জেমস বন্ডের জীবনে মাঝে মাঝে এমন একটা সময় আসে যখন তার কাছে সবকিছুই একেবারে অর্থহীন বলে মনে হয়। আজ ছিল সেই রকমই একটা খারাপ দিন।
প্রথমত, সে নিজের কাছে নিজেই খুব লজ্জা পাচ্ছিল। শরীর তার দারুণ খারাপ লাগছিল। সেই সাথে আবার মাথাব্যথা আর দেহের গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা। খুব বেশি সিগারেট আর মদ খাওয়ার ফলে কাশির সাথে সাথে তার চোখের সামনে ভেসে উঠছিল ধোয়ার মত একগাদা কালাে কালাে ফুটকি। গত রাতে সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে এগারাে নম্বর গেলাস শেষ করার পর স্বভাবতঃই বন্ড নিজের মস্তিষ্কের করুণ অবস্থাটা আন্দাজ করতে পেরেছিল। তা সত্ত্বেও সে রাজী হয়ে গেল, আর এক বাজি তাস খেলতে—একশাে পাউন্ড পাঁচ পাউন্ড হিসেবে! এর ওপর আবার মদের ঝোঁকে শেষ দানটায় ‘রি-ডাবল দিয়ে দিল, আর খেলল একটা গাধার মত।
নিজের ফ্ল্যাটে আয়নার সামনে দাড়িয়ে গালের কাটাটায় ওষুধ লাগাচ্ছিল বন্ড । আয়নার নিজের বিষন্ন চেহারা দেখে তার নিজেকে ঘেন্না করতে ইচ্ছে হল। এসব কিছুর আসল কারণ হল এই যে, বন্ডকে গত এক মাস ধরে স্রেফ অফিসে বসে কলম পেশার কাজ করতে হচ্ছে। তার ওপর তার সেক্রেটারী পড়ল জ্বরে। বাইরে বৃষ্টি পড়ছে। বন্ড ওষুধের বড়ি দুটো গিলে ফেলল। এমন সময় শােবার ঘরের টেলিফোনটা হঠাৎ দারুণ জোরে বাজতে শুরু করল।
মানুষ আর রবােটের মধ্যে তফাৎ কোথায়! আমি অবাক হয়ে এই দু' জন তরুণতরুণীর দিকে তাকিয়ে রইলাম, এরা তাহলে রবােট! কী মিষ্টি চেহারার মেয়েটি, আর মুখে কী গাঢ় বিষাদের ছায়া! চোখে পানি টলটল করছে। এরপরও কি বলা যাবে রবােট মানে কেবল যন্ত্র! মানুষের সব অনুভূতি দিয়ে গড়া, ন্তুি মানুষ নয়! এই রবােটই একদিন বিদ্রোহ করে বসে—মানুষের বিরুদ্ধে। তখন সব রবােট ধ্বংস করে দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়। দুই পক্ষের হানাহানিতে যখন জমে উঠছে চারপাশে ধ্বংসস্তুপ, তখন এদের মাঝে এসে পড়ল এক মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা পাওয়া আসামী। কাকে বাঁচাতে? তখনই ঘটনা নতুন মােড় নিল।
ধীরে ধীরে চোখ খুলল স্বপন। প্রথমে তার চোখের সামনে সবকিছু অস্পষ্ট থাকলেও অল্প সময়ের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে এল। সামনে যার মুখটা সে দেখতে পাচ্ছে সে আর কেউ নয়, তার স্ত্রী জিনিয়া।
স্বপন বেডরুমে খাটের ওপর পড়ে আছে। নড়ে ওঠার চেষ্টা করে বুঝতে পারল, তার হাত-পা শক্ত করে স্কচ টেপ দিয়ে বাঁধা। নিজের এ অবস্থা দেখে নিজেই বিস্মিত হলাে সে। কীভাবে তার এ অবস্থা হলাে মনে করতে পারল না। জিনিয়াকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করতে গিয়ে প্রশ্নও করতে পারল না। মুখটাও স্কচ টেপে আটকানাে। চাইলেও সে এখন আর চিৎকার করতে পারবে না। নিজের এরকম অসহায় অবস্থা বুঝতে পেরে আতঙ্কিত হয়ে উঠল সে। আরও আতঙ্কিত হলাে যখন দেখল জিনিয়ার হাতে প্রায় এক ফুট লম্বা একটা ছুরি। এই ছুরিটা সে আগে কখনাে দেখেনি, আজই প্রথম দেখছে। ভয়ে তার একেবারে জমে যাওয়ার মতাে অবস্থা হলাে।
স্বপনের অবস্থা দেখে মৃদু হাসল জিনিয়া। হাসিটা আরও বিস্তৃত করে সে বলল, আ..আমি তােমাকে তােমার পাপের শাস্তি দিতে চাই।
গুডুবুড়া তাে আবারও হাসির কাণ্ড করে ফেলল।
তারা বেড়াতে গেছে তার ফুপুর বাড়িতে। ফুপুর বাড়িতে একটা টিয়া পাখি আছে। সেই টিয়া পাখির ঠোট একেবারে লাল টকটকে।
গুডুবুড়া ভাবল, আহা, আমার ঠোটও যদি এই রকম টুকটুকে লাল হতাে। তাহলে কী মজাই না হতাে।
সে তার ফুপাত ভাই শান্তকে বলল, ভাইয়া, টিয়াপাখির ঠোট এত লাল কেন? শান্তর বয়স দশ বছর। সে ভীষণ দুষ্টু। সে বলল, টিয়াপাখি কী। খায়, দেখাে। তাহলেই বুঝবে, তার ঠোট লাল কেন?
শান্ত নিয়ে এল একেবারে টকটকে লাল কাঁচা মরিচ।
সূচিপত্র
ব্যারোমিটার তৈরি
অক্সিডাইজেশন তৈরি
ক্যামেরা তৈরি
কৃত্রিম স্ক্যানাকটাইট তৈরি
স্বয়ংক্রিয় পাম্প মেশিন
বায়ুর গতিমাপক যন্ত্র নির্মাণ
বাতাসের দিক নির্ণয় যন্ত্র তৈরি
পদার্থের ঘনত্বের পরীক্ষা
মিউজিক্যাল বোতল তৈরি
তাপের পরীক্ষা
ফোর্সফিল্ড তৈরি
স্থির বিদ্যু তৈরি
বৃষ্টির পানিতে লবন থাকে না তার পরীক্ষা
পানির ফ্রিজিং পয়েন্ট পরীক্ষা
জলীয় বাষ্পের ঘনীভূত করণ
মেরু অঞ্চলের রবফ কখনও গলে না
পানিতে ভেসে থাকার রহস্য পরীক্ষা
গুহা সৃষ্টির মডেল তৈরি
নেফোস্কোপ তৈরি
মজার দৃষ্টিভ্রম
ভৌতিক মোমের আলো
ডিমের রহস্যময় খেলা
কন্টকশয্যা তৈরি
ঘরের মধ্যে রামধনু তৈরি
স্ফটিক বা ক্রিস্টাল তৈরি
গ্লাসের গায় ক্রিস্টল তৈরি
রঙিন স্ফটিক বা ক্রিস্টাল তৈরি
বৃষ্টি তৈরি যন্ত্র তৈরি
বৃষ্টি পারিমাপক যন্ত্র তৈরি
অ্যাসিড বৃষ্টি হওয়ার পরীক্ষা
আকাশ কেন সবুজ হয় না
বায়ুমন্ডল ওপরে ওঠে
বাষ্পীভবনের পরীক্ষা
অক্সিজেন তৈরি করা
কার্বন-ডাই-অক্সিজেন তৈরি
নাইট্রোপজেন তৈরি
উদ্ভিদের ভ্রুণ কোথা থেকে আসে?
গাছ কি করে পানি শোষণ করে?
অস্কোৎগমনের পরও তাদের জন্য বীজ দরকার
কৃত্রিম কৃষি খামার তৈরি
ম্যাজিক ছক তৈরি-১ নং
ম্যাজিক অংকের ছক তৈরি-২নং
জমির মাপ
সাপের গর্তের ভাগ
কাঠের বোর্ডের অংক
রুটির টুকরা করা
চক্র সাজানোর খেলা
সুপারি গাছের ছক
সংখ্যা নিয়ে পরীক্ষা ও খেলা
অংকের আয়না তৈরি
আজব এক গুন অংক
বিস্ময়কর বর্গ মূল
৯ সংখ্যার বাহাদুরি
১৭ সংখ্যার খেলা
সংখ্যার অদ্ভুট বৈশিষ্ট্য
কিভাবে ৩৭ সংখ্যা হয়
গুণ হল যোগের উল্টো
৮ দিয়ে এক হাজার
‘গেল ছেলেটা। আমি কি কোনওদিন কিছু শিখতে পারব না? এরকম চালাকি আমার সাথে তাে ও কম করে নাই যাতে আজকে আমি ওকে ধরতে পারব না। কিন্তু বােকা বুড়িদের চেয়ে আর বােকা নাই । যেমন কথায় বলে, বুড়া কুকুর নতুন কৌশল শিখতে পারে না। কিন্তু, কী কারবার, ও তাে একই কৌশল দুই দিন খাটায় না! তাইলে কারও পক্ষে কিভাবে আন্দাজ করা সম্ভব যে কী হতে যাচ্ছে? ওর কাণ্ড দেখে মনে হয় ও জানে কতক্ষণ পর্যন্ত জ্বালাতন করলে আমি রেগে উঠব। আর ও জানে আমাকে এক মিনিটের জন্য ঠাণ্ডা করতে পারলে বা একটু হাসাতে পারলে সব আবার ঠিকঠাক, আমি আর তাকে একটাও চড়-থাপ্পড় দিতে পারব না। আমি এই ছেলেটার ব্যাপারে আমার কর্তব্য পালন করছি না। এইটাই পরম সত্য, আমি ঠিক জানি। শাস্ত্রে বলেছে ডাণ্ডা নামিয়ে রাখলে বাচ্চা গােল্লায় যাবে। আমি আমাদের দুইজনের জন্য পাপ আর শাস্তি বাড়াচ্ছি। আমি জানি ওর খালি শয়তানি আর শয়তানি। কিন্তু হায় কপাল, ও যে আমার মরা বােনের ছেলে, এতিম বেচারা, মােটের উপর ওকে পিটাতে আমার মন চায় না। ওকে ছেড়ে দিলে প্রত্যেকবার আমার বিবেক আমাকে কী যে কষ্ট দেয়, আবার মার দিলেও প্রতিবার এই বুড়ির মন যে একদম ভেঙে যেতে চায় । ও হ্যা, ধর্মগ্রন্থে বলে, মেয়ে মানুষের থেকে যে মানুষ জন্ম নেয় সে অল্প ক’দিন টেকে আর তার দিনগুলি হয় জ্বালাযন্ত্রণায় ভরা।
নাহ্, গিটু দা'র অত্যাচার তাে আর সহ্য করা যায় না। ক্রিকেট টুর্নামেন্টের জন্য দুপুর দুইটায় প্র্যাকটিসে যেতে হবে! তুষারের এই মন্তব্যের সাথে একমত আকাশ, আল আমিন, শান্তি, অমিত সবাই। কিন্তু গিটু দা'র সামনে বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাধার কেউ নেই। কেউই তাকে বলতে পারবে না- ‘গিটু দা' তুমি স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছাে। অগত্যা ভর দুপুরেই শুরু হয় ম্যাচ প্র্যাকটিস। গিটু দা’র স্বৈরতন্ত্র নিয়ে আলােচনা হলেও তার দরাজ দিলের কথা কেউ ভােলে না। গিটু দা’র পয়সায় তাদের ক্লাব চলে। অবশ্য পয়সায় না বলে মােটা টাকায় বলাই ভালাে। এজন্য অবশ্য সবাই মিলে ক্লাবের নাম ‘গিটু কিশাের ক্লাব দিয়েছে। খুশি হলেও গিটু দা’ মিনমিনে গলায় আপত্তি করেছিল। পাড়ার লােকের দেয়া গিটু নামে ক্লাব করবি? তার চেয়ে আমার গােলাম আলী নামে দে না!'
গণিত নিয়ে অনেকের মধ্যে ভয়-ভীতি কাজ করে বলে শোনা যায়, যার আসলে কোনো ভিত্তি নেই। বরং প্রকৃত সত্যটি হচ্ছে গণিত দুনিয়ার সবচেয়ে চমৎকার, সুন্দর ও আনন্দদায়ক বিষয়গুলোর একটি। নিরসভাবে উপস্থাপনা না করে যদি গণিতের প্রকৃত সৌন্দর্য ও চমকারিত্ব বর্ণনার মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায় তাহলে নিঃসন্দেহে গণিত হয়ে উঠে সবার আগ্রহের বিষয়। গণিতচর্চা হয়ে উঠবে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন-যাপনের অসুসঙ্গ। তখন যে কেউ আবিষ্কার করতে পারবে তার জীবনযাত্রায় গণিত কীভাবে জড়িয়ে আছে, কীভাবে গণিত সবকিছুতে ঘুরে ফিরে আসছে। বর্তমানে দেশে গণিত আন্দোলন বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই বইটি সেই আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা যায়। দৈনন্দিন নানা উদাহরণ, ব্যাখ্যা, মডেল, চার্ট ব্যবহার করে গণিতের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। এই বইটি গণিত শেখার জন্য নয় বরং গণিতের অসাধারণ সব বৈজিত্র্য উপলব্ধি করে গণিত চর্চায় উদ্ধুদ্ধ হওয়ার জন্য।
গণিত নিয়ে অনেকের মধ্যে ভয়-ভীতি কাজ করে বলে শোনা যায়, যার আসলে কোনো ভিত্তি নেই। বরং প্রকৃত সত্যটি হচ্ছে গণিত দুনিয়ার সবচেয়ে চমৎকার, সুন্দর ও আনন্দদায়ক বিষয়গুলোর একটি। নিরসভাবে উপস্থাপনা না করে যদি গণিতের প্রকৃত সৌন্দর্য ও চমকারিত্ব বর্ণনার মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায় তাহলে নিঃসন্দেহে গণিত হয়ে উঠে সবার আগ্রহের বিষয়। গণিতচর্চা হয়ে উঠবে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন-যাপনের অসুসঙ্গ। তখন যে কেউ আবিষ্কার করতে পারবে তার জীবনযাত্রায় গণিত কীভাবে জড়িয়ে আছে, কীভাবে গণিত সবকিছুতে ঘুরে ফিরে আসছে। বর্তমানে দেশে গণিত আন্দোলন বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই বইটি সেই আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা যায়। দৈনন্দিন নানা উদাহরণ, ব্যাখ্যা, মডেল, চার্ট ব্যবহার করে গণিতের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। এই বইটি গণিত শেখার জন্য নয় বরং গণিতের অসাধারণ সব বৈজিত্র্য উপলব্ধি করে গণিত চর্চায় উদ্ধুদ্ধ হওয়ার জন্য।
আমি চোখ । বল তাে আমি কী করি?
ঠিক বলেছ। আমি দেখি ।।
আমি কান। বল তাে আমি কি করি?
ঠিক বলেছ। আমি শুনি।
আমি হাসু। আজকাল আমার মন খুব ভাল থাকে। সব। সময় হাসি-খুশি থাকি। কারণটা খুলেই বলি।
একদিন মাকে বললাম, গল্প বল। মা বলল, পারব না। শরীর ভাল নেই। এখন যাও। খুব মন খারাপ হল আমার ।
ভাবলাম, মা তাে এমন করেন না। গল্প বলেন আমায়। আজ মার শরীর ভাল না। একথা ভেবে মনটা নরম হল ।
শান্তা বলল সবুজকে, ভাইয়া জান আমাদের বাংলাদেশে বাচ্চাদের জন্য মা-বাবারা খুব সুন্দর সুন্দর কাজ করেন। এতে বাচ্চারা খুব সুন্দর করে বেড়ে ওঠে।
সবুজ বলল, তাই নাকি! তা আমাদের মা-বাবারা এসব জানলেন কিভাবে?
শান্তা বলল, এসব শিখেছেন নানা-নানী, দাদা-দাদী আর অন্য বড়দের থেকে। এভাবে একজন আরেকজন থেকে শিখেছে।
সবুজ বলল, চল না আমরা মজা করে পঞ্চাশ বছর আগে চলে যাই।
গিয়ে দেখি তাে সবাই তখন কি করত।
শান্তা আর সবুজ মালাদের বাড়ি বেড়াতে গেল। মালা খুব খুশি। ওরা মায়ের একটা ছােট বাবু হবে। এখন থেকেই মালার খুশি আর ধরে না। মালার ছােট মামা বেড়াতে এসেছেন ওদের বাসায়। মামাও গল্প করছিলেন সবার সাথে । মামা বলেন, মালা আমি জানি তােমার একটা ভাই হবে। ভাই হলেই ভাল হয়। এক বােন এক ভাই।
একথা শুনে দাদী বলেন, ছিঃ বাবা, এমন করে বলে না। আল্লাহ যা দেন তাই ভাল । মেয়ে হলেও ভাল, ছেলে হলেও ভাল । মালার মা হেসে বলেন, আল্লাহ যা দেন তাতেই আমরা খুশি। সব শুনে মালা বলে, আমি বােন পেলেও খুশি হব, ভাই পেলেও খুশি হব । মালাদের বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে সবুজ বলে, এরা কত ভাল । ছেলেমেয়েতে ভেদাভেদ করে
না।
নাহ্ আজ বােধ হয় আর বসা যাবে না। মাথাটা বারবার ঘুরে উঠছে। কিছুতেই বসে থাকতে পারছে না কলিম মিয়া।
কলিম মিয়া ভাবে আজ থাক। আর পেয়ারা বিক্রি নয়। এখন বাড়ি যাই। অনেক কষ্টে ঝুড়িটা মাথায় তােলে সে। ধীরে ধীরে হাঁটতে থাকে।
হাঁটতে হাঁটতে মাথাটা ঘুরে ওঠে তার। পা ফেলতে পারে না সামনে। মাথা থেকে পড়ে যায় পেয়ারার ঝুড়িটা। সাথে সাথে কলিম মিয়াও মাটিতে পড়ে যায়।
২০১২ সাল থেকে যাত্রা শুরু হলেও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের কার্যক্রম স্বীকৃতি পায় ২০১৫-তে এসে। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। এই অল্প সময়ে জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের অর্জন অনেক। কর্পোরেট স্পন্সরশীপ না থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে মেধাস্মারক পুরস্কারলাভ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড সম্পর্কে তাই মানুষের আগ্রহ ক্রমবর্ধমান। এই বইটি সেইসব জিজ্ঞাসু ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথা মাথায় রেখে সংকলিত যাঁরা অলিম্পিয়াড সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে আগ্রহী। বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কী, আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কী, কারা এসবে অংশ নিতে পারে, কীভাবে অংশ নিতে হয়, কেমন প্রশ্ন আসে, কী পড়তে হয়, কীভাবে পড়তে হয় ইত্যাদি বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব মিলবে এ বইয়ে। আছে বিগত জাতীয় ও আঞ্চলিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের প্রশ্ন এবং বায়োক্যাম্পের কোর্স ম্যাটেরিয়াল সহ আরও অনেক অনেক দরকারী জিনিস।
আমি হীরা। বলব মজার মজার সব কথা। স্বপ্নে দেখি একটা ঝুড়ি হাঁটছে। সবজির ঝুড়ি। কেউ কথা বলছে না আমার সাথে। রাগ করেছে ওরা। ঘুম থেকে উঠলাম। বুঝলাম কেন সবজিরা রাগ করেছে। আসলে আমি ঠিকমত সবজি খাই না। শুরু করলাম নানা । রকম সবজি খাওয়া ।
গুঙিয়ে উঠল আবার কিশাের। পিজ্জা! খাবার ছাড়া আর কিছু দেখতে পারাে না? অস্বাভাবিক কিছু?
‘অস্বাভাবিকই ছিল মনে হয়। স্বপ্নে আমি একটা মস্ত পিজ্জা নিয়ে বসেছিলাম, মুসা বলল। এত বড়, মনে হলাে একটা উঠোনের সমান। খাওয়ার মাঝখানে শয়তান ঘড়িটা ক্রিং ক্রিং করে উঠল। আর গেল আমার স্বপ্ন ভেঙে। নইলে পুরােটাই খেয়ে শেষ করতাম।'
জোরে নিঃশ্বাস ফেলল কিশাের। আর আমি ড্রামের মতাে কোনাে একটা জিনিস পেটাচ্ছিলাম। সারা রাত খালি পুরানাে মাল নিয়েই পড়েছিলাম। ‘তােমার চাচা-চাচি কি দেখতে এসেছেন?
না। একবারও আসেননি। তারমানে দুঃস্বপ্নের মধ্যে বােধহয় চিৎকার করিনি। ঘড়িটা বেজে ওঠায় ভাল হয়েছে, ওসব আজেবাজে স্বপ্ন থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে আমাকে।'
নির্দ্বিধায় বলা যায়, ইলেকট্রনিকস আধুনিক বিজ্ঞানের এক গুরুত্বপূর্ণ শাখা। টেলিভিশন, কম্পিউটার, রােবট বা যন্ত্রমানব-এর সবই বিস্ময়কর উদ্ভাবন ইলেকট্রনিকসেরই অবদান। বর্তমান ইলেকট্রনিকসের যে বিপুল উন্নতি ঘটেছে তার সব কিছু আয়ত্ত করে নেওয়া বিজ্ঞান না জানা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভবপর নয়। এ জন্য চাই দীর্ঘ দিনের একনিষ্ঠ অনুশীলন। বড় মাপের কোনাে ইলেকট্রনিকস যন্ত্রও গড়ে ওঠে ছােট ছােট কতকগুলাে প্রাথমিক সার্কিটের সমাবেশে। তবে প্রাথমিক সার্কিটগুলাের কার্যপদ্ধতি যে কেউ হাতেকলমে আয়ত্ত করে নিতে পারে বাড়িতে বসেই। প্রয়ােজনীয় সাজ-সরঞ্জাম সংগ্রহ করে যে কেউ বাড়িতে বসেই ইলেকট্রনিকসের অনেক মজাদার এবং চমকপ্রদ সার্কিট তৈরি করে তাদের ক্রিয়া কৌশল প্রত্যক্ষ করতে পারে। ফলে সহজেই তারা জটিলতর ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতির কার্যপদ্ধতিও অনুধাবন করতে পারবে। ওই সব ছােটখাটো সার্কিটের সঙ্গে পরিচিত হলে তারা যে কেবল ইলেকট্রনিকস সম্পর্কে ব্যবহারিক অভিজ্ঞতাই লাভ করবে তা নয়, ইলেকট্রনিকসের বিস্ময়কর জগৎটিও তাদের চোখে ধরা দেবে।
দুর্জয় নাকের নিচে আঙুল নিয়ে বলল,‘তোমার চ্যালেঞ্জ আমি গ্রহণ করলাম। আজ এবং একটু পর থেকেই তোমার সব কিছু টের পেয়ে যাবে। দেখি, তোমার কীভাবে ধরতে পারো আমাদের।’ দুর্জয় একটু থেমে বলল. ‘এটা আমার চ্যালেঞ্জ। পাগল করে ফেলব আমরা তোমাদের। কাঁদতে কাঁদতে এলাকা ছেড়ে চলে যাবে তোমরা। আর ডিটেকটিভ ফাইভ করার সাধও মিটে যাবে চিরতরে’।
থুতনিতে হাত ঠেকিয়ে এতক্ষণ কথা শুনছিল রাফিন, চুপচাপ। অর্চি, জুহাম, তৌশি আর সাবাবকে পাশ কাটিয়ে খুব দৃঢ় এবং ধীর পায়ে এগিয়ে এলো সে দুর্জয়ের সামনে। কয়েক সেকেন্ড ওর দিকে তাকেয়ে থেকে ঠা-া অথচ স্পষ্ট গলায় বলল, ‘তোমাদের প্রতিটি পাগলামি আমরা থামিয়ে দেব দুর্জয়’। নাকের নিচে আঙুল রাখল রাফিনও, ‘এটা চ্যালেঞ্জ নয়, মহাচ্যালেঞ্জ’!