Robert Cohn was once middleweight boxing champion of Princeton. Do not think that I am very much impressed by that as a boxing title, but it meant a lot to Cohn. He cared nothing for boxing, in fact he disliked it, but he learned it painfully and thoroughly to counteract the feeling of inferiority and shyness he had felt on being treated as a Jew at Princeton. There was a certain inner comfort in knowing he could knock down anybody who was snooty to him, although, being very shy and a thoroughly nice boy, he never fought except in the gym. He was Spider Kelly's star pupil. Spider Kelly taught all his young gentlemen to box like featherweights, no matter whether they weighed one hundred and five or two hundred and five pounds. But it seemed to fit Cohn. He was really very fast.
বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখকের অসাধারণ সাহিত্য কর্ম-এক ঐন্দ্রজালিক সময়ের প্রেক্ষাপটে রচিত প্রেম ও ধর্মের অনন্য কাহিনী।
পর্তুগাল ১৭১১ : লিসবনের পাথর ছাওয়া রাজপথে ধাওয়া খাচ্ছে প্রণয়-পাগল এক নগ্ন ফ্রায়ার, অনুতাপকারীদের মিছিল ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে গগনবিদায়ী শ্লোগান তুলছে; এক রাজপুত্র প্র্যাকটিসের জন্যে ব্যবহার করছে অসহায় নাবিকদের আর বর্ণালী পোশাকের মহিলারা উপভোগ করছে ধর্মত্যাগী ও জাদুকরদের আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণ। ইনকুইজিশন আর গ্লেগের ভয়াবহতার মাঝে চমৎকার বিবরণ আর জাদুময় এক কাহিনী, মানুষের বিপদ আর ইচ্ছাশক্তির নকশীকাঁথা।
হোসে সারামাগো শ্রেষ্ঠ উপন্যাসগুলোর অন্যতম, এই উপন্যাস সাফল্যের অনুরণন।
খুব অল্প সাহিত্যিকই পারেন বড় বিষয়কে ছােট বইয়ের মধ্যে ধরতে। সে কারণে দুনিয়ায় ছােট গল্পের সংখ্যাই বেশি। আরেকটি বড় দুর্বলতা উপন্যাসে প্রায়ই চোখে পড়ে- বাহুল্য নিয়ে চর্চা করা। এ দুটো থেকে মুক্ত হয়ে লিখতে পারা বড় ধরনের সক্ষমতা। সেই সাফল্যের অন্যতম দাবিদার পার্ল এস বাক। জন্য আমেরিকায় হলেও বাকের জীবনের প্রথম-তৃতীয়াংশ কাটে চায়নায়। ফলে প্রাচ্য সংস্কৃতির সবচেয়ে রহস্যময় এলাকার পরিচয় তার লেখাতেই প্রথম উদ্ভাসিত হয়। চাষি জীবন আঁকায় তার মতাে সাফল্য খুব কম লেখকই দেখাতে পেরেছেন। অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় সত্যকে উপস্থাপন করার দুর্লভ ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। ব্যক্তিজীবনে ‘মিশনারি’ হওয়ায় সেবা ও কল্যাব্রত ছিল তার জীবনেরই অংশ। পাশাপাশি বাক ছিলেন স্পষ্টভাষী, সত্যের পক্ষাবলম্বনকারী এবং নারী ও শিশু অধিকার রক্ষায় প্রাগ্রসর। বিশেষত, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জন্ম নেওয়া আমেরিকান যুদ্ধ-শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন আমৃত্যু লড়াকু।
ইছামতী বই `সম্পর্কিত কথা’
স্বপ্ন ও কল্পনার মেশা এই ইছামতী নদী। বিভূতীভূষণও এই নদীর কাকচক্ষু জলে স্নান করতে করতে বোধ করি সেই স্বপ্নই দেখেছিলেন – স্নিগ্ধ শান্ত স্বপ্নিল নদী যার দুই কূল আচ্ছন্ন করে থাকত বাঁশ – ঝাড় আর অসংখ্য পত্রবহুল ছায়া – ঘন গাছপালা। সেই স্বপ্নেরই ফসল ‘ইছামতী’ উপন্যাস
`বইয়ের প্রধান চরিত্র সমূহ ‘
* ভবানী বাড়ুয্যে- প্রধান চরিত্র।
* তিলু- ভবানীর সেবাপরায়ণা স্ত্রী।
* খোকা- ভবানী ও তিলুর শিশু পুত্র।
* শিপ্টন সাহেব- অত্যাচারী নীলসাহেব।
* ভজামুচি- নীলকুঠির সহিস।
* রামকানাই কবিরাজ- গ্রামের বৃদ্ধ কবিরাজ।
পারলে গােধূলির এই রং গণ্ডুষে শুষে নিত ধনপতি। ওই কেশ-কালা ফিঙেটির মতাে দোল খেত কর্ণের মাথায়। পশ্চিমের কমলা সূর্যের মতাে দিনশেষে ডুবে যেত ভ্রমরার জলে। গিরিমাটিরঙে রাঙিয়ে দিত আকাশের কোল।
কিন্তু তাকে যেতে হবে সিংহল দেশে, নােনা পথে—রাজার নির্দেশ। যে-জন চন্দনে শিবের আরাধনা করে সে সপ্তদ্বীপা অবনীতে রাজা হয়, যে শ্রীহরির সামনে চমরি দুলিয়ে বন্দনা করে সে রথে চড়ে স্বর্গে যায়; কিন্তু এক তােলাও চন্দনকাষ্ঠ নেই রাজভাণ্ডারে, চমরি নেই একটিও। ভাণ্ডারীর প্রয়ােজন গজের জন্য লবঙ্গ, তুরঙ্গের সৈন্ধব লবণ, রাজরানিদের পান্না, নীলা, মানিক, প্রবাল, মােতি ও পলা, বামাদের শত্থালংকার, কুঙ্কুম, কস্তুরি ও গন্ধচুয়া এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পাহাড়িয়া ভােটকম্বল। রাজভাণ্ডারী বলে, যত ঋণী সদাগর ছিল তারা সব এখন ধনী। গেহ থেকে এক পা ফেলার মতি নেই কারাে। শেষ দক্ষিণ পাটনে গিয়েছিল জয়পতি দত্ত, ধনপতির বাবা। ডিঙার পর ডিঙা ভরে এনেছিল নানা সামগ্রী। তারপর আর কোনাে সাধু ওমুখাে হয়নি, কোনাে সদাগর আসেনি ওদেশ হতে। ফলে গুয়ারও টান। রায়, কীসে সাজা হবে তাম্বুল, কী দিয়ে রাখবেন মান!
In the shade of the house, in the sunshine on the river bank by the boats, in the shade of the sallow wood and the fig tree, Siddhartha, the handsome Brahmin's son, grew up with his friend Govinda. The sun browned his slender shoulders on the river bank, while bathing at the holy ablutions, at the holy sacrifices. Shadows passed across his eyes in the mango grove during play, while his mother sang, during his father's teachings, when with the learned men. Siddhartha had already long taken part in the learned men's conversations, had engaged in debate with Govinda and had practised the art of contemplation and meditatior with him. Already he knew how to pronounce Om silently - this word of words, to say it inwardly with the intake of breath, when breathing out with all his soul, his brow radiating the glow of pure spirit. Already he knew how to recognize Atman within the depth of his being, indestructible, at one with the universe.
গল্পটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিকায় বেড়ে উঠেছে। জঙ্গলঘেরা দূরবর্তী এক পাহাড়ি গ্রামে খাদ্যঘাটতি, সার্বিক দারিদ্র্য আর সক্ষম লােকদের যুদ্ধক্ষেত্রে থাকার কারণে বিরান অঞ্চল- এই হচ্ছে যুদ্ধের অভিঘাত। সেইখানে হতদরিদ্র এক পরিবারের কিশাের ছেলে ও তার বালক ছােট ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ হয় কালাে আমেরিকান এক পাইলটের। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে জঙ্গলে পড়লে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এই বিমান-যােদ্ধাকে গ্রামের লােকেরা বন্দী করে রাখে এক কুঠুরির মধ্যে। সেইখানে অপরিচিত হিংস্র কোনাে পশুকে যেমনভাবে দেখা হয় তেমন দৃষ্টিতেই দেখা হয় ঐ বৈমানিককে; কিন্তু তারই মধ্যে এক মানবিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে ঐ কিশাের আর বৈমানিকের মধ্যে। কারাে কথা কেউ বােঝে না, তবুও অদৃশ্য এক মানবিক সম্পর্কের কারণে ঐ বৈমানিককে মারা হােক তা চায় না গল্পের কিশাের নায়ক। তবুও যােগাযােগের গভীর সমস্যায় আক্রান্ত এই দুই পক্ষের ভুল বুঝাবুঝির কারণে এই কিশােরকে জিম্মি হিসেবে আটকে ফেলে কালাে আমেরিকান বৈমানিক। এই অতিশয় মানবিক কাহিনীই হচ্ছে ‘শিকার’ গল্পটির উপজীব্য। এর সঙ্গে সংযােজিত হলাে লেখকের আরাে দুটি গল্প- ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত ‘আসমানী ভূত আঘবি' এবং ১৯৮০ সালে প্রকাশিত ‘রেন-ট্রি।
আরােগ্যনিকেতন অর্থাৎ চিকিৎসালয়। হাসপাতাল নয় দাতব্য চিকিৎসালয়ও নয়দেবীপুর গ্রামের তিন পুরম্নষ চিকিৎসা-ব্যবসায়ী মশায়দের চিকিৎসালয়।
স্থাপিত হয়েছিল প্রায় আশি বৎসর পূর্বে। এখন ভাঙা-ভগ্ন অবস্থা; মাটির দেওয়াল ফেটেছে, চালার কাঠামােটার কয়েকটা জায়গাতেই জোড় ছেড়েছে- মাঝখানটা খাঁজ কেটে বসে গেছে কুঁজো মানুষের পিঠের খাজের মতাে। কোনাে রকমে এখনও রয়েছেপ্রতীঙ্গা করছে তার সমাপ্তির, কখন যে ভেঙে পড়বে সেই ভূণটির পথ চেয়ে রয়েছে।
অথচ যেদিন স্থাপিত হয়েছিল সেদিন স্থাপন-কর্তা জগবন্ধু কবিরাজ মহাশয় তাঁর অত্মরঙ্গ বন্ধু ঠাকুরদাস মিশ্রকে বলেছিলেন, বুঝলে ঠাকুরদাস, “যাবৎ চন্দ্ৰার্ক মেদিনী” বলব না- তবে... আমাদের বংশের বসতি এখানে যতকাল থাকবে ততকাল এ আটন, এ পাট পাকা হয়ে রইল। হেসে বলেছিলেন, অজয় লাভের কারবার। যতই করিবে দান তত যাবে বেড়ে। পুরানাে ঘিয়ের মতাে- যত দিন যাবে তত দাম বাড়বে। বলতে গেলে সংসারে শ্রেষ্ঠ লাভের কারবার। দেনা-পাওনা- দেওয়া-নেওয়া দুই দিকেই শ্রেষ্ঠ লাভ মিলবে এখানে, অথচ দুই পরে কেউ ঠকবে না।
সামান্য কারণেই গ্রামে একটা বিপর্যয় ঘটিয়া গেল। এখানকার কামার অনিরুদ্ধ কর্মকার ও ছুতার গিরিশি সূত্রধর নদীর ওপারে বাজারে-শহরটায় গিয়া একটা করিয়া দোকান দিয়াছে। খুব ভােরে উঠিয়া যায় ফেরে রাত্রি দশটায় ; ফলে গ্রামের লােকের অসুবিধার আর শেষ নাই। এবার চাষের সময় কি নাকালটাই যে তাদের হইতে। হইয়াছে, সে তাহারাই জানে। লাঙলের ফাল পাঁজানাে, গাড়ির হাল বাঁধার জন্য চাষীদের। অসুবিধার অন্ত ছিল না। গিরিশ ছুতারের বাড়িতে গ্রামের লােকের বাবলা কাঠের গুড়ি
আজও তূপীকৃত হইয়া পড়িয়া আছে সেই গত বৎসরের ফাল্গুন-চৈত্র হইতে; কিন্তু আজও তাহারা নূতন লাঙল পাইল না।
‘চুম্বনের ক্ষত’ বইয়ের সূচিপত্রঃ
ঘুমন্ত ভাইরাস
* লাল গোলাপের বিরুদ্ধে - ১১
* স্লামডগ আর কপালকুণ্ডলা - ১২
* কাঠপুতলি – ১৪
* পিপাসিত নীল - ১৫
* হঠাৎ ছোয়া পঁচিশে বৈশাখ - ১৬
* স্তন্যদায়িনী – ১৭
* লাস্ট বেঞ্চের ছেলে – ১৮
* শিলং - ১৯
* নৈনিতাল – ২০
* গুহাচিত্র – ২১
* যশোর: সাগরদাঁড়ি – ২২
* ঠোঁটের রং টেরাকোটা – ২৩
* ভুবনডাঙা - ২8
* শান্তিনিকেতনে বৃষ্টি – ২৫
* কণ্টকশয্যা – ২৬
* চিরহরিৎ - ২৭
* যে মেয়ে জন্মায়নি – ২৮
* লাভার্স লেনে সাতটা পনেরো – ২৯
* আ্যাজ ইউ লাইক ইট – ৩০
* গুপ্তপ্রেস – ৩১
* নিশির ডাক – ৩২
* গাছেরা নিঃশ্বাস নিচ্ছে – ৩৩
* জিন্দগী এক সফর – ৩৪
* নিউ ইয়ার্স ইভ – ৩৫
* শীতে উপেক্ষিতা – ৩৬
* রাত্রির যাত্রী – ৩৭
* জিনের ম্যাপে ছাপা – ৩৮
* মধুহীন কোরো না গো – ৩৯
* ঘুমন্ত ভাইরাস – ৪০
এখনও বাঁচার শব্দ
* ব্যর্থ অভু্যুত্থান – ৪৩
* দি পট্যাটো ইটার্স – ৪৪
* এখনও বাঁচার শব্দ – ৪৫
* নবন্যাট্যের ইতিহাস – ৪৬
* ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ – ৪৭
* আউটসাইডার – ৪৮
* ৩/১ মে ফেয়ার রোড – ৪৯
* সিদ্ধার্থের প্রতি রাহুল – ৫০
* ১৬ অক্টোবর – ৫১
* জগতকের গল্প থেকে – ৫২
* গহ্বর - ৫৩
* আমিই সে – ৫৪
* তাতল সৈকতে – ৫৫
* অনশন বন্দি ক্রীতদাস – ৫৭
* শরণার্থী – ৫৮
* পুরানা পল্টন – ৬০
* জঙ্গলমহালে – ৬১
* মন্বন্তরের পরের বছর – ৬২
* আমরা তো নাই, স্বপ্ন যাচ্ছে – ৬৩
* সহস্রাব্দ - ৬৪
খাওয়াদাওয়া শেষ করে ঘরের ছায়ায় বসেছে দবির গাছি, হাওয়াটা গায়ে লাগল। গা কাঁটা দিয়ে উঠল। পলকে দিশাহারা হল সে। বুকের ভিতর আনচান করে উঠল। যেন উত্তরের হাওয়া বুকের ভিতরও ঢুকে গেছে তার, ঢুকে তােলপাড় করে দিয়েছে সব। খাওয়াদাওয়ার পর অনেকক্ষণ ধরে তামাক খায় দবির। রান্নাচালায় বসে গুছিয়ে, সুন্দর করে তামাক সাজিয়ে দেয় নূরজাহান আর নয়তাে তার মা। নূরজাহান এখন বাড়িতে নাই । ঢাকা থেকে অনেক উঁচু হয়ে একটা সড়ক আসছে বিক্রমপুরের দিকে। মেদিনীমণ্ডলের পাশ দিয়ে মাওয়া হয়ে সেই সড়ক চলে যাবে খুলনায়। মাওয়ার পর রাজকীয় নদী পদ্মা। সড়কের মাঝখানে নিজের মহিমা নিয়ে ঠিকই দাঁড়িয়ে থাকবে পদ্মা, তবু এই সড়কের নাম ঢাকা খুলনা মহাসড়ক। বিরাট একটা কারবার হচ্ছে দেশগ্রামে। কত নতুন নতুন চেহারা যে দেখা যাচ্ছে! নানান পদের মানুষে ভরে গেছে গ্রামগুলি। একটা মাত্র সড়ক রাতারাতি বদলে দিচ্ছে
সত্তর দশকের অগ্নিস্রাবী রাজনৈতিক পথ-পরিক্রমার শেষ পর্বে কালবেলার নায়ক অনিমেষ আশা করেছিল তার পুত্র অর্ক তার সমাজতান্ত্রিক আদর্শের নিশানটি শক্ত হাতে বহর করে নিয়ে চলবে।ভ কিন্তু সমকালীন অন্তঃসারহীন কটিল রাজনীতি এবং পঙ্কিল সমাজব্যবস্থার অর্ককে করে তুলেছিল অন্ধকার অসামাজিক রাজত্বের প্রতিনিধি। কিন্তু যেহেতু তার রক্তের মধ্যে ছিল অনিমেষের সুস্থ আদর্শবাদ এবং তার মা মাধবীলতার দৃঢ়তা ও পবিত্রতার সংমিশ্রিত উপাদান, সেই হেতু তার বোধোদয় ঘটতে বিলম্ব হয়নি। এক ভিন্ন মানসিকতায় সে আহ্বান শুনেছিল চিরকালীন মানবতার।ভ একদিকে সুবিধাবাদী সমাজব্যবস্থার যূপকোষ্ঠে নিষ্পেষিত ও নিপীড়িত কিছু মানুষকে একত্র করে তাদের উদ্বুদ্ধ করেছিল নতুন ভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াতে। তাদের সামনে তুলে ধরেছিল আগামী পৃথিবীর সুন্দরতম এক মানচিত্র। কিন্তু ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক দল ও সমাজ অর্ককে অর্গলবদ্ধ করে সেই পবিত্র পৃথিবীর স্বপ্নটি ভেঙে চুরমার করতে দ্বিধা করেনি। কিন্তু অর্ক- যার অপর নাম সূর্য- তার আবির্ভাবকে কি চিরকালের মতো রুদ্ধ করে রাখা যায়?
কালপুরুষ উপন্যাসের সমাপ্তিতে সে মানবতার আহ্বানের প্রতিধ্বনি স্পষ্টতর।
"নিজের মনের ভেতর লুকায়িত নিজেকে পরিপূর্ণভাবে জাগিয়ে তুলতে হলে প্রথমেই জানতে হবে নিজেকে। আমরা সেভাবেই তৈরি হয়েছিলাম ঠিক যেভাবে আমরা আমাদের বেস্ট টা দিতে পারি কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আর কিছু বাধার কারনে সেই নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। মাইন্ড পাওয়ার বইটিতে আপনি খুঁজে পাবেন সেই সকল দিক নির্দেশনা যা নিজেকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। "
উপন্যাস:
চারমূর্তি
কম্বল নিরুদ্দেশ
চার মূর্তির অভিযান
টেনিদা আর সিন্ধুঘোটক
ঝাউ-বাংলোর রহস্য
গল্প:
একটি ফুটবল ম্যাচ
দধীচি, পোকা ও বিশ্বকর্মা
খট্টাঙ্গ ও পলান্ন
মৎস্য-পুরাণ
পেশোয়ার কী আমীর
কাক-কাহিনী
ক্রিকেট মানে ঝিঁঝি
পরের উপকার করিও না
চেঙ্গিস আর হ্যামলিনের বাঁশিওলা
ঢাউস
নিদারুণ প্রতিশোধ
তত্ত্বাবধান মানে-জীবে প্রেম
দশাননচরিত
দি গ্রেট ছাঁটাই
ক্যামোফ্লেজ
কুট্টিমামার হাতের কাজ
সাংঘাতিক
বন-ভোজনের ব্যাপার
কুট্টিমামার দন্ত-কাহিনী
প্রভাতসঙ্গীত
ভজহরি ফিল্ম কর্পোরেশন
চামচিকে আর টিকিট চেকার
ব্রক্ষ্ণবিকাশের দন্তবিকাশ
টিকটিকির ল্যাজ
বেয়ারিং ছাঁট
কাঁকড়াবিছে
হনোলুলুর মাকুদা
হালখাতার খাওয়াদাওয়া
ঘুঁটেপাড়ার সেই ম্যাচ
টেনিদা আর ইয়েতি
একাদশীর রাচিঁ যাত্রা
ন্যাংচাদার হাহাকার
ভজগৌরাঙ্গ কথা
নাটিকা:
পরের উপকার করিও না
সংযোজনা:
কিছু কথা : বই নিয়ে, টেনিদাকে নিয়ে
পটলডাঙার সেই টেনিদার বয়স এখন ৭৬"
শীতলপাটি বিছিয়ে কোন এক বিষন্ন বিকেলে কোন এক, কারো একজনের কাছ থেকে শোনা ভালোবাসার, হতাশার আবার ঠিক ঠিক আশাবাদী হবার গল্প। অপভ্রংশ, পাতার নৌকায় দৃশ্যপট, গুল্লি, আলপিনে কুয়াশা, দিনলিপি রাতলিপি, দেশলাই জীবন, শিরোনাম ডায়রী, জমাটি দুঃখ সুখ, রক্ত-কষ্ট-শোক, হলদে পাখি, ছাব্বিশ পুরুষ এক নারী, আলাদিন এ বারোটি গল্পে আছে অন্ধকার ঘর, কবর, শোক আর সবশেষে এক টুকরো আলো যা মায়ার পরশ বুলিয়ে যায় মননে। ‘আলাদিন জিন্দাবাদ’ জ্যান্ত একটি শহর। সেই মাটির, পিচের আর যান্ত্রিকতার শহরে সবাইকে আমন্ত্রণ। আবেগের এই শহরে যাত্রা শুভ হোক।
‘মকবরা’ উপন্যাসের নবাব সরজ খাঁ, মজনু শাহ, বহরাম, ইব্রাহীম দালি, জিয়াউদ্দিন বারণি এরা এই সময়ের মানুষ নন। সেই নবাবী আমল, মহলের কূটচাল, বিলাসী জীবন যা কিছু ঠাই পেয়েছে ইতিহাসে তাকে, তাদের এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে উপন্যাসে। লেখক নিজেকে সাধারন দাবী করে সেই সব পুরনো দিনের সাধারন, উপেক্ষিত মানুষগুলোকে নিয়ে গল্প ফেঁদেছেন। সেই সময়ের কিছু পাগলাটে মানুষের গল্প, জীবন যাপন শব্দ দিয়ে আঁকার যে চেষ্টা করা হয়েছে তাতে ইতিহাস নেই বরং আছে ইতিহাসের অংশ না হতে পারা মানুষজন।
"মায়ের গ্রামটার কথা ভাবি। ভাসা ভাসা স্মৃতি। আধবোঝা চোখে গ্রামটাকে ভাবনায় দেখার অযথা চেষ্টা। দেখি একটা নৌকার গলুইতে পানি উঠছে। ঘুড়িটা কাটা পড়ে। একটা গরু পানিতে নেমে পড়ে। একটা ন্যাংটো শিশু। মালাই, মালাই। কচি ডাবে দায়ের কোপ। কয়লায় ঝকঝকে দাঁত। খেচইন জালে আটকে পড়া কচুরিপানা-চিংড়ি। পায়রার বাক বাক বাকুম। টক আমড়া। কাটা কলাগাছ। নদীতে ঝাঁপ। চোর কাটা। চুলকানি। গায়ে কাদা। গলে যাওয়া সাবান। কাঁচা খেজুর। কানে পানি। পান-চুন- জর্দা। আখের শক্ত পেলব শরীর। ভাঙা পুকুর ঘাট। বড়ই। গাবের কষ। নীল ফুল। মাগুর মাছ। আমৃত্তি। পিয়াজু। দানাদার। বাছা চাল। মুরগির আদার। কেরোসিন। বাজার সদাই। ঠা-া-কাশি-সিকনি। মেজবান। সূর্য ডোবে। হ্যাজাক লাইট। নতুন ইমামের আযান। ডালে সুরুৎ করে চুমুক। গাতকের গান, ‘মরি গেলি আর আইবা না...।’ এই তো গ্রাম। মায়ের কাছে শোনা, আমার চোখে কিছুটা দেখা গ্রাম। সে গ্রামে যাব। মাকে রেখে আসব। মায়ের গ্রাম। মা ভালোই থাকবেন। আমরা কেমন থাকব?"
সাদাত হোসাইন একজন অসাধারণ লেখক। তার উপন্যাস কম বেশি সবাই পড়েছি আমরা। আবার চলে আসব তার অসাধারণ কিছু কবিতা নিয়ে। কিছুদিন আগেই বের হয়েছে প্রিয় সাদাত হোসাইন ভাইয়ের কবিতার বই কাজল চোখের মেয়ে। কবিতাগুলো পড়তে গিয়ে বার বার মনে হয়েছে এমন একটা মেয়েকে কল্পনা করছি যাকে মনের মাঝে জায়গা করে দিতে হয়।