Categories


অদৃশ্য মানব

মিসেস হল বসার ঘরে এসে শরীর গরম করবার চুলাে ধরায়। চুললাটা তখনাে ধরানাে হয়নি। কেউ এলে মিসেস হল চুলাে জ্বালায়। এরপর লােকটার জন্য খাবার বানাতে যায়। এই শীতের সময় এখানে তেমন কেউ আসে না ঘর ভাড়া নিতে। ইপিং নামের এই জায়গায় এই হােটেলটা শীতের সময় তেমন খরিদ্দার পায় না। মহিলা তাড়াতাড়ি ব্যস্ত হয়ে পড়ে এই অতিথির সেবাযত্নে। রান্নার পাতিলে তাড়াতাড়ি মাংস চাপায়। বলে কাজের মেয়ে মিলিকে এই লােকটার ঘর খুব ভালাে করে গুছিয়ে দাও। এরপর একটা টেবিল এনে লােকটার সামনে রাখে। যদিও চুলােটা গনগন করে জ্বলছে, এমন সময় লােকজন তার কোট হ্যাট খুলে ফেলে কিন্তু লােকটা কোনাে কিছু খােলে না।

 


এলিনা

মানে স্যার, সবাই প্রথমে হাইড্রোকেফালাস ভাবলেও পরীক্ষা করে দেখা গেছে, মস্তিষ্কে পানি জমেনি। ভেন্ট্রিকলগুলাে ঠিকঠাকই আছে। মাথার সিটি স্ক্যান পুরােপুরি নরমাল । কিন্তু এদের ব্রেন ম্যাটার বেশি ভারী। ফ্রম দ্য ভেরি বিগিনিং। জন্মের আগে থেকেই। অতি ভারী ব্রেনকে জায়গা দিতে গিয়ে মাথার খুলিটা আপনা থেকেই বড় হয়ে গেছে। গত দেড় বছরে বিভিন্ন হাসপাতালে জন্ম নিয়েছে এ রকম আটটা শিশু। সবাই অবজারভেশনে আছে। মাথা বড় ছাড়া আর কোনাে সমস্যা নেই, স্যার। ইন্দ্রিয় সব স্বাভাবিক। মাইলস্টোনস অব ডেভেলপমেন্ট এবং গ্রোথও নরমাল।


অ্যালিয়ান

ঝট করে উঠে বসে চিৎকার করতে যাচ্ছিল রায়ান। গলাটা হাঁ-ও করল, কিন্তু কোনো শব্দ বের হলো না সেখান দিয়ে। আ আ একটু শব্দ হয়ে থেমে গেল তা। বুকের ভেতরটা ফেটে যেতে চাচ্ছে তার। হাত-পাও তেমন নাড়াতে পারছে না। চোখ দুটোও কেমন স্থির হয়ে আছে। কেবল বোবার মতো তাকিয়ে রইল সে সামনের দিকে। মানুষের মতো অদ্ভুত মূর্তিটা দু পা এগিয়ে এলো রায়ানের দিকে। একটা হাত বাড়িয়ে দিল তার দিকে। রায়ান খেয়াল করল-তারই মতো উচ্চতা ওই অদ্ভুত মূর্তিটার, কিন্তু হাতটা অসম্ভব লম্বা, মানুষের থাকে পাঁচটা আঙ্গুল, ওটার রয়েছে তিনটা। হ্যালুশিনেশনের মতো হাত বাড়িয়ে দিল রায়ানও। অদ্ভুত মানুষটা হ্যান্ডশেক করার ভঙ্গিতে হাত চেপে ধরল তার। সঙ্গে সঙ্গে চোখ দুটো আগের চেয়ে বড় বড় হয়ে গেল রায়ানের। সামনের মূর্তিটা এখন ঠিক মূর্তি নেই, বদলে গেছে, হুবহু তার মতো হয়ে গেছে! রায়ানের সামনে আরেকটা রায়ান দাঁড়িয়ে আছে। হাতটা আরো একটু চেপে ধরে নতুন রায়ান পুরান রায়ানকে বলল, ‘তুমি কেমন আছো, রায়ান?’


সায়েন্স ফিকশন : গিটো

নিলি প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেনি গিটোরা সত্যি সত্যি দিবিন আর রাইবােকে হত্যা করবে। এখন আর অবিশ্বাস করার কিছু নেই। কারণ সে দেখেছে কী নিষ্ঠুরভাবেই-না তাদের দুজনকে হত্যা করেছে গিটোরা । ঐ দৃশ্যগুলাে সে মনে করতে চায় না। দৃশ্যগুলাে এতটাই ভয়ংকর ছিল যে নিলি একসময় চোখ বন্ধ করে রাখতে বাধ্য হয়েছিল । দিবিন আর রাইবাের মরণচিকার তখন তার হৃদয়কে একেবারে ফালা ফালা করে দিচ্ছিল। সে বার বার আশা করছিল হয় তার নিজের মৃত্যু হােক কিংবা সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলুক। কিন্তু সেরকম কিছুই হয়নি। সম্পূর্ণ সময়টা জেগে থেকে নরকযন্ত্রণা পাওয়ার মতাে মানসিক কষ্ট ভােগ করতে হয়েছে তাকে।


দ্বিতীয় পৃথিবী

 মহাশূন্যে ছুটে চলছে স্কাউটশিপ ওমেগা। তাদের লক্ষ্য মাদার স্পেসশিপ প্রিটিনিন। প্রিনিন বিশাল আকৃতির একটা অনুসন্ধানী স্পেসশিপ। প্রিটিনিনের মূল কাজ নতুন নতুন গ্রহে অভিযান পরিচালনা করা। পৃথবী থেকে রওনা করে প্রিটিনিন মাস তিনেক হলাে একটা গ্রহপুঞ্জের মাঝামাঝি অবস্থান করছে। সেখান থেকে ছােট ছােট অনুসন্ধানী স্কাউটশিপে অভিযাত্রীরা আশেপাশের গ্রহে অভিযান পরিচালনা করছে। এরকমই একটা অনুসন্ধানী স্কাউটশিপ ওমেগায় করে ব্রিটি গ্রহে অভিযানে গিয়েছিল চব্বিশ বছর বয়সী নারী অভিযাত্রী জীববিজ্ঞানী নিয়ানা এবং বত্রিশ বছর বয়সী নভােচারী সিভিন। তথ্য সংগ্রহের মূল দায়িত্ব ছিল নিয়ানার | ওপর আর সিভিনের দায়িত্ব ছিল স্কাউটকিপ পরিচালনাসহ সার্বিক বিষয়ে সহায়তা করা। তাদের আর একজন সঙ্গী ছিল আইটু নামের একটি সপ্তম মাত্রার রােবট। আইটু তিন ফুট হলেও অনুসন্ধানী কার্যক্রমে অত্যন্ত দক্ষ।


দ্য ফার্স্ট ম্যান ইন দ্য মুন

এক পাহাড়ের চূড়ায় আমার বাংলা। সামনেই সমুদ্র। বর্ষার সময় কাদায় ভরে যায় বাংলাের চারপাশ, তখন হাঁটাচলা করা দুষ্কর হয়ে ওঠে।

যে জানালার কাছে বসে আমি লিখতাম, সেটা দিয়ে সামনে তাকালেই দেখা যেত একটা জলাশয়। ওই জানালা দিয়েই প্রথমবার দেখি আমি ক্যাভরকে। তখন সূর্য ডুবতে বসেছে। আকাশে সবুজ আর হলুদ রঙের ছড়াছড়ি। দিগন্তের সেই উজ্জ্বল, রঙচঙে পটভূমিতে অদ্ভুত দেখাচ্ছিল তখন লােকটাকে । বেঁটে আর মােটা। মাথায় ক্রিকেট খেলােয়াড়দের টুপি, গায়ে ওভারকোট। অদ্ভুত ভঙ্গিতে মাথা দুলিয়ে হাত ঝাঁকাতে ঝাকাতে এগিয়ে আসছিলেন তিনি। আমার জানালার কাছে এসে হঠাৎ

 


সায়েন্স ফিকশন : নিলির ভালোবাসা

সাপটি এর মধ্যে রং পালটে লাল মাটির রং ধারণ করেছে। দূর থেকে এখন কারও পক্ষে বুঝা দুঃসাধ্য যে মাটির ওপর একটি সাপ আছে। এজন্য কেউ সাপটির উপস্থিতি টের পাবে না। সাপটি ধীর গতিতে সামনের দিকে এগােচ্ছে, ইচ্ছে দ্রুত লাল মাটির অংশটুকু পার হয়ে ওপাশে সবুজ ঘাসের মধ্যে পৌছানাে। একসময়

সাপটি সবুজ ঘাষে পৌছেও গেল। ঘাষের ওপর পৌছামাত্র শরীরের লাল রং আবার সবুজ হতে লাগল। উদ্দেশ্য আগের মতাে একটাই, আত্মরক্ষা। কারণ দূর থেকে সবুজ ঘাসের মধ্যে সাপটির সবুজ শরীর দেখা যাবে না। অবশ্য এবার ভাগ্য সুপ্রসন্ন।

হলাে না। শরীরের রং সবুজ হওয়ার আগেই মাঝারি আকৃতির একটি পাখি হঠাই ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে গেল সাপটিকে। নিলির একবার ইচ্ছে হলাে সে সাপটিকে বাঁচায়। পরে অবশ্য সে নিজেই সিদ্ধান্ত পালটাল। কারণ যা কিছু ঘটছে সবকিছুই প্রকৃতির নিয়মের মধ্যে। পাখি সাপ খাবে এটাই স্বাভাবিক। এটা প্রকৃতির নিয়মের কোনাে ব্যত্যয় নয়। কাজেই সে সাপটিকে বাঁচাবে না বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল।

 


Equation Fiha

That colour never appeals to him. In his opinion, violet doesn't appeal to anyone. However, the law states all restaurants have to be violet. Doors, windows, curtains and even the synthetic marble on the floors must be violet. You can tell what sorts of food will be available from the different shades of the colour. A very light violet would imply that the particular testaurant has nothing other than drinks. A dark violet would mean the restaurant is the best place for a full meal.


BLUE LILY, LILY BLUE

Blue Sargent has found things. For the first time in her life she has friends she can trust, a group to which she can belong. The Raven Boys have taken her in as one of their own. Their problems have become hers, and her problems have become theirs. The trick with found things, though, is how easily they can be lost. Friends can betray. Mothers can disappear. Visions can mislead. Certainties can unravel.


Four: A Divergent Collection

Readers first encountered Tobias Eaton as "Four" in Divergent. His voice is an integral part of Allegiant. Readers will find more of this charismatic character's backstory told from his own perspective in Four: A Divergent Collection. When read together, these long narrative pieces illuminate the defining moments in Tobias Eaton's life. The first three pieces in this volume – "The Transfer," "The Initiate," and "The Son" – follow Tobias's transfer from Abnegation to Dauntless, his Dauntless initiation, and the first clues that a foul plan is brewing in the leadership of two factions.


হাইজেনবার্গের গল্প

১৯৩৯ সালে শুরু হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আটলান্টিক মহাসাগরের অপর পাশে যুক্তরাষ্ট্র তার বিখ‍্যাত “Manhattan Project” শুরু করে যেখানে রবার্ট অপেনহাইমার সাহেবের নেতৃত্বে প্রথম মার্কিন পারমাণবিক বোমা তৈরির গবেষণা চলছিলো। যুদ্ধে টিকে থাকতে হলো হিটলারকেও বানাতে হবে জার্মান এটম বোম! কিন্তু, কে বানাবে এই মারণাস্ত্র? হিটলার কড়া নাড়লেন হাইজেনবার্গের দরজায়। গত চার দশক ধরে যেই নামকড়া জার্মান বিজ্ঞানীরা পরমাণুর গঠনের বৈজ্ঞানিক ব‍্যাখ‍্যা দিতে দিন-রাত এক করে ফেলেছিলেন তারাই এবার শুরু করলেন জার্মান নিউক্লিয়ার রিসার্চ টীম — ইউরেনিয়াম ক্লাব। হাইজেনবার্গ হিটলারের শত্রু থেকে পরিণত হলেন মিত্রে।


Big-জ্ঞানে, অগ-Gun

বিবরণী আত্মা নিয়ে কি বলে বিজ্ঞান? অনুভূতি আসলে কি জিনিস? আপনি কেন কনশাস, মোবাইলটা কেন নয়? স্পেস টাইম রিলেটিভিট এগুলো কি জিনিস? কি আছে ব্ল্যাকহোলের অতলে? এইসব হাই থটের কথা চলবে, পাশে পাশে চলবে আড্ডা। আমরা তাবু গাড়ব কার্বোনিফেরাসের গহীন কালো জঙ্গলে, পাশ দিয়ে উড়ে যাবে বিরাট বিরাট পোকামাকড়। ঢু মেরে দেখে আসবো নিউট্রন তারার ভেতরটা, তারপর উড়ে বেড়াবো ফোটনের দেশে। কার্ল লিচির সাথে ঢুকে যাবো মানুষখেকো গাছের জঙ্গলে। ঝড়ের রাতে ডুব দিবো গভীর সমুদ্রে, তারা করবে শনিসরাস। তারপর যখন হাওড়ের বুকে উথাল পাথাল জোছনা নামবে, আমরা ফিরে আসবো মাটির পৃথিবীতে। নৌকার ছইয়ের ভেতর বসে ফিস ফিস করে ভূতের গল্প শুনবো।


বিজ্ঞান কল্পকাহিনি-মহাকাশের পিশাচ

নীলযোদ্ধা ড্যানিয়েল, জুলিয়া, ডিউক, হ্যাপি ও ক্রিস্টোফারকে যেকোনো প্রাণীতে রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষমতাটা দেওয়া হয়েছিল এবং তখনই বলে দেওয়া হয়েছিল এর বিপদ সম্পর্কে: ‘রূপান্তরিত হয়ে কখনো দুই ঘন্টার বেশি থেকো না, তাহলে চিরকালের জন্য ওই প্রাণীর খোলসে আটকা পড়বে।’ কিন্তু সারা পৃথিবীর মানুষ যখন বিপদগ্রস্ত, ভিনগ্রহবাসী ভয়ংকর ভারেকরা তাদের গোলাম বানিয়ে পৃথিবী দখলের পাঁয়তারা করছে, তখন রূপান্তরিত হওয়ার এই বিপদটাকে খুব একটা গ্রাহ্য করেনি ওরা। তার খেসারত দিতে হলো ক্রিস্টোফারকে। চিরকালের জন্য বাজপাখির খোলসে আটকা পড়ল ও। তবে তাতেও দমল না নীলযোদ্ধারা। ভারেকদের ঠেকানোর নতুন বুদ্ধি করল। পর্বতের মাঝখানে লেকের ওপরের আকাশে ওদের সঙ্গে বাধল ভয়ানক যুদ্ধ।