ছােট জামাটা পরে পিঠের দিকে হাত ঘুরিয়ে হুকের নাগাল পাচ্ছিল না রতন। দুটো মাথা ধরে একটু টানাটানি করল। নাঃ, হচ্ছে না। ধুর-ধুর, এভাবে একা-একা কি হয়! সরস্বতীটা অন্যদিন থাকে। এই ছােট জামা, ব্লাউজ পরিয়ে দেওয়া, শাড়ির কুঁচি ঠিক করে দেওয়া, এই কাজগুলাে ওকে দিয়েই করায় রতন। কিন্তু আজ ওর শরীর খারাপ। গত মাসে প্রথম ঋতুমতী হল সরস্বতী। প্রথম-প্রথম ততা, পেটে খুব যন্ত্রণা হচ্ছে। একটু আগে দেখে এল বেচারি বিছানায় শুয়ে পেট চেপে ধরে কোঁকাচ্ছে। একটা কিছু ওষুধবিষুধ দিতে পারলে হত মেয়েটাকে। রতন কতবার বলেছে যে, দলে একটা কম্পাউন্ডার গােছের লােক রাখলে হয়। যে লােকটা ছােটখাটো জ্বরজারি, পেটখারাপ, ব্যথাবেদনায় ওষুধ দিতে পারবে। এমনিতেই দল নিয়ে চরকিপাক খেতে হয়। বছরের মধ্যে আট-ন’ মাসই এক জায়গা থেকে আর-এক জায়গা ঘুরে বেড়ানাে।
সন্ধ্যায় দরজায় একটি টোকা পড়তে না পড়তেই দুটি উৎসুক হাতে দরজাটি খুলে যায় ; সারাদিনের পরিশ্রম-শ্রান্ত ছেলেটি ধীরে ধীরে গিয়ে পরিচ্ছন্ন বিছানায় একটু বসে, আপত্তি করে বলে, না গাে তােমায় জুতাের ফিতে খুলে দিতে হবে না। মেয়েটি প্রতিবাদ করে বলে, “তা দিলেই বা, তাতে দোষ কি? ছেলেটি একটু রাগ দেখিয়ে বলে, ওটা কি আমি নিজে পারিনে?...'মেয়েটি খুলতে খুলতে বলে, তা হােক, তুমি চুপ করাে দেখি।
সাংবাদিক হিসেবে রণেশের গুরুত্ব কতখানি সেটা অন্য বড় কাগজগুলাে খুব ভালাে করেই জানে। চার পাঁচ লাখের ওপর সার্কুলেশন, এমন দুটো কাগজ তাকে অফার দিয়ে রেখেছে যেদিন ইচ্ছে সে তাদের ওখানে জয়েন করতে পারে। তার জন্য সবসময় ওদের দরজা খােলা। দৈনিক প্রভাত’ তাকে যা দেয়, ওরা তার তিনগুণ মাইনে দেবে। সেই সঙ্গে সর্বক্ষণের গাড়ি। পার্ক, মেডিকেল অ্যালাওরেন্স, হাউস রেন্ট ইত্যাদি মিলিয়ে অঙ্কটা যা দাঁড়াবে তা মাথা ঘুরিয়ে দেবার মতাে। তবু মাঝারি মাপের দৈনিক প্রভাত’কে ছেড়ে যেতে পারেনি সে। কারণটা হল আবেগ এবং কৃতজ্ঞতা।
তারপর মিসেস কাপুর উপাসনাকে পরিচয় করিয়ে দেন অন্যান্য অফিসার ও তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে। পরিচয় পর্ব শেষ হতেই গ্রুপ ক্যাপ্টেন গলা চড়িয়ে বলেন, ফ্রেন্ড, কাম অন ; লেট আস হ্যাভ ড্রিকস্ ইন অনার অব উপাসনা অ্যান্ড সাকি। মিসেস কাপুর উপাসনাকে পদ্মিনী আর আমিনার কাছে নিয়েই বলেন, তােমাদের কোয়ার্টার এরা দু’জনে সাজিয়েছে ; তােমার পছন্দ হয়েছে তাে? উপাসনা ওদের দুজনকে জড়িয়ে ধরে খুশির হাসি হেসে বলে, কী বলে যে তােমাদের ধন্যবাদ জানাব, তা ভেবে পাচ্ছি না। কোয়ার্টার দেখে আমি অবাক হয়েছি ; আমি স্বপ্নেও ভাবিনি, কেউ আমাদের কোয়ার্টার এত সুন্দর : করে সাজিয়ে দেবে।
অনিতা দিল্লির মেয়ে, বাংলা ও বাঙালি সম্পর্কে প্রবল কৌতূহল। রুইকে রহু বললে কী হবে, লেক মার্কেটে ওকে সবাই চেনে। মাছওয়ালাদের ফেভারিট বউদি। দেখলে কেউ বলতে পারবে না, এ বউদি যে-সে বউদি নয়, সদ্য দেশে ফেরা এনআরআই। বরং যে রবির জম্মকম্ম কলকাতায়, তার চেহারাতেই বিদেশি ছাপ বেশি। কথায় কথায় ইংরেজি। ভিখিরি দেখলে চোখ কটমট। মাছের বাজারে ঘেন্না ঘেন্না ভাব।
বাইরের পৃথিবীর কাছে আমরা টিভিতে পনেরাে সেকেন্ডের বিজ্ঞাপনে দেখানাের মতাে সুখী দম্পতি। বাবা, মা, দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে সুখের সংসার আমাদের। নিখুঁত ছন্দে চলে আমাদের সংসার। ছবির মতাে সুন্দর অন্তর্সজ্জায় সাজানাে-গােছানাে ফ্ল্যাট। ফুটফুটে ছেলেমেয়েরা অবাধ্য নয়, পড়াশােনায় অমনােযােগী নয়, আমার বাবা-মাকে নিয়ে একই ছাদের তলায় থাকতে লােপর কোনও অসুবিধে নেই, মনােমালিন্য তেমন একটা হয় না। এমনকী, আমাদের কারও কোনও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কও নেই! অথচ আমরা নিজেরা জানি, ভিতরে ভিতরে নিস্তরঙ্গ শান্ত সম্পর্কের শৈত্য ক্রমশ আমাদের ধীরেধীরে একটা খাদের কিনারার দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।
ইতিহাস যদি নাটক হয় তবে ভূগােল তার মঞ্চ। ইতিহাস, রাজনীতি এমনকি ভ্রমণ কাহিনী। পাঠেও সঠিক উপলব্ধি হয় না যদি না যে দেশ বা মহাদেশ নিয়ে আলােচনা সে সম্পর্কে। পাঠকের সঠিক সুস্পষ্ট ধারণা থাকে। তাছাড়া স্কুল কলেজে ভূগােল পড়তে হয়, জানতে হয় সূর্য তারা, গ্রহ উপগ্রহ থেকে শুরু করে পৃথিবীর সাগর উপসাগর, নদী, হ্রদ, পাহাড়, আগ্নেয়গিরি, মহাদেশ দেশ নগর জনপদের কথা, খনিজ পদার্থ ও বাণিজ্যিক তথ্য সম্পর্কিত অনেক কিছু। কিন্তু এমন অভিধান বাংলা ভাষায় ছিল না যাতে বর্ণানুক্রমে উল্লেখিত সব তথ্য সবিস্তার জানা যায়।
ঝক করে টর্চের ফোকাসটা মেরেই নিরাপদ বলল, আরিব্বাস! এ যে লহরী খেলছে। নেলাে একটু পেছনে। এক হাতে গরুর দড়ি, অন্য হাতে ভরা থলি। গরুটা একটু পিছনে দাঁড়ানাে। নেলাে বলল, কাপড়খানা খুলে গামছাখানা পরে নেন। এ হল ভাসি গাঁয়ের জলা। তলায় তলায় ইছামতীর সঙ্গে যােগ আছে। বর্ষার ইছামতীর জল বাড়লে এই জলা একেবারে তল। ঘুরপথ নেই? তা থাকবে না কেন? পিছনবাগে চার মাইল গিয়ে দক্ষিণের রাস্তা ধরে গেলে পাক্কা পাঁচ ক্রোশ। তা সে রাস্তাও আপনার মনের মতাে হবে না। হরেদরে কাশ্যপ গােত্র। এই রাস্তায় বরং সুবিধে আছে। নিরাপদ খ্যাক করে উঠল, সুবিধে! সুবিধেটা কী দেখছ? জলার ভিতর দিয়ে ছাড়া কি আর পথ ছিল না?
বঙ্কিমচন্দ্রের বয়স যখন আটচল্লিশ বৎসর, তখন তাহার কৃষ্ণ-চরিত্র’ পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়, এবং সেই সময়ে প্রচারে’ তিনি গীতার ব্যাখ্যা লিখিতে প্রবৃত্ত হন। কৃষ্ণ-চরিত্রের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে তিনি লিখিয়াছেন-“আমার দুরাকাঙ্ক্ষা যে, শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যেও কেই কেহ এই গ্রন্থ পাঠ করেন। তাই আমি ইউরােপীয় মতেরও প্রতিবাদে প্রবৃত্ত। যাঁহাদের কাছে বিলাতী সবই ভাল, যাঁহারা ইস্তক বিলাতী পণ্ডিত, লাগায়েৎ বিলাতী কুকুর, সকলেরই সেবা করেন, দেশীগ্রন্থ পড়া দূরে থাক, দেশী ভিখারীকেও ভিক্ষা দেন না, তাহাদের আমি কিছু করিতে পারিব - না। কিন্তু শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকেই সত্যপ্রিয় এবং দেশবৎসল। তাহাদের জন্য লিখিব।” বলা বাহুল্য, এই শ্রেণীর শিক্ষিত সম্প্রদায়ের জন্যই তিনি ধর্মতত্ত্ব’ লিখিয়াছিলেন এবং গীতার ব্যাখ্যা লিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। কিন্তু দেশের দুর্ভাগ্য যে, সে ব্যাখ্যা তিনি আর শেষ করিয়া যাইতে পারেন নাই।
“অদ্য আমাদিগের কি শুভ দিন। অদ্য আমরা যত অরণ্যবাসী মাংসাভিলাষী ব্যাকুলতিলক সকল পরস্পরের মঙ্গল সাধনাৰ্থ এই অরণ্যমধ্যে একত্রিত হইয়াছি। আহা! কুৎসাকারী, খলস্বভাব অন্যান্য পশুবর্গে রটনা করিয়া থাকে যে, আমরা বড় অসামাজিক, একা এক বনেই বাস করিতে ভালবাসি, আমাদের মধ্যে ঐক্য নাই। কিন্তু অদ্য আমরা সমস্ত সুসভ্য ব্যাঘ্ৰমণ্ডলী একত্রিত হইয়া সেই অমূলক নিন্দাবাদের নিরাস করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছি! এক্ষণে সভ্যতার যেরূপ দিন দিন শ্রীবৃদ্ধি হইতেছে, তাহাতে আমার সম্পূর্ণ আশা আছে যে, শীঘ্রই ব্যাঘ্রেরা সভ্যজাতির অগ্রগণ্য হইয়া উঠিবে। এক্ষণে বিধাতার নিকট প্রার্থনা করি যে, আপনারা দিন দিন এইরূপ জাতিহিতৈষিতা প্রকাশপূর্বক পরম সুখে নানাবিধ পশুহনন করিতে থাকুন।”
খুব ভাের ইনডাের সুইমিং পুলের ধারে তিনি এসে দাঁড়ালেন, মুখে হাসি নেই, গাম্ভীর্যও নয়, একটু চিন্তিত বােধ হয়, প্যান্টের দু পকেটে হাত, কাঁধটা একটু উঁচুতে তােলা, দু পা পরস্পরের সঙ্গে কাটাকুটি করা, গায়ে সাদাকালাে একটা ব্যানলনের গেঞ্জি। নিথর জলে তার ছায়া পড়েছে। একটু ঝুঁকলেই নিজের ছায়া তিনি দেখতে পারেন। কিন্তু গত বিশ বাইশ বছর ধরে তিনি পৃথিবীর হাজারাে পত্রপত্রিকায়, পােস্টারে, চলচ্চিত্রে বা টেলিভিশনে নিজের এত ছবি দেখেছেন যে নিজের ছায়া বা প্রতিবিম্ব দেখতে তাঁর আর কোনাে ইচ্ছেই হয় না। সারাটা জীবন তাঁকে তাড়া করছে হাজারাে ক্যামেরা, ফ্ল্যাশ লাইট, হাজারাে সাক্ষাৎকার, লক্ষ লক্ষ লােকের জয়ধ্বনি, স্তুতি ও ভালবাসা।
পূর্বপুরুষদের আমলে তাঁতের কাপড়ের ব্যবসায় যে স্বর্ণযুগ ছিল, তা আর এখন নেই। চিন জাপানও এখন প্রচুর কাপড় তৈরি করে প্রাচ্যের নানা দেশের বাজার দখল করেছে। তাইতাে অনেক চিন্তা-ভাবনা করে নবকৃষ্ণ বেশ কয়েক দিন কলকাতার নানা বাজার ঘুরে দাম-দস্তুর ভালাে করে যাচাই করার পর পিতৃবন্ধু যুগলবাবুর সহযােগিতায় এক শুভদিনে সিপাহীদের জন্য সব রকমের খাবার-দাবার সরবরাহ করতে শুরু করলেন। এক সপ্তাহ সাপ্লাই দেবার পর ক্লিফোর্ড সাহেবের পরামর্শ মতাে বিল তৈরি করে ওর কাছেই বিল জমা দিলেন। পরের দিনই হাতে এল টাকা। এক সপ্তাহে বাহান্ন হাজার পাঁচশাে টাকা লাভ দেখে নবকৃষ্ণ হতবাক। কৃতজ্ঞ নবকৃষ্ণ নগদ দশ হাজার টাকা ক্লিফোর্ডের পকেটে পুরে দিলেন। মহা খুশি ক্লিফোর্ড সাহেবও।
অ্যালার্ম বাজছে...। কাঁটায় কাঁটায় সাতটা। ঘুম ভাঙল তুলিকার। হাত বাড়িয়ে অ্যালার্ম বন্ধ করল। কিছুক্ষণ চুপচাপ শুয়ে থাকল বিছানায়। সত্যম পাশে না থাকলে বিছানাটা খুব বড়াে মনে হয়। সত্যিই তাই। এমনই চাকরি, সপ্তাহে অন্তত একবার দু-দিনের জন্যে হলেও, বাইরে যেতে হবে সত্যমকে। সাধারণত দিল্লিতেই যেতে হয়। মাঝে মাঝে মুম্বই। চেন্নাই। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এখন রিজিওন্যাল ম্যানেজার (আর.এম.) সত্যম।
দিল্লির একপ্রান্ত থেকে শুরু হয়ে ন্যাশনাল হাইওয়ে ২৪ মিরাটের দিকে চলে গেছে। প্রশস্ত রাস্তা। গাজিয়াবাদ অবধি রাস্তার দুধারে বেশ কিছু সােসাইটি আর কলােনি দাঁড়িয়ে আছে। আবার সেগুলাে ছাড়িয়ে গেলে চাষের খেত চোখে পড়ে। রাস্তায় গাড়ির বিরাম নেই। গরুর গাড়ি থেকে শুরু করে ছােট গাড়ি, বাইক এমনকি দামি বিদেশি সেডান আর এসইউভি সব রকম গাড়িই সেই রাস্তায় চলছে। দিল্লি থেকে লখনৌ অবধি চলে যাওয়া এই চওড়া রাস্তার দুপাশে আধুনিক ভারত, প্রাচীন ভারত, আললাময় ভারত, অন্ধকার ভারত সব মিলে মিশে একসঙ্গে সহাবস্থান করছে।
সুলেখার পিতা কলিকাতার একজন নামজাদা ধনী ব্যক্তি। মনােমতাে জামাতা পাইয়া বিশেষ সমারােহের সহিত তিনি কন্যার বিবাহ-কার্য সম্পন্ন করেন, কিন্তু বিবাহােৎসব সর্বাঙ্গসুন্দর হইতে পারে নাই। তাহার জ্যেষ্ঠা কন্যা লাবণ্যর স্বামী প্রশান্তকুমার ঘােষ এলাহাবাদ হাইকোর্টের একজন বিখ্যাত ব্যারিস্টার। সুলেখার বিবাহের সময় লাবণ্যর একটি বালক-পুত্র গুরুতরভাবে পীড়িত ছিল বলিয়া লাবণ্য অথবা প্রশান্ত কেহই কলিকাতায় আসিয়া বিবাহে যােগদান করিতে পারে নাই। সেই দুঃখ যথাসম্ভব লাঘব করিবার অভিপ্রায়ে তাহারা অবনীশ এবং সুলেখাকে সনিবন্ধে এলাহাবাদে নিমন্ত্রণ করিয়াছে।
‘তুমি আজও গামছা পরে বেরিয়েছ?’ পতিতপাবনের গলা শুনেও মুখ তুলল না সমীর। খুব সন্তর্পণে সামনের সিটে বসে দরজাটা নিঃশব্দে বন্ধ করার চেষ্টা করল। কিন্তু দরজাগুলাে বেয়াড়া, পুরনাে গাড়ির ওপর পতিতপাবনের খুব মায়া। শিবুকাকা কেমন উদাস মুখে বললেন, ‘শরীরে শক্তি থাকলে ব্যবহারে দোষ নেই। একটু জোরে বন্ধ করাে থােকা। দরজা বন্ধ হওয়া পর্যন্ত যেন অপেক্ষা করলেন পতিতপাবন, “আজকাল উত্তর দেবার প্রয়ােজন বােধ করাে না দেখছি, হুম্।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের বােট মাঝখানে এসে থেমে গেল। ওরা এ প্রান্তে আসবে না। আসার অধিকার নেই। কারণ ইচ্ছামতীর বুকের মাঝখানে একটা অদৃশ্য কাঁটাতার নদীকেও করেছে দ্বিখণ্ডিত! ওদিকটা ইন্ডিয়া, এদিকটা বাংলাদেশ! ‘একই বঙ্গ হল ভঙ্গ, পূরব ও পশ্চিম? সহােদর হওয়া সত্ত্বেও তাই রাম-রহিমের মিলন অসম্ভব! মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে এমন একটি মানুষ যে কোনওদিন এ মাটির ছিল না, হয়নি কখনও। লােকটা বিদেশি তাই দুই বাংলার মাঝখানে একটা লাল দাগ টেনে দিতে একবারও হাত কাঁপেনি।