কাব্যের ইতিহাসে প্রগতির লক্ষণ স্পষ্ট দেখা যায় কি না এ নিয়ে তর্ক উঠতে পারে। যাঁরা বলেন ঋগ্বেদ-সংহিতা, কঠোপনিষদ্, কিংবা সং অত্ সলােমন-এর তুল্য কবিতা পরবর্তীকালে আর রচিত হয়নি, তাদের কাব্যরসাস্বাদনে ভক্তিরসের আমেজ লেগেছে এমন সন্দেহের অবকাশ যদি-বা থাকে, বিশুদ্ধ কাব্যরস বিচারের উপর | নির্ভর করেই দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন সমালােচক এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে ব্যাস, বাল্মীকি, হােমর, সফোক্লিস প্রভৃতি আড়াই-তিন হাজার বছর পূর্বে কবিকর্মকে সার্থকতার যে-স্তরে তুলে দিয়ে গেছেন, তার চেয়ে উচ্চতর শিখর-আরােহণ পরবর্তী কোনাে কবির পক্ষে সম্ভব হয়নি আজও। কিন্তু কাব্যের প্রগতি তর্কাধীন হলেও তার গতি অনস্বীকার্য। নদীর মতাে কবিতাও চলে এবং সিধে চলে না, কখনাে হঠাৎ কখনাে ধীরে-ধীরে বাঁক নেয়, কখনাে-বা এমন মৌলক পরিবর্তন ঘটায় আপন আধারে, আধেয়তে, বা উভয়ত, যাকে ইতিহাসে যুগান্তর বলেই অভিহিত করতে হয়।
বুননা পাড়ার মুড়ােতে ঝাকড়া অশােখ গাছের ছায়া। গেল বছর এখানে একটা সবজে রঙের টিউকল বসিয়েছে সরকার। তার আগে বেশির ভাগ বুননা পাড়ার লােকে জল খেত বুড়িগাঙের, যাদের ভাগ্য ভালাে তারা যেত গাঁয়ের বারােয়ারি কুয়গাটায় জল আনতে। দড়ি-বালতি সেখানে ধপাস করে ফেলে দিয়ে জল তােল। খ্যাচালের ঘটাং ঘটাং শব্দ, পেশির টানে জলভরা বালতি উঠবে উপরপানে, কষ্ট বলতে চরম কষ্ট। তবু দুর্গামণি যেত মাটির কলসী নিয়ে, লাইন দিয়ে জল আনত। পাড়ার বউ-ঝিউড়িদের টীকা-টিপ্পনী কানে আসত তার। ভালাে লাগত না পরনিন্দা পরচর্চা শুনতে। বেশি বয়সে মা-হওয়ার সুখ যেমন জ্বালাও কম নয়। দু-চার শব্দ কানে বােলতার হুল ঢােকায়। তা-ও নেই নেই করে দেখতে-দেখতে রঘুর বয়স ষােল ছাড়াল। চুনারাম সেবার কথায় কথায় বলছিল, আমাদের ঘরের রঘুটা তাে গায়ে-গতরে হয়েছে, এবার ওর বিয়ে-থা দিয়ে লেটা চুকিয়ে দাও।
‘চণ্ডীমণ্ডপ’ এবং ‘পঞ্চগ্রাম’ উপন্যাসে তারাশঙ্কর কালান্তরের এক নূতন দেবতাকে আবাহন করেছেন। এ দেবতা বিষ্ণুও নন; শিব নন; এ দেবতা গণদেবতা। পৌরাণিক গণদেবতা অর্থাৎ আদিত্য, বিশ্ব, বসু, তুষিত, আভাস্বর, অনিল, মহারাজিক, সাধ্য, রুদ্র,—এই নয়জন দেবতার সমষ্টিও নয়। তারাশঙ্করের গণদেবতায় পৌরাণিক দেবতা নেই, আছে অনিরুদ্ধ, পাতু, শ্ৰীহরি, দুর্গা, দেবু, পদ্ম। এরা দেবতা নয়, মানুষ। আত্মকেন্দ্ৰিক একক মানুষ নয়, গোষ্ঠীকেন্দ্ৰিক সামাজিক মানুষ। গোষ্ঠীজীবনের গণশক্তিতে যে-দেবতার রথের চাকা চলে তিনি গণদেবতা। চণ্ডীমণ্ডপ এই গণদেবতার বিগ্ৰহ। অপেক্ষাকৃত আধুনিককালে ‘গণশক্তি’ এবং ‘জনগণ' কথাগুলির রাজনৈতিক ব্যঞ্জনা আছে। কিন্তু তারাশঙ্কর গণদেবতা বলতে যা বুঝেছেন তা সামাজিক institution। তার অতিরিক্ত কিছু নয়। চণ্ডীমণ্ডপের সমাজ-শাসনের অন্যায়-অবিচারের সমালোচনা তিনি করেননি, এমন কি চণ্ডীমণ্ডপের শাসনশক্তির উপর তেমন প্রচণ্ড রকম গুরুত্বও তিনি আরোপ করেননি। চণ্ডীমণ্ডপের শাসন যে অস্বীকার করেছে সেও চণ্ডীমণ্ডপের বহির্ভূত নয়। চণ্ডীমণ্ডপের গোষ্ঠীসমাজের বিরুদ্ধে ব্যক্তি-বিবেকের বিদ্রোহের ইঙ্গিতও তারাশঙ্কর দেননি। ‘গণদেবতা’য় তারাশঙ্কর দেখিয়েছেন, চণ্ডীমণ্ডপকে আশ্রয় করে ব্যষ্টিজীবন গোষ্ঠীজীবনে পরিণত হয়েছে। চণ্ডীমণ্ডপ-আশ্রিত গোষ্ঠী জীবন এবং গোষ্ঠীজীবনের বিলয়, উগ্র ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্যের উদ্ভব, শহরকেন্দ্ৰিক নূতন সামাজিক institution এর আবির্ভাব, agricultural economy-র পরিবর্তে industrial economy-র প্রাধান্য-বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের বাঙালী জীবনের যুগান্তরের এই ইতিহাস ধরা পড়েছে তারাশঙ্করের গণদেবতা পরিকল্পনায়। সে বিচারে ‘গণদেবতা’ এবং ‘পঞ্চগ্ৰাম’ একালের বাঙালীর সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ইতিহাসের ভাষ্য। বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের মানুষের জীবন সোজাও নয়, বাঁকও নয়, ত্রিভুজাকৃতি। রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজ সে ত্রিভুজের তিনটি বাহু। তারাশঙ্করের অনেক চরিত্র ত্রিভুজাকারের। সেটি তার ইতিহাস-চেতনার লক্ষণ। এবং এই কারণে ইতিহাসের পদক্ষেপের চিহ্ন পড়ে তারাশঙ্করের ‘পঞ্চগ্ৰাম’ এপিক লক্ষণাক্রান্ত হয়ে উঠেছে। বিষয়গৌরবে এই দুখানি উপন্যাসের শ্রেষ্ঠত্বের কথা স্বীকার করেই বোধ হয় ‘গণদেবতা’কে এ যুগের মহার্ঘ্যতম সাহিত্য-পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল
That was a fabulous summer. Pérez Prado and his twelve-professor orchestra came to liven up the Carnival dances at the Club Terrazas of Miraflores and the Lawn Tennis of Lima; a national mambo championship was organized in Plaza de Acho, which was a great success in spite of the threat by Cardinal Juan Gualberto Guevara, Archbishop of Lima, to excommunicate all the couples who took part; and my neighborhood, the Barrio Alegre of the Miraflores streets Diego Ferré, Juan Fanning, and Colón, competed in some Olympic games of mini-soccer, cycling, athletics, and swimming with the neighborhood of Calle San Martín, which, of course, we won.
লােকে বলে ধর্মের জয় অধর্মের পরাজয়—এ হবেই। যে সৎপথে থাকে, যে ধর্মকে ধরে থাকে শেষ পর্যন্ত তারই জিৎ হয় এ সংসারে। বহ, লােকের মুখেই কথাটা শুনেছে মহাশ্বেতা। ছেলেবেলা থেকেই শুনে আসছে। নানা বিভিন্ন রুপে, নানা বিভিন্ন শব্দবিন্যাসে। তবে শব্দে বা রুপে যে তফাৎই থাক সব কথারই সারমর্ম এক। দীর্ঘদিন ধরে শােনার ফলে বিশ্বাস হয়ে গিয়েছিল কথাটায়। আর সেই বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই দীর্ঘকাল ধরে ধীরে ধীরে একটা অস্পষ্ট আকারহীন আশার প্রাসাদও গড়ে তুলেছিল। কিন্তু সে প্রাসাদের ভিত্তিমূল এবার নড়ে উঠেছে, সেই বিশ্বাসটাকেই, আর ধরে রাখা যাচ্ছে না কোনমতে। ‘মিছে কথা! মিথ্যে কথা ওসব! কথার কথা। লােকের বানানাে গালগল্প!..ধম্মপথে থাকো তাহলেই তােমার সর্ব হবে। মুখে আগুনে অমন সব হওয়ার।
ট্রাফিক বাতি বদলের অপেক্ষায় গাড়িতে থাকা অবস্থায় অন্ধ হয়ে গেল প্রথম জন। তাকে অপথালমোলজিস্টের কাছে নিয়ে গেল তার স্ত্রী। ব্যাপারটার মাথামুণ্ড কিছুই বুঝতে পারল না ডাক্তার-রাতে টেক্সট বই পড়ার সময় অন্ধ হয়ে গেল সেও। দ্রুত মহামারীতে পরিণত হতে চলা রোগটিকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পূর্ণাঙ্গ কোয়ারেস্টাইনের উদ্দেশ্যে অন্ধদের জড়ো করে এক পরিত্যক্ত উন্মাদ আশ্রমে আটক করল সরকার : এক উইংয়ে অন্ধ আর অন্য উইংয়ে রাখা হলো ওদের সংস্পর্শে যারা এসেছে তাদের। কিন্তু মহামারী তাতে ঠেকানো গেল না। নিজেদের সংগঠিত করে তুলল অন্ধরা যা মোটেই ইউটোপিয় ধরনের নয়।তারপরও চার দেয়ালের বাইরে ছড়িয়ে পড়ল অন্ধত্ব। কেবল সেই ডাক্তারের স্ত্রী ছাড়া রেহাই মিলল না কারও। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা এড়াতে নিজেকে অন্ধ দাবি করছে ও।নিউক্লিয়াস হলো ওই। তিনজন পুরুষ, তিনজন মহিলা, একটা ছেলে আর একটা কুকুর-যাদের বিশেষ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা হয়েছে এই বইতে।এই উপন্যাসে সত্যিকারের দুঃস্বপ্ন সৃষ্টি করেছেন হোসে সারামাগো। সমাজবদ্ধ জীবন যাপনের এক সামগ্রিক কাঠামো ধ্বংস এবং একে একে পারস্পরিক সহযোগিতা ও দায়িত্ব ছিন্ন হয়ে পড়ার প্রেক্ষপটে এক অগ্রসর নাগরিক সমাজ পরিণত হলো বর্বর সমাজে। সযত্নে রচনা, যতিচিহ্নের আরোপিত অনুপস্থিতি ও কালের সামঞ্জস্যতা পাঠককে সূক্ষ্ণ অর্থের দিকে মনোযোগ দিতে বাধ্য করে। চ্যালেঞ্জিং চিন্তা জাগানিয়া, পরহাসময় পরিণত উপন্যাস, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেকোনও ভাষায় প্রকাশিত উপন্যাসের ক্ষেত্রে যা বিরল।
সে বড় নিকটকথা যা বর্ণনা করি
কিছু বলব ধীরে আস্তে, কিছু তড়িঘড়ি
কিছুটা অতীতে ঘটল, কিছু বা এক্ষুণি।
কিছু তার চোখে দেখা কিছু কর্ণে শুনি
কিছু তার মেঘে রইল কিছু বৃষ্টিপাতে।
ধুয়ে মুছে মনে আসছে দিবসে ও রাতে
কাক-পক্ষী:মুখে করে নিয়ে গেল কিছু |
কিছু উড়ল কুটো হয়ে বাতাসের পিছু
কথাখানি উড়ে গিয়ে যথা তথা পড়ে
শুনে কেউ মুগ্ধ কেউ চক্ষু বড় করে
দু’আনি চারআনি দিয়ে কথা শুনতে হয়
এ কথা তেমন কথা নয় মহাশয় |
জয় গোস্বামী খুব বেশিদিন যে লিখছেন, তা নয়। কিন্তু শুরু থেকেই আদায় করে নিয়েছেন স্বতন্ত্র একটি স্থান, কাব্যপাঠকের আলাদা রকমের সমীহ । তার কবিতার সঙ্গে অন্য কারোর লেখারই তুলনা চলে না। সম্পূর্ণ নিজস্ব একটি ভাষায় লেখেন জয় গোস্বামী । ছন্দ জানেন, ছন্দ ভাঙতে জানেন, জানেন ছন্দ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার খেলাও । শব্দ ব্যবহারেও তিনি বেপরোয়া ও দুঃসাহসী | যে-সব শব্দ নিতান্ত আটপৌরে কিংবা অতিরিক্ত গদ্যবাদী বলে কবিতায় সভয়ে বর্জিত, নিজের কবিতার মধ্যে অবলীলাক্রমে সে-ধরনের শব্দ ব্যবহার করেন। তিনি । ব্যবহার করেন। সেইসব শব্দও যা পদ্য-অনুষঙ্গী | এর অন্যতম কারণ হয়তো এই যে, কবিতা যে শেষ পর্যন্ত ছন্দ-শব্দ পাের হয়ে উত্তীর্ণ হয় এক অলৌকিক রসের জগতে ; বয়সে তরুণ তবু অভিজ্ঞতায় পরিণত এই কবি প্রথম থেকেই সে-কথা জেনে গেছেন । সম্ভ্রান্ত ও সংকেতময়, গুঢ় ও গভীর, প্রেমের ও শোকের একগুচ্ছ কবিতা নিয়ে প্রকাশিত হল জয় গোস্বামীর নতুন এই কাব্যগ্রন্থ।
Now, there are some, and I don't just mean Communists like you, but thinking men of all political parties, who think that not many of these gods actually exist. Some believe that none of them exist. There's just us and an ocean of darkness around us. I'm no philosopher or poet, how would I know the truth? It's true that all these gods seem to do awfully little work – much like our politicians - and yet keep winning re-election to their golden thrones in heaven, year after year. That's not to say that I don't respect them, Mr Premier! Don't you ever let that blasphemous idea into your yellow skull.
একজন দক্ষ বিচারপতি, লেখক, মানবধিকার কর্মী এবং সরকার বিরোধী শিরিন এবাদির কণ্ঠ নিজের দেশে মানুষের অদিকার আদায়ের পক্ষে সর্বদা স্পষ্ঠ এবং সোচ্চার, এবং সে উচ্চারণ দেশের সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিলো বহির্বিশ্বে । একজন নিবেদিত প্রাণ মানবাধিকার কর্মী এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে এবাদি অনেকটা একাই ইরান এবং গোটা পৃথিবীর জন্য সুন্দর আগামীর প্রত্যাশা জুগিয়েছেন।
বইটি মূলত একজন সাহসী নারীর ইতিহাসের বাঁক প্রত্যক্ষকের অবিস্মরণীয় স্মৃতিগাথা। তাঁর সহকর্মী অন্যান্য আইনজীবিরা যেসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, নারী এবং শিশুবিষয়ক মামলা সচেতনভাবে বর্জন করতেন-তিনি সে সব মামলা পরিচালনা করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এবাদি তাঁর পাবলিক ক্যারয়ারের সবিশেষ বর্ণনা দিয়েছন, নিজের বিশ্বাস, নিজের অভিজ্ঞতা এবং সাধারণ জীবনযাপনের আকাঙ্ক্ষাসহ ব্যক্তিগত অনুষঙ্গ হাজির করেছেন বইটিতে। আমরা দেখি , একজন বিপ্লবী কণ্ঠস্বর এমন একটা ভূখণ্ডেও অতিসাধারণ জীবনযাপন করছেন, যেখানে এসব কণ্ঠ রোধ করে চিরতরে বন্ধ করবার প্রয়াস সর্বদা কার্যকর। এবাদি নিজের তেহরানের বালিকাবেলা, গৃহস্থালি, নিজের শিক্ষাজীবন ইত্যাদি বর্ণনার পাশাপাশি ইরানের সবচেয়ে আলোচিত একজন মহিলা বিচারক হিসেবে সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়কার নিজের পেশাগত জীবনের কিছু সফলতার বর্ণনা দিয়েছেন বইটিতে। ১৯৭৯ সালের ইরানের বিপ্লবের ভাবধারার বর্ণনা দিয়েছেন সুনিপূনভাবে, একই সঙ্গে কট্ররপন্থী মোল্লাদের হাতে পড়ে ইরানের সমাজব্যবস্থার করুন পরিণতির বিরোধিতা করেছেন। একদিন যে বিচার বিভাগের তিনি প্রধান ছিলেন, ধর্মতান্তিক প্রশাসন কর্তৃক বিচারক হিসেবে মহিলাদের অযোগ্য ঘোষণা করার পর কীভাবে তাঁকে অপদস্থ করে ওই একই বিভগের কেরানি করা হয়, সে ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন তিনি। ইরানের যে পুরুষতন্ত্র নারীদের মৌলিক অধিকার এবং সাধারণ জনগণের রাজনৈতিক স্বাধীনতা হরণ করেছে, তিনি তার তীব্র প্রতিবাদ করেন।
There were gasps. And, outside the window, fireworks, and crowds. A few seconds later, my father broke his big toe; but his accident was a mere trifle when set beside what had befallen me in that benighted moment, because of thanks to the occult tyrannies of those.
ছোটবেলায় আমার প্রেয় গ্রন্থ ছিল রামায়ণ। বলতে গেলে গল্পে সেই আমার প্রথম পাঠ। গল্পের রস যে কত গভীর হতে পারে, তা সেদিন চোখের জলের সঙ্গে যেমন করে হৃদয়ঙ্গম করেছিলাম, তারপরে আর কোনও গ্রন্থ পড়ে তা করিনি।
এ তো গেল গল্পের দিক। গল্প যতক্ষণ পড়ি ততক্ষণই তার রস। পর মুহূর্তেই গল্পের আবেদন হালকা হয়ে আসে। কিন্তু গল্পের ঊধ্র্বে আর একটি তীব্রতর এবং গভীরতর আবেদন আছে যা পড়বার সঙ্গে সঙ্গে নিঃশেষ হয় না। যা জীবনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে থাকে। যা জীবনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। যা জীবনের অগ্রগতিতে সাহায্য করে। রামায়ণ সেই জাতীয় গল্প যা যুগ থেকে যুগান্তরে প্রসারিত হয়ে জীবনকে জাগ্রত করে। জীবনকে পুনর্জীবন দান করে।
বড় হয়ে দেখছি রামায়ণ শুধু অসার কবি-কল্পনা নয়। এই বর্তমান সংসার-জীবনেরও হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ রাম সীতা রাবণ আপন মহিমায় বিরাজমান। অযোধ্যা আর লম্কা শুধু ভৌগোলিক নাম মাত্রই নয়- কলকাতা শহরের মধ্যেই তাদের অবস্থিতি। এই কলকাতায় এ-যুগেও সীতা-হরণ হয়। এ-যুগেও সীতার বনবাস হয়। এবং এই বিংশ শতাব্দীতেও সীতার পাতাল-প্রবেশ হয়।
অনেক দিনের কল্পনা ছিল রামায়ণের গল্প নিজের ভাষায় লিখবো। তা আর হলো না। হলো ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’.......
OVER THE WEEKEND the vultures got into the presidential palace by pecking through the screens on the bal. cony windows and the fapping of their wings stirred up the stagnant time inside, and at dawn on Monday the city awoke out of its lethargy of centuries with the warm, soft breeze of a great man dead and rotting grandeur. Only then did we dare go in without attacking the crumbling walls of reinforced stone, as the more resolute had wished, and without using oxbows to knock the main door off its hinges, as others had proposed, because all that was needed was for someone to give a push and the great armored doors that had resisted the lombards of William Dampier during the building's heroic days gave way.
It WAS INEVITABLE: the scent of bitter almonds always reminded him of the fate of unrequited love. Dr. Juvenal Urbino noticed it as soon as he entered the still darkened house where he had hurried on an urgent call to attend a case that for him had lost all urgency many years before. The Antillean refugee Jeremiah de SaintAmour, disabled war veteran, photographer of children, and his most sympathetic opponent in chess, had escaped the torments of memory with the aromatic fumes of gold cyanide.
The boy with fair hair lowered himself down the last few feet of rock and began to pick his way toward the lagoon. Though he had taken off
his school sweater and trailed it now from one hand, his grey shirt stuck to him and his hair was plastered to his forehead. All round him the long scar smashed into the jungle was a bath of heat. He was clambering heavily among the creepers and broken trunks when a bird, a vision of red and yellow, flashed upwards with a witch-like cry; and this cry was echoed by another.
'It was the fourth time he had traveled along the Magdalena, and he could not escape the impression that he was retracing the steps of his life' At the age of forty-six General Sim?n Bol? var, who drove the Spanish from his lands and became the Liberator of South America, takes himself into exile. He makes a final journey down the Magdalene River, revisiting the cities along its shores, reliving the triumphs, passions and betrayals of his youth. Consumed by the memories of what he has done and what he failed to do, Bol?var hopes to see a way out of the labyrinth in which he has lived all his life. . .. 'An exquisite writer, wise, compassionate and extremely funny' Sunday Telegraph 'An imaginative writer of genius' Guardian 'The most important writer of fiction in any language' Bill Clinton As one of the pioneers of magic realism and perhaps the most prominent voice of Latin American literature, Gabriel Garc? a M?rquez has received international recognition for his novels, works of non-fiction and collections of short stories. Those published in translation by Penguin include Autumn of the Patriarch, Bon Voyage Mr. President, Chronicle of a Death Foretold, Collected Stories, In the Evil Hour, Innocent Er?
Indian and Other Stories, Leaf Storm, Living to Tell the Tale, Love in the Time of Cholera, Memories of My Melancholy Whores, News of a Kidnapping, No-one Writes to the Colonel, Of Love and Other Demons, The Story of a Shipwrecked Sailor and Strange Pilgrims.
Nobel Laureate Gabriel Garcia Marquez, author of "One Hundred Years of Solitude" and "Love in the Time of Cholera", tells a powerful tale of poverty and undying hope in his moving novel "No One Writes to the Colonel". 'The Colonel took the top off the coffee can and saw that there was only one spoonful left'. Fridays are different. Every other day of the week, the Colonel and his ailing wife fight a constant battle against poverty and monotony, scraping together the dregs of their savings for the food and medicine that keeps them alive. But on Fridays the postman comes and that sets a fleeting wave of hope rushing through the Colonel's ageing heart. For fifteen years he's watched the mail launch come into harbour, hoping he'll be handed an envelope containing the army pension promised to him all those years ago. Whilst he waits for the cheque, his hopes are pinned on his prize bird and the upcoming cockfighting season. But until then the bird like the Colonel and his wife must somehow be fed...
Our lives are a result of breakthrough inventions and discoveries. However, mankind has existed without these discoveries for eons. Societies like the Highlanders of New Guinea prove that we still have a very thin line between our so called modern lives and the lives of our uncivilized ancestors. Drawing from his research involving people from many facets of civilization, Diamond explains how we have evolved and what that means for our future. These civilizations have much to teach us about aspects of our lives which are still valid even today, especially in faculties such as: child rearing, elder care, dispute resolution, risk, and physical fitness. Providing a breathtaking picture of the development across millennia, the book teaches readers that to look into the future, one must often turn to the past.
SOMETHING has happened to me: I can't doubt that any more. It came as an illness does, not like an ordinary certainty, not like anything obvious. It installed itself cunningly, little by little; I felt a little strange, a little awkward, and that was all. Once it was established, it didn't move any more, it lay low and I was able to persuade myself that there was nothing wrong with me, that it was a false alarm. And now it has started blossoming.