভাবে ব্যবহৃত কয়েকটি সার্ভারের বর্ণনা দেয়া হলাে । ফাইল সার্ভার (File Server) ফাইল সার্ভারের সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ডেটা বা ফাইল সংরক্ষণ (Storage), উত্তোলন (Retrieve) এবং এক পিসি থেকে অন্য পিসিতে স্থানান্তর করতে পারে। সাধারণত ফাইল সার্ভার ক্লায়েন্ট পিসির জন্য কোনাে প্রকার ডেটা প্রসেসিং এর কাজ করে না। ফাইল সার্ভার দুই ধরণের হতে পারে। ডেডিকেটেড এবং নন ডেডিকেডেট ফাইল সার্ভার । ferat yota (Print Server) প্রিন্ট সার্ভার মূলত কোনাে নেটওয়ার্কে একটি একক প্রিন্টার বা কতকগুলাে প্রিন্টারের গ্রুপকে কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বিশেষ করে ক্লায়েন্ট পিসি থেকে আগত প্রিন্টিং অর্ডারকে জমা করে রাখে। এই ব্যাপারটিকে বলা হয় কিউইয়িং (Queuing) বা স্পলিং (Spooling)। প্রিন্ট সার্ভার স্কুলারের সাহায্যে প্রিন্ট অর্ডারকে ধরে রাখে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রিন্টার প্রিন্ট করার উপযােগী না হয়। প্রিন্টার একবার প্রস্তুত হয়ে গেলেই প্রিন্ট সার্ভার তাতে প্রিন্টিং কাজ (Print Job) পাঠিয়ে দেয়। অ্যাপ্লিকেশন সার্ভার (Applicatoin Server) এ ধরনের সার্ভার নেটওয়ার্কের অতিরিক্ত কম্পিউটিং ক্ষমতা ও অত্যন্ত দামি সফটওয়্যার ক্লায়েন্ট পিসিকে ব্যবহার করার সুযােগ করে দেয়। অ্যাপ্লিকেশন সার্ভার মূল প্রােগ্রামটি তার শক্তিশালী মেশিনে চালিয়ে দেয় এবং ক্লায়েন্ট পিসি’র চাহিদা অনুযায়ী ডেটা প্রসেস করে ফলাফল পুনরায় ক্লায়েন্টের কাছে ফেরত পাঠায়। এতে ক্লায়েন্ট পিসির লােড কমে যায়। অ্যাপ্লিকেশন সার্ভার ব্যবহারের মাধ্যমে কোনাে কোম্পানি তার সফটওয়্যার লাইসেন্সিং খরচও কমাতে পারে।
সূচিপত্র * মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ সম্পর্কে ধারণা * মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ ইন্সটল করা * মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ এর কাজ করা * অফিস ২০১০ এ সাধারণ কাজ করা * ওয়ার্ড ২০১০ এ টেক্সট ভিউয়িং ও এডিটিং * ওয়ার্ড ২০১০ এ ফরমেটিং করা * ওয়ার্ড ২০১০ এ স্পেশাল কনটেন্ট নিয়ে কাজ করা * মাইক্রো এক্সেল ২০১০ এ কাজ করা * এক্সেল ২০১০ এ ডেটা অ্যানালাইজিং ও উপস্থাপন * মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট * স্লাইডে এনিমেশন সন্নিবেশিত করা * আউটলুক ২০১০ এ মেসেজসমূহ নিয়ে কাজ করা * আউটলুক ২০১০ দিয়ে অর্গানাইজ করা * পাবলিশার ২০১০ এ একটি পাবলিকেশন তৈরি করা * ওয়াননোট ২০১০ এ তথ্য অর্গানাইজ ও শেয়ার করা * একসিস ২০১০ এ কাজ করা * অফিস ২০১০ কাস্টোমাইজ করা ও নিরাপত্তা প্রদান
ডেটাবেজ ডিজাইন। নির্দিষ্ট ডেটাবেজের একটি ‘blueprint' বা খসড়া অথবা একটি conceptual model' বা ধারণাগত মডেল তৈরির জন্য ডেটাবেজ ডিজাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডেটাবেজ মডেল এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন তা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের প্রয়ােজনীয় তথ্যসমূহ সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়। ডেটাবেজ এনালাইসিস প্রকৃতপক্ষে, ডেটা এনালাইসিস ডেটার প্রকৃতি এবং ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ডেটা উপাদানের সনাক্তকরণ, যাতে প্রতিষ্ঠানের ডেটা প্রক্রিয়াকরণ সিস্টেমে এসব উপাদান লজিক্যাল উপস্থাপন এবং রেজাল্টিং গ্রুপের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন সাপাের্ট প্রয়ােজন।
অন্যান্য এপ্রােচের মধ্যে রয়েছে D.E.Ds এবং ফ্লোচার্ট যা ডেটার ফ্লো- ডেটাফ্লো মেথােলডজিস-এর সহিত সম্পৃক্ত। ডেটা এনালাইসিস কতকগুলি ডেটা স্ট্রাকচার যা মেথােলজিস এর উপর প্রতিষ্ঠিত। সিস্টেম এনালাইসিস সরাসরি ইমপ্লিমেন্টেশন বা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ডেটা এনালাইসিস এর উপর নির্ভরশীল। ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS) উচ্চ লেভেলে এনালাইসিস উৎসাহিত করে যেখানে ডেটা উপাদান লজিক্যাল মডেল অথবা স্কীমা দ্বারা নির্ধারণ করা হয় (Conceptual schema)। আমরা যদি ডেটা রিলেশনশীপ, এর ব্যবহার এবং প্রােপারটিস এর বিষয় বিবেচনা করি তাহলে তা বিজনেসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বটে! কম্পিউটারাইজড সিস্টেম ডিজাইন করতে ডেটা এনালাইসিস কিভাবে কাজ করবে তা প্রশ্ন হতে পারে। ডেটা এনালাইসিস সময় সাপেক্ষ বিষয়। এতে পর্যায়ক্রমে আরাে প্রশ্ন আসতে পারে। আর এসব প্রশ্নের উত্তরের উপর ইমপ্লিমেন্টেশন বা কার্যকর করার গতি নির্ভর করে। ডেটা এনালাইসিস বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাহিদা সাপেক্ষে ডেটাবেজ ডিজাইন হওয়া আবশ্যক। তবে ব্যবসায়িক কারণে সহজে পরিবর্তন করা যায় এমন হওয়া বাঞ্ছনীয়। ডেটা এনালাইসিস ‘quick and dirty' অর্থাৎ দ্রুত ও অগােছালাে হওয়ার চেয়ে ‘slow and careful” অর্থাৎ ধীর ও যত্নবান হওয়াই শ্রেয়। অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে ডেটা এনালাইসিস সাধারন ডিজাইনের নিয়ম-নীতি সংক্রান্ত প্রয়ােজনীয় বিষয় প্রােভাইড করে যা ট্রেনি এনালিস্টদের সহায়তা করবে নতুবা তারা ‘quick and dirty' অর্থাৎ দ্রুত ও অগােছালাে সলিউশন বেছে নিবে। ডেটা এনালাইসিস-এর ডেভেলপমেন্ট টেকনিক বা কৌশল স্ট্রাকচার বুঝতে সহায়তা করে। এর অর্থ ডেটা অর্গানাইজেশন বা উপাত্ত সুসংগঠিত করা। ডেটা এনালাইসিস টেকনিক প্রথম ধাপে প্রকৃত জটিলতাকে অনুধাবন করে একটি মডেলে উপস্থাপিত করে যা বিভিন্ন ইউজার বা ব্যবহারকারী দ্বারা এক্সেস হয়। ডেটা বা উপাত্ত কনভেনশনাল মেথডে সংরক্ষিত হতে পারে যেমন প্রতিষ্ঠানের লােকদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং ডকুমেন্ট পর্যালােচনার মাধ্যমে। আর তা উপস্থাপিত হতে পারে অবজেক্ট হিসেবে। ডেটা এনালাইসিস-এর ক্ষেত্রে কতকগুলি ডকুমেন্টেশন টুলস বিদ্যমান।
ট্যালি হচ্ছে ভারতের ‘ট্যালি সলিউশন’ কর্তৃক তৈরিকৃত একটি এ্যাকাউন্টিং প্যাকেজ প্রোগ্রাম। ব্যবসায়ের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ অনায়াসেই ট্যালি দ্বারা সংরক্ষণ করা যায়। হিসাব ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার রয়েছে। যেমন-AcPack, Quick Book Pro, MyOB, Peachtree. অন্যান্য সফটওয়্যারের মতো ট্যালির নির্মাতা ‘ট্যালি সলিউশন’ গ্রাহক চাহিদার উপর ভিত্তি করে নতুন নতুন ফিচার ও সার্ভিস সংযোজন করে ট্যালির বিভিন্ন ভার্সন বাজারে ছাড়ছে। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে ‘ট্যালি সলিউশন’ গ্রাহকদের চাহিদা মূল্যায়ন করে এর মান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। নিত্য নতুন ফিচার ও সার্ভিস সংযোজন ও উন্নত গ্রাহক সেবা প্রদান করে ট্যালিকে বিশ্বমানের এ্যাকাউন্টিং প্যাকেজে উন্নীত করা হয়েছে। আধুনিক মার্কেটিং এবং সফটওয়্যার হিসাবে সহজ হিসাব ব্যবস্থাপনার জন্য ট্যালির ব্যবহার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে । ধরাণা করা হচ্ছে, বর্তমান পৃথিবীল নব্বইটিরও বেশি দেশে ২০ লাখেরও বেশি ট্যালি ব্যবহারকারী রয়েছে। আমার কম্পিউটার প্রকাশনার প্রতি গ্রাহকদের চাহিদা অনেক। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশেষ করে ভারতে ট্যালির ব্যাপক ব্যবহার হওয়ায় ভারতের গ্রাহক ব্যাক্তিগতভাবে আমাদের সাথে ট্যালির বই সম্পর্কে যোগাযোগ করেছেন। গ্রাহকদের ব্যাপক চাহিদার কারণে শেষ পর্যন্ত আমি নিজেই দায়িত্ব নিয়েছি। দীর্ঘ কয়েক মাস চেষ্টার পর অবশেষে আল্লাহর অশেষ রহমতে বাংলা ভাষায় বইটি প্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছি।
Microsoft Excel-2013/2010/2007 Microsoft Excel হচ্ছে একটি Spreadsheet প্রােগ্রাম। ইহা Microsoft Office এর একটি অংশ। এটি একটি Worksheet Analysis প্রােগ্রামও। মূলতঃ এক্সেলের সাহায্যে ডাটা এন্ট্রি এবং অ্যানালাইসিস উভয় সুবিধা পাওয়া যায়। আমাদের পরীক্ষার Marksheet এর সাথে আমরা সবাই পরিচিত। Spreadsheet হচ্ছে মার্কশীটের মত এক ধরনের ছক। Microsoft Word খুললে যেমন কার্সরসহ একটি সাদা পাতা পাওয়া যায় এবং কী বাের্ড থেকে লিখতে শুরু করলে সাদা পাতায় লেখা শুরু হয়। তেমনি Excel খুললে সাদা পাতার পরিবর্তে টেবিলের মত একটি ছক পাওয়া যায় এবং প্রতিটি ঘরে কয়েকটি অক্ষর লেখা যায়। এছাড়া এটি মার্কশীটের মত কলাম (Column) এবং সারিতে (Row) বিভক্ত থাকে। A, B, C, D এভাবে কলামের নামকরণ করা থাকে এবং 1, 2, 3, 4 এভাবে সারির নামকরণ করা থাকে। এই সমস্ত ঘরে অবস্থিত গাণিতিক সংখ্যাকে উপর, নিচ, ডান বা বাম, যে কোন দিক থেকে যােগ, বিয়ােগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি করা যায়। সাধারণত যােগ, বিয়ােগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদিসহ জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান, ডাটার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফ তৈরী, ডাটাকে সাজানােসহ বিভিন্ন ধরনের ডাটা ম্যানেজমেন্ট, পরিসংখ্যানের বিভিন্ন কাজ Excel দিয়ে করা হয়। অ্যাকাউন্টসের বিভিন্ন কাজ, যেমন- লেজার, লাভ ক্ষতি হিসাব, Balance Sheet ইত্যাদি কাজও Excel দিয়ে করা হয়ে থাকে। Microsoft Word, Microsoft Access বা Microsoft Powerpoint ইত্যাদির মত, Microsoft Excelও Microsoft Office এর একটি প্রােগ্রাম। বর্তমানে Office 2013/2010/2007 বাজারে প্রচলিত। নিচের উদাহরণ লক্ষ্য করুন। Excel ব্যবহার করে একটি ডাটাবেজ এবং সংশ্লিষ্ট চার্ট দেওয়া আছে।
সূচিপত্র
* কমপিউটারের ধারণা
* ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রাম
* মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ
* মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড
* ওয়ার্ড উইন্ডো পরিচিতি
* ওয়ার্ডে কাজ করা
* ফাইল নিয়ে কাজ করা
* টেক্সট ফর্মেটিং
* প্রিন্ট করা
* এডিট মেনু
* ভিউ করা
* সন্নিবেশত করা
* সন্নিবেশিত করা
* ছবি সন্নিবেশিত করা
* নির্ঘন্ট, ফাইল এবং ক্রস রেফারেন্স সন্নিবেশিত করা
* চার্ট সন্নিবেশিত করা
* ফর্মেট : ফন্ট, প্যারাগ্রাফ, ট্যাব
* ফর্মেট : প্যারাগ্রাফ নাম্বারিং
* ফর্মেট : বর্ডার, ব্যাকগ্রাউন্ড, জলছাপ, থিমস, লাইন
* ফর্মেট : কলাম, ড্রপক্যাপ
* ফর্মেট : স্টাইল, অটোফরমেট
* স্পেল চেক, থেসারাস, ওয়ার্ড কাউন্ট, অটোকারেন্ট
* প্রঢেক্ট, ম্যাক্রো, কাস্টমাইজ কমান্ড, টুলস অপশন্স
* মেইল মার্জ, ইনভেলপ, লেবেল
* টেবিল নিয়ে কাজ করা
* উইন্ডো মেনু
* সাহায্যকারী মেনু
* অফিস সহকারী
* ড্রয়িং
* ওয়ার্ডআর্ট
* ই-মেইল
* টাইপ শিক্ষণ পদ্ধতি
* কমপিউটারে বাংলা ব্যবহার
* বাংলায় দ্রুত টাইপ করার নিয়ম
* বানান নির্দেশিকা ও প্রুফ সংশোধনী
* বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান
ওয়ার্ড ২০০৭
* ওয়ার্ড ২০০৭ পরিচিতি
* ফাইল নিয়ে কাজ করা
* Home রিবন
* Insert রিবনের ব্যবহার
* Page Layout রিবন
* টেবিল, ছবি, চার্ট ও স্মার্ট আর্ট তৈরি
* Review রিবন
* View রিবন
* ওয়ার্ডআর্ট ও ড্রাইং
ওয়ার্ড ২০১০
এডােবি ফ্ল্যাশ এনিমেটেড কার্টুন, গেম, ফান, ওয়েব পেজ, টেলিভিশনে ব্রডকাষ্টের জন্য মুভি অথবা ম্যাক বা আই.বি.এম-ভিত্তিক ডেস্কটপ মুভি ইত্যাদি ক্ষেত্রের মধ্যে, এমন কোন ক্ষেত্র নাই যেখানে ফ্ল্যাশের পদচারণা নাই। বইটিতে সমস্ত বিষয় সহজ করে আলােচনা করা হয়েছে। আপনি যদি আগে থেকেই ফ্ল্যাশ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন বা মাত্র গতকাল আপনার মেশিনে ফ্ল্যাশ লােড করে থাকেন তবে আমি নিশ্চিত আপনার জন্য ফ্ল্যাশ সফ্টওয়ার এবং এই বই দুটিতেই অপেক্ষা করছে দারুন চমক।
ফিউচার ওয়েভ সফটওয়ার নামে একটি কোম্পানির ফিউচার স্পন্ট্যাসএনিমেটর নামে একটি সফটওয়ার থেকে বর্তমানের ম্যাক্রোমিডিয়া ফ্ল্যাশ সফটওয়ারটির জন্ম। দিনে দিনে উন্নত হতে হতে আজকের ফ্ল্যাশ। ফ্ল্যাশ-এর প্রােগ্রামিং এনভারমেন্টও চমৎকার। এটি Java Script -এর বিকল্প হিসেবে কাজ করতে সক্ষম এবং প্রােগ্রামার বা ননপ্রােগ্রামার উভয়ের জন্যই রয়েছে আরামদায়ক কাজ করার পরিবেশ। আর সারা বিশ্বে ফ্ল্যাশের জয় জয়াকার কেবল শুরু--- ভবিষ্যতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্যই ফ্ল্যাশের জন্ম, এমনটি আশা করা যায়।
ASP.Net সার্ভার প্রােগ্রামটি যে কমপিউটারটিতে থাকে সেই কমপিউটারটিও কিন্তু ওয়েব সার্ভার নামে পরিচিত। সুতরাং আমরা বলতে পারি ওয়েব সার্ভার কথাটি, কোন সার্ভার প্রােগ্রাম এবং, যে কমপিউটারে এটি রান করে সেই কমপিউটার এই উভয়কেই প্রতিনিধিত্ব করে। ওয়েব সার্ভারের বৈশিষ্ট্যসমূহ ঃ একটি ওয়েব সার্ভার কমপিউটার কিন্তু আর দশটা কমপিউটারের মতােই। এর যে সব বেসিক বৈশিষ্ট্যগুলাে রয়েছে সেগুলাে হলাে, • একে সবসময় ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড থাকতে হয় যেন ক্লায়েন্ট চাওয়া মাত্র এতে হােষ্ট করা ওয়েব সাইটটি প্রদর্শিত হয়। • একই সাথে এটি কেবল ইন্টারনেটে কানেক্টেড থাকলেই চলবে এতে সবসময় ওয়েব সার্ভার প্রােগ্রামটিও রান করা অবস্থায় থাকতে হবে। সংক্ষেপে বলা যায় কোন ওয়েব সাভার হচ্ছে একটি কমপিউটার যা সর্বদা ইন্টারনেট বা ইন্ট্রানেটের সাথে সংযুক্ত থাকবে এবং এতে ওয়েব সার্ভার নামেরই একটি সফটওয়্যার থাকতে হবে, যা ঐ পিসিতে সর্বদা রানিং অবস্থায় থাকতে হবে। ঐ ওয়েব সার্ভার কর্তৃক হােষ্টকৃত কোন ওয়েব সাইটকে যখনই কোন ওয়েব ব্রাউজার এক্সেস করার চেষ্টা করবে তখন ওয়েব সার্ভার নামের ঐ প্রােগ্রামটি আসলে ক্লায়েন্টের চাহিদামতাে সঠিক ওয়েব পেজটিকে সার্ভ করবে। ইন্টারনেটের সমস্ত ওয়েব সাইটগুলাে পৃথিবীর বিবিন্ন প্রান্তে থাকা কতিপয় ওয়েব সার্ভার দ্বারা হােষ্টেড হয়ে থাকে।
সি একটি জনপ্রিয় প্রােগ্রাম ভাষা। বর্তমানে অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রােগ্রামিং নামে নতুন প্রােগ্রাম কৌশলের বিকাশ ঘটে চলেছে। সি++ একটি অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রােগ্রাম ভাষা, এ ভাষা সি এর বর্ধিত রূপ। সি++ কে বলা হয় আগামী দিনের ভাষা। বর্তমানে আমাদের দেশে সি এবং সি++ প্রােগ্রামিং এর দ্রুত প্রসার ঘটে চলেছে। এই পুস্তকে সি, সি++ এবং অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রােগ্রামিং বিষয়ে বিশদভাবে আলােচনা করা হয়েছে।
Microsoft Access Microsoft Office এর মধ্যে একটি উল্লেখ যােগ্য প্রােগ্রাম হচ্ছে Microsoft Access. এটি একটি ডাটাবেজ প্রােগ্রাম। যদিও আমরা Microsoft Excel-এ ডাটা নামে একটি সামান্য চ্যাপ্টার নিয়ে কাজ করি। কিন্তু Accessই হচ্ছে মূল ডাটাবেজ প্রােগ্রাম। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত ডাটাবেজ প্রােগ্রাম। এটি আকারের দিক থেকে ছােট প্রােগ্রাম হলেও কাজের ক্ষমতার ক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি প্রােগ্রাম। ব্যাংক বীমা, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, বড় হাসপাতাল ইত্যাদিতে ব্যবহৃত ডাটাবেজ সংরক্ষণ, অ্যানালাইসিস, হিসাবরক্ষন ইত্যাদিতে ব্যবহার করার জন্য Access সত্যিই জনপ্রিয়, শক্তিশালী, সংরক্ষিত একটি প্রােগ্রাম। অনান্য ডাটাবেজ প্রােগ্রাম, যেমন: ডিবেজ, ফক্সপ্রাে, ফক্স বেজ, সাইবেজ ইত্যাদি ডাটাবেজ প্রােগ্রামকে পেছনে ফেলে Access এখন সবার উপরে।
নেটওয়ার্ক কার্ডের মাধ্যমে একটি পিসি-কে অন্য পিসির সাথে সংযুক্তির জন্য যে ডিভাইসটি ব্যবহৃত হয় তা হচ্ছে নেটওয়ার্ক ক্যাবল। কিন্তু ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং বা মাইক্রোওয়েভ লিঙ্কের বেলায় কোন ফিজিক্যাল ক্যাবল ব্যবহৃত হয় না। এক্ষেত্রে ইনফ্রারেড বা ওয়্যারলেস ডিভাইস ইলেকট্রম্যাগনেটিক সিগন্যালের দ্বারা একে অপরের সাথে যােগাযােগ করে। এ কারণেই নেটওয়ার্ক মিডিয়া শব্দটি ক্যাবল-ভিত্তিক এবং ক্যাবল-বিহীন উভয় প্রকার যােগাযােগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
নেটওয়ার্ক মিডিয়াকে প্রধানত দু'ভাগে বিভক্ত করা হয়। প্রথমতঃ বাউন্ডেড মিডিয়া (Bounded Media) যা ফিজিক্যাল নেটওয়ার্ক ক্যাবলিং নামেও পরিচিত। এ ধরনের মিডিয়া হচ্ছে কপার, ফাইবার ইত্যাদি। দ্বিতীয়তঃ আনবাউন্ডেড মিডিয়া (Unbounded Media) যেমন মাইক্রোওয়েভ, ওয়্যারলেস এবং ইনফ্রারেড নেটওয়ার্ক লিঙ্কস। বর্তমানে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং-এর জন্য বিভিন্ন ধরনের মিডিয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এদের মধ্যে এমন কিছু মিডিয়া আছে যাদের ডেটা ট্রান্সমিশন গতি বেশি এবং দূরবর্তী ডিভাইসকে সংযুক্ত করতে পারে। এখানে উল্লেখ্য যে, নেটওয়ার্ক মিডিয়া, কানেক্টর, ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল ওএসআই মডেলের প্রথম স্তরের আওতাভুক্ত। বহুলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এমন জনপ্রিয় কতিপয় মিডিয়া নিয়ে এ অধ্যায়ে আলােচনা করা হচ্ছে।
কম্পিউটারের সূচনা বেশীদিন আগের কথা নয়, যখন মানুষ প্রকৃতির কাছে ছিল অসহায়। তারা বেঁচে থাকতাে জঙ্গলের ফলমূল অথবা কাঁচা মাংস খেয়ে। ধীরে ধীরে তারা শক্তির ব্যবহার শিখলাে। আগুনের ব্যবহার মানুষের জীবন প্রণালী পাল্টে দিল। দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি বড় ধরনের বিপদের বিরুদ্ধে আগুনই ছিল প্রধান অস্ত্র। আগুনই সভ্যতার চাকা ঘুরালাে। পরবর্তীতে বিদ্যুত এসে ঘটিয়ে দিল আমূল পরিবর্তন। এখনকার দিন কম্পিউটারের দিন অর্থাৎ ডিজিটাল লাইফ। এটি ব্যবহৃত হচ্ছে- অফিসে, ব্যবসাবাণিজ্যে, হাসপাতাল, পুলিশ ষ্টেশন, মহাকাশ স্টেশনসহ সকল ক্ষেত্রে। যােগাযােগ রক্ষা, সময় গণনা, বিনােদনসহ সকলক্ষেত্রে রয়েছে এর ব্যবহার। চলুন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্বন্ধে আলােচনার আগে খুব সংক্ষেপে আনুসাঙ্গিক বিষয় নিয়ে সামান্য আলােচনা করা যাক। কম্পিউটার (Computer) হলাে আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিস্কার। এটা হচ্ছে বিশেষ ধরনের একটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র, যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে এবং স্বল্প সময়ে প্রচুর ডাটা সম্বলিত বড় গাণিতিক (Mathematical) হিসাবসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারেন। যদিও কম্পিউটার আবিস্কার বেশী দিনের নয় তবুও কম্পিউটার বর্তমানে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। নিত্যদিনের ব্যবহার করা আপনার ডিজিটাল ঘড়িটি, হিসাব নিকাশের জন্য ক্যালকুলেটর, নাস্তা গরম করার জন্য ডিজিটাল ওভেন, সংযােগ রক্ষার্থে ডিজিটাল টেলিফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি খেলনাসহ সব ধরনের ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রই কম্পিউটারের অংশ বিশেষ বা কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরী করা।