Categories


মধ্যাহ্ন অখণ্ড

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
তুমি জ্যোতির জ্যোতি, আমি অন্ধ আঁধারে
তুমি মুক্ত মহীয়ান, আমি মগ্ন পাথারে।
তুমি অন্তহীন, আমি ক্ষুদ্র দীন,
কী অপূর্ব মিলন তোমায় আমায়।

---- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


হিমু (হার্ডকভার)

যাকে নিয়ে তার চারপাশের মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয় । কারো কাছে হিমু অতিন্দ্রীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি , মহাপুরুষ কিংবা সাধু সন্ন্যাসী গোত্রীয় যার প্রতিটি ভবিষ্যৎবাণী বাস্তবে রূপ নেয় । আবার কারো কাছে হিমু হল বাউন্ডুলে এক স্বত্তা । যার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা নেই । চারপাশের মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলাই যার কাজ । কেউ হিমুকে খুব বেশী ভালোবাসে , অন্ধের মত ভক্তি করে আবার কারো কাছে হিমু বিরক্তিকর প্রাণি বিশেষ । হিমু এমন এক স্বত্তা যে একই সঙ্গে চেনা আবার একেবারেই অচেনা । যে কখনই সত্য কথা বলে না আবার মিথ্যা কথা বলে না । প্রচন্ড ভালোবাসা উপেক্ষা করার মত ঐশ্বরিক ক্ষমতা যার আছে । যে তার বাবার স্বপ্ন অর্থাৎ সন্তানকে মহাপুরুষ বানানোর চেষ্টা পুরোপরি ব্যর্থ করেনি আবার সফলও করেনি ।


যখন নামিবে আধাঁর (হার্ডকভার)

রাত আটটা। সারা দিন ঝলমলে রোদ ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মিসির আলি ছাতা মাথায় মল্লিক সাহেবের বাড়িতে এস উঠেছেন। দেখে মনে হচ্ছে মল্লিক সাহেবের বাড়ি শ্মাশানপুরী। কেউ বাস করে না। বিড়ালের মিঁউ মিঁউ শব্দ ছাড়া কোনো শব্দ নেই। মিসির আলি দোতলায় ওঠার সিড়িঁর গোড়ায় দাঁড়িয়ে বললেন, বাড়িতে কেউ আছেন ? কেউ জবাব দিল না। মিসির আলি দোতলায় উঠে গেলেন। যে ঘরে বন্দি ছিলেন, সেই ঘর খুঁজে বের করতে তার বেগ পেত হলো না। মূল দরজা পুলিশ ভেঙেছে। দরজা ঠিক করা হয় নি। মিসির আলি ঘরে ঢুকলেন। চেয়ারে মল্লিক সাহেব বসে আছেন। তাঁর হাতে সিগারেটের প্যাকেট। মিসির আলি অবাক হলেন না। মল্লিক সাজেব এখন থাকবেন, মিসির আলি তা ধরেই নিয়েছিলেন।


এবং হিমু (হার্ডকভার)

পকেটহীন এই পাঞ্জাবি তাকে রূপা কিনে দিয়েছে। ---”পাঞ্জাবির এই বিরাট ত্রুটির দিকে রূপার দৃষ্টি ফেরাতেই সে বলল, পকেটের তোমার দরকার কি! রূপবতী মেয়েদের সব যু্ক্তিই আমার কাছে খুব কঠিন যুক্তি বলে মনে হয়। কাজেই আমিও বললাম, তাই তো, পকেটের দরকার কি।রূপা বলল, তুমি নিজেকে মহাপুরুষ টাইপের একজন ভাব। মহাপুরুষদের পোশাক হবে বাহূল্য বর্ত। পকেট বাহূল্য ছাড়া কিছু না।” --- শেষ ভরসা বড় ফুপার বাসা। রাত দেড়টার দিকে কলিংবেল টিপে তাদের ঘুম ভাঙালে কি নাটক হবে তা আগে-ভাগে বলা মুশকিল। সম্ভাবনা শতকরা ষাট ভাগ যে, তিনি বাড়ির দরজা খুললেও গ্রীল খুলবেন না।


নবনী (হার্ডকভার)

নবনীর স্বামী নোমানের সাথে অহনার কি সম্পর্ক তা বোঝা যাইনি। আমার মনে হই অনেক পাঠক এই ব্যাপারে আমার সাথে একমত হবেন। খারাপ লেগেছে সফিকের জন্য। তিনি হইত অতীতে এমন কোন কাজ করেছিলেন, যা থেকে তিনি শুধু স্ত্রীর ঘৃণার পাত্র হয়েছেন। নবনীর মামা গল্পকে তরান্বিত করেছেন বলতেই হই। ইরার চরিত্র টি তেমন গুরুত্ব বহন করে নাহ। গল্পের শেষে মনে হল , না পাওয়ার এক তীব্র হাহাকার! নবনী কে তার স্বামী যখন ছেড়ে চলে যাই,তখনই আমার ইচ্ছে হল আমি নিজে ছুটে গিয়ে তাকে নিয়ে আসি,নবনী কেন পারলনা? গল্প শেষ করে মনে হল ,শেষ হয়েও হল না শেষ!


মানবজনম (হার্ডকভার)

হেমা নয়ন কে বুঝতে পারা এক চমৎকার প্রেমিকা চরিত্র যার প্রেমের গভীরতা বুঝতে উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত যেতে হয়। হেমার বন্ধু রাহাতের হেমার প্রতি একতরফা ভালোবেসে কষ্ট পেয়ে যাওয়ার গল্পও এখানে উল্লেখ্য। এখানে লেখা আছে জীবনের প্রতি পরতের মায়া, স্নেহ, অবহেলা, ক্রোধ, লালসা,প্রতিশোধ, অপেক্ষা কিংবা হারিয়ে ফেলার গল্প। নয়নের নানা দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী তৈয়ব খাঁ কিংবা কুৎসিত মানসিকতার আব্দুল ফকিরের মধ্যকার বাইরে ঠান্ডা কিন্তু ভেতরে প্রচণ্ড শোধ নেয়ার মানসিকতা কিংবা নূরের আলোয় আলোকিত নয়নের মা কোহিনূরের জীবন, হেমার বাবা-মা রেনু- আসলামের মধ্যকার কথাহীন, স্পর্শহীন সংসার নামক বন্দী থাকার গল্প কিংবা জীবনের শেষ বেলায় এসে তৈয়ব খাঁ তার স্ত্রী আমোদি বেগমের প্রতি হঠাৎ ই স্বামী হিসেবে দমিয়ে রাখার ভুল বুঝতে পারার অংশ টুকু কিংবা কুৎসিত আব্দুল ফকিরের নিজের মেয়ে পারুল ছাড়া অন্য সবাই একটা মাংসের দলা বা ভোগ ছাড়া কিছুই নয় কিংবা নির্মম সত্য টা জানতে পারার পরে প্রতিশোধে উন্মুখ নয়নের মানসিক বিকারগ্রস্ততা এবং হেমার কাছের মানুষ হয়ে আগলে রাখার চেষ্টা এই সব কিছুই বিচ্ছিন্ন নয় বরং একটা মানবজনমের প্রতিটি ব্যর্থতা, গোপন কষ্ট এখানে এক এক করে লেখা।


বরফ গলা নদী (হার্ডকভার)

একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের কোনরকমে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার চরম বাস্তবতা আছে এতে । বাবার বেতনের টাকায় চলে না এতগুলো মানুষের খাওয়া , পড়াশোনা , বাড়ী ভাড়া। নড়বড়ে ঘর , মায়ের তালি দেয়া শতছিন্ন ছেড়া শাড়ী , ছোট ভাই-বোনের ছোটখাটো আবদার পুরণ করতে না পারা এক সংগ্রামী জীবন মাহমুদের । বি.এ.পাশ করে একটা পত্রিকায় সাব এডিটর এর চাকরি করে মাহমুদ ৫০ টাকা মাইনে পায় , এতে নিজের খরচ রেখে পরিবারে একটু সাহায্য করে । চাকরি টা অনেক আশা করে নিয়েছিল কিন্তু সেই আশা সম্পাদকের নিয়মনীতির গণ্ডিতে বাঁধা পরে গেছে । বাড়ীর বড় মেয়ে মরিয়ম , অল্প বয়সে একটা ভুল করে ফেলে । যা তাকে পরবর্তী জীবনে সুখ থেকে বঞ্চিত করে রাখে । সেও নিজের পড়াশোনার খরচ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রী পড়িয়ে জোগাড় করে নেয় । ছাত্রী পড়ানোর সুবাদে একজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে । পারিবারিক আয়োজনেই বিয়ে হয়ে যায় বড়লোক ছেলে মনসুরের সাথে । যদিও এই বিয়েতে মরিয়মের বড় ভাই মাহমুদের মত ছিল না । মাহমুদ বড়লোকদের দুচোখে দেখতে পারে না ।


মিসির আলি সমগ্র-২

আমাদের আটপৌরে জীবনে মিশে থাকার পরও মিসির আলি এমন এক ক্ষ্যাপা,যে পরশপাথর খোঁজে এবং পায়ও মিসির আলি, বাংলাদেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় চরিত্র। মিসির আলী কাহিনীগুলো রহস্যমাত্রিক। মিসির আলির কাহিনীগুলো ঠিক গোয়েন্দা কাহিনী নয়, কিংবা 'ক্রাইম ফিকশন' বা 'থ্রিলার'-এর মতো খুনি-পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া নয়, কিংবা বরং মনস্তাত্ত্বিক, বিজ্ঞাননির্ভর এবং প্রচন্ড যুক্তিনির্ভর কাহিনীর বুনটে বাঁধা। বরং অনেক ক্ষেত্রে একে রহস্যগল্প বলা চলে।


মিসির আলি আনসলভ্‌ড (হার্ডকভার)

অতি বুদ্ধিমান মিসির আলি মাঝে মধ্যে ধরা খান। অনেক চেষ্টা করেও কিছু রহস্য ভেদ করতে পারেন না। Unsolved খাতায় সেই সব রহস্য লিখে রাখেন। তাঁর মনে ক্ষীণ আশা কোন একদিন এইসব রহস্যের সমাধান হবে। মিসির আলি হাল ছাড়ার মানুষ না। আমরা যারা সাধারণ মানুষ তারা হাল ছেড়ে দেই। প্রকৃতির রহস্যের কাছে পরভূত হয়ে এক ধরনের আনন্দও পাই। “There are many things in heaven and earth” বলতে আমাদের ভাল লাগে। মানবজাতি পরাজিত সে নিয়তি ধরে নেয়। নিয়তির কাছে সমর্পণে সে কোন সমস্যা দেখে না। মিসির আমি Unsolved এ মিসির আলির কিছু গৌরবময় পরাজয়ের কাহিনী বলা হয়েছে। কাহিনীগুলি লিখতে গিয়ে আমি আনন্দ পেয়েছি।


শেষ বিকেলের মেয়ে(প্রথম উপন্যাস ১৯৬০) (হার্ডকভার)

এমনকি সে জাহানারাকেও ঘরের স্ত্রী বানাতে ব্যর্থ হয়, একই সাথে সে শিউলির কাছ থেকে বিতাড়িত হয়। এসকল দিক কাসেদ চরিত্রটিকে পাঠকের হৃদয়ে হতাশার ছাপ ফেলেছে। জাহানারা ও শিউলি দুইজনই স্বচ্ছল পরিবারের আধুনিক মেয়ে। কিন্তু কাসেদের প্রতি দুর্বলতা পাঠককে বিস্মিত করে, আবার জাহানারা তার হৃদয় গহীনে কাসদেরে জন্য ভালোবাসার বীজ বপণ করলেও, কখনও প্রকাশ করেনি। এক পর্যায়ে জাহানারা কাসেদকে ভুল বোঝে এবং নিজেকে আড়ালে নিয়ে যায়। জাহানারা কেন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় নিজের আত্নমর্যাদাবোধ বজায় রাখার জন্য নাকি কাসেদের কাছ থেকে অনাকাঙ্খিত আচরণের জন্য ? জাহানরা কি তবে অভিমানকেই বেশি গুরুত্ব দিল, প্রকৃত ভালোবাসার কাছে নত না হয়ে? লেখক ইচ্ছা করলে এই বিষয়টা পরিষ্কার ভাবে উপস্থাপন করতে পারতেন। আবার শিউলি চরিত্রটিও পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারেনি, যদিও সে পুরোপুরি সংস্কারমুক্ত এবং আধুনিক মেয়ে। অন্যদিকে, নাহার সর্ম্পূণ ব্যতিক্রম একটি চরিত্র, যার মাধ্যমে লেখক তার লেখনীর সব রহস্য লুকিয়ে রেখে, সর্বশেষে রহস্যের উদঘাটন করেছেন।


খোয়াবনামা (আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত) (হার্ডকভার)

মেলা দিন আগেকার কথা। কাৎলাহার বিলের ধারে ঘন জঙ্গল সাফ করে সোভান ধুমা আবাদ শুরু করে বাঘের ঘাড়ে জোয়াল চাপিয়ে। ওইসব দিনের এক বিকালবেলা মজনু শাহের অগুনতি ফকিরের সঙ্গে কোম্পানির সেপাই সর্দার টেলারের গুলিতে মারা পড়ে মুনসি বয়তুল্লা শাহ। কাৎলাহার বিলের দুই মুনসি । বন্যায় ভেঙে পড়ে। কাৎলাহারের তীর। মুনসির নিষ্কণ্টক অসিয়তে চাষীরা হয়৷ কাৎলাহার বিলের মাবি । খোয়াবনামার শুরু । বিলের মালিকানা চলে যায় জমিদারের হাতে। মুনসির শোলোকে শোলোকে মানুষের স্বপ্নের ব্যাখ্যা করে বেড়ায় চেরাগ আলি ফকির। তমিজের বাপ শোলোক শোনে আর ঘুমের মধ্যে বিলে গিয়ে কাদায় পা ডুবিয়ে দেখতে চায় পাকুড়গাছের মুনসিকে। ভবানী পাঠকের সঙ্গে পূৰ্বপুরুষের জের টেনে বৈকুণ্ঠনাথ গিরি প্রতীক্ষা করে ভবানীর শুভ আবির্ভাবের। তমিজ দেখে জমির স্বপ্ন। আর চেরাগ আলির নাতনি কুলসুম খোয়াবে কার কায়া যে দেখতে চায় তার দিশা পায় না। তেভাগার কবি কেরামত শেষ পর্যন্ত আটকে পড়ে শুধুই নিজের কোটরে; সে নাম চায় বীে চায় ঘর চায়। কোম্পানির ওয়ারিশ ব্রিটিশের ডাণ্ডা উঠে আসে দেশি সায়েবদের হাতে। দেশ আর দেশ থাকে না, হয়ে যায় দুটাে রাষ্ট্র। দেশি সায়েবরা নতুন রাষ্ট্রের আইন বানায়, কেউ হয়। টাউনবাসী, কেউ হয় কন্ট্রাকটর। আবার নিজেদেশে পরবাসী হয় কোটি কোটি মানুষ। হিন্দু জমিদার নায়েব চলে যাওয়ার পরও আজাদ আর পানির পত্তন ফিরে পায় না। পাকুড়গাছ নাই। তমিজের বাপ । ভবানী পাঠক আর আসে না। বৈকুণ্ঠ নিহত। ক্ষমতাবান ভদ্রলোকের বাড়িতে চাকর হয়ে বিল-ডাকাতির আসামী তমিজ পুলিসকে এড়ায়। তেভাগার লড়াই। নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে তমিজ বেরিয়ে পড়ে তেভাগার খোঁজে। ফুলজানের গর্ভে তমিজের ঔরসজাত মেয়ে সখিনাকে নিয়ে ফুলজান ঠাঁই নেয় কোথায়! খোয়বনামা সারা। কিন্তু মোষের দিঘিরপাড়ে শুকনা খটখাটে মাঠের মাটিতে দাঁড়িয়ে কাৎলাহার বিলের উত্তর সখিনা পায় জ্বলন্ত হেঁসেলে বলকানো ভাত । খোয়াবনামা জিম্মাদার তমিজের বাপের হাত থেকে খোয়াবনামা একদিন বেহাত হয়ে গিয়েছে। এখন সখিনার খোয়াব। খোয়াবনামা স্বপ্নের ব্যাখ্যাত। কিন্তু স্বপ্নের ব্যাখ্যায় যা বিবেচ্য তা স্বপ্ন নয়, স্বপ্নদেখা মানুষ।


দ্য আলকেমিস্ট (পেপারব্যাক)

‘দ্য আলকেমিস্ট’ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সর্বাধিক বিক্রিত পাউলো কোয়েলো এর লেখা অসাধারন একটি অনুপ্রেরনা মুলক উপন্যাস , বইটি কে ভাগ্য অনুসন্ধানের অনবদ্য এক জাদুকরী উপন্যাস বলা হয়ে থাকে । লেখক পাউলো কোয়েলোর জন্ম ব্রাজিলে । তিনি তার অসাধারন লেখালেখির মাধ্যমে অনেক দ্রুত প্রসিদ্ধি লাভ করেন । এছাড়াও বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক পঠিত লেখক হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেন । তিনি তার জীবনে বহু অনুপ্রেরনা মুলক বই লিখেছেন । এর স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভ করেছেন । তার লেখা অন্যতম সেরা বই দ্য আলকেমিস্ট বইটি বাংলাতে অনুবাদ করেছেন অনুপ সাহা । তিনি ১৯৬২ সালে যশোরে জন্মগ্রহন করেছেন । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইংরেজী ভাষাতত্বে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন । এই পর্যন্ত তার দুইটি গল্পগ্রন্থ ও পাচটি অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে । তার অনুবাদ করা দ্য আলকেমিষ্ট প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ।


কোথাও কেউ নেই (হার্ডকভার)

ধারাবাহিকটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিল "বাকের ভাই"। বাকের ভাই গুন্ডা প্রকৃতির লোক এবং তার সঙ্গী ছিল "বদি" আর "মজনু", তারা তিনজনই মোটর সাইকেলে করে চলাফেরা করতো। অধিকাংশ সময় মোটর সাইকেল চালাতো মজনু, বদি বসতো পিছনে, বাকের ভাই বসতো মাঝে। বাকের ভাইয়ের একটা মুদ্রাদোষ ছিল, সে একটা চেইন হাতের তর্জনিতে অনবরত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে প্যাঁচাতো, আবার উল্টোদিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে প্যাঁচ খুলে আবার প্যাঁচাতো। সক্রিয় ডায়লগ না থাকলে প্রায়ই তাকে এরকম করতে দেখা যেত। বাকের ভাইকে পছন্দ করতো "মুনা"। মুনা এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। সে চাকরি করে, এবং তার মামাতো ভাই-বোনদের দেখাশোনা করে। বাকের ভাই এলাকার মাস্তান হলেও অধিকাংশ মানুষ তাকে ভালোবাসতো, কারণ সে ছিল সত্যের পূজারী— নিপীড়িত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে যেমন কুন্ঠিত হতো না, তেমনি সমাজের অন্যায়কেও মুখ বুজে মেনে নিত না, নিজের গুন্ডাদের দিয়ে তা কঠোর হস্তে দমন করতো। ঘটনাপ্রবাহে বাকের ভাই রেবেকা হক নামের এলাকার প্রভাবশালী এক নারীর সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। ঐ নারী তার বাড়িতে অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন, বাকের ভাই তা জানতে পেরে প্রতিবাদ করে। এই প্রভাবশালী নারী তার বাড়িতে কুকুর পালন করতেন বলে বাকের ভাই তাকে কুত্তাওয়ালী বলেন। এরই মধ্যে রাতের অন্ধকারে "কুত্তাওয়ালীর" দারোয়ান তার বাড়িতে খুন হয়। ফাঁসানোর জন্য এই খুনের দায় দেয়া হয় বাকের ভাইকে, সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয় কুত্তাওয়ালী'র সাজানো সাক্ষী এলাকার নব্য ছিনতাইকারী মতি। যদিও পদে পদে মতির মিথ্যা সাক্ষ্য বাকের ভাইয়ের উকিল ধরিয়ে দিচ্ছিলেন আদালতের কাছে, কিন্তু এদিকে বাকের ভাইকে ফাঁসানোর জন্য কুত্তাওয়ালী লোভ দেখিয়ে বাকের ভাইয়েরই সাগরেদ বদিকে হাত করে নেয়। বদি, নিরুপায় হয়ে আদালতে শপথ করে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে বাকের ভাইকে পাকাপোক্তভাবে ফাঁসিয়ে দেয়। আদালত, ঐ খুনের দায়ে নির্দোষ বাকের ভাইকে মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড দেন। বাকের ভাইয়ের পক্ষে উকিল হিসেবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হোন উকিল। আদালতের এই সিদ্ধান্তে যেন মরে যায় মুনার মন। এদিকে মুনার ঘরের সবাইও বিভিন্ন জায়গায় পাড়ি জমান। এই একাকিত্বের দিনে এক ভোরে, আদো-অন্ধকারে, চারদিকে যখন ফযরেরআযান হচ্ছিল, জেল গেট দিয়ে বাকের ভাইয়ের লাশ বের করে দেয়া হয়। কেউ ছিল না সেই লাশ গ্রহণ করার জন্য মুনা ছাড়া। সৎকার করার পর, মুনা বড় একা হয়ে যায়। তার যেন আর কেউ রইলো না কোথাও। নাটকের নামকে সার্থক করে মুনা ধারাবাহিকের শেষ দৃশ্যে ভোরের আদো-অন্ধকারে ছায়া হয়ে একা প্রান্তরে দাঁড়িয়ে থাকে।


দহনকাল (প্রথম আলো বর্ষসেরা বই ১৪১৬)

হরিদাস নামের একজন জলপুত্র অশিক্ষিত বাবা রাধানাথের প্রেরণায় আলোর পথে হাঁটছে। তার পরিবারকে ঘিরে সমাজের পিছুটান, স্বার্থপরদের লোলুপতা, সুবিধাবাদীদের ওপর-চালাকি আবর্তিত হচ্ছে। নিকুঞ্জ সর্দার আবদুল খালেকের সঙ্গে মিলেমিশে রাধানাথ তথা গোটা জেলেসমাজকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছে। চন্দ্রকলা নামের বিধবা মহিলাটি শেষ পর্যন্ত এইসব অনাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামশীল থেকে গেছে।


চিলেকোঠার সেপাই (হার্ডকভার)

উপন্যাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এর মনোবিশ্লেষণ। উনসত্তুর সালের প্রবল গণঅভ্যুত্থানের যারা প্রধান শক্তি ছিল, সেই শ্রমজীবী জনসাধারণ কিভাবে আন্দোলন-পরবর্তী সময়টিতে প্রতারিত এবং বঞ্চিত হলো, বামপন্থীদের দোদুল্যমানতা আর ভাঙনের ফলে, জাতীয় মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে যথাযথভাবে ধারণ করতে না পারার ফলে অজস্র রক্তপাতের পরও রাজনীতির ময়দান থেকে তাদের পশ্চাদপসরণ ঘটলো, আওয়ামী লীগ প্রধান শক্তি হয়ে উঠলো, উপন্যাসটির উপজীব্য সেই ঐতিহাসিক সময়টুকুই। গ্রন্থের প্রধান তিনটি চরিত্র ওসমান, আনোয়ার এবং "হাড্ডি খিজির"। চিলেকোঠার সেপাই ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে রোববার নামীয় সাপ্তাহিক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় এবং ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এর অভিনব কাঠামো এবং নতুন ভাষা-ভাঙ্গী পরবর্তী প্রজন্মের নতুন লেখকদের বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত ও প্রভাবান্বিত করে যার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ শহিদুল জহির। এই উপন্যাসে একদিকে হাড্ডি খিজির যেমন মহাজনের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে উঠতি আওয়ামী লীগের নেতা আলাউদ্দীন মিয়ার ধমক খায়, গ্রামে গ্রামে গরুচোরদের রক্ষাকর্তা জোতদারদের রক্ষায় রাষ্ট্র-সামরিক বাহিনী-আওয়ামী রাজনীতি একাকার হয়ে যায়। ঢাকা ক্লাব থেকে আইয়ুব বিরোধী মিছিলে গুলি বর্ষণ করা হলে উত্তেজিত জনতা ক্লাবটিতে আগুন ধরাতে যায়, আর বাঙালি-বাঙালি ভাই ভাই আওয়াজ তুলে তাদেরকে রক্ষা করা হয়।


ক্রীতদাসের হাসি(প্রথম সংস্করণ ১৯৬৩) (হার্ডকভার)

সাধারণত লেখকের আনন্দ হয় কোন পুস্তকের নতুন পুনর্মুদ্রণের সময়। কারণ, পাঠকের নিকট যে তার চাহিদা ফুরিয়ে যায়নি, পরিস্থিতি তা জানান দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমার এই উপক্রমাণিকার পেছনে আনন্দ থাকলেও তা বিষাদ-সিক্ত। ৩৪ বছর পূর্বে যখন এই উপন্যাস ছাপা হয়, তখন উৎসর্গ পৃ্ষ্ঠায় উল্লেখিত দুই জনেই ছিলেন তরতাজা যুবক আত্মার আত্মীয়। এখন একজন চিরতরে গরহাজির পৃথিবী থেকে। তিনি কবি সানাউল হক। দুবছর পূর্বে প্রায়ত। অপর জন একেরেম আহসান গুরুতর অসুস্থ। আরো স্বরণ করতে হয় আব্দুল বারী ওয়ার্সী-কে তিন দশক পূর্বে আইয়ুব খানের মিলিটারি স্বৈরতন্ত্রের যুগে যিনি এই পুস্তক প্রকাশে নৈতিক সাহস পুরস্কার পায় “ক্রীতদাসের হাসি।” বর্তমানে জনাব আব্দুল বারী ওয়ার্সীও গুরুতর অসুস্থ। পঁচাত্তরের মুখোমুখি বয়স। তিনিই প্রথম প্রকাশক। পরবর্তী কালে এগিয়ে আসেন শ্রীচিত্তরঞ্জন সাহা। প্রকাশনার ক্ষেত্রে তিনি এক উজ্জ্বল গ্রহ এবং প্রাতঃস্বরণীয় জন। আমার ধন্যবাদ তাঁর উচ্চতায় পৌঁছাবে না। তাই চুপ করে গেলাম। ‘পুথিঘর লিমিটেড’ নিরঙ্কুশ অড়্রযাত্রী হোক দেশের গুমরাহী এবং ধর্মন্ধতা ধ্বংসে-এই গুভ কামনা রইল।


অন্যভুবন (হার্ডকভার)

সেটা অসহ্য একটা ব্যাপার। যারা এই যন্ত্রনা ভোগ করেছে কেবল তারাই বুঝতে পারে এর ভয়াবহতা। . এছাড়াও মাঝে মধ্যে সারাদিন সে রোদের মধ্যে বসে থাকে। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত পাথরের মত বসে থাকে। নড়েনা একচুলও। সারাদিন খাওয়া দাওয়া বন্ধ রাখে সে। সূর্য থেকেই নাকি খাবার পায় ঐদিনটায়। তারপর সূর্য ডুবে গেলেই নিজের ঘরে ফিরে এসে ছবি আকতে শুরু করে তিন্নী। অন্ধকারে বসেই ছবি আকে সে। সেটাও সাধারন কোন ছবি না। প্যাচানো লতার মত সবুজ আর হলুদ রঙয়ের এক ধরনের গাছের ছবি। . মাঝেমাঝে সে ঘুমের মধ্যে গাছগুলোর সাথে কথা বলে সে। গাছেরা নাকি তিন্নীকে নিজেদের দেশে নিয়ে যেতে চায়। ইদানিং বাগানের কিছু কিছু গাছের কথা বুঝতে পারে সে। সারাদিন তাদের কথা শুনে তিন্নী। . তিন্নীর বাবা শেষপর্যন্ত তিন্নীর সমস্যাটা নিয়ে আসে মিসির অালীর কাছে। মিসির আলী দিনরাত মাথা ঘামিয়েও কোন সুষ্ঠু ব্যাখ্যা খুজে পান না এই ব্যাপারটার। তবে কি এটা আরেকটা অমিমাংসিত রহস্য হিসেবে বাধা পড়ে যাবে মিসির আলীর অমিমাংসিত রহস্যের খাতায়?


অন্দরমহল (হার্ডকভার)

অন্দরমহল জুড়ে তাই ষড়যন্ত্রের ফিসফিসানি, দুর্যোগের ঘনঘটা, গঙ্গাবতীর উন্মত্ত স্রোত। সবসময় যেন গেম অফ থ্রোনসের সিজন ৬ ফিনালের থিম সং মাথায় বাজে-এই কিছু হল, এই যেন কে মরলো। উপন্যাসের শুরুতেই লেখক বলে নিয়েছেন-লেখকের মৃত্যু পাঠকের কাছে এসে। লেখক হয়তো রাজমহল, আকবর দ্যা গ্রেট ভঙ্গিতে চিন্তা করেছেন-আর আমার চোখে ভেসে উঠেছে আরেক ভংগীতে। কারো চোখে সুলতান সোলেমান সিরিয়ালের স্টাইলে, আর আমার চোখে গেফ অফ থ্রোনসের মত করে। তবে হ্যা-গঙ্গাবতী ভাবতে গিয়ে বুড়িগঙ্গার কালো পানি অন্তত মনে আসেনি। নির্দ্বিধায় আমি বানীবালাকে সার্সেই ল্যানিস্টার এর সাথে মিলাতে পারি, তার পুত্র দ্বিজেন্দ্র মিলে যায় জফ্রে ব্যারাথিওন এর সাথে। থাক সে কথা বলবো না, অনেকেই বুঝবেনা।


বহুব্রীহি (হার্ডকভার)

অবসরপ্রাপ্ত সোহাবান সাহেব তার স্ত্রী মিনু, দুই কন্যা বিলু ও মিলি, তাদের মামা ফরিদ এবং সাথে দুইজন কাজের মানুষ রহিমার মা আর কুদ্দুস এই নিয়ে একটি বাড়ি এর কাহিনী। নিরিবিলি বাড়ির নাম। কিন্তু বাড়িটি মোট ও নিরিবিলি থাকেনা।এখানে সবাই কিছুটা অদ্ভুত আচরণ করেন। প্রত্যেকের স্বভাবেই রয়েছে কিছু অস্বাভাবিকতা রয়েছে। কিন্তু মোটের উপর এত সব পাগলামির পরেও সবাই মানুষ হিসাবে অনেক ভালো ও মজার।সোবহান সাহেব দুই বছর হল ওকালতি থেকে অবসর নিয়েছেন । ফরিদ বাস্তব পৃথিবীর সকল প্রকার লোভ -লালসা থেকে মুক্ত একজন মানুষ, যদিও সে নিজের প্রতি উদাসীন ছিলেন। ফরিদের সবসময়ের সঙ্গী বাসার কাজের ছেলে কাদেরের মজার কান্ডকারখানা পাঠককে হাসতে বাধ্য করবে।


একজন কমলালেবু (হার্ডকভার)

নিজের ভেতর অদ্ভুত এক ভ্রম খেলা করতো জীবন বাবুর কবিতা পড়ার সময়। তাই যখন শুনলাম জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক শাহাদুজ্জামান লিখিত প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাশের জীবনী ভিত্তিক উপন্যাস "একজন কমলালেবু" এই বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে প্রথমা থেকে, কিছুটা আবেগের বশবর্তী হয়েই সেটা কিনে ফেললাম। তারপর শুরু হলো একটু একটু করে আমার কমলালেবুর স্বাদ গ্রহনের পালা। সব্যসাচী লেখক, কবি বুদ্ধদেব বসু তাঁর এক প্রবন্ধে কবি জীবনানন্দ দাশকে উল্লেখ করেছিলেন 'নির্জনতার কবি' নামে। কবি জীবনানন্দ ব্যক্তিগত জীবনে হয়তো নির্জনতা ভালবাসতেন, কিন্তু তাঁর কবিতাকে কখনো কখনো নির্জনতার কবিতা ভাবতে আমার দ্বিধা হয়। জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের 'একজন কমলালেবু' গ্রন্হখানা পড়ে জীবন বাবু যে তাঁর সাহিত্যকর্মে অন্তত নির্জনতার কবি ছিলেন না আমার সেই ভাবনা আরো পাকাপোক্ত হলো। ব্যক্তিগত জীবনে নির্জনতা প্রিয় হলেও কবি জীবনানন্দের কলম থেকে বের হয়ে এসেছে অনেক অনেক কোলাহলমুখর কবিতা। কবিতার ব্যাখ্যাগুলো না পড়লে হয়তো সেটা জানাই হতো না। আপন সাহিত্যকর্মের ভেতর দিয়ে একজন সাহিত্যিকের ব্যক্তিগত জীবনকে খুঁজে ফেরা। আপন কবিতার অন্তর্গত আত্মার প্রতিফলন দিয়ে একজন কবির জীবনকে ব্যাখ্যা করা।


মেঘের ওপর বাড়ি (হার্ডকভার)

লাশকাটা ঘরের পলিথিন বিছালা নোংরা টেবিলে আমার শরীর চিত হয়ে আছে। গায়ে আমার কোনো কাপড় নেই। টেবিল থেকে ফিনাইলের কঠিন গন্ধ আসছে। ঘরের জানালা আছে। জানালায় হলুদ রঙের পর্দা ঝুলছে। পর্দা নোংরা। সেখানে কিছু বড় বড় নীল রঙের মাছি বসে আছে। মাছিগুলো কিছুক্ষণ বসে থাকে আবার ওড়াউড়ি করে পর্দার ওপর বসে। ঘরের চারটা দেয়ালের একটায় চুনকাম করা হয়েছে।


অপেক্ষা (হার্ডকভার)

মানুষের জীবন কি চক্রের মত? চক্রের কোন শুরু নেই, শেষ নেই। মানব জীবনও কি তাই? রহস্যময় চক্রের ভেতর এই জীবন ঘুরপাক খেতে থাকে? শুরু নেই, শেষ নেই। চক্র ঘুরছে। এই চক্রের ভেতরে ঘুরপাক খেতে খেতে অপেক্ষা করে কেউ কেউ। কিংবা সকলেই কিসের অপেক্ষা?


অয়োময় (হার্ডকভার)

বছর দু্‌ই আগে ‘উত্তরাধিকার’পত্রিকায় ‘খাদক’ নামে একটা গল্প লিখেছিলাম।নিজের রচনায় সবচে’ বেশি মুগ্ধ হই আমি নিজে। ছাপা অক্ষরের গল্পটা পড়ার পর মনে মনে বললাম-বাহ্ চমৎকার তো, এ-ধরনের গল্প আরো কিছু লেখা যেতে পারে । কিন্তু লিখতে পারলাম না। চরিত্র সম্পর্কে ভাসা-ভাসা জ্ঞান নিয়ে কিছু লেখা কঠিন। দু’বছরে গল্প লেখা হলো মাত্র সাতটি। এই সাতটি গল্প সিয়েই ‘অয়োময়’। গল্প গন্থের নাম নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি হতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশের টিভি এই নামেই একটি সিরিয়েল প্রচার করেছে, যার রচয়িতাও আমি। তবে, টিভি সিরিয়েলের সঙ্গে গল্প গন্থের গল্প গুলোর কোন মিল নেই। অবশ্যি ,দুটি ক্ষেত্রেই চরিত্রগুলো এসেছে ভাটি অঞ্চল থেকে -মিল বলতে এইটুকুই। পাঠক-পাঠিকারা প্রশ্ন তুলতে পারেন,-‘অয়োময়’নামটি দুই জায়গায় ব্যবহার করা হলো কেন?উত্তর একটিই, কিছু কিছু নাম আমার পছন্দ হয়ে যায়।সেই না গুলোই বারবার ঘুরেফিরে ব্যবহার করতে ইচ্ছে করে।বেশির ভাগ পাঠক-পাঠিকাই আমার এই বদভ্যাসের কথা জানেন।তাঁরা অতীতে আমাকে ক্ষমা করেছেন,নিশ্চয়ই এবারও্ করবেন।


দ্য সুলতান’স হারেম (সুলতান সুলেমান সিরিজের প্রথম বই) (হার্ডকভার)

ইতিহাস আমার খুবই পছন্দের একটা বিষয়। কিন্তু ইতিহাস নির্ভর বই কেন যেন আমাকে খুব একটা টানতো না। অন্ততপক্ষে এই বইটা পড়ার আগ পর্যন্ত না। অথচ ইতিহাস নিয়ে লেখা বই খুব বেশি না পড়লেও একেবারেই যে পড়া হয়নি তা নয়। হুমায়ূন আহমেদের মাতাল হাওয়া থেকে মধ্যাহ্ন, অথবা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই সময় থেকে প্রথম আলো। পাঠ্যপুস্তকে রক্তাক্ত প্ৰান্তর তো ছিলই। তবে বাংলা উপন্যাস পড়া হলেও ইংরেজি উপন্যাস পড়া হয়নি একেবারেই। সেদিক দিয়ে ‘দ্য সুলতান'স হারেম আমার প্রথম পড়া এবং প্রথম অনুবাদ করা হিস্টোরিকাল ফিকশন। বইটা অনেকটাই সংক্ষেপিত এবং পরিমার্জিত। তবে তাতে কাহিনীর কোথাও কোনো ছেদ পড়েনি বলেই আমার বিশ্বাস। অনুবাদ করতে খুব কষ্ট হয়েছে। তবে আনন্দও পেয়েছি খুব। বাকিটা এখন পাঠকদের হাতে। পাঠকরা যদি সাদরে গ্রহণ করেন তাহলেই আমার পরিশ্রম সাৰ্থক বলে ধরে নেবো । অনেককেই ধন্যবাদ দেওয়ার আছে। ফুয়াদ ভাইকে ধন্যবাদ দিয়ে ছােট করব না। এই মানুষটার এনার্জি দেখে আমি অবাক হয়ে যাই মাঝে মাঝে। আদী প্রকাশনীর কর্ণধার। সাজিদ ভাইকেও একটা বড় করে। ধন্যবাদ। তিনি না বললে এই বই আমার অনুবাদ করাই হতো না। আর আরেকজনের কথা না বললেই নয়, সে আমার স্ত্রী। সংসারের অন্য সব কাজ ও নিজের হাতে তুলে না নিলে হয়তো আমি এই বই শেষ করতে পারতাম না । অনেক নিখুঁত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যেহেতু এটা আসমানী কিতাব না। তাই ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। আশা করি, পাঠকবৃন্দ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ইমতিয়াজ আজাদ