দুনিয়ার মুসলমান বর্তমানে দুইভাগে বিভক্ত হইয়া গিয়াছে। একভাগ মুসলমান আল্লাহ্কে বিশ্বাস করে কিন্তু ইসলাম ধর্মের নিয়ম মানিয়া চলেনা। গুনাহ্ অপরাধ দুর্নীতি বেইমানী এবং আল্লাহ্র আদেশ অমান্য করে এবং অপর ভাগ মুসলমান আল্লাহ্র রসূলকে বিশ্বাস করে এবং ইসলাম ধর্মের আদেশ নিষেধ অনুশাসণ মানিয়া গুনাহ হইতে বিরত থাকিয়া সাধারণ জীবন যাপন করে। মুসলমান অনেক কাজকে গুনাহ্ নহে মনে করিয়া জ্ঞানের অজ্ঞতায় গুনাহ্ করিয়া ফেলে। কোন কোন কাজ করিলে মুসলমানের আমল নামায় গুনাহ্ লিখা হয় তাহা এই বইতে লিখা হইয়াছে। মুসলমানকে অবশ্যই এই সকল গুনাহ্ হইতে বিরত থাকিতে হইবে। মুসলমান কেন গুনাহ্ এবং অন্যায় অপরাধ করে ইহার গোপন রহস্য এই বইতে বিষদভাবে লিখা হইয়াছে। দুনিয়ার সকল মুসলমানকে এই রহস্যের কথা জানিতে হইবে। দুনিয়ার সকল কাজে আল্লাহ্তায়ালা মানুষের জন্য অনেক ছোয়াবের উপকরণ রাখিয়াছেন। কোন কোন কাজ করিলে মুসলমানের আমলনামায় বিশাল পরিমাণ ছোয়াব জমা হইবে তাহা এই বইতে বিষদভাবে লিখা হইয়াছে।
সুন্দর করে কথা বলার আগ্রহ সবারই আছে। সুন্দর করে যারা কথা বলেন, তাদের কথা থেকে রুচি আর ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। সুন্দর করে কথা বলাটাও শিল্প। সুন্দর মনের পরিচয় দেয়ার জন্যও কথাই হতে পারে অবলম্বন। আকর্ষণীয় কণ্ঠস্বর না-হলে সুন্দর করে কথা ভলা যায় না, এমনটা কেউ কেউ মনে করেন। কিন্তু শুধু কণ্ঠস্বর আর শুদ্ধ উচ্চারণই সুন্দর কথা বলার জন্য সহায়ক নয়। সঠিক উচ্চারণ আর ব্যক্তিত্ব দিয়েই মানুষ সুন্দর করে কথা বলতে পারেন। যাঁর চিন্তা যতো পরিষ্কার, যাঁর জ্ঞান যতো গভীর, যাঁর মন যতো সংবেদনশীল-তাঁর কথা বলাটাও তেমনি আকষণীয় হয়। অনেক অনেক কথা না-বলে যিনি অল্প কথায় অনেক কিছু বোঝাতে পারেন তিনিই সুন্দর কথক।
আপনি যা শিখছেন তা আপনার জীবনকে পরিবর্তন করতে পারে। এই ধারণা অন্তদৃষ্টি এবং কৌশল লক্ষ লক্ষ পুরুষ ও নারী, তরুণ ও বয়স্ক, ধনী এবং দরিদ্রের আর্থিক সাফল্যের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। এই নীতিগুলাে সহজ, কার্যকরী এবং এর প্রয়ােগের উপায়ও মােটামুটি সহজ। এসব নিয়ম বা নীতিগুলি পরীক্ষিত এবং বার বার প্রয়ােগের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে এবং এসব আপনার জন্যও কাজ করবে যদি আপনি তা গ্রহণ করেন এবং আপনার জীবনে প্রয়ােগ করেন।
মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়, একথা আমরা। জানি। আত্ম-উন্নয়ন' বইটিতে এ-সম্পর্কে অনেক আলােচনা হয়েছে, কিভাবে মননিয়ন্ত্রণ করতে হবে ব্যাখ্যা করে বােঝানাে হয়েছে, নানান ধরনের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা হয়েছে; কিন্তু তারপরেও আমার কাছে পাঠকের চিঠি আসে-বুঝিয়ে লিখেছেন বটে, ভাষাও সহজ, অনেক চেষ্টাও করলাম, কিন্তু সফল হতে পারলাম ; আরও সহজ কোন উপায় আছে শেখার?
তার যথার্থ এবং গুরুতর উদ্দেশ্যের কারণে তিনি অন্য যে কারাে চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভালাে মানের স্টিল উৎপাদন করতে এবং বাজার পেতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং সারাদেশের মধ্যে অন্যতম একজন বিত্তবান ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন এবং সারা আমেরিকা জুড়ে ছােট ছােট শহরগুলােতে পাঠাগার স্থাপন করেছিলেন। তার এই যথার্থ এবং গুরুতর গন্তব্য স্পর্শ করার ব্যাপারটি তার আকাক্ষার চেয়েও বেশি কিছু ছিলাে। এটা ছিলাে তার জ্বলন্ত আকাঙ্ক্ষা। আর শুধুমাত্র এই জ্বলন্ত আকাক্ষা খুঁজে পেলেই আপনি সাফল্য লাভ করতে পারবেন।
এই নিরন্তর ছুটে চলার যান্ত্রিক যুগে আমাদের মানসিক প্রশান্তি ধরে রাখা প্রায়ই সম্ভব হয় না। শৈশব থেকে ক্রমাগত অভিভাবকদের কাছ থেকে আমি কী পারি— তা না শুনে বেশির ভাগ সময় কী পারি না, তা শুনতে শুনতে ‘আত্মমর্যাদা প্রায় তলানিতে পৌছে যায়। আজহারুল ইসলাম এই দুটো খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপরে আলােকপাত করে তা অত্যন্ত সহজবােধ্য এবং আকর্ষণীয়ভাবে পাঠককে উপহার দিয়েছেন। আশা করছি এদেশের পাঠকসমাজ, বিশেষ করে তরুণরা এই বইটি পড়ে এর নির্দেশনাগুলাে নিজেদের জীবনে অনুশীলন করবেন।
নতুন সহস্রাব্দের প্রয়োজনকে সামনে রেখে কোয়ান্টাম মথড বইযের পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করতে সক্ষম হওয়ায় আমরা পরম করুণাময়ের কাছে আমাদের গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।কোয়ান্টাম মেথড মেডিটেশন কোর্সের একশত ক্লাশে প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা, হাজার হাজার কোয়ান্টাম গ্রাজুয়েটের অনুভূমি এবং অসংখ্য পাঠকের অজস্র প্রশ্নের প্রেক্ষিতে পুরো বইটকে পুনর্বিন্যাস্থ করা হয়েছে, নতুন অধ্যায় যোগ করা হয়েছে, পুরানো অধ্যায়গুলোকে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। তাই আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি কোয়ান্টাম মেথডের বর্তমান সংস্করণ থেকে নতুন প্রজম্ম আরও সহজে আত্ম নির্মাণের প্রক্রিয়া আয়ত্ত করে নিজের মেধা ও সম্ভাবনাকে পরিপূর্ণরূপে বিকশিত করতে পারবেন, তাদের জীবনে সাফল্য আসবে সহজ স্বতঃস্ফুর্ততায়। কল্যাণ ও প্রশান্তিতে ভরে উঠুক সবার জীবন।
আমরা কখনােই আমাদের আয়ু সম্পর্কে নিশ্চিত নই। এটা একেবারেই অনিশ্চিত এবং এতে আমাদের কোনাে নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রতিদিন ৩ দশমিক ১৫ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ এবং ১ দশমিক ৫ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এখনকার দিনে অসংখ্য মানুষই চায় তাদের আগ্রহ ও উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে এবং তাদের অনেকেই এমন কিছু খুঁজতে আগ্রহী, যা তাদের উদ্দীপ্ত করে এবং প্রতি সকালে ঘুম থেকে উঠতে বাধ্য করে। আমাদের এই সংক্ষিপ্ত এবং একমাত্র জীবন অর্থবহ হওয়া অবশ্যই জরুরি।
আমরা মানুষেরা খুব অদ্ভুত। আমাদের সবার জন্ম একইভাবে, কিন্তু আমাদের বেড়ে ওঠা, সে বেড়ে ওঠার পরিবেশটা সম্পূর্ণ আলাদা। আমি একরকম পরিবেশ পেয়েছিলাম আমার আর্মি বাবার কাছ থেকে। বাবার আর্মির চাকুরি হওয়ায় আমার প্রায় পাঁচটার মত ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে পড়ার সুবর্ণ সুযােগ হয়েছে । কি সব নিয়ম! চুল কদমছাট রাখাে, ড্রেস পরিষ্কার এবং ফর্মাল রাখাে, সময়ানুবর্তী হও।
‘উন্নত জীবন’ ডাঃ লুৎফর রহমানের মানসিক উৎকর্ষধর্মী প্রবন্ধ গ্রন্থমূহের অন্যতম। বাংলাভাষায় এমন সরল ও অলংকারবিহীন গদ্যে, এমন স্বতঃস্ফূর্ত ও কথোপকথনের ঢঙে মানব কল্যাণমুখী দার্শনিক চিন্তা-ভাবনা সম্বলিত গ্রন্থ বিরল। তিনি যা লিখেছেন, তাকে সত্য বলে বিশ্বাস করেই লিখেছেন, যে কারণে তার উক্তির মধ্যে নির্ভীক দৃঢতা আমরা সহজেই লক্ষ্য করি। বইটি থেকে দু’একটি উদ্ধৃতি দিলেই উক্তিটার সত্যতা ধরা পড়বে : ‘কোন সভ্য জাতিকে অসভ্য করার ইচ্ছা যদি তোমার থাকে, তাহলে তাদের বইগুলো ধ্বংস কর, সকল পণ্ডিতকে হত্যা কর, তোমার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে।’ ‘জাতি যখন দৃষ্টি সম্পন্ন ও জ্ঞানী হয়, তখন জাগবার জন্য সে কারো আহ্বানের অপেক্ষা করে না, কারণ, জাগরণই তার স্বভাব।’ ‘তুমি তোমার ব্যক্তিত্বকে দৃঢ করে তোল। কেই তোমার উপর অন্যায় আধিপত্য করতে পারবে না।’ ‘যারা কাপুরুষ তারাই ভাগ্যের দিকে চেয়ে থাকে। পুরুষ চায় নিজের শক্তির দিকে।
‘নিশ্চিতভাবেই আজ আমরাই আমাদের ভাগ্যের নিয়ন্তা যে কাজ আমাদের হাতে অর্পণ করা হয়েছে, তা আমাদের সাধ্যের বা ক্ষমতার বাইরে নয় এবং এ কাজ সম্পূর্ণ করতে গেলে যে ধরনের কষ্ট ও যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হবে তা আমাদের সহ্যশক্তির বাইরেও নয় আমাদের নিজেদের কাজে যতক্ষণ অবধি আমাদের বিশ্বাস আছে, এবং মনে জেতার অদম্য ইচ্ছা আছে, জয় থেকে আমরা বঞ্চিত হব না।'
মানুষ অদম্য। অপরাজেয়। শারীরিক প্রতিবন্ধিতাও তাকে নিরস্ত্র করতে পারে না। ক্রাচে ভর করে মানুষ উঠে পড়ে সুউচচ পর্বতের চূড়ায় । দুই হাত নেই, দুই পায়ে লিখে কেউ-বা অর্জন করে সর্বোচ্চ ডিগ্রি। তেমনি অর্থনৈতিক বাধা, সামাজিক বাধা, প্রাকৃতিক বাধা জয় করেই মানুষ এগােতে থাকে ।
ছােট ছােট ভাবনা, ছােট ছােট স্বপ্ন আর ছােট ছােট কাজের সমষ্টিই জীবন। প্রতিটি চিন্তা, প্রতিটি স্বপ্ন, প্রতিটি কাজই জীবনকে প্রভাবিত করে। আর সে প্রভাব ইতিবাচক হবে না নেতিবাচক হবে তা নির্ভর করে জীবনদৃষ্টির ওপর। সাফল্যের পেছনে নেপথ্য ভূমিকা পালন করে সঠিক জীবনদৃষ্টি। আর। ব্যর্থতার পেছনে সুপ্ত থাকে ভ্রান্ত জীবনদৃষ্টি। জীবন কণিকায় ছােট ছােট বাক্যে আলােকিত মানুষের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিকেই তুলে আনা হয়েছে। আর দৃষ্টিভঙ্গি সঠিক হলে আপনিও সহজ স্বতঃস্ফুর্তায় এগিয়ে যাবেন সফল জীবনের পথে ।
জীবন বদলাতে হলে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হলে প্রথম বিশ্বাস করতে হবে যে, আমি আমাকে বদলাতে পারব। বিশ্বাস করে কতজনই তাে বদলেছেন নিজেকে। জন্মেছেন দরিদ্র পরিবারে। বেড়ে উঠেছেন অযত্ন-অবহেলায়। পরিণত জীবনে হয়েছেন খ্যাতিমান-ক্ষমতাবান। ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি বিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালাম, হােন্ডা মােটরস-এর মালিক সইচিরাে হােন্ডা, ব্রাজিলের রাষ্ট্রনায়ক লুলা দা সিলভা আর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক হােসেন ওবামা এই বদলে যাওয়া মানুষদেরই কয়েকজন। এরা জন্মগ্রহণ করেছিলেন কুঁড়েঘরে। পরিণত জীবনে থেকেছেন।
প্রতিদিন রাত্তিরে দারুণ যন্ত্রণা নিয়ে ঘরে এসে পৌঁছতাম-হতাশ, চিন্তা, তিক্ততা আর বিদ্রোহের চিন্তায় সেই মাথার যন্ত্রণা। বিদ্রোহের কথা জাগতাে আমার কলেজের সেই স্বপ্নের কথা ভেবে। ভবিষ্যৎ জীবনের কত স্বপ্নময় ছবিই না সে সময় আঁকতাম—আজ সেসব হয়ে উঠেছে দুঃস্বপ্ন। এটাই কি জীবন? যে স্বপ্নবিষ্ট ভবিষ্যতের কথা ভেবেছি এটা কি তাই? এটাই কি আমার কাছে জীবনের অর্থ—যে কাজ পছন্দ করি তাই করা, আরশােলাময় ঘরে থাকা, নােংরা খাবার খাওয়া-আর ভবিষ্যতের কোন আশা না রাখা? ...আমি শুধু চাইতাম পড়তে আর কলেজ জীবনে যে বই লেখার স্বপ্ন দেখতাম আমি লিখতে।
আমরা কিভাবে চিন্তা করি, কিভাবে চিন্তা করলে আমাদের মনের ব্যাপকতা ও উদারতা বৃদ্ধি পাবে এবং কিভাবে চিন্তা করলে আমরা নতুন নতুন কৌশলের সন্ধান লাভ করার ক্ষেত্রে সফল হতে পারব। এভাবে সঠিক উপায় অবলম্বন করে আমরা আমাদের যৌক্তিক ও সৃজনশীল চিন্তা শক্তিকে সীমাহীন অবস্থায় প্রসারিত করতে পারি।
তিনি নমরুদ কর্তৃক নানাভাবে নির্যাতিত হয়েও প্রাণ ধারণ করতে সক্ষম হলেন। আল্লাহর কুদরতে তিনি নমরুদ কর্তৃক জ্বলন্ত অগ্নিতে নিক্ষেপিত হয়েও, কোনভাবে আঘাতপ্রাপ্ত না হয়ে সেই অগ্নিকুণ্ড থেকে অক্ষতদেহে বেরিয়ে আসতে সমর্থ হলেন। এতে আল্লাহ সম্বন্ধে তাঁর মননশীলতাজাত ধারণা দৃঢ় থেকে দৃঢ়তরভাবে তার মানসে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীকালে আল্লাহর আদেশ তার কাছে সবচেয়ে প্রিয়বস্তু কোরবান করার যে ফরমান এলাে, এবং মেষ বা উটের পাল কোরবানী করেও যখন তিনি আল্লাহর মনস্তুষ্টি করতে পারেননি, তখন তার কাছে এ সত্যটিই প্রতিভাত হলাে যে, মেষ বা উট তার কাছে সবচেয়ে প্রিয়তম বিষয় নয়— তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রিয়তম হচ্ছেন একমাত্র পুত্র ইসমাইল।
There are other things the student would rather do. There is, in fact, hardly anything she would not rather do. She knows this quite clearly, because she spent a substantial portion of the previous weekend computing a different—but not very different—list of thirty definite integrals. She doesn't see the point, and she tells her teacher so. And at some point in this conversation, the student is going to ask the question the teacher fears most: