Categories


ট্রেজার আইল্যান্ড (হার্ডকভার)

ট্রেজার আইল্যান্ড এমন একটি বই যা ছেলে বুড়ো সবাইকে মাতিয়ে রাখতে পারে। উপন্যাসের অবিস্মরণীয় সব চরিত্র গুলোর হল জিম, ক্যাপ্টেন স্মলেট, ডঃ লিভসে, ইজরায়েল, বেনগান ও আরো অনেকে। গল্পটি শুরু হয় জিমের সরাই খানায় এক পাইরেটের রুম ভাড়া নেবার মাধ্যমে। তাকে কিছু লোক রাড়া করছে। কেন? জানা যায় সে মারা যাবার পর। তার কাছে একটি ম্যাপ আছে যা বিপুল ধন সম্পত্তির দিকে নির্দেশ করে। জিম ছুটে যায় সেখানে সঙ্গী হয় খোড়া নাবিক সিলভার এবং অন্যান্যরা। অপ্রত্যাশিত এবং জটিল সম্পর্ক সিলভার এবং জিম মধ্যে গড়ে উঠে এই যাত্রা পথে। 


দস্যু রবিন হুড

রাজ্য ইংল্যান্ড। শহর নটিংহাম। সে বহুকাল আগের কথা। নটিংহামের কাছাকাছি বিশাল এক গহিন। গভীর সবুজ বনভূমি, নাম শেরউড জঙ্গল । রবিন হুড নামে এক দস্যু থাকত ওখানে । কিভাবে সে দস্যু হলো সেটাই এখন বলব তোমাদের। সে-সময় ইংল্যান্ডের শাসনভার ছিলো রাজা হেনরির হাতে।


The 3 Mistakes of My Life

The 3 Mistakes of My Life is the third novel written by Chetan Bhagat. The book was published in May 2008 and had an initial print-run of 420,000. The novel follows the story of three friends and is based in the city of Ahmedabad in western India.


রাতুলের রাত রাতুলের দিন

বইটির শুরুতেই লেখক বলেছেন বইটি ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের জন্য কিন্তু তারা পড়ে বলবে বইটি আসলে বাচ্চাদের জন্য; আবার বাচ্চারা বলবে বড়দের বই। কথাটা ঠিক। আমার কাছে মনে হয়েছে বইটি বাচ্চাদের জন্যই বেশী উপযোগী তবে বইটি পড়তে ভালোই লেগেছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে রাতুলের সাহসিকতা বর্ণনা করতে গিয়ে যা বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা বাস্তবতা বর্জিত। গল্প হতে পারে কিন্তু রাতুলের জাহাজে লাফ দিয়ে ওঠার ঘটনা একটু বেশীই কাল্পনিক।


আধ ডজন স্কুল

তাই কথা বলতাম খুব কম কাজ করতাম আরো কম।" এই যে প্রথমেই তাঁর বোকা- বোকা সরল উক্তি এই বোকা ভাবের কারণেই তিনি স্কুলজীবনের পুরোটা সময়ই কখনো দুষ্টুমি করে পাড় পেয়ে গেছেন কখনো বোকা ভাবের কারণে বড় বিপদের হাত থেকেও বেঁচে গেছেন। স্যারের বাবার পুলিশে চাকরির সুবাদে তাকে নানা সময়ে নানা স্কুলে পড়াশোনা করতে হয়েছে। যার শুরুটা হয়েছিল সিলেটের প্রাইমারী স্কুলে আর শেষ বগুড়ার জিলা স্কুলে। বাঙালী সমাজে যেহেতু পরিবারগুলোতে কাজের লোক রাখার চল থাকে তাই বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সেই পরিবারের ছেলে- মেয়েরা বাবা- মায়ের কাছে গৎবাঁধা শিক্ষার বাইরে আজব বিষয়ে শিক্ষা লাভ করে বাড়ীর সেই কাজের ছেলে/ মেয়েটার কাছে। তখন সেই কাজের মানুষটাই হয়ে উঠে তাদের প্রথম শিক্ষক বাবা- মায়ের বাইরে। জাফর স্যারেরও প্রথম শিক্ষক ছিল তাদের বাসার কাজের ছেলে রফিক। যার থেকে তিনি শিখেছিলেন মাকড়শার পেট থেকে সুতা বের করা, রক্তচোষা দেখলে কিভাবে তারা রক্ত টানতে না পাড়ে। মোটকথা স্কুলে ভর্তির আগেই শিশুসুলভ দুষ্টুমির কিছুটা শিক্ষা রফিকের মাধ্যমে তাঁর হয়েছিল। 


মেয়েটির নাম নারীনা

মেয়েটির নাম নারীনা।
একদিন খুব ভোরে নারীনা বের হয়েছে
বনে যাওয়ার জন্য।
বনে তার সঙ্গে দেখা হলো এক অদ্ভুত ছেলের।
সেই ছেলের নাম
জংলে জালা ডংলে ডালা টুগরি টুরাং!

বড় মামা এদের গল্প বলছেন মিতুলকে।
গল্পে আছে আরও অনেক চরিত্র। টিটিং, ভুটু, ছুটকি, টিকটিকালি ...।
আর আছে ভয়ঙ্কর একজন
সেনাপতি গুরগিল কু গুরগান!

শুনতে শুনতে, পড়তে পড়তে রূপকথা মনে হতেই পারে কিন্তু মেয়েটির নাম নারীনা রূপকথা নয়, রূপকথার আদলে এক অন্ধকার সময়ের কাহিনী।


ভূত ভুতং ভূতৌ

চারটি গল্প নিয়ে এই বই। বই-এর নামকরণ ঠিক হয় নি। নাম শুনে মনে হতে পারে বইটি খুব ছোটদের জন্যে। আসলে তা নয়। বইটি কিশোর-কিশোরীদের জন্যে। তিনটি গল্পের বিষয়বস্তু এমন যে খুব বাচ্চারা কিছুই বুঝবে না। তারা এই বই পড়লে আমার উপর রাগ করবে। ভুরু কুচকে ভাববে-এই পাগরা এসব কি লিখেছে ? একটি গল্পে ছোটদের চোখে বড়দের সমস্যা দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। জানি না এই গল্প ছোটদের বইএ দেয়া ঠিক হল কি-না “বড় মামা এবং রাজকুমারী সুবর্ণ রেখা” হচ্ছে সেই গল্প। বড় মামার চরিত্রটি জীবন থেকে নেয়া। আমার বড় মামা যেমন ছিলেন এই গল্পেও ঠিক সে রকম রাখা হয়েছে।
গল্পগুলি লেখার পেছনে মজার ইতিহাস আছে। একবার আমি কি করলাম-রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। রাগ করলে সবাই খুব ছেলেমানুষ হয়ে যায়। আমিও তাই হলাম, ভাবলাম -এই যে বাড়ি থেকে বের হচ্ছি আর ফিরে যাব না। কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখি মানব্যাগ আনি নি। পকেটে একটি টাকাও নেই। বাসায় ফিরে যেতে ইচ্ছা করছে-কিন্তু ফিরবার অজুহাত পাচ্ছি না। রাত কাটল কমলাপুর রেল ষ্টেশনে। ষ্টেশনের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত হাঁটি। ক্ষুধা তৃষ্ণায় শরীর অবসন্ন। তারচেয়েও বড় কথা আসার সময় দেখে এসেছি মেয়েটি জ্বরে কাতর।বেচারীর কথাও খুব মনে পড়তে লাগল এইসব ভুলে থাকার জন্যে গল্প ভাবতে শুরু করলাম। চারটি গল্প এইভাবে তৈরী হল।


ড্রাগন

একদিন আব্বু আর আম্মু , টোটন আর ঝুমুরকে  নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছেন। ফিরে আসার সময় একটু অন্ধকার হয়ে গেছে। আব্বু হঠাৎ দেখেন বাস্তার মাঝে কি একটা যেন শুয়ে আছে, ভালো করে দেখা যায় না। কাছে গিয়ে দেখেন সেটা একটা বিরাট বড় ড্রাগন।


ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম

তার রয়েছে অসাধারন বুদ্ধিমত্তা| কিন্তু টাইট্রন হতে পাঠানো হয়েছে এমন কিছু যা দিয়ে ধ্বংস হতে পারে মানবজাতি| এদিকে সিসিয়ানের মূল নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে ফেলায় বাইরে যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা নেই| এরই মাঝে ইউরি পেল নিউট্রিনো ছুড়ে দেওয়ার মতো একটি অস্ত্র| কিন্তু যা করার তা করতে হবে তিন ঘন্টার মাঝে| কারন, তিন ঘন্টা পর সিসিয়ানে বিস্ফোরণ ঘটবে| তারা কি পারবে তাদের রক্ষা করতে? আর এই গ্রহটিই বা কি? এটি কি আদৌ কোন গ্রহ? নাকি কম্পিউটারের বর্ণনানুযায়ী কোন নরক? জানতে চাইলে পড়ে ফেলুন|


দুষ্টু ছেলের দল

সাতজন কিশোর কে নিয়ে এ কাহিনী। এক জনের নাম আরিফ। তাড়াতাড়ি কথা বলতে গেলে সে তোতলায়। একদিন সে নিজের নাম বলতে গিয়ে ‘আরিফারিফ’ বলার পর থেকে তার বাকি বন্ধুরা আকিকা ছাড়াই তার নাম পালটে দেয়। আছে টিপু সাইন্টিস্ট। নিত্য নতুন কাণ্ড কারখানা করা যার কাজ। আরও আছে বিলু, কনা, ভালো ছেলে মাসুদ, কবি জীবনময়। শেষজনের নাম ফজলু। কনার মতে হাসতে হাসতে তার নাকি মুখের কাটা বড় হয়ে যাচ্ছে! আপনাদের অনেকেই হয়ত মনে মনে বলছেন ‘আরে থামুন।বইটি আমি পড়েছি, কিন্তু নামটা জানি কি?’ এত কষ্ট করার দরকার নেই, আমিই বলছি। বইটি হচ্ছে মুহম্মদ জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাস ‘দুষ্টু ছেলের দল’। কয়েকজন কিশোরের কিছু রোমাঞ্চকর ও দুষ্টুমিতে ভরা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই উপন্যাসটি সামনের দিকে এগোয়। যা আমাদের ওই কিশোরদের মতই ভাবতে বাধ্য করে। তাই বলছি যারা এখনও বইটি পড়েননি , তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন। নিঃসন্দেহে চমৎকার এক সময় কাটবে আপনার।


দীপু নাম্বার টু

আমি যখন পদার্থ বিজ্ঞানে ডি.এইচ.ডি করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছি তখন সেখানে আমি একেবারেই একা, বাংলায় কথা বলার একজন মানুষও নেই পড়াশোনার প্রচন্ড চাপ, সিয়াটলের মেঘে ঢাকা ধূরসর আকাশ, গুড়িগুড়ি বৃষ্টি, কনকনে শীত সব মিলিয়ে খুব মন খারাপ করা নিঃসঙ্গ একটা পরিবেশ। একাকীত্ব দূর করার জন্যে আমি তখন কল্পনায় একটা কিশোর তৈরি করে নিয়েছিলাম। তার নাম দিয়েছিলাম দীপু। যখন মন খারাপ হতো সেই কিশোরটি তখন আমাকে সঙ্গ দিতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃষ্টিভেজা ক্যাম্পাসের পিঠে ব্যাকপেক নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সেই কাল্পনিক চরিত্রকে তা আপনজনদের প্রায় সত্যিকার মানুষদের মতো দেখতে পেতাম। এক সময় সেই কিশোর আর তার প্রিয় মানুষদের সুখ-দুঃখ আর অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনীটা লিখতে বসেছি, গভীর ভালোবাসা নিয়ে লিখে শেষ করেছি।লেখা শেষ হলে নাম দিয়েছি দীপু নাম্বার টু! 


ফুলিদের বাঘ (হার্ডকভার)

সুন্দরবনের গহীন জঙ্গলে থাকত এক বাঘিনী মা, তার ছিল তিনটি বাচ্চা। বাঘের বাচ্চাগুলো যখন একটু বড় হলো তখন একদিন বাঘিনী মা তাদেরকে ডেকে বলল, “তোরা তো এখন বড় হয়েছিস। তোদের এখন হরিণ শিকার করা শিখতে হবে। হরিণের মাংস হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে প্রিয় খাবার। যখন দেখবি হরিণের পাল হেঁটে যাচ্ছে তখন পেছন থেকে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে,


বুগাবুগা (হার্ডকভার)

সূচিপত্র
বুগাবুগা
তিথিও টিভি
ফার্স্ট বয়
রবোটের খাওয়া দাওয়া
মিতুলের পরীক্ষা

একদা ছিল অনেক বড় জংগল । সেই জংগলে ছিল একটা বড় গাব গাছ। সেই গাব গাছে থাকত একটা ভূত। সেই ভূতটার নাম ছিল বুগাবুগা। বুগাবুগার কোন বন্ধু ছিল না, তাই তার খেলতে হত একা একা। একা একা থেলতে কি কারো ভাল লাগে?


আমি তপু

একজন মানুষ কিংবা যেকোন প্রাণীর সবচেয়ে কাছের জন কে? কে সেই জন যে তাকে আগলে রাখে মায়া মমতায়? অবশ্যই মা। কিন্তু এই মা-ই যখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে যায় তখন তার চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে? “আমি তপু” মুহাম্মদ জাফর ইকবালের এক অনন্য কিশোর উপন্যাস। এই উপন্যাসে লেখক মানুষের এমন বয়সের এমন এক পরিস্থিতির করেছেন যেই বয়সে যেই পরিস্থিতিতে আমরা কেউ পড়লে কি ঘটবে আমাদের জীবনে তা এই বই পড়লে সহজেই উপলব্ধি করা যায়। খুব কাঠখোট্টা শব্দ বা বাক্য বা ঘটনা নেই, খুবই সাদাসিধে কাহিনী,নেই সেই রকম নীতিবাক্য, নেই মাথা এলোমেলো করে দেওয়া বাক্যরীতি, তাই পড়তে গিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। ১৩ বছর বয়সের এক কিশোর তপু। পুরো নাম আরিফুল ইসলাম তপু। বি.কে. সরকারি হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। তিন বছর আগে যখন তপু এক রোড এক্সিডেন্টে তার বাবাকে হারায় ঠিক তখন থেকে দুই ভাই এক বোনের সুখী সংসারটা তছনছ হয়ে। তাকে নিয়ে তার জন্য ব্যাট কিনতে যেয়ে মারা যাওয়ায় তপুর মার একটা বদ্ধমূল ধারণা হয় যে তপুর জন্যই তপুর বাবা মারা গিয়েছেন। 


লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী (কিশোর সাহিত্য গ্রন্থ)

হাজার বছর আগে আমাদের প্রথম প্রধান কবি, কাহ্নপাদ, বলেছিলেন : নগর বাহিরে ডোম্বি তোহোরি কুড়িআ। তাঁর মতো কবিতা লিখেছিলেন আরো অনেক কবি। তাঁদের নামগুলো আজ রহস্যের মতো লাগে : লুইপা, কুক্কুরীপা, বিরুআপা, ভুসুকুপা, শবরপার মতো সুদূর রহস্যময় ওই কবিদের নাম। তারপর কেটে গেছে হাজার বছর, দেখা দিয়েছেন অজস্র কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, গল্পকার। তাঁরা সবাই মিলে সৃষ্টি করেছেন আমাদের অসাধারণ বাঙলা সাহিত্য। বাঙলা সাহিত্য চিরকাল একরকম থাকে নি, কালে কালে বদল ঘটেছে তার রূপের, তার হৃদয়ের। সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন সৌন্দর্য। মধ্যযুগে কবিরা লিখেছেন পদাবলি, লিখেছেন মঙ্গলকাব্য। উনিশশতকে বাঙলা সাহিত্য হয়ে ওঠে অপরূপ অভিনব। তখন কবিতায় ভরপুর বাঙলা সাহিত্যে দেখা দেয়। গদ্য, বাঙলা সাহিত্য হয়ে ওঠে ব্যাপক ও বিশ্বসাহিত্য। বিশশতকের বাঙলা সাহিত্যের শোভার কোনো শেষ নেই। বাঙলা সাহিত্যের অনেক ইতিহাস লেখা হয়েছে, আর কবি হুমায়ুন আজাদ বাঙলা সাহিত্য নিয়ে লিখেছেন লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী, যা শুধু বাঙলা সাহিত্যের ইতিহাস নয়, এটি নিজেই এক সাহিত্য সৃষ্টি। কবি হুমায়ুন আজাদ হাজার বছরের বাঙলা সাহিত্যকে তুলে ধরেছেন কবিতার মতো, জ্বেলে দিয়েছেন বাঙলা সাহিত্যের নানান রঙের দীপাবলি। এ-বই কিশোরকিশোরীদের তরুণতরুণীদের জন্যে লেখা, তারা সুখ পেয়ে আসছে এ-বই পড়ে, জানতে পারছে তাদের সাহিত্যের ইতিহাস; এবং এ-বই সুখ দিয়ে আসছে বড়োদেরও। লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী এমন বই, যার সঙ্গী হ’তে পারে ছোটোরা, বড়োরা, যারা ভালোবাসে বাঙলা সাহিত্যকে। বাঙলার প্রতিটি ঘরে আলো দিতে পারে।


ওমেগা পয়েন্ট (হার্ডকভার)

রফিককে রাখা হয়েছে শেফালিকে পড়ানোরর জন্য।এদিকে শেফালীর সবসময় রফিককে নিয়েই চিন্তা করে ফলে পড়াশোনায় বেশ একটা মনোযোগ দিতে পারেনা। যার ফলে পরীক্ষায় ডাব্বা। অংকে একদম কাচা সে অপরদিকে রফিক যাকে বলা হয় অংকের জাহাজ। কঠিন কঠিন অংকগুলি মুখে করতে পারে তাও কিছু সেকেন্ডে।এ নিয়ে গ্রামের একটি স্কুলে আয়োজন করা হয় অংক অনুষ্ঠানের।তিনটি ব্লাকবোর্ড ভর্তি অংক। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন চেয়ারম্যান জনাব জালাল উদ্দিন এবং তার জামাতা ফরহাদ খান।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার লেকচারার।রফিক মাত্র দু মিনিট এ অংকের উত্তর দিয়েছিল। রফিক এর প্রতিভায় তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন।সারা গ্রামের মানুষ তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল। . রফিক আর শেফার ভালবাসার কথা যখন জানাজানি হয়ে যায় তখন শেফার বাবা উপায় না দেখে করে ভয়ঙ্কর এক প্লান।এই জীবনে রফিক জানেনা তার দুটি জীবন আছে কিন্তু অপর জীবনে সে বুঝতে পারে তার দুটি জীবন আছে। আর বুঝতে পারে বলেই তাকে নিয়ে বিজ্ঞানীরা করছে ভয়ঙ্কর সব এক্সপেরিমেন্ট। 


সঙ্গীসাথী পশু পাখি

বাবা সরকারী চাকুরে হবার কারণে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরার অভিজ্ঞতা হয়েছে জাফর ইকবাল এর। সেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পশু এবং পাখি নিয়ে তার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তিনি বন‌‌‌‌‌‌‌‌‌র্না করেছেন এই বইয়ে। তার বিভিন্ন বইয়ে বিভিন্ন পশু চরিত্র এসেছে, সেগুলোর অভিজ্ঞতা যে তিনি এই সব ঘটনা থেকেই পেয়েছেন, তা বলেই দেয়া যায়। তিনি হুমায়ুন আহমেদ এর মত করে ঘটা করে তার ছেলে বেলার স্মৃতি নিয়ে আসেননি, আসলে হুমায়ুন আহমেদই যা বলার বলে দিয়েছেন, বাকি ভাইবোনদের জন্য তেমন কিছু বাকি রাখেননি!! তার এই বইটি পড়ে আমি অনেক সময় আক্ষেপ করেছি, এই পশুগুলোকে যদি আমি পুষতে পারতাম!!


ভূতের বাচ্চা কটকটি

মিলি আর টিটন অবাক হয়ে দেখল কটকটি টেলিভশনের ভিতরে ডাকাত দুজনের সাথে মারপিট শুরু করেছে। চিৎকার চেঁচামেচি ধুমধাম শব্দ শুনে কানে তালা লেগে যাবার অবস্থা। 
আব্বু আর আম্মু ছুটে এলেন, জিজ্ঞেস করলেন, “কী হয়েছে? কী হয়েছে?”
মিলি বলল, “কটকটি টেলিভশনের ভিতর ঢুকে ডাকাতদের সাথে মারপিট করছে। ডাকাতেরা তাকে আচ্ছা মতোন পেটাচ্ছে।”
আব্বু বললেন, “সর্বনাশ! এখন কী করা যায়?”
টিটন বলল, “চ্যানেল বদলে দিই!”
সে দৌড়ে চ্যানেল বদলে দিতেই সেটা হয়ে গেল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল। সেই চ্যানেলে তখন দেখাচ্ছিল একটা রয়েল বেঙ্গর টাইগার। সেই বাঘটা কটকটিকে দেখে তার ওপর লাফিয়ে পড়ল, কটকটি তখন চিৎকার করে বলল, “ও বাবা গো! খেয়ে ফেলল গো!”