Categories


শঙ্খচূড়ের ফণা

অ্যালার্ম বাজছে...। কাঁটায় কাঁটায় সাতটা। ঘুম ভাঙল তুলিকার। হাত বাড়িয়ে অ্যালার্ম বন্ধ করল। কিছুক্ষণ চুপচাপ শুয়ে থাকল বিছানায়। সত্যম পাশে না থাকলে বিছানাটা খুব বড়াে মনে হয়। সত্যিই তাই। এমনই চাকরি, সপ্তাহে অন্তত একবার দু-দিনের জন্যে হলেও, বাইরে যেতে হবে সত্যমকে। সাধারণত দিল্লিতেই যেতে হয়। মাঝে মাঝে মুম্বই। চেন্নাই। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এখন রিজিওন্যাল ম্যানেজার (আর.এম.) সত্যম।


ইতস্তত, বিন্দুহীন

এত ভুল দৃশ্যে চক্ষুষ্মন। বরং অন্ধতা কাম্য, অন্তত মায়া করে দুরূহ ট্রাফিকটুকু পার করে দেবে। ওই ব্যস্তসমস্ত রাস্তার ধারে এক কোণে ফুলে-পাতায় ভরা কৃষ্ণচূড়াটার তলায় চুপ করে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে পড়েছিল ও। শব্দ এসে ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছে শ্রবণে। কতরকম পায়ের আওয়াজ। কাকের ডাক, ফেরিওয়ালার হাঁক, সাইকেলের ট্রিং ট্রিং, রিকশার হর্ন, যানবাহনের কর্কশতা, পথচারীদের কোলাহল, ঝগড়া, গুঞ্জন, হাসি, কাশি, থুতু ফেলা, উড়ে আসা খিস্তিখেউড়... সমস্ত ক্যাকোফনি স্তব্ধ করে একা নিশ্বাসের শব্দ শুনবে বলে। গভীর আর শান্ত। দীর্ঘ আর উতল। একটা সুঘ্রাণ বয়ে আনা। ও জানে সে আসবে। মানে একটা


গল্প সমগ্র -৫ম খণ্ড

আমি একটি মানচিত্র-প্রিয় মেয়ে। জীবনের পর্বে-পর্বে আমার মানচিত্র বদলে বদলে যায়। যেমন প্রথম ম্যাপটা ছিল একটি সেতার বাজিয়ের। আমি ভেবেছিলাম মায়া মিত্র, কল্যাণী রায়ের মতাে সেতারের তুম্বিতে কনুই রেখে স্টাইলে বাজাব, ওইটাই আমার জীবন হবে। কনফারেন্সে জলসায় ডাক পড়বে, মাঝরাতে ডাকবে আমায়। নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়, রবিশঙ্কর আহা আহা করবেন, আমার বাবা-মায়ের বুক দশহাত হয়ে উঠবে।


বারোয়ারি বাসা

পূর্বপুরুষদের আমলে তাঁতের কাপড়ের ব্যবসায় যে স্বর্ণযুগ ছিল, তা আর এখন নেই। চিন জাপানও এখন প্রচুর কাপড় তৈরি করে প্রাচ্যের নানা দেশের বাজার দখল করেছে। তাইতাে অনেক চিন্তা-ভাবনা করে নবকৃষ্ণ বেশ কয়েক দিন কলকাতার নানা বাজার ঘুরে দাম-দস্তুর ভালাে করে যাচাই করার পর পিতৃবন্ধু যুগলবাবুর সহযােগিতায় এক শুভদিনে সিপাহীদের জন্য সব রকমের খাবার-দাবার সরবরাহ করতে শুরু করলেন। এক সপ্তাহ সাপ্লাই দেবার পর ক্লিফোর্ড সাহেবের পরামর্শ মতাে বিল তৈরি করে ওর কাছেই বিল জমা দিলেন। পরের দিনই হাতে এল টাকা। এক সপ্তাহে বাহান্ন হাজার পাঁচশাে টাকা লাভ দেখে নবকৃষ্ণ হতবাক। কৃতজ্ঞ নবকৃষ্ণ নগদ দশ হাজার টাকা ক্লিফোর্ডের পকেটে পুরে দিলেন। মহা খুশি ক্লিফোর্ড সাহেবও।


সেরা সন্দেশ ১৩৬৮-১৩৮৭

শুরু হয়েছিল ১৩২০ সালে । আর শেষ ? অমান কথা ভাবাই যায় না । হারিয়ে গিয়েও যে আবার নতুন চেহারায় সামনে এসে দাড়ায়, সেই সন্দেশ আজও ছোটদের জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ । নিতান্ত একটি পত্রিকা তো নয়, আশ্চর্য রকমের সুন্দর আর সন্ত্রান্ত একটি প্রতিষ্ঠান । সেই প্রতিষ্ঠানের দরজা দু-দুবার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্ৰথমবার বন্ধ হয়েছিল সুকুমার রায়ের মৃত্যুর পর । আর দ্বিতীয়বার, ১৩৩৮ সালে । কিন্তু রবীন্দ্ৰনাথ ওই যে বলেছেন : “শেষ হয়ে হইল না। শেষ, সন্দেশ-এরও সেই একই ব্যাপার । সন্দেশ শেষ হলে তো ছোটদের তুলানন্দেরও সমাপ্তি, সন্দেশ তাই শেষ হয়নি । দ্বিতীয়বার বন্ধ হবার তিরিশ বছর বাদে সে আবার নতুন করে দেখা দিল । এবং এতই দীপ্ত সুন্দর কান্তি নিয়ে দেখা দিল যে, বিস্ময়ে আর আনন্দে ছোটদের তো বটেই, বড়দেরও যেন চোখের পলক আর পড়তে চায় না । দেখে, পড়ে একবাক্যে সবাইকে বলতে হয় যে, হ্যা, ছোটদের জন্য এমন ভাল পত্রিকা এ-দেশে আর কখনও বার হয়নি । রবীন্দ্ৰনাথ যেন অচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত হয়ে আছেন এই পত্রিকার সঙ্গে । যে-বছর তিনি নোবেল পুরস্কার পান, সেই বছরেই উপেন্দ্ৰকিশোরের


গদ্য সংগ্রহ -১ম খণ্ড

আরেক বার তিন জনে ছাদ-ফাটানাে হাসি হেসে দাবা খেলতে বসলেন। অর্থাৎ ভাষাবিদ ও দার্শনিক বসলেন, নাট্যকার দাঁড়িয়ে চুরুট ধরিয়ে অযাচিত মাতব্বরি করতে উদ্যত হলেন। কালীকান্ত অপমান বােধ করলেন, কিন্তু ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারলেন না, কারণ একটু পরে চা-স্যান্ডুই আসবে। তাই ঝগড়ায় মাতবেন স্থির করে চেঁচিয়ে বললেন—কোথায় ভুল? - এ লেখার কোথায় ভুল দেখান দিকি ?


শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় গল্পসমগ্র -২য়

খুব ভাের ইনডাের সুইমিং পুলের ধারে তিনি এসে দাঁড়ালেন, মুখে হাসি নেই, গাম্ভীর্যও নয়, একটু চিন্তিত বােধ হয়, প্যান্টের দু পকেটে হাত, কাঁধটা একটু উঁচুতে তােলা, দু পা পরস্পরের সঙ্গে কাটাকুটি করা, গায়ে সাদাকালাে একটা ব্যানলনের গেঞ্জি। নিথর জলে তার ছায়া পড়েছে। একটু ঝুঁকলেই নিজের ছায়া তিনি দেখতে পারেন। কিন্তু গত বিশ বাইশ বছর ধরে তিনি পৃথিবীর হাজারাে পত্রপত্রিকায়, পােস্টারে, চলচ্চিত্রে বা টেলিভিশনে নিজের এত ছবি দেখেছেন যে নিজের ছায়া বা প্রতিবিম্ব দেখতে তাঁর আর কোনাে ইচ্ছেই হয় না। সারাটা জীবন তাঁকে তাড়া করছে হাজারাে ক্যামেরা, ফ্ল্যাশ লাইট, হাজারাে সাক্ষাৎকার, লক্ষ লক্ষ লােকের জয়ধ্বনি, স্তুতি ও ভালবাসা।


বঙ্কিম রচনাবলী-২য় খণ্ড

“অদ্য আমাদিগের কি শুভ দিন। অদ্য আমরা যত অরণ্যবাসী মাংসাভিলাষী ব্যাকুলতিলক সকল পরস্পরের মঙ্গল সাধনাৰ্থ এই অরণ্যমধ্যে একত্রিত হইয়াছি। আহা! কুৎসাকারী, খলস্বভাব অন্যান্য পশুবর্গে রটনা করিয়া থাকে যে, আমরা বড় অসামাজিক, একা এক বনেই বাস করিতে ভালবাসি, আমাদের মধ্যে ঐক্য নাই। কিন্তু অদ্য আমরা সমস্ত সুসভ্য ব্যাঘ্ৰমণ্ডলী একত্রিত হইয়া সেই অমূলক নিন্দাবাদের নিরাস করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছি! এক্ষণে সভ্যতার যেরূপ দিন দিন শ্রীবৃদ্ধি হইতেছে, তাহাতে আমার সম্পূর্ণ আশা আছে যে, শীঘ্রই ব্যাঘ্রেরা সভ্যজাতির অগ্রগণ্য হইয়া উঠিবে। এক্ষণে বিধাতার নিকট প্রার্থনা করি যে, আপনারা দিন দিন এইরূপ জাতিহিতৈষিতা প্রকাশপূর্বক পরম সুখে নানাবিধ পশুহনন করিতে থাকুন।”


বঙ্কিম রচনাবলী-১ম খণ্ড

বঙ্কিমচন্দ্রের বয়স যখন আটচল্লিশ বৎসর, তখন তাহার কৃষ্ণ-চরিত্র’ পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়, এবং সেই সময়ে প্রচারে’ তিনি গীতার ব্যাখ্যা লিখিতে প্রবৃত্ত হন। কৃষ্ণ-চরিত্রের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে তিনি লিখিয়াছেন-“আমার দুরাকাঙ্ক্ষা যে, শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যেও কেই কেহ এই গ্রন্থ পাঠ করেন। তাই আমি ইউরােপীয় মতেরও প্রতিবাদে প্রবৃত্ত। যাঁহাদের কাছে বিলাতী সবই ভাল, যাঁহারা ইস্তক বিলাতী পণ্ডিত, লাগায়েৎ বিলাতী কুকুর, সকলেরই সেবা করেন, দেশীগ্রন্থ পড়া দূরে থাক, দেশী ভিখারীকেও ভিক্ষা দেন না, তাহাদের আমি কিছু করিতে পারিব - না। কিন্তু শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকেই সত্যপ্রিয় এবং দেশবৎসল। তাহাদের জন্য লিখিব।” বলা বাহুল্য, এই শ্রেণীর শিক্ষিত সম্প্রদায়ের জন্যই তিনি ধর্মতত্ত্ব’ লিখিয়াছিলেন এবং গীতার ব্যাখ্যা লিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। কিন্তু দেশের দুর্ভাগ্য যে, সে ব্যাখ্যা তিনি আর শেষ করিয়া যাইতে পারেন নাই।


ওয়ারিশ

ঝক করে টর্চের ফোকাসটা মেরেই নিরাপদ বলল, আরিব্বাস! এ যে লহরী খেলছে। নেলাে একটু পেছনে। এক হাতে গরুর দড়ি, অন্য হাতে ভরা থলি। গরুটা একটু পিছনে দাঁড়ানাে। নেলাে বলল, কাপড়খানা খুলে গামছাখানা পরে নেন। এ হল ভাসি গাঁয়ের জলা। তলায় তলায় ইছামতীর সঙ্গে যােগ আছে। বর্ষার ইছামতীর জল বাড়লে এই জলা একেবারে তল। ঘুরপথ নেই? তা থাকবে না কেন? পিছনবাগে চার মাইল গিয়ে দক্ষিণের রাস্তা ধরে গেলে পাক্কা পাঁচ ক্রোশ। তা সে রাস্তাও আপনার মনের মতাে হবে না। হরেদরে কাশ্যপ গােত্র। এই রাস্তায় বরং সুবিধে আছে। নিরাপদ খ্যাক করে উঠল, সুবিধে! সুবিধেটা কী দেখছ? জলার ভিতর দিয়ে ছাড়া কি আর পথ ছিল না?


ভূগোল অভিধান

ইতিহাস যদি নাটক হয় তবে ভূগােল তার মঞ্চ। ইতিহাস, রাজনীতি এমনকি ভ্রমণ কাহিনী। পাঠেও সঠিক উপলব্ধি হয় না যদি না যে দেশ বা মহাদেশ নিয়ে আলােচনা সে সম্পর্কে। পাঠকের সঠিক সুস্পষ্ট ধারণা থাকে। তাছাড়া স্কুল কলেজে ভূগােল পড়তে হয়, জানতে হয় সূর্য তারা, গ্রহ উপগ্রহ থেকে শুরু করে পৃথিবীর সাগর উপসাগর, নদী, হ্রদ, পাহাড়, আগ্নেয়গিরি, মহাদেশ দেশ নগর জনপদের কথা, খনিজ পদার্থ ও বাণিজ্যিক তথ্য সম্পর্কিত অনেক কিছু। কিন্তু এমন অভিধান বাংলা ভাষায় ছিল না যাতে বর্ণানুক্রমে উল্লেখিত সব তথ্য সবিস্তার জানা যায়।


উত্তরকালের ছয় উপন্যাস

সে বলে, ঈশ্বর আছেন, আমি আছি। ঈশ্বর সত্যই আছেন, আমি আছি কি না সেটাও ঈশ্বর জানেন। আমি জানি ঈশ্বর আছেন, তাই আমিও আছি। নইলে কী করে জানব ঈশ্বর আছেন? এটা অতি সােজা কথা। পাত্ৰাধার তৈল কি তৈলাধার পাত্র—সে ইয়ার্কি নয়! সহজ সরল কথা। আমি আছি কি নেই? এটা জানেন ঈশ্বর। বেশ কথা। ঈশ্বর কী জানেন বা না জানেন সে প্রশ্নই ওঠে । তিনি সব জানেন—আবার কিছুই জানেন না। তিনি অনন্ত কিন্তু সৃষ্টি করেন—আবার অনন্তশয্যায় অনন্ত ঘুমে ঘুমিয়ে থাকেন। কাজেই হিসাবটা ওদিক দিয়ে নয়। ঈশ্বর আছেন আমি এটা জানি। সেটাই প্রমাণ যে ঈশ্বরও জানেন আমি আছি। আমি যদি না থাকব তবে কী করে জানব একমাত্র ঈশ্বরই জানেন আমি আছি কি নেই? কাজেই আমি আছি।


প্রেমের উনিশ কুড়ি

আমি যে সময়ের কথা বলছি সেসময় রাজেশ খন্না খুব নামী একজন হিরাে। তার মতাে জামার উপর বেল্ট পরা আর-একদিকে কান্নিক মেরে হাঁটা ফ্যাশন। সেসময় পেট মােটা ফোলা-ফোলা মােটর গাড়ি চলে শহরের রাস্তায় আর ছােট বােতলে হাফ সার্কল ফুল সার্কল কোলা পাওয়া যায় দোকানে-দোকানে। আমি যে সময়ের কথা বলছি সেটা ১৯৭৪ সাল। আমার বয়স তখন সবে পনেরাে। মানে যে বয়সে মন আর গলা একসঙ্গে ভেঙে যায় আর কী!


বিস্মৃতি

বাইরের পৃথিবীর কাছে আমরা টিভিতে পনেরাে সেকেন্ডের বিজ্ঞাপনে দেখানাের মতাে সুখী দম্পতি। বাবা, মা, দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে সুখের সংসার আমাদের। নিখুঁত ছন্দে চলে আমাদের সংসার। ছবির মতাে সুন্দর অন্তর্সজ্জায় সাজানাে-গােছানাে ফ্ল্যাট। ফুটফুটে ছেলেমেয়েরা অবাধ্য নয়, পড়াশােনায় অমনােযােগী নয়, আমার বাবা-মাকে নিয়ে একই ছাদের তলায় থাকতে লােপর কোনও অসুবিধে নেই, মনােমালিন্য তেমন একটা হয় না। এমনকী, আমাদের কারও কোনও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কও নেই! অথচ আমরা নিজেরা জানি, ভিতরে ভিতরে নিস্তরঙ্গ শান্ত সম্পর্কের শৈত্য ক্রমশ আমাদের ধীরেধীরে একটা খাদের কিনারার দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।


রবি - শংকর

অনিতা দিল্লির মেয়ে, বাংলা ও বাঙালি সম্পর্কে প্রবল কৌতূহল। রুইকে রহু বললে কী হবে, লেক মার্কেটে ওকে সবাই চেনে। মাছওয়ালাদের ফেভারিট বউদি। দেখলে কেউ বলতে পারবে না, এ বউদি যে-সে বউদি নয়, সদ্য দেশে ফেরা এনআরআই। বরং যে রবির জম্মকম্ম কলকাতায়, তার চেহারাতেই বিদেশি ছাপ বেশি। কথায় কথায় ইংরেজি। ভিখিরি দেখলে চোখ কটমট। মাছের বাজারে ঘেন্না ঘেন্না ভাব।


উপাসনা

তারপর মিসেস কাপুর উপাসনাকে পরিচয় করিয়ে দেন অন্যান্য অফিসার ও তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে। পরিচয় পর্ব শেষ হতেই গ্রুপ ক্যাপ্টেন গলা চড়িয়ে বলেন, ফ্রেন্ড, কাম অন ; লেট আস হ্যাভ ড্রিকস্ ইন অনার অব উপাসনা অ্যান্ড সাকি। মিসেস কাপুর উপাসনাকে পদ্মিনী আর আমিনার কাছে নিয়েই বলেন, তােমাদের কোয়ার্টার এরা দু’জনে সাজিয়েছে ; তােমার পছন্দ হয়েছে তাে? উপাসনা ওদের দুজনকে জড়িয়ে ধরে খুশির হাসি হেসে বলে, কী বলে যে তােমাদের ধন্যবাদ জানাব, তা ভেবে পাচ্ছি না। কোয়ার্টার দেখে আমি অবাক হয়েছি ; আমি স্বপ্নেও ভাবিনি, কেউ আমাদের কোয়ার্টার এত সুন্দর : করে সাজিয়ে দেবে।