হ্যাকিং হচ্ছে এক ধরনের আর্ট যেটা অনুশীলন করলে Log in access details বা password ছাড়াই অন্য কারাে কম্পিউটার, স্মার্টফোন অর্থাৎ ইন্টারনেট সংযুক্ত যেকোনাে ডিভাইস, ওয়েবসাইট, নেটওয়ার্কের সিকিউরিটি সিস্টেম ভেঙে অনৈতিকভাবে প্রবেশ করে নিজের প্রয়ােজনমত ব্যবহার করা যায় । অথবা বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে ভিক্টিমের Log in details বের করে তারপর সেটা দিয়ে ভিক্টিমের অ্যাকাউন্টে অ্যাক্সেস নেয়ার প্রক্রিয়াই হচ্ছে হ্যাকিং।
সূচীপত্র
* ভূমিকা
* লেখক পরিচিতি
* অধ্যায় এক : আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং
* অধ্যায় দুই : বিভিন্ন ধরনের লার্নিং এবং অন্যান্য
* অধ্যায় তিন : লিনিয়ার রিগ্রেশন
* অধ্যায় চার : লজিস্টিক রিগ্রেশন
* অধ্যায় পাঁচ : সাপোর্ট ভেক্টর মেশিন – SVM
* অধ্যায় ছয় : কে-নিয়ারেস্ট নেইবর
* অধ্যায় সাত : কে-মেনস ক্লাস্টারিং
* অধ্যায় আট : নেটিভ বাইস ক্লাসিফিকেশন
* অধ্যায় নয় : ডিসিশন ট্রি
* অধ্যায় দশ : প্রিন্সিপাল কম্পোনেন্ট এনালাইসিস – PCA
* অধ্যায় এগারো : প্রিসেপশন
* অধ্যায় বারো : একটু খানি নিউরাল নেটওয়ার্ক
* অধ্যায় তেরো : পারফরমেন্স
* অধ্যায় চোদ্দো : এরপর কি?
বেশ কিছু আলাদা সফটওয়্যার থাকে যা ব্যবহার করতে অনেক সমস্যা তৈরি হয়ে থাকে। এসব সফটওয়্যার ব্যবহারের কারণে কম্পিউটার সিস্টেম আনস্ট্যাবল হয়ে পড়ে। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খুব সহজে আপনি তৈরি করে নিতে পারেন ডায়ালআপ কানেকশন এবং সহজে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। ডায়ালআপ কানেকশন তৈরির জন্য প্রথমে মডেমটি System 4 Connect PC Start > Control Panle > Network Connections open করে Create New Connection এ ক্লিক করুন। এবার নিউ কানেকশন উইজার্ডে Connect to the internet সিলেক্ট করে next এ ক্লিক করুন। এবার Set up my connection manually সিলেক্ট করে next এ ক্লিক করুন। এবার Connect using a dial-up modem সিলেক্ট করে next এ ক্লিক করুন। এবার আপনার পিসিতে কানেক্টেড মডেমগুলাের লিস্ট দেখাবে। মডেমের লিস্ট থেকে আপনার এজ/জিপিআরএস মডেমটি সিলেক্ট করে ISP Name এ যে কোনাে কিছু লিখে next এ ক্লিক করুন। এবার Phone Number এ আইএসপি ডায়াল আপ নাম্বারটি লিখুন। গ্রামীনফোনের ক্ষেত্রে লিখুন *৯৯***১# বা *৯৯#। এবার ইউজারনেম পাসওয়ার্ড বক্স যেমন আছে তেমন রেখে next এ ক্লিক করুন। সাধারণ আইএসপি’র ক্ষেত্রে এখানে আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রােভাইডার কর্তৃক দেয়া ইউজার নাম ও পাসওয়ার্ড দিতে হয়। সবিশেষ Add a shortcut to the connection to desktop চেক করে Finish করুন। হয়ে গেল আপনার ডায়ালআপ কানেকশন।
২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে আমি প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ি। ধার করে, জমি বিক্রি করে চাকরির জন্য ঘুষ দিয়েছিলাম ১২ লক্ষ টাকা। চাকরিও হয়নি, টাকাও ফেরত পাইনি। আবার আমার বেতনের চেক দিয়েও ধার নিয়েছিলাম দুই লক্ষ টাকা। বেতন পেতাম মাসে ১২ হাজার। এর মধ্যে সুদই দিয়ে গেছি মাসে ১০ হাজার করে। ছয় বছর পর্যন্ত শুধু সুদই দিয়ে গেছি। পাওনাদাররা আমার বিরুদ্ধে মামলা করে। আমার পারিবারিক এবং শিক্ষকতা জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলে।
অনলাইনে অনেক ফাপড়বাজ মানুষের সাথেও পরিচয় হয় যারা ভাব নেয় অনেক কিছু পারে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই পারে না তবে ডিমোটিভেট করার জন্য প্রস্তুত। এসব মানুষ আরো বেশি হতাশ করে দিত। তখন থেকেই বেছে বেছে ডিমোটিভেট মানুষদের কাছ থেকে দুরে সরতে থাকি। এটাও বলতে গেলে কাজেরই একটা অংশ।
মাইক্রোটিক রাউটার পরিচিতি
মাইক্রোটিক কী? মাইক্রোটিক হলাে, একটি নেটওয়ার্ক প্রডাক্ট প্রস্তুতকারী কোম্পানির নাম। এই কোম্পানি, ১৯৯৬ সালে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। কোম্পানিটি লাটভিয়ার রিগা শহরে অবস্থিত। তাদের তৈরিকৃত নেটওয়ার্কিং প্রডাক্টের মান ভালাে এবং কম মূল্য হওয়ার সাথে সাথে । সার্ভিসের জন্য আজ সবার কাছে সুপরিচিত। আপনি যদি মাইক্রোটিক কোম্পানির তৈরিকৃত প্রডাক্টের কোনাে সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে support@mikrotik.com-এ সরাসরি ই-মেইল করতে পারেন। তাদের কর্তৃপক্ষ ৩ কার্যদিবসের মধ্যে আপনাকে ই-মেইলের রি-প্লে দিয়ে থাকে।
দেশ হিসেবে আমরা বিভিন্ন মাপকাঠিতে অন্যান্য অনেক দেশ থেকে পিছিয়ে থাকলেও, একটি দিকে আমরাও এগিয়ে এসেছি অনেকখানি। আর সেটি হলাে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির প্রসার। দেশের আনাচকানাচে মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে উন্নত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইন্টারনেট সেবা। এরকম একটা সময়ে পৃথিবীর সবার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সব স্তরের মানুষের জন্যই নতুন যে বিদ্যাটি জানা নিতান্ত প্রয়ােজন হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হলােকম্পিউটার প্রােগ্রামিং। বয়স, ক্যারিয়ার ও শিক্ষাগত যােগ্যতা নির্বিশেষে প্রােগ্রামিংয়ের জ্ঞান ছাড়া বর্তমান বিশ্বে টিকে থাকা প্রতিদিনই ‘গতকালের চেয়ে কঠিন’ হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রােগ্রামিং শিক্ষার প্রসারও হচ্ছে ধীরে ধীরে। দেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আয়ােজিত হচ্ছে। প্রােগ্রামিং ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও প্রতিযােগিতা। প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী প্রােগ্রামিং শিখতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। তবে, এই বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীর জন্য যথাযথ গাইডলাইন পাওয়া যেমন কঠিন, ভুল পথে পরিচালিত হওয়াটা তেমনই সহজ। সবার মনেই প্রথমে যেসব প্রশ্ন জাগে তা হলাে, কেন শিখব? কী কাজে লাগবে? কীভাবে শিখব?কতটুকু শিখব? কোথা থেকে শিখব? শেখার পরে কী করব? ইত্যাদি। এই বইয়ে লেখক তামিম শাহরিয়ার সুবিন এই বিষয়েই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সুবিন ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় প্রায় এক দশকের। দীর্ঘদিন তাঁর সান্নিধ্যে থেকে কাজ করেছি আমি। তাঁর কাছ থেকে শিখেছি অনেক কিছু। জটিল বিষয় সাবলীল ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে আলােচনা করার অদ্ভুত গুণ রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিগ ডেটা, মেশিন লার্নিং, আইওটি, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স রােবটিক্স ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখতে পাই। আবার কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা দেখি ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসাের্সিং বিষয়ে।
গত কয়েক বছর ধরে প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে লিখছি। আমার এই লেখাগুলো বিভিন্ন সময়ে প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে। অনেক দিন ধরেই অনেক পাঠক অনুরোধ করে আসছে সবগুলো লেখা একসাথে করে একটি বই বের করার জন্য। ‘লেখাগুলো যখন পেপারে ছাপা হয় তখন পড়ে ভালোই লাগে কিন্তু লেখাগুলো আর সংগ্রহ করে রাখা হয় না। কিন্তু পড়ে যখন লেখাগুলো প্রয়োজন পড়ে তখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই লেখাগুলো দিয়ে যদি একটি বই বের করেন তাহলে প্রয়োজনের সময় লেখাগুলো খুঁজে পেতে অনেক সহজ হবে।’
কিন্তু সময় স্বল্পতার জন্য বই আর বের করা হয় না। এবার অনেকদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি বই বের করার। তার সাথে লেখাগুলো আপডেটও করেছি। অবশেষে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের সমস্যার উপর একটি বই বের করেই ফেললাম। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট টিপস।
পাইথন একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও শক্তিশালী প্রোগ্রামিং ভাষা। বিভিন্ন রকমের সফটওয়্যার তৈরিতে যেমন পাইথনের ব্যবহার আছে, তেমনি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রোগ্রামিং শেখানোর জন্যও পাইথন বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে প্রোগ্রামিং এসেনশিয়ালস কোর্সে পাইথন দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কাজটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জীবনে প্রথম প্রোগ্রামিং কোর্সটির গুরুত্ব অপরিসীম। এই কোর্সে পিছিয়ে পড়লে কিংবা প্রোগ্রামিংয়ের নেশায় না মাতলে শিক্ষার্থীদের বাকী শিক্ষা জীবন খুব বেশি আনন্দময় হয় না। অন্যদিকে প্রোগ্রামিংয়ের মজাটা একবার পেয়ে গেলে এবং বেসিক জ্ঞান ও দক্ষতাটুকু অর্জন করে ফেললে সামনে চলার পথটুকু অপেক্ষাকৃত মসৃণ হয়। তাই শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে প্রোগ্রামিংয়ের জগতে প্রবেশ করানোর দায়বদ্ধতা থেকেই বইটি লেখা। বইটি ঠিকভাবে অনুসরণ করলে এবং সেই সঙ্গে প্রোগ্রামিংয়ের পেছনে সময় দিলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি কোনো ভীতি তো থাকবেই না, বরং তারা আরো বেশি প্রোগ্রামিং চর্চা করতে উৎসাহিত হবে।
আমার প্রিয় মানুষ হবু ডক্টর এর কাছে গিয়ে টাকাটা হাতে নিয়ে বললাম, ‘এসেছে। আমাদের দুজনের চোখ দিয়ে টপ টপ করে জল পড়ছে কিন্তু আমরা হাসছি, আনন্দের হাসি। নিজেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ। সে বলল, ‘সবার কথায় আমরা কান দেইনি, দিবও না। তুমি এখনো শেষ হয়ে যাওনি, এখন তোমার শুরু।’
একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের জীবনী যদি জানতেন তবে আপনি নিজেই প্রত্যেককে ‘লিজেন্ড’উপাধিতে ভূষিত করতেন। বিশ্বাস করুন তাঁরা শতবার ব্যর্থ হয়েছে। কাউকে সে কথা বলেনি। রাতের পর রাত পার করেছে শুধু স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য। কিন্তু যখন একজন ছোটভাই তাঁর কাছে এসে আবদার করে, ‘ভাইয়া, দয়া করে আমাকে সহজে ইনকাম করার কোনো উপায় দেখিয়ে দিন।’তখন বড় ভাইটি লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়ার মতো বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে।
কর্মক্ষেত্রে আপনি যে পদেই থাকুন না কেন, মাইক্রোসফ্ট এক্সেল আপনার কাজকে আরেকটু সহজ করে দিতে পারে। সাধারণ ব্যবহারকারীরা যেসব কাজ ২ থেকে তিন দিন সময় নিয়ে করবে, এক্সেলে পারদর্শী ব্যক্তি সে কাজটি মাত্র ২-১ ঘন্টায় করে ফেলতে পারেন। শুধু তাই নয়, এক্সেল ব্যবহার করে ইন্টেলিজেন্ট অ্যাপ্লিকেশন বানানাে যায়, যা কিনা আপনার হয়ে ডিসিশন নিতে পারবে, একা একাই রিপাের্ট জেনারেট করতে পারবে। সুতরাং এক্সেল শুধু যােগ-বিয়ােগ করার জন্যই নয়- বরং চিঠিপত্র লেখা, প্রেজেন্টেশন, ডেটাবেইস ম্যানেজমেন্ট, এনালাইসিস, ডিসিশন মেকিং- এমনকি কাস্টমাইজড এপ্লিকেশনও তৈরি করা সম্ভব এম এস এক্সেলের সাহায্যে। আর আপনাকে মাইক্রোসফট এক্সেল এর যাদুকরী টিপস এ্যান্ড ট্রিকস সহজে রপ্ত করে নিতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমরা আশা করছি যে এই সহায়িকাটি আপনাদের উপকারে আসবে। আর তা হলেই আমাদের প্রচেষ্টা স্বার্থক। আপনাদের সুচিন্তিত মতামত এবং সুপরামর্শ ভবিষ্যতে বইটির কলেবর বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে, বিশ্বাস করি।
ভূমিকা
কম্পিউটারের জন্ম হয়েছিল কম্পিউট বা হিসাব করার জন্য। এখন কম্পিউটারে মানুষ গান শোনে, সিনেমা দেখে, চিঠি লেখে, ফেসবুক করে, ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে, এমনকি চুরিচামারি পর্যন্ত করে কিন্তু হিসাব করে না! অথচ কম্পিউটারে কম্পিউট করার মতো আনন্দ আর কিছুতে নয়, সেটি করার জন্য যেটি জানা দরকার, সেটি হচ্ছে একটুখানি প্রোগ্রামিং।
ইউনিভার্সিটিতে বা বড়ো বড়ো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রোগ্রামিং শেখানো হয় কিন্তু স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরাও যে খুব সহজে প্রোগ্রামিং করতে পারে, সেটি অনেকেই জানে না। আমি অনেক দিন থেকেই ভাবছিলাম, স্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্য এরকম একটি বই লিখি; কিন্তু কিছুতেই সময় করে উঠতে পারছিলাম না।
ঠিক এরকম সময় আমার ছাত্র সুবিনের এই পাণ্ডুলিপিটি আমার চোখে পড়েছে। আমি অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, আমি যে জিনিসটি করতে চেয়েছিলাম, সুবিন ঠিক সেটিই করে রেখেছে! স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের জন্য একটি প্রোগ্রামিংয়ের বই লিখেছে, খুব সহজ ভাষায়, খুব সুন্দর করে গুছিয়ে।
আমি তার এই চমৎকার বইটির সাফল্য কামনা করি। ছেলেমেয়েরা গান শোনা, সিনেমা দেখা, চিঠি লেখা, ফেসবুক করা, ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করার পাশাপাশি আবার কম্পিউটারের মূল জায়গায় ফিরে আসুক – সেই প্রত্যাশায় থাকলাম।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল,
অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
লেখক ও শিক্ষাবিদ
সূচীপত্র
ভূমিকা
লেখক পরিচিতি
লেখকের কথা
বইটি সম্পর্কে মতামত ও রিভিউ
অধ্যায় শূন্য : শুরুর আগে
অধ্যায় এক : প্রথম প্রোগ্রাম
অধ্যায় দুই : ডেটা টাইপ, ইনপুট ও আউটপুট
অধ্যায় তিন : কন্ডিশনাল লজিক
অধ্যায় চার : লুপ (Loop)
অধ্যায় পাঁচ : একটুখানি গণিত
অধ্যায় ছয় : অ্যারে
অধ্যায় সাত : ফাংশন
অধ্যায় আট : বাইনারি সার্চ
অধ্যায় নয় : স্ট্রিং (string)
অধ্যায় দশ : মৌলিক সংখ্যা
অধ্যায় এগারো : আবারও অ্যারে
অধ্যায় বারো : বাইনারি সংখ্যা
অধ্যায় তেরো : কিছু প্রোগ্রামিং-সমস্যা
অধ্যায় চোদ্দো : শেষের শুরু
পরিশিষ্ট শূন্য : অ্যালগরিদম ও ফ্লোচার্ট
পরিশিষ্ট এক : প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা
পরিশিষ্ট দুই : প্রোগ্রামিং ক্যারিয়ার
পরিশিষ্ট তিন : বই ও ওয়েবসাইটের তালিকা
বিশ্বের প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর মধ্যে নানান রকমের র্যাংকিং করা হয়। যেসব গ্রহণযোগ্য র্যাংকিং আছে, সবগুলোতেই প্রথম তিনটি প্রোগ্রামিং ভাষার একটি হচ্ছে পাইথন। গত এক দশকে প্রোগ্রামিং শেখা ও প্রফেশনাল জগতে পাইথনের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। আগামী দশকেও পাইথন বিশ্বব্যাপী একটি শীর্ষস্থানীয় প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবেই থাকবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ইতিপূর্বে সবাইকে পাইথন দিয়ে প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ‘পাইথন দিয়ে প্রোগ্রামিং শেখা’ নামে একটি বই লিখেছি। আর এই বইতে আমরা পাইথন দিয়ে কিছু বাস্তব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব এবং সেটি করতে গিয়ে আরো বেশি পাইথন শিখব।
বইটি রিভিউ করেছেন তাহমিদ রাফি ও আবু আশরাফ মাসনুন। তাঁদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। এ ছাড়া যেসব পাঠক আমাকে উৎসাহ দিয়েছে, তাদের জন্য ভালোবাসা রইল। আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশকে প্রোগ্রামিংয়ের পথে অনেকদূর নিয়ে যাব।
ভালো প্রোগ্রামার হতে গেলে দরকার হচ্ছে অনুসন্ধিৎসু মন। এটি অবশ্য কেবল প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রেই নয়, বরং আরো অনেক ক্ষেত্রেই দরকার। বাংলাদেশে থাকার সময় যখন গণিত অলিম্পিয়াডের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতাম, সেখানে স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেমেয়েরা আমার কাছে প্রোগ্রামিং নিয়ে জানতে চাইত। তাদের সেই জানার আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করলেও তারা ঠিক কোন বই পড়ে প্রোগ্রামিং শুরু করবে, সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর আমার জানা ছিল না, কারণ আমাদের দেশের স্কুলের শিক্ষার্থীদের পক্ষে একটি ইংরেজি বই দিয়ে প্রোগ্রামিং শেখাটা বেশ কঠিনই বটে। তাই তাদের জন্য ২০০৯ সালে একটি বই লেখা শুরু করি এবং ২০১১ সালে সেটি প্রকাশিত হয়, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং নামে। তার কয়েক মাস পরে http://cpbook.subeen.com ওয়েবসাইটে আমি বইটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিই। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জানার ও শেখার আগ্রহ যেন আরো বেড়ে গেল। প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক তো শিখলাম, কিন্তু আরো ভালোভাবে সি শিখব কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য লিখে ফেললাম, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ২য় খণ্ড। বইটি ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয়।
এর মধ্যে বাংলাদেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রোগ্রামিং ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তারা বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার অনেক সমস্যার সমাধান করতেই ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম বিষয়টি জানা প্রয়োজন। তাই আমার কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ১ম খণ্ড ও ২য় খণ্ড বইয়ের পাঠকদের ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই এই বইটি লিখলাম। আশা করি, বইটি পড়লে প্রোগ্রামিংয়ের সৌন্দর্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুনভাবে ধরা দেবে, তাদের মধ্যে যৌক্তিক চিন্তাভাবনার ভিত গড়ে উঠবে এবং তারা একটু অন্যভাবে ভাবতে শিখবে। আমি যেহেতু বইটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য লিখেছি, তাই বইটি যারা পড়বে, তারা যে সবাই ভবিষ্যতে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে পড়বে এমনটি আমি আশা করি না, চাইও না। বিভিন্ন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবে, তাদের নিজেদের পছন্দ বিবেচনা করে ও অভিভাবকের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে। কিন্তু তারা ভবিষ্যতে যে বিষয়েই লেখাপড়া করুক না কেন, প্রোগ্রামিংয়ের এই জ্ঞান ও চর্চা তাদের নিঃসন্দেহে অন্যরকম মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। তবে একথা বলে নেওয়া দরকার যে, ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম বিষয়টির ব্যাপ্তি অনেক বেশি। এই বইতে কেবল খুব প্রচলিত ও সহজ কিছু ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতে তারা কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে আরো লেখাপড়া করলে, আরো অনেক ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম সম্পর্কে জানতে পারবে।
THE HAUNTED HOUSE ON THE HILL The witching hour had descended upon the sleepy town of periwinkle. Silence rolled over the streets like a slumbering bulldozer. There were no owls hooting, crickets chirping or mice scurrying. Everyone and everything was asleep, even the trees. In one of the houses that dotted Lakitu Lane, an alarm clock cried out shrilly and was promptly muffled with a pillow. A few moments later, a boy and a girl jumped from their window to the ground, like nimble little ninjas, and ran down the street until they arrived at the tall iron gates of the spooky house on the hill. They shimmied through the iron bars-just wide enough to let them pass-and climbed the steep path until they reached the top of the hill. The two-story house, with awkward architecture, stared down at them like a sullen gargoyle.