Categories


কিশোর মুসা রবিন : রেড উড বনের রহস্য

চুপ করে ভাবতে লাগল কিশাের আর মুসা। সেভ দা ওয়াইল্ডলাইফ’-এর স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে গত ১০ বছর ধরে ক্রসকাটে আছেন গ্রেন ফোর্ড। এত বছর ধরে বিপন্ন গাছপালা রক্ষণাবেক্ষণ আর তাতে বসবাসকারী প্রাণিদের সংরক্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। আশা করছেন এতদিনের পরিশ্রমে তিনি এলাকাবাসীকে এটুকু বােঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে বনবাদাড় ধ্বংস না করেও অন্যভাবে জীবিকা নির্বাহ করা সম্ভব।

দীর্ঘ দিন ধরে স্বেচ্ছাসেবী-কর্মী নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। কেউ টিকেছে, কেউ চলে গেছে, তার জায়গায় নতুনেরা যুক্ত হয়েছে। কাঠশ্রমিক আর মিল মালিকেরা তাদের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ানাের জন্য আঙ্কেল গ্রেনের ওপর বিরক্ত। কিন্তু তিনি পরােয়া করেন না এসব। এখানে তাঁর সংগঠনটা ‘ওয়াইল্ডার’ ডাকনামে পরিচিত। ক্ৰসকাটে দুটো দল হয়ে গেছে এখন। একদল গাছ কাটার পক্ষে, আরেক দল বিপক্ষে। দুদলের মধ্যে কোল্ড ওয়ার চলছে। গত এক বছরে একদল কাঠশ্রমিক আর অতি উৎসাহী ওয়াইল্ডারদের মধ্যে বেশ কিছু হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে গেছে।

 


তিন গোয়েন্দা ভলিউম-১৪৪

হ্যালাে, কিশাের বন্ধুরা -

আমি কিশাের পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে।

 জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে,

 হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। 

 যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানাে না, তাদের বলছি,


হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা

অনেক দিন আগের কথা। হ্যামেলিন নামে একটি শহর ছিলাে। সেই শহরটি ছিলাে খুবই সুন্দর। কিন্তু হ্যামেলিন শহরে যারা বাস করতাে

তাদের মনে কোনাে আনন্দ ছিলাে না। তাদের সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছিলাে ইঁদুর। শত শত ইঁদুর। হাজার হাজার ইঁদুর। লাখ লাখ ইঁদুর। ছিমছাম শহর হ্যামেলিনের সবখানে শুধু ইঁদুর আর ইঁদুর।

 


প্রসূনদের জন্য ভালোবাসা প্রভাষ আমিন

একটা ফায়ার বক্স। কতই বা দাম। এক টাকা-দুই টাকা। অযতœ অবহেলায় পড়ে থাকে চুলোর কোনো কোনে। যখনই কেউ একটি কাঠি নিষে ঘর্ষণ করে তখনই প্রজ্জ্বলিত হয়ে তার ক্ষমতা দেখায়। লেগে যেতে পারে ভয়াবহ তান্ডব। হাজার হাজার অগ্নি নির্বাপণ কর্মীর ছুটাছুটি। ‘প্রসূনদের জন্য ভালবাসা’। এই একটু ভালবাসার ঘর্ষণই পারে তাদেরকে প্রস্ফুটিত করতে, জ্বালিয়ে তুলতে। বইটি লেখকের একমাত্র সন্তান প্রসূনকে নিয়ে লেখা। প্রসূনদের বয়সী হাজারো প্রসূনকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে লেখা কলাম ও ফেসবুক স্ট্যাটাসের সংকলন এটি। বিমান আর ঘুড়ি দুটোই বাতাসে ভেসে বেড়ায়। কিন্তু বিমানকে যেমন সুতো দিয়ে বাঁধা যায় না তেমনি ঘুড়িকে বিমানের মতো মুক্ত করে দেয়া হলে উড়তে পারে না। যাকে তার মতোই চলার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হয়। প্রসূনদের জীবন এখন এক গাদা বইয়ের মাঝে বন্দী। প্রসূনদের জীবন এখন ২২ গজের ক্রিকেট ক্রিজ পেড়িয়ে কম্পিউটার গেমসের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কর্পোরেট জীবনের ইট-সুরকিতে চাপা পড়ে যাচ্ছে তাদের শৈশব।


কোরিয়ার রূপকথা

কোরিয়ায় অনেক ছােট-বড় পাহাড় আছে। পাহাড়ের কোল বেয়ে বয়ে চলেছে ঝরনাধারা। বড় বড় আকাশছোঁয়া গাছপালা চারপাশে। দূরে সরু রেখার মতাে পাহাড়ি নদী। এরকমই এক ক্ষীণস্রোতা পাহাড়ি নদীর পাশে ছােট্ট এক কুঁড়েঘর । সেই ঘরে বাস করে তিনটি সুন্দরী ছােট মেয়ে আর তাদের মা। পাহাড়ের কোলে কোলে তারা খেলে বেড়ায়। গাছের ফলমূল পেড়ে খায়। ঝরনার জলে স্নান করে।

বড় মেয়েটার নাম ছিল হায়সুনি। অর্থ হচ্ছে সূর্য। মেজো মেয়েটার নাম টায়সুনি।

 


ভবিষ্যতে যাওয়া যাবে, যাবেনা পিছন ফেরা

ছয়জনকে সময় সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে বললে ছয়জনই অন্ধজনের হাতির আকার বর্ণনা করার মতােই ছ'রকম উত্তর দেবে। একজন পদার্থবিজ্ঞানী বলেন, সময় হলাে বিশ্বের মূল দুটি কাঠামাের একটি, অন্যটি হলাে স্থান। ঘড়ি মিস্ত্রির কাছে সময় হলাে তার হাতের কাজের টিক্ট। একজন সায়েন্স ফিকশনের আগ্রহী পাঠকের কাছে সময় হলাে ফোর্থ ডাইমেনশন। একজন জীববিজ্ঞানী সময়কে দেখে । চক্র হিসেবে, যা উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলকে প্রকৃতির পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের সাথে সমন্বয় রাখতে সাহায্য করে। একজন ব্যাংকারের কাছে সময় হলাে টাকা, যখন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সময়কে বিবেচনা করেন অনন্তকাল ধরে ফিরে আসা প্রকৃতির চক্র হিসেবে। মনােবিজ্ঞানীরা বলেন, দুই বছরের কমবয়সী শিশুদের সময়প্রবাহ সম্পর্কে খুব অল্পই বােধ আছে। এই ব্যাপারটা সম্ভবত আমাদের আদিম পূর্বপুরুষদের বেলায়ও প্রযােজ্য।

 


সাপ

সাপের কামড়ে মানুষ মারা যায়। কিন্তু মৌমাছির কামড়ে যে এরচেয়ে তিনগুণ মানুষের মৃত্যু হয় তা আমাদের জানা নেই। সাপ হলেই যে বিষধর তা ঠিক নয়। পৃথিবীর সকল প্রজাতির সাপের মাত্র ১০ ভাগ বিষধর। সাপ আমাদের অনেক উপকারেও আসে। এদের ঘিরে রয়েছে নানামুখী গবেষণা ও ব্যবসা-বাণিজ্য। সাপ পরিবেশ-চক্রের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের প্রকৃতিকে জানতে হলে জানতে হবে সাপ-গোষ্ঠীকেও। জানতে হবে বিজ্ঞানের আলোকে, কুসংস্কার ও অপবিজ্ঞানের আঙ্গিকে নয়। সাপের আদ্যন্ত জানতে হলে এ বইয়ের জুড়ি নেই।


হরর কাহিনি পিশাচ-চক্র

এক কুড়ির চেয়ে একটি কম, অর্থাৎ ঊনিশটি গল্প স্থান পেয়েছে এই সংকলনটিতে। যাঁরা হরর কাহিনি পড়তে ভালবাসেন তাঁরা বইটি লুফে নেবেন-একথা জোর দিয়ে বলতে পারি। পাঠক, আর দেরি না করে চলুন সংকলনটির শিরোনাম গল্প পিশাচ চক্র’র খানিকটা অংশ জেনে নেই। তখন ছিল মাঘ মাস। খোলা রাস্তায় কুয়াশার মধ্যে হাঁটতে গিয়ে টের পেলাম, ‘মাঘের শীতে বাঘে কাঁপে’ কথাটা কতটুকু সত্যি। গ্রামের সীমানায় পৌঁছাতে রাত তিনটা বেজে গেল। কী মনে করে যেন ঘড়িটা দেখেছিলাম, তাই ঠিক সময়টা বলতে পারছি। তা হাঁটতে হয়েছিল মাইল পাঁচেকের মত। গ্রামে ঢোকার পথ দুটো। একটা সোজা, সড়ক ধরে। অন্যটা সোজা, সড়ক ধরে। অন্যটা আড়াআড়ি-শ্নাশানের ধার ঘেঁষে। সড়ক ধরে গেলে বেশ দেরি হবে। অতটা পথ হেঁটে ক্লান্ত লাগছিল, আর শীতে তো কাঁপছিলই। তাড়াতাড়ি হবে ভেবে সড়ক ছেড়ে আড়াআড়ি পথটাই ধরলাম। আর সব শ্মাশানের মত আমাদের গ্রামের শ্মাশানটারও নানা রচনা ছিল। যা হোক, হাঁটছি যতটা জোরে হাঁটা সম্ভব। শ্মাশানটার কাছাকাছি আসার পর থমকে দাঁড়ালাম। দেখি কী, পথের ধারের বড় তেঁতুল গাছটার তলে কী একটা ঠেস দেওয়া। কিছু মানুষের মত মনে হচ্ছিল। তেঁতুল তলাটা ছায়া-ছায়া হওয়াতে ঠিক কী ওটা ঠাহর করতে পারছিলাম না। অন্য সময় যতবারই শ্মশানে এসেছি, দলবেঁধে এসেছি। আজ তো একা, কিন্তু তাই বলে এমন ভয়ও পাইনি যে নড়ার শক্তি নেই। মনে মনে ভগবানকে স্বরণ করে পা বাড়ালাম.... বইটির বাকি দেড় ডজন গল্প একেকটি একেক স্বাদের। একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে ওঠার উপায় নেই। ‘পিশাচ-চক্র’ শীঘ্রি পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করবে।


মবি ডিক

প্রিয় কিশোর-কিশোর বন্ধুরা, বিশ্বখ্যাত ক্লাসিকগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইংরেজিতে এবং বড়দের জন্যে লেখা। তাই সেগুলো তোমাদের সহজে পড়া হয়ে ওঠে না। এ কারণেই তোমাদের জন্যে আমাদের এ প্রয়াস বিশ্ববিখ্যাত লেখকদের সেরা রচনাগুলো তোমাদের উপযোগী ভাষা ও পাতায় পাতায় ছবির মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের এ সিরিজের বইগুলো পড়ে তোমাদের একদিকে যেমন হবে সৃজনশীলতার বিকাশ, অন্যদিকে পাবে বিশ্বসাহিত্যের বিশ্বসেরা ফিকশনগুলো পাঠের আনন্দ।


তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১৪১

মেরি চাচী কিশােরকে বললেন, “তােকে খুব মিস করব!’ গাড়ি থামালেন এয়ারপাের্টে। র্যামিকে আমার ভালবাসা জানাস, কেমন?

কিশাের, মুসা আর রবিন ওদের বন্ধু র্যামি ডি ক্রুজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যােগ দিতে যাচ্ছে। ভারত মহাসাগরে কন্ট্রা নামে ছােট্ট এক দ্বীপরাষ্ট্রে বাস করে র্যামি। ওর বাবা-মা দ্বীপটির রাজা-রানী।

ছেলেরা মেরি চাচীকে জড়িয়ে ধরে বিদায় জানাল। এবার সাদা শার্ট আর কালাে প্যান্ট পরা এক লােক এক কার্টে ওদের মালপত্র তুলতে সাহায্য করলেন।

 


কালু ডাকাত

নীলপুর আর আশেপাশের গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কালু ডাকাতের অত্যাচারে। আজ এই গ্রামে তো কাল ঐ গ্রামে ডাকাতি করছে কালু ডাকাত আর তার দল। ভয়ে সন্ধ্যার পর কেউ দরজা জানালা খোলা রাখে না এই গ্রামগুলোতে। এই কালু ডাকাতকে ধরার প্রজেক্ট হাতে নেয় শিশিলিনের ক্ষুদে গোয়েন্দারা। কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি কালু ডাকাত আর তার দলের সদস্যরা কতটা ভয়ংকর। গোপন ফাঁদ পেতে তারা বন্দি করে ফেলে লেলিনকে। হাত-পা মুখ বেঁধে তাকে নিয়ে যায় কাফনঝিলে। সেখানে লেলিনের চোখের সামনেই কবর খোঁড়া হয়। ঐ কবরে জ্যান্ত মাটি দেয়া হবে লেলিনকে। লেলিন মুক্তির জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করতে থাকে। একসময় বুঝতে পারে তার মুক্তির আর কোনো উপায় নেই। কারণ সে যে এখানে বন্দি তা কেউ জানে না। এমন কী শিশিরও না। তাহলে কে তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাবে? আর কে আটক করবে কালু ডাকাত আর তার দলকে? শেষ পর্যন্ত কী শিশির উদ্ধার করতে পেরেছিল লেলিনকে? আর ধরতে পেরেছিল দুর্ধর্ষ কালু ডাকাত আর তার দলের ভয়ংকর সদস্যদের?


ইতিহাসের গল্প-১ : ভারত শাসন করলো যারামোঃ জেহাদ উদ্দিনবইঘর

ভারতের মাটিতে ইসলামের বিজয় পতাকা প্রথমে উড়ান মুহাম্মদ বিন কাসিম। সময়টি ছিল ৭১২ ঈসাব্দ। ইসলামের সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাতের ৮০ বছর পর। তবে ভারতে ইসলামের শুরু কিন্তু মুহাম্মদ বিন কাসিমের বহু আগে থেকেই।

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায়ই ভারতে ইসলাম প্রচারিত হয়। খালিদ বিন অলিদ (রা.) নিজে ইসলাম গ্রহণের পর পরই ইসরাইল, আফগান ও নিজের গােত্রের লােকদের ইসলামের দাওয়াত দিয়ে পত্র দিয়েছিলেন।