Categories


বিজ্ঞানের দর্শন দ্বিতীয় খণ্ড

প্রত্যেক প্রাণীর মত মানুষেরও প্রথম সচেতনতা হলো আত্মরক্ষা । আত্মরক্ষার জন্য যেমন খাদ্য দরকার, তেমনি দরকার বাসস্থান, হিংস্র পশুর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা, ঝড়-বৃষ্টি, ভূমিকম্প, অসুখ-বিসুখ প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা দুর্যোগ মোকাবিলা করে নিজের অস্তিত্ত্ব টিকিয়ে রাখা ৷ এ সবই ইহজাগতিক ব্যাপার ৷ খিদে লাগলে খেতে হবে ৷ কোনো অশরীরি অপ্রাকৃতিক শক্তির কাছে প্রার্থনা করে আহার জুটবে না ৷ নিজেকেই আহার জোগাড় করতে হবে ৷ যে করেই হোক ৷ হিঃস্র মাংসাশী কোনো পশুর আক্রমণ থেকে নিজেকেই আত্মরক্ষা করতে হবে ৷ কোনো দেবদেবী বা ঈশ্বরের কাছে করজােরে প্রার্থনা করে বাঁচা যাবে না।


টুম্পার শহরে রোবট নিকোলাস

শওকত সাদী কিশোর মনোজগতে বিচিত্র অধ্যায়ের ভেতর জীবন প্রবাহের সমন্বয় ঘটিয়েছেন টুম্পার শহরে রোবট নিকোলাস কিশোর গল্পগ্রন্থে।


টুকি এবং ঝায়ের (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান

বইটিতে সাইন্স ফিকশনের আদলে অনেক মজার একটি কাহিনী আবর্তিত হয়েছে ।আমার কাছে বইটি এত ভালো লেগেছে যে মনে হচ্ছে বইটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি ।কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব নয় ।তাই সারমর্মটুকু আপনাদের জানানোর চেষ্টা করলাম ।এটা পড়ে আপনি ঠিক বইটির মজা পাবেন না ।তাই একেবারে বইটি পড়া সবচেয়ে ভালো ।তবুও একটু জেনে নিন বইটি কাহিনীটা কি রকম । এ গল্পে টুকি ও ঝা দুইজন চোর ।তবে যেমন তেমন চোর নয়, রীতিমত পাস করা ডিগ্রী ধারী চোর ।তাই তাদের চুরির ধরন গরনও হয়তো একটু ভিন্ন । তারা চুরি করে মূল্যবান সফটওয়ার ডকুমেন্ট, গুরত্বপূর্ণ নথিপত্র ।কিন্তু তারা একবার এক টুকরো হিরা চুরি করে পালাতে গিয়ে ভুলে এক জঙ্গলে ঢুকে পড়ে ।সেখানে একটা বাড়ি দেখে ভিতরে যায় এবং দেখে দুই বুড়ো ।তাদেরকে তারা বাড়ির বাইরে বের করে দেয় ।তারপর বাড়িটি কেমন যেন নড়তে থাকে,তারা বুঝতে পারে এটা আসলে একটা মহাকাশযান এর ভেতর ।এর পর তাদের মহাকাশ যান উড়তে শুরু করে তাদের নিয়ে ।দুইজনের সঙ্গি হয় রোবি নামের রোবট ।টুকি ও ঝা মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহে ভ্রমন করে আর মজার মজার ঘটনা ঘটায় ।কখনো তারা পৌঁছে যায় হীরার তৈরি গ্রহে ।


ফাউণ্ডেশন্স এজ (হার্ডকভার)

মানবগোষ্ঠি যত বড় হবে, সাইকোহিস্ট্রি’র গনিতের ফলাফল (ভবিষ্যৎবানী) হবে তত নির্ভুল । তবে স্ট্যাটিসটিক্যাল সায়েন্স বলেই, কোন নির্দিষ্ট ব্যাক্তি বা কয়েকজন ব্যাক্তি’র বেলায় কার্যকর নয় এই বিজ্ঞান । হ্যারি সেলডন সাইকোহিস্ট্রি’র সাহায্যে ভবিষ্যৎবানী করেন - আর পাঁচশ রের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যাবে এম্পায়ার । সব গ্রহ এম্পায়ারের শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে । এই বিদ্রোহ আর যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যাবে মানবসভ্যতা । মানুষ আবার ফিরে যাবে বিজ্ঞানহীন বর্বর যুগে, যার ব্যাপ্তি হবে ত্রিশ হাজার বছর । সেলডনের এই মতবাদ খেপিয়ে দেয় এম্পায়ারের শাসকগোষ্ঠিকে । রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিচারের সম্মুখীন করা হয় তাকে । বিচারে প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে সেলডন বলেন – তিনি এবং তার প্রজেক্টে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ধ্বংস পরবর্তী ত্রিশ হাজার বছরের অন্ধকার যুগকে কমিয়ে এক হাজার বছরে আনতে কাজ করছেন । তারা চান, পৃথিবীর সব জ্ঞানকে একত্রিত করে এন্সাইক্লোপেডিয়া বানাতে এবং সব গ্রহে তার অনুলিপি সংরক্ষন করতে, যাতে অন্ধকার সেই যুগে মানুষ এই এন্সাইক্লোপেডিয়ায় সংরক্ষিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আবার নতুন সভ্যতা গড়ে তুলতে পারে । সেলডনের মতো এতো বিখ্যাত একজন বিজ্ঞানীকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার সাহস পায়না শাসকগোষ্ঠি, আবার তাকে ট্র্যানটর-এ রাখাও বিপদজ্জনক ।


ওমেগা পয়েন্ট (হার্ডকভার)

রফিককে রাখা হয়েছে শেফালিকে পড়ানোরর জন্য।এদিকে শেফালীর সবসময় রফিককে নিয়েই চিন্তা করে ফলে পড়াশোনায় বেশ একটা মনোযোগ দিতে পারেনা। যার ফলে পরীক্ষায় ডাব্বা। অংকে একদম কাচা সে অপরদিকে রফিক যাকে বলা হয় অংকের জাহাজ। কঠিন কঠিন অংকগুলি মুখে করতে পারে তাও কিছু সেকেন্ডে।এ নিয়ে গ্রামের একটি স্কুলে আয়োজন করা হয় অংক অনুষ্ঠানের।তিনটি ব্লাকবোর্ড ভর্তি অংক। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন চেয়ারম্যান জনাব জালাল উদ্দিন এবং তার জামাতা ফরহাদ খান।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার লেকচারার।রফিক মাত্র দু মিনিট এ অংকের উত্তর দিয়েছিল। রফিক এর প্রতিভায় তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন।সারা গ্রামের মানুষ তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল। . রফিক আর শেফার ভালবাসার কথা যখন জানাজানি হয়ে যায় তখন শেফার বাবা উপায় না দেখে করে ভয়ঙ্কর এক প্লান।এই জীবনে রফিক জানেনা তার দুটি জীবন আছে কিন্তু অপর জীবনে সে বুঝতে পারে তার দুটি জীবন আছে। আর বুঝতে পারে বলেই তাকে নিয়ে বিজ্ঞানীরা করছে ভয়ঙ্কর সব এক্সপেরিমেন্ট। 


সায়রা সায়েন্টিস্ট (হার্ডকভার)

,যখন ত্রিশ টাকার ভাড়া স্কুটারওয়ালা চাইল পঁয়ত্রিশ টাকা।শুরু হলো তুমুল ঝগড়া, হঠাৎ করেই ঝগড়াতে বাগড়া দিল যন্ত্রপাতি হাতে অদ্ভুত এক মেয়ে, ক্যালকুলেটর টিপে বলে দিল স্কুটারওয়ালা মোটেও মিথ্যা কথা বলে নি!!যাওয়ার সময় জাফর সাহেবের হাতে হাবিজাবি লেখা কার্ড ধরিয়ে দিয়ে গেল মেয়েটা,জাফর ইকবাল তখনও জানেন না,এই মেয়েটার নাম সায়রা এবং ইনি একজন সায়েন্টিস্ট!! . জাফর ইকবাল সাহেব ভেজিটেবল টাইপের মানুষ,জগত সমন্ধে তার জানার আগ্রহ বা ইচ্ছা কোনটাই নাই।এই যুগেও উনি ই-মেইলকে মেইল ট্রেন জাতীয় কিছু একটা মনে করেন।এই কথা শুনে বিল্টুর লজ্জায় মাথা কাটা যাওয়ার মতো অবস্থা!!


টি-রেক্সের সন্ধানে (হার্ডকভার)

ডায়নোসর পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ছ' কোটি বছর আগে। দুর্দান্ত প্রতাপশালী যে প্রাণী একসময় সারা পৃথিবী চষে বেড়াতো সময়ের অতলে পরে তাদের চিহ্ন ও খুঁজে পাওয়া দায়। তবু আজও অনেক জায়গায় আর্কিওলজিস্টদের পাওয়া জীবাশ্ম/ ফসিল আমাদের মনে করিয়ে দেয় ডায়ানোসর নামক প্রাণীর অস্তিত্ব। এমন ও তো হতে পারে হাজার কোটি বছর আগে আমাদের দেশ এই প্রাণীর বিচরণক্ষেত্র ছিলো, হঠাৎ করেই দেশের কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলে আবিষ্কার হয়ে যেতে পারে টি রেক্স নামক হিংস্র ডায়নোসরের জীবদ্দশার প্রমাণ। বইয়ের নাম: টি রেক্সের সন্ধানে লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রকাশকাল: ১৯৯৫ সাল প্রকাশনা: জ্ঞানকোষ প্রকাশনী পৃষ্টাসংখ্যা: ৭৮ রকমারি মূল্য: ৯০ টাকা বইয়ে যা আছে: মালিবাগ মোড়ের চায়ের দোকানটার গলির মাথায় দাঁড়ানো টোপনদের দুইতলা বাসাটা নাকি জগতের মাঝে সবথেকে আনন্দহীন বাসা। এই বাসার মানুষজনের মাঝে আছেন হাড়কিপ্টে বড়চাচা, অলস জয়নাল চাচা, গুলপট্টি দিতে ওস্তাদ সুন্দর চাচা আর এদের থেকে আলাদা মজার মানুষ বোকাসোকা ছোটচাচা। টোপনের বাবার থাকার কোন উপায় নেই, তিনি ওর জন্মের আগেই মারা গিয়েছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর টোপনের মা যেন একটু কেমন হয়ে গেছেন।


গল্পে স্বল্পে প্রোগ্রামিং (হার্ডকভার)

কম্পিউটার মূলত একটি বুদ্ধিশূণ্য যন্ত্র। এর সুবিধা একটাই, একে যা করতে বলা হয়, সে খুব দ্রুত সেই কাজ করে ফেলে। যতটকু বলা হবে ঠিক ততটুকু করবে, একটু বেশিও নয় আবার কমও নয়। তবে মানুষ যেহেতু বুদ্ধিমান প্রাণি, তাই কম্পিউটারের এই কর্মতৎপরতাকে কাজে লাগিয়ে নানারকম কাজ করিয়ে নেয় যা অনেকসময় মানুষের বুদ্ধির কাছাকাছি চলে যায়। এই বইটি আপানকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কী এবং এর ইতিহাস ও প্রোগামিং করে কী কী সুবিধাগুলো পেতে পারি তার একটি স্পষ্ট ধারণা দিবে। এই বইটি পড়ার জন্যে আপনাকে আগে থেকে প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জানতে হবে না।


৩০০১ দ্য ফাইনাল ওডিসি (মহাকাশ উপন্যাস সিরিজের শেষ খণ্ড) (হার্ডকভার)

বইটি মানব জাতির ৩০০১ সালের অবস্থা কে মাথায় রেখে লেখা। সবাই ভবিষ্যৎ কে নিয়ে ভাবতে পারে না, আর্থার সি ক্লার্ক সেই ধাপে সবার উপরে। বইয়ের ভূমিকা- ৩০০১ সালের পৃথিবী। বদলে গেছে নীতিবোধ, সমাজ, বিজ্ঞানতো বদলাবেই, সেই সাথে মানুষ। বসুন্ধরাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বিপন্নপ্রায় জীবদের জন্য। মানুষের ওজন কমলে কাজ বাড়বে, সহজ হবে সবকিছু, আবার উপরে চলে গেলে মহাকাশ ভ্রমণও হয়ে পড়বে অনেক সহজ। তাই বদলে গেছে চিরকালের আবাসস্থল।আশা করছি সবারই ভালো লাগবে।


বিগ ব্যাং থেকে হোমো স্যাপিয়েনস

 একজন মুসলিম সন্তান একদিকে আল্লাহ ও তাঁর বার্তাবাহকের প্রতি বিশ্বাস নিয়ে জন্মাবে, আদাম ও হাওয়াকে নিজেদের আদিপিতা ও আদিমাতা হিসেবে জানবে, অন্যদিকে বিশেষ মতবাদ সমর্থনকারী একদল বিজ্ঞানমনস্কদের মুখে শুনবে ‘নেংটি ইঁদুরের মতো’ প্রাণী তাদের পূর্বপুরুষ, ‘বুদ্ধিমান পশু’ থেকে জন্ম নেওয়া বিমূর্ত চিন্তাকারী কোনো কন্যা তাদের ‘আদিমাতা’—এ ধরনের পরস্পরবিরোধী কথা তার কচিমনে অবশ্যই নেতিবাচকতার জন্ম দেবে। নিজ অতীতে আমার ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাওয়া, এবং বর্তমান সময়ের অগণিত তরুণ-যুবাদের ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া থেকে আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি, এ ধরনের মতবাদের সমর্থক বই, পত্রিকা, প্রচার মাধ্যম মুসলিম মানসদের জন্য খুবই ভয়ংকর। এর প্রধান কারণ হিসেবে বলব ‘ক্লাস টেন পাশ করা’ ইসলামি শিক্ষা।


ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম

তার রয়েছে অসাধারন বুদ্ধিমত্তা| কিন্তু টাইট্রন হতে পাঠানো হয়েছে এমন কিছু যা দিয়ে ধ্বংস হতে পারে মানবজাতি| এদিকে সিসিয়ানের মূল নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে ফেলায় বাইরে যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা নেই| এরই মাঝে ইউরি পেল নিউট্রিনো ছুড়ে দেওয়ার মতো একটি অস্ত্র| কিন্তু যা করার তা করতে হবে তিন ঘন্টার মাঝে| কারন, তিন ঘন্টা পর সিসিয়ানে বিস্ফোরণ ঘটবে| তারা কি পারবে তাদের রক্ষা করতে? আর এই গ্রহটিই বা কি? এটি কি আদৌ কোন গ্রহ? নাকি কম্পিউটারের বর্ণনানুযায়ী কোন নরক? জানতে চাইলে পড়ে ফেলুন|


কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

বিশ্ব সম্পর্কে প্রায় কিছুমাত্রই না বুঝে অামরা দৈনন্দিন জীবন যাপন, করি। যে যন্ত্র থেকে সূর্যালোক উৎপন্ন হচ্ছে এবং জীবন সম্ভব হচ্ছে, যে মহাকর্ষ আমাদের পৃথিবীর সঙ্গে আটকে রাখে । কিম্বা যে পরমাণুর দিয়ে আমরা তৈরী এবং যার স্থিরত্বের উপর আমরা যেমন মূলগতভাবে নির্ভরশীল, সে সম্পর্কে  আমরা কিছু্ই ভাবি না।প্রকৃতিকে আমরা যেমন দেখি, প্রকৃতি কেমন তেমন হল, 


বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী : সেরিনা (হার্ডকভার)

আলেক্স হঠাৎ করে গম্ভীর গলায় বলল, “দেখ শামীম। মানুষের প্রতি মহূর্তে বিবর্তন হচ্ছে, মিউটেশান হচ্ছে। তাই ঘটনাক্রমে খুব বিচিত্র কিছু হওয়া অসম্ভব কিছু না। এই মিউটেশানগুলো টিকে থাকে না বলে আমরা এই বিচিত্র উদাহরণগুলো দেখি না। মানুষের চামড়ারপ্রতি বর্গ ইঞ্চিতে চার মিটার রক্তনালী, সেগুলো যদি কোনোভাবে চামড়ার কোষের ভেতর দিয়ে অক্সিজেন একসচেঞ্জ করতে পারে সে হয়তো চামড়া দিয়ে নিশ্বাস নিতেও পারে। মাছ তার ফুলকা দিয়ে পানি থেকে অক্সিজেন নেয়-”


ব্ল্যাক হোলের বাচ্চা (হার্ডকভার)

কাজেই দেখাই যাচ্ছে এখন আমাদের স্কুলের কোনো নাম ডাক না থাকতে পারে কিন্তু আজ থেকে পনেরো কিংবা বিশ বছর পরে আমাদের স্কুল থেকে অনেক বিখ্যাত (কিংবা কুখ্যাত) মানুষ বের হবে। ফুটবল প্লেয়ার, দার্শনিক, সিরিয়াল কিলার, মাদক সম্রাজ্ঞী, নায়কা, পীর, শীর্ষ সন্ত্রাসী, সাহিত্যিক কিংবা নেতা এরকম অনেক কিছু তৈরী হলেও এই স্কুল থেকে কোনো বৈজ্ঞানিক বের হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে দেখা গেল আমাদের হাজী মহব্বতজান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন খাঁটি বৈজ্ঞানিক বের হওয়ারও একটা বিশাল সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। তবে এটাকে সম্ভাবনা বলব না আশংকা বলব সেটাও অবশ্যি আমরা এখনো ঠিক জানি না।


বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী : রিটিন (হার্ডকভার)

এই মুহূর্তে তার হাতের নখগুলাে দেখা খুবই জরুরি।

সােনালি চুলের মহিলা জোর করে মুখে একটা হাসি ফুটিয়ে। বলল, “তুমি কী করতে চাও?”

রিটিন বলল, “আমি তােমাকে বলেছি। আমি লেখাপড়া করতে চাই। লেখাপড়া করে গবেষণা করতে চাই।”

 

সােনালি চুলের মহিলা বলল, “আমি ঠিক বুঝতে পারছি না তুমি কেন আমাকে এটা বলছ! তুমি খুব ভালাে করে জান কে কী করবে সেটি পূর্ব নির্ধারিত। গত একশ বছর থেকে মানুষকে জেনেটিক উপায়ে ডিজাইন করা হয়। যারা লেখাপড়া করবে তাদের সেভাবে ডিজাইন করতে হয়। তােমাকে করা হয়নি।”


এনিম্যান

মানুষ আর পশুর সংকরায়নে উদ্ভূত এক নতুন প্রজাতি এনিম্যান। তাদের আয়ু দশ বছর। কিন্তু মানসিক বয়স সবসময়েই ছয় সাত বছর। তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে এই উদ্দেশ্যে যাতে মানুষ যেভাবে কুকুর বা বিড়াল পোষে, তেমনি করে এদের পুষতে পারে। এরা কথা বলতে পারে না। এরা শুধু হাসে। যেকোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এরা শুধু হাসে। আনন্দেও হাসে, দুঃখেও হাসে। তাই বলে কি তাদের মনে কোন দুঃখ নেই? মানবীয় আবেগ নেই? কেউ তা জানে না। কিন্তু তিষা একসময় এমন অনেককিছু জেনে ফেলল, যা তার জানা উচিৎ ছিল না। এনিম্যানদের জন্মের রহস্য বা তাদের আচরণগত যে বিশেষ বৈশিষ্ট্য, সেসবের কার্যকারণ যদি মানুষ জেনে ফেলে তবে এনিম্যান প্রস্তুতকারকদের যে বেজায় সমস্যা! কিন্তু তবু তিষা আর তার বন্ধু জন খুঁজতে লাগল সেইসব রহস্যের সমাধান। কিন্তু এর ফলে একসময় তাদের জীবন পড়ল হুমকির মুখে।


আকাশ জোড়া মেঘ (হার্ডকভার)

মানুষকে হঠাৎ হঠাৎ চমকে দিয়ে মজা দেখার প্রবণতা আছে। তবে হিমুর মধ্যে মহাপুরুষের কিছু গুণাবলী আছে যা ফিরোজের মধ্যে নেই। ফিরোজ অহরহ মিথ্যা কথা বলে। যেটা নায়কের চরিত্রের সাথে খুব বেমানান হতে পারে তবে বাস্তবসম্মত। এই উপন্যাসে অপালাকে ফিরোজের কাছে চিঠি লিখতে দেখা যায়। এছাড়া কয়েকবার ল্যান্ডফোনের কথাও উঠে আসে, যা আমাদেরকে আশির দশকের শেষ বা নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিনগুলোর শহুরে জীবনের কথা মনে করিয়ে দেয়। হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য সকল উপন্যাসের মতই ‘আকাশ জোড়া মেঘ’ উপন্যাসটিও অত্যন্ত সুখপাঠ্য। লেখকের লেখনী খুবই সাবলীল এবং প্রায় অনায়াসেই পাঠককে গল্পের ভেতর টেনে নিয়ে যায়। এই উপন্যাস একবার পড়া শুরু করলে পুরোটা শেষ না করে উঠতে পারবে এমন পাঠক মনে হয় খুব একটা পাওয়া যাবে না।


বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী : ক্রেনিয়াল

বিক্ষিপ্ত ভাবে পরে থাকে কিছু মানুষ। আর এই মানুষগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন দিকে গড়ে তোলো বিচ্ছিন্ন কিছু শহর। আর সেই সব শহরের মানুষগুলো নিজের ক্ষমতার বিশদ পরিসরে ব্যবহার করার জন্য মস্তিষ্কে অপারেশনের মাধ্যমে ব্যবহার করে ক্রেনিয়াল । ক্রেনিয়াল এমন এক ধরণের মেশিন সেটাকে মানুষের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বসিয়ে নিদির্ষ্ট বিষয়ে তথ্য ভরে দেয়া হয়। আর এই তথ্যের জন্য ব্যবহার করা হয় ক্রেনি টিউব । মানুষ তখন হয়ে ওঠে অতিমানবীও জ্ঞানের অধিকারী। কিন্তু এই অতিরিক্ত জ্ঞানশক্তি মানুষের সাধারণ অনুভূতি শক্তিকে গ্রাস করে এক একটি যন্ত্র করে তোলে। আর যারা শহর গুলোর মানব নিয়ন্ত্রনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করে তাদেরকে ডিটিউন করে দেয়া হয়। কাউকে ডিটিউন করা হলে সে একটা অর্থব হয়ে যায়। মুছে যায় সব স্মৃতি। শুধু তার ক্রেনিয়াল যন্ত্রে নিদিষ্ট দুই একটা কাজ ছাড়া তার নির্জীব হয়ে থাকে। আর এমনই এক যান্ত্রিক শহরের এক কিশোরী টিশা আর কিশোর রিহি কে নিয়েই ক্রেনিয়াল। মানব নিয়ন্ত্রনের এই অদৃশ্য শিকলে বাধার নিয়মের বিরুদ্ধে ওরা বিদ্রোহ করে।


শূন্য

শূন্য নামের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখার এই হল ‘শানে নজুল।’ শূন্য বইটিতে যুক্তির চেয়ে কল্পনাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখার সময় লেখককে সচেতনভাবে কল্পনা পরিহার করে যুক্তিতে থাকার চেষ্টা করতে হয়। আমি কখনো তা পারি না। আমি শ্রদ্ধা করি- যুক্তি, কিন্তু ভালবাসি-কল্পনা। আর এটা তো জাগতিক সত্য ভালবাসার এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ভালবাসাই জয়ী হয়।


তিতুনি এবং তিতুনি

তিতুনি চেয়ারটাতে বসল, দেখে বোঝা যায় না কিন্তু চেয়ারটাতে বসতে খুব আরাম। আশেপাশে চারিদিকে নানারকম যন্ত্রপাতি। শামীম উপর থেকে টেনে একটা হেলমেট নিচে নামিয়ে এনে তার মাথার মাঝে পরিয়ে দিল, সাথে বাইরের নানা ধরনের শব্দ কমে গিয়ে শুধু শোঁ শোঁ একটা শব্দ শুনতে পায়। চেয়ারের হাতলে তিতুনির দুটো হাত রাখা ছিল, দুটো যন্ত্র এসে হাত দুটোকে হাতলের সাথে আটকে ফেলল। তিতুনি টের পেল তার পা দুটোকেও একই কায়দায় আটকে দেয়া হয়েছে। বুকের উপর দুই পাশ থেকে দুটো চতুষ্কোণ যন্ত্র এসে আড়াআড়িভাবে তাকে আটকে ফেলেছে। তিতুনির বুকটা ধুকপুক করতে থাকে। এখান থেকে সে ছুটে বের হতে পারবে তো?


মিতুল ও তার রবোট (হার্ডকভার)

মিতুল এর মামা ও তার বন্ধুরা মিলে একটি রোবট বানায় , রোবটটি কে নিয়ে যায় একটি কম্পিটিশন এ । ঐ কম্পিটিশনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেকেই অনেক রোবট নিয়ে আসে । কম্পিটিশন এর বিচারক তিন জন প্রফেসর । তারা যখন মিতুল এর মামার রোবট কে প্রশ্ন করেন কোনো উত্তর পাচ্ছিলেন না , এমন সময়ে হঠাত করেই তুখোর মেধাবী এর মতো করে সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছিলেন ।


বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিষ্কার

সূচিপত্র
*কাচ্চি বিরিয়ানি
*জংবাহাদুর
*গাছগাড়ি
*পীরবাবা
*হেরোইন-কারবারি
*মোরগ