একক বিচ্ছিন্ন মানুষের ভাষা নেই। একে অন্যের সঙ্গে যখন কথা বলে— সেই কথা বলাই ভাষা হয়ে ওঠে। চারপাশের লােকজনের মধ্যে যে শিশু বেড়ে ওঠে সে অনায়াসেই শিখে যায় সেই ভাষা। কথা বলা, শুনে বুঝতে পারা, নিজে বলতে পারা এই সবই ভাষা শেখার নানা নিদর্শন। ব্যাকরণ পড়ে বুঝতে হয় না। ভাষার ব্যাকরণ কথা বলার মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। সেই ব্যাকরণ ভাষা ব্যবহার করছে এমন মানুষজনদের ধারণার মধ্যে থেকে যায়। মাথার মধ্যে ধারণা হিসেবে থাকা ভাষার সেই নিয়মকানুনই হল কোনাে একটি ভাষার ব্যাকরণ।
মােম্বাসা থেকে নাইরােবি যেতে হলে উগান্ডা রেলপথ ধরেই যেতে হবে। পৃথিবীতে এত সুন্দর রেলপথ সম্ভবত দ্বিতীয় আর নেই। আর সেই রেলযাত্রা ব্রিটিশ ইস্ট আফ্রিকাতে সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক অভিজ্ঞতা বললেও কিছু অত্যুক্তি হবে না। সাগর থেকে যাত্রা করে সুবিস্তৃত ভূখণ্ড পেরিয়ে এই রেলপথ গিয়ে শেষ হয়েছে ভিক্টোরিয়া নিয়ানঞ্জাতে। শুরুতে শহর মােম্বাসা; তিনশাে তিরিশ মাইল দূরের শেষ শহর হল নাইরােণি। মাঝে মাঝে ঢেউ খেলানাে টিনের ঘর ঘিরে কয়েকটা কুটির। এইগুলােই হল রেল থামবার স্টেশন। ভবিষ্যতে যেগুলাের বিরাট বড় বড় শহর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রথমেই জানিয়ে রাখতে চাই যে, এই বইতে যাঁরা বিশুদ্ধ কবিতার রস খুঁজতে যাবেন, তাঁদের নিরাশ হবার সম্ভাবনাই খুব বেশী । এ বইতে কবিতা নেই, আছে অনুবাদ কবিতা। অনুবাদ কবিতা একটা আলাদা জাত, ভুল প্রত্যাশা নিয়ে এর সম্মুখীন হওয়া বিপজ্জনক। অনুবাদ কবিতা সম্পর্কে নানা ব্যক্তির নানা মত আছে, আমি এতগুলি কবিতার অনুবাদক, তবু আমার ব্যক্তিগত দৃঢ় বিশ্বাস, অনুবাদ কবিতার পক্ষে কিছুতেই বিশুদ্ধ কবিতা হওয়া সম্ভব নয়, কখনাে হয়নি। কোলরিজ বলেছিলেন, একটি কবিতার সেইটুকুই বিশুদ্ধ কবিতা, যার অনুবাদ সম্ভব নয়। সেই বিশুদ্ধ ব্যাপারটি কি তা বুঝতে হলে, আর একটি বিশুদ্ধ কবিতা পড়ে দেখতে হবে, আজ পর্যন্ত কোনাে সমালােচক তার বর্ণনা করতে পারেননি। কবিতার সংজ্ঞা, ব্রহ্মেরই মতন, অনুচ্ছিষ্ট। সংজ্ঞা না হােক, এই সরল সত্যটি সর্ববিদিত যে, কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য তার শব্দ ব্যবহার, বিংশ শতাব্দীর কবিতা সঙ্গীতের প্রভাব কাটিয়ে শব্দের গভীর অর্থের প্রতিই বেশী মনােযােগী, এবং এক ভাষার শব্দ চরিত্র অপর ভাষায় হুহু প্রকাশ করা একেবারে অসম্ভব।
ভারতের প্রায় প্রতি প্রদেশেরই নাম ও সীমা কালক্রমে পরিবর্তিত হইয়াছে। শাসন-কার্যের সুবিধার জন্য এক ইংরেজ আমলেই একাধিকবার বাংলা দেশের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে। ইংরেজ রাজ্যের শেষ পর্যন্ত যে ভূখণ্ডকে আমরা বাংলা দেশ বলিতাম এই শতাব্দীর আরম্ভেও তাহার অতিরিক্ত অনেক স্থান ইহার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৪৭ সনে বাংলা দেশ দুইভাগে বিভক্ত হইয়া দুইটি বিভিন্ন দেশে পরিণত হইয়াছে। সুতরাং এই পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক বিভাগের উপর নির্ভর করিয়া বাংলা দেশের সীমা নির্ণয় করা যুক্তিযুক্ত নহে। মােটের উপর, যে স্থানের অধিবাসীরা বা তার অধিক সংখ্যক লােক সাধারণত বাংলা ভাষায় কথাবার্তা বলে, তাহাই বাংলা দেশ বলিয়া গ্রহণ করা সমীচীন।
বিভূতিভূষণের রচনা সম্বন্ধে কিছু আলােচনা করিব ইচ্ছা ছিল। কখনও কখনও এ বিষয়ে বিভূতিবাবুর সহিত কথা বলিয়াছি। তিনি খুশি হইয়াছেন, বলিয়াছেন, ‘বেশ হবে, তুমি লেখাে। কিন্তু কিছুই করা হইয়া ওঠে না, সময়াভাব ও আলস্য প্রধান কারণ। আরও একটি কারণ ছিল, ভাবিয়াছি এত ত্বরা কিসের? আলােচনার যােগ্য অনেক বই বিভূতিবাবু অবশ্য লিখিয়াছেন, কিন্তু আরও কিছু লিখুন না কেন। সুর সমের কাছে আসিলে তবে তাহার পুরা রূপটি সহজগ্রাহ্য হয়, বিভূতিবাবুর রচনার ধারা তাে এখনও সমাপ্তির কাছে আসে নাই, তবে আবার এত ত্বরা কেন। কিন্তু সুর সমের কাছে আসিবার আগেও যে সুরকারের জীবন সমাপ্ত হইতে পারে এই স্থূল কথাটা মনে পড়ে নাই, অন্তত বিভূতিবাবুর সম্পর্কে মনে পড়িবার কোনও কারণ ছিল না।
‘কার্লোস, তুমি ছিলে ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন', জেসিকা বললাে, আমি ভাবিনি যে তােমার মুখে একথা শুনব যে—তুমি কিছুতে ভয় পাও।। সবাই হেসে উঠলাে। কারণ তারা উপলব্ধি করল—ভিন্ন ভিন্ন ফিল্ডে কাজ করলেও তারা একই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে-বাড়ির কাজ থেকে কোম্পানি ম্যানেজমেন্ট পর্যন্ত। সাম্প্রতিক বছরগুলােতে তারা ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত ঘটনার সাথে খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করে যাচ্ছিলাে। অধিকাংশই একমত হলাে যে এসব পরিবর্তনকে ম্যানেজ করার ভালাে কোন পদ্ধতি তাদের জানা ছিল না।
তবে একটি বিষয়ে প্রায় সকলেই একমত হবেন। তাহলো, কিভাবে আমরা প্রতিপত্তি অর্জন করবাে, এটা আজ সকলের চিন্তা-ভাবনার বিষয়। প্রতিপত্তি বলতে কি বােঝায়? প্রতিপত্তি বলতে বােঝায় সামাজিক স্বীকৃতি। যে স্বীকৃতি আপনাকে সকলের থেকে আলাদা করে দেবে। আপনি অন্যকে প্রভাবিত করার মতাে অবস্থানে পৌঁছতে পারবেন। এই প্রতিপত্তি কিভাবে অর্জন করতে হবে? একি আমাদের জন্মগত অধিকার নাকি আমরা আমাদের আচরণের দ্বারা একে আত্মস্থ করি? যুগে যুগান্তরে এই বিষয়টির ওপর আলােকপাতের চেষ্টা করা। হয়েছে। এগিয়ে এসেছেন মনােবিজ্ঞানীরা। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সমাজ বিজ্ঞানীরা। শেষ পর্যন্ত দেখা গেছে, প্রতিপত্তি বিস্তার করার একটি কৌশল আছে। আমরা যদি সুদীর্ঘ দিন ধরে সেই কৌশলটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করি তাহলে একদিন যথেষ্ট। প্রভাবশালী মানুষ হয়ে উঠতে পারবাে।
Instant Notes \"titles focus on core information and are designed to help undergraduate students come to grips with a subject quickly and easily. This new edition has been amended throughout, new sections have been added on aging and gender and the immune system, and diagrams have been redrawn for improved clarity and consistency of style. \"Instant Notes in Immunology,\" Second Edition provides concise yet comprehensive coverage of immunology at an undergraduate level, providing easy access to the core information in the field. The book covers all important areas in immunology in a format which is ideal for learning and rapid revision. Also features MCQs and answers which test knowledge and understanding.
Gynecological Nursing is a textbook for students pursuing a diploma or undergraduate degree courses in nursing. The text provides a framework for approaching gynecological problems by discussing diseases and disorders commonly affecting women and the management of and intervention required for each specific problem which are essential in nursing. It also addresses the complete continuum of care including health education, disease prevention and the physical, psychological, and emotional aspects of gynecological diseases and disorders. This book will also be an invaluable resource for practicing nurses who are actively engaged in departments of gynecology.