সুন্দর করে কথা বলার আগ্রহ সবারই আছে। সুন্দর করে যারা কথা বলেন, তাদের কথা থেকে রুচি আর ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। সুন্দর করে কথা বলাটাও শিল্প। সুন্দর মনের পরিচয় দেয়ার জন্যও কথাই হতে পারে অবলম্বন। আকর্ষণীয় কণ্ঠস্বর না-হলে সুন্দর করে কথা ভলা যায় না, এমনটা কেউ কেউ মনে করেন। কিন্তু শুধু কণ্ঠস্বর আর শুদ্ধ উচ্চারণই সুন্দর কথা বলার জন্য সহায়ক নয়। সঠিক উচ্চারণ আর ব্যক্তিত্ব দিয়েই মানুষ সুন্দর করে কথা বলতে পারেন। যাঁর চিন্তা যতো পরিষ্কার, যাঁর জ্ঞান যতো গভীর, যাঁর মন যতো সংবেদনশীল-তাঁর কথা বলাটাও তেমনি আকষণীয় হয়। অনেক অনেক কথা না-বলে যিনি অল্প কথায় অনেক কিছু বোঝাতে পারেন তিনিই সুন্দর কথক।
দুনিয়ার মুসলমান বর্তমানে দুইভাগে বিভক্ত হইয়া গিয়াছে। একভাগ মুসলমান আল্লাহ্কে বিশ্বাস করে কিন্তু ইসলাম ধর্মের নিয়ম মানিয়া চলেনা। গুনাহ্ অপরাধ দুর্নীতি বেইমানী এবং আল্লাহ্র আদেশ অমান্য করে এবং অপর ভাগ মুসলমান আল্লাহ্র রসূলকে বিশ্বাস করে এবং ইসলাম ধর্মের আদেশ নিষেধ অনুশাসণ মানিয়া গুনাহ হইতে বিরত থাকিয়া সাধারণ জীবন যাপন করে। মুসলমান অনেক কাজকে গুনাহ্ নহে মনে করিয়া জ্ঞানের অজ্ঞতায় গুনাহ্ করিয়া ফেলে। কোন কোন কাজ করিলে মুসলমানের আমল নামায় গুনাহ্ লিখা হয় তাহা এই বইতে লিখা হইয়াছে। মুসলমানকে অবশ্যই এই সকল গুনাহ্ হইতে বিরত থাকিতে হইবে। মুসলমান কেন গুনাহ্ এবং অন্যায় অপরাধ করে ইহার গোপন রহস্য এই বইতে বিষদভাবে লিখা হইয়াছে। দুনিয়ার সকল মুসলমানকে এই রহস্যের কথা জানিতে হইবে। দুনিয়ার সকল কাজে আল্লাহ্তায়ালা মানুষের জন্য অনেক ছোয়াবের উপকরণ রাখিয়াছেন। কোন কোন কাজ করিলে মুসলমানের আমলনামায় বিশাল পরিমাণ ছোয়াব জমা হইবে তাহা এই বইতে বিষদভাবে লিখা হইয়াছে।
আপনি কী চান ? যা পেতে চান, আপনি পাবেন। যা হতে চান, তা হতে পারবেন। যা অর্জন করতে চান, তা অর্জন করতে পারবেন। জীবনের আকাঙ্খিত ফল পেতে চাইলে, নিজের কাজের সাফল্য অর্জন করতে হলে, মনের মত জীবনযাপন করতে চাইলে, মাইন্ড ট্রেনিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার বিব্রতকর সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করতে এবং তার সমাধান বের করতে পারবেন। ধ্যানের মাধ্যমে মাইন্ড ট্রেনিং এর এই পদ্ধতিটা নিজেরাই রপ্ত করে নিয়েছেন সাধু সন্ন্যাসীরা। ফলে তারা তাদের আয়ত্বে আনা এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এমন কিছু করে ফেলেছেন যা আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য কিংবা অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। নিয়মিত মাত্র কয়েক মিনিটের অনুশীলনের মাধ্যমে এই নতুন জ্ঞান এবং দক্ষতাকে আপনি নিজের আয়ত্বে আনতে পারবেন। আপনার অগ্রগতি, মানসিক শক্তি, ব্যক্তিগত অর্জন, লেখাপড়া, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং নিজের কাজে আকাঙ্খিত ফল লাভের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবেন। এ মেডিটেশন বা ধ্যান সমগ্র বিশ্বে ব্যাপকভাবে চর্চা শুরু হয়ে গেছে। আপনি কেন পিছিয়ে থাকবেন ?
হাজারো প্রশ্নের জবাব-১, বইটি পাঠকের মাঝে অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা পায়। আর তাই পাঠকের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রকাশিত হলো হাজারো প্রশ্নের জবাব-২। ধ্যানের মাধ্যমে নিজের প্রতিভা বিকাশ করা ,ক্যারিয়ারে সাফল্য, শিক্ষার পথকে সুগম করা্ ইত্যাদি, জীবনের বিভিন্ন স্তরে কীভাবে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হয় তা জানা যায়। এখানে বইটি থেকে সামান্য অংশ তুলে দিচ্ছি : প্রতিকূলতাকে ইতিবাচকভাবে নিন। বুদ্ধি শাণিত হবে। আপনি হয়ে উঠবেন শক্তিমান। ভাবুন মুন্সীগঞ্জের শাহীন মিয়ার কথা। যার মা বিয়ে বাড়িতে মসলা বেঁটে, থালাবাসন ধুয়ে সংসার চালান। বিয়ে বাড়ির উচ্ছিষ্ট খাবার জুটলে খুশি মনে নিয়ে আসেন বাড়িতে তিন সন্তানকে খাওয়াবার আশায়। থাকেন ভাড়া করা একটা ছোট টং ঘরে। ঘরে একটি চৌকি ও একটি টেবিল পাতা। মেঝেতে মা ভাই বোন আর চৌকিতে তিন ভাই বোন জড়াজড়ি করে ঘুমায়। টেবিলটাতে ওরা পালা করে লেখাপড়া করে। ঘরের ভাড়া দিতে হয় মাসে ৭০০ টাকা। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও শাহীন লেখাপড়া চালিয়ে গেছে। ক্লাস এইটে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে এসএস সি-তে এখন স্বপ্ন দেখছে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে আরও এগিয়ে যাবার। সংগ্রাম করে প্রতিকূলতাকে জয় করার যে শিক্ষা বইটি থেকে পাওয়া যায়। তা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে পারলে জীবনের নেতিবাচক বিষয়গুলো থেকে নিজেকে মুক্ত করা সম্ভব। মহাজাতকের এই বইটি কোনো গল্পের বই নয়; এ থেকে উপকার পেতে হলে অনুসরণ করে এগোতে হবে। বইটির বহুল প্রচার কামনা করছি।
সময়ই জীবন। এ কঠিন সত্যটি যে যত দ্রুত বুঝতে এবং উপলব্ধি করতে পেরেছে তার জন্য ততই মঙ্গল। সময়ের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে কাজ-কর্মে অগ্রসর হতে হবে। খুবই করিতকর্মা হতে হবে, তবে নিষ্প্রাণ এবং কঠিন হৃদয়ের অধিকারী হওয়া চলবে না। জীবনকে উপভোগ করতে হবে, অবশ্যই কাজ-কর্মের মধ্যে দিয়ে সেটা করতে হবে। পরিশ্রমের মাধ্যমেই ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিতে হবে। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যদি ঠিক হয় এবং সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়, কাজে সাফল্য আশা করা যেতে পারে, এর ব্যতিক্রম হলে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে।
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ আপনাকে পছন্দ করবে, যদি আপনি ভালাে শ্রোতা হন। আমার পরিচিত এক ভদ্রলােক আছেন, সবাই তাকে প্রশংসা করে। বলে, উনি যা সুন্দর করে কথা বলেন! আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, বলুন তাে আপনার রহস্যটি কী? কিভাবে আপনি এত সুন্দর করে কথা বলেন? তিনি উত্তর দিলেন, কই, আমি তাে কথা বলি না, আমি তাে কেবলই শুনি। তাই পাঠক, এখন যে ফর্মুলা দেব, যদি অনুসরণ করেন, দেখবেন সবাই আপনাকে পছন্দ করছে।
বই পড়ে কী অভ্যাস পরিবর্তন সম্ভব? বই পড়ে জীবনের সবকিছু পরিবর্তন করতে না পারলেও অনেক কিছুই পরিবর্তন সম্ভব, অন্তত আমার তা-ই মনে হয়। আমার জীবনে আমি যখন হতাশ হয়ে পড়ি, ছােটবেলা থেকে ডেল কার্নেগী, ডক্টর লুৎফর রহমানের বই পড়ে বড় হয়েছি। এছাড়া আরাে অনেক লেখকের বই পড়েছি সারাটা জীবনভর। সব কষ্ট ভুলতে না পারলেও অনেক কষ্ট ভুলতে পেরেছি। অনেক বাজে অভ্যাস থেকে জীবন সুন্দর করতে পেরেছি আমি নিজেও।
সৃষ্টির আদিতে এই নিয়মের সূচনা। এই নিয়ম সদাই ছিল এবং থাকবে। এই মহাবিশ্বের সমগ্র বিন্যাস ও আপনার জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত এবং প্রতিটি বস্তুর যে অভিজ্ঞতা আপনার ঘটে তা নির্দিষ্ট করে এই নিয়ম। আপনি কে এবং কোথায় আছেন, তাতে কিছুই যায় আসে না, আকর্ষণের নিয়ম আপনার সমগ্র জীবন গড়ে এবং এই অসীম শক্তিমান নিয়ম তা করে আপনারই চিন্তার মাধ্যমে। আকর্ষণের শক্তিকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান আপনি নিজেই, আর তা করেন আপনার ভাবনার মাধ্যমে।
আপনি আপনার সমস্ত ইচ্ছাশক্তি নিয়ে অনুশীলন করলেও অন্যরকম আচরণ করতে পারবেন না। যে লােক নিজেকে মনে করে ব্যর্থ টাইপের সে ব্যর্থতার রাস্তাই খুঁজে পাবে, যতই সফল হওয়ার চেষ্টা করুক লাভ হবে না, তার জীবনে দু'একটি সুযােগ এলেও কাজ হবে না। যে মানুষ ভাবে সে ‘দুর্ভাগা’ সে প্রমাণ করে ছাড়বে সে সত্যিই দুর্ভাগ্যের শিকার। সেলফ-ইমেজ হলাে আমাদের গােটা ব্যক্তিত্বের ভিত্তি প্রস্তর। একজন সেলসম্যান যদি মনে করে সে কোনাে কম্মের না সে কিন্তু সত্যি সাফল্য পাবে । সে সবকিছুর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে, নিজে সেধে ডেকে নিয়ে আসবে প্রত্যাখ্যান। তাকে কেউ পছন্দ করবে না। সে একজন ব্যর্থ মানুষ।
অনেক ভাবেই মনের ওপর প্রভাব বিস্তার করা যায়। তার একটি হলাে সম্মােহন। সম্মােহনের সাহায্যে নিজেকে প্রভাবিত করে অটো সাজেশনের মাধ্যমে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু সম্মােহিত অবস্থায় কিছুটা তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব এসে যায় বলে স্বাধীনভাবে চিন্তা ও কল্পনার ক্ষমতা অনেকখানি লােপ পায়। অথচ নতুন এই পদ্ধতিতে কল্পনাকে ব্যবহার করতে হবে আপনার নিজের প্রয়ােজনে। সেইজন্যে সম্মােহনের কাছাকাছি আর একটি স্তর আবিষ্কার করা হয়েছে, যেখানে পৌঁছে স্থিত হবে মানুষ, কিন্তু তার প্রখর কল্পনাশক্তি যথেচ্ছ ব্যবহারে কোনাে বাধা থাকবে না।
আমি আসলে কী করি সেটি ব্যাখ্যা এবং বিশ্লেষণ করা মাঝে মাঝে কঠিন হয়ে যায়। কারণ কাজটা আমি স্রেফ করে ফেলি। ভালবাসার কথা ভাবুন এক মুহূর্ত। লােকে যখন প্রেমে পড়ে, তারা জানে এর অনুভূতি কীরকম—ভালবাসার ব্যাপারটি হঠাৎ করেই ঘটে যায় এবং যারা প্রেমে পড়ে তারা বিষয়টি বুঝতে পারে। এটি ঠিক যেন ব্যাখ্যা করে বােঝানাের মতাে নয়। তবে একজন বিজ্ঞানী হলে তিনি বলবেন ভালবাসা হলাে রসায়নের মতাে, আমরা যখন কারও প্রেমে পড়ি তখন আমাদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, মুখমণ্ডল হয়ে ওঠে রক্তিম, ঘেমে ওঠে হাতের তালু। এসব ঘটে আমাদের শরীর থেকে ডােপামিন এবং নােরপাইনফ্রিন নি:সরণের কারণে।
যারা স্বপ্ন দেখে নিজেদের কোম্পানি গড়ার, উদ্যোক্তা হওয়ার, কোন বিষয়ে বাংলাদেশে ও সারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করার তাদের জন্য এই বই। অত্যন্ত বাস্তবমুখী ও কার্যকরী কৌশল ও সূত্র দ্বারা আপনি আপনার নিজের মধ্যে ও অন্যের মধ্যে নেতৃত্ব গঠন করতে পারবেন। আর যারা বিভিন কোম্পানির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে আছেন তারা এই বইয়ের জ্ঞান প্রয়োগ করে নিজেদের কোম্পানিকে আরও সাফল্যের প্রতি দৃঢ়পদে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।
আত্মবিস্মৃতি এবং স্বল্পস্মৃতির এই শতাব্দীতে স্বামী বিবেকানন্দ বহু বাধাবিপত্তি পেরিয়ে আজও কেমন করে সংখ্যাতীত মানুষের মনের মধ্যে এমনভাবে বেঁচে রইলেন, তা এক পরমবিস্ময়। এর একটা কারণ বােধ হয় তার স্বপ্ন ও বক্তব্যগুলির অফুরন্ত প্রাণশক্তি। তার ছােট ছােট , কথাগুলিও সব শ্রেণির মানুষের মনে আজও বিস্ময় জাগায়, কখনও কখনও বুকে আগুন ধরায়। অনেকের মনে পড়ে যায়, অতি সামান্য সময়ের জন্য তিনি বেঁচেছিলেন, কিন্তু তারই মধ্যে কপর্দকশূন্য অবস্থায়। বিশ্বের সুদূরতম প্রান্তে পৌছে ভিন্ন মতের মানুষের মুখােমুখি হতে তিনি কখনও ভয় পাননি।
আত্মবিস্মৃতি এবং স্বল্পস্মৃতির এই শতাব্দীতে স্বামী বিবেকানন্দ বহু বাধাবিপত্তি পেরিয়ে আজও কেমন করে সংখ্যাতীত মানুষের মনের মধ্যে এমনভাবে বেঁচে রইলেন, তা এক পরমবিস্ময়। এর একটা কারণ বােধ হয় তার স্বপ্ন ও বক্তব্যগুলির অফুরন্ত প্রাণশক্তি। তার ছােট ছােট , কথাগুলিও সব শ্রেণির মানুষের মনে আজও বিস্ময় জাগায়, কখনও কখনও বুকে আগুন ধরায়। অনেকের মনে পড়ে যায়, অতি সামান্য সময়ের জন্য তিনি বেঁচেছিলেন, কিন্তু তারই মধ্যে কপর্দকশূন্য অবস্থায়। বিশ্বের সুদূরতম প্রান্তে পৌছে ভিন্ন মতের মানুষের মুখােমুখি হতে তিনি কখনও ভয় পাননি।
নদিয়া গাঙ্গেয় সমতট। প্রাচীনকালের নদিয়ার অবস্থানগত অঞ্চলের ভৌগােলিক নাম ও চতুঃসীমা বর্তমানকালে এতদূর পরিবর্তন হয়েছে যে, বর্তমান নদিয়ার সঙ্গে পূর্বেকার ইতিহাসের নদিয়ার ভৌগােলিক অবস্থানে কোনও সামঞ্জস্য নেই এবং সেই অবস্থান নিরূপণ করা প্রায় দুঃসাধ্য। একথা সুবিদিত যে, প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের ধারা যে ভৌগােলিক অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত ছিল— সেই অঞ্চলের আধুনিককালের নাম বাংলা বা পশ্চিমবঙ্গ, কিন্তু প্রাচীন ইতিহাসের মূল প্রবাহের সঙ্গে প্রাচীনকালের নদিয়ার সংযােগ অনির্ণেয়।
সেদিন বিকেল থেকেই আকাশে মেঘের জটলা দেখা গেল। সূর্য ডােবার আগেই গ্রামভাউসা বন্দর এলাকা সমুদ্র অন্ধকার হয়ে গেল।ফ্রান্সিস কেবিনঘরে শুয়েছিল। মারিয়া বিছানায় বসে রুমাল সেলাই করছিল। কাজের মধ্যেই ফ্রান্সিসের সঙ্গে গল্প করছিল। আকাশে মেঘ জমা, বাতাস পড়ে যাওয়া এসব ফ্রান্সিস মারিয়া বুঝতে পারেনি। জাহাজের নজরদার মাস্তুলের মাথায় ওর জায়গা থেকে নেমে এলাে। ডেক-এ বিশ্রামরত দু'তিনজন ভাইকিং-এর কাছে এলাে। নজরদার হাত তুলে ওদের আকাশের অবস্থা দেখাল। ওরা।
যদি বলি, সভ্যতার কোন অসুখই ওষুধে সারে না, আপনি হয়তাে বিশ্বাস করবেন না। যদি বলি, আমরা ডাক্তার দেখাই অসুখ সারাতে নয়, কমাতে—আপনি হয়তাে চমকে উঠবেন। বলবেন, তাহলে এই যে স্পেশালিস্টদের চেম্বারে হাজার হাজার রােগী ভিড় করছে, এঁরা কি অসুখ কমাতেই যাচ্ছে, সারাতে নয়? ওষুধের কি কোন মূল্যই নেই?
সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউট বইটি এমন নয় যে অনেকমনীষীদের উক্তি ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিয়ে ভরা। এমনকি এটা অনুপ্রেরণার উক্তিতেওযে ভরপুর তা নয়। অনেকের কাছে এটা সত্য নাও লাগতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে বড়কথা হচ্ছে এটা এমন এক বই যা পাঠ করলে আপনি আপনার দুই পায়ে ভর দিয়েউঠে দাঁড়াবেন এবং একটি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ আরম্ভ করবেন যতক্ষণপর্যন্ত না আপনি সাফল্য অর্জন করছেন। কথাটা জাদুর মতো মনে হলেও এটাপুরোপুরি সত্য। এই বইটি পুরোপুরি বাস্তবতা কেন্দ্রিক। বইটিতে বিশ্বের বড় বড় অসংখ্যলোকজনের সাফল্য যাত্রা সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে; তারা কী ধরনের বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হয়েছে এবং কীভাবে সেগুলোর মোকাবিলা করেছে তাও বলাহয়েছে। এসব ঘটনাবলি থেকে নেপোলিয়ন হিল কিছু সাধারণ সূত্র আবিষ্কার করেনযা যেকোন মানুষই তার জীবনে কাজে লাগাতে পারে। আর কেউ যদি এই সূত্রগুলোতার বাস্তব জীবনে কাজে লাগায় তবে তার জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটবে, যাঅবশ্যই ইতিবাচক। আমার পক্ষ থেকে কিছু সর্তক বাণী : আপনার মধ্যে যদি জীবনে সাফল্যঅর্জনের একটি তীব্র আকাক্সক্ষা না থাকে তবে এই বই ধরার দরকার নেই। আপনিযদি আপনার মধ্যে বিস্ময়কর পরিবর্তন দেখতে না চান তবে এই বই কেনার দরকারনেই। আপনার পক্ষেও যে সাফল্য অর্জন সম্ভব এটা যদি আপনি অন্যদের দেখাতেনা চান তবে এই বই পড়ার দরকার নেই। আপনি যখন এই বইটি পরিপূর্ণভাবে পাঠ শেষ করবেন ও বুঝবেন, তখনদেখবেন আপনি আর আগের ব্যক্তিটি নেই; এমনকি আপনি চাইলেও আর আগেরমতো থাকতে পারবেন না। সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউট বইটি কেবল অনেক চিন্তা-ভাবনার স্তুপ নয়, এটা নেপোলিয়ন হিলের ২০ বছরের গবেষণা ও সাধনার ফল।বইটি পাঠ শেষে আপনি দুইভাগে জীবন যাপন করবেন। প্রথম ভাগ হলো বই পাঠেরআগের জীবন। আর দ্বিতীয় ভাগ হলো বই পাঠের পরের জীবন। আমি আমার এইপরের ভাগের জীবন অতিবাহিত করছি। সাফল্য অর্জনের জন্য ইচ্ছাই যথেষ্ট নয়, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর যেপথ বা যাত্রা সেই অভিযানে হেঁটে চলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের যাত্রাপথে যখনআমরা এগিয়ে যাবো তখন অনেক সমস্যারই আমরা সম্মুখীন হবো, অনেকপরিস্থিতিতে পড়ে আমরা ভয় পাবো, আমাদের মনোযোগ সরে যাবে (চলচ্চিত্র, টিভিবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা), আমরা এটা বুঝতে না পেরে আশাহত হবো;যেমনটা আমার হয়েছে।
সময় একটি মূল্যবান সম্পদ। একজন নিম্নবিত্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর কাছে যে পরিমাণ সময় আছে, একজন কোটিপতি ব্যবসায়ীর কাছেও সমান পরিমাণে সময় আছে। পার্থক্য শুধু সময়ের ব্যবস্থাপনায়। যে যতবেশি কার্যকরীভাবে সময়ের ব্যবস্থাপনা করতে পারে সে ততবেশি সফল। আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ। এক মিনিট সময়ও হেলায় পার করা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করা সময় ব্যবস্থাপনার মুখ্য উপাদান। কাজ ও পরিবারকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি নিজের জন্যও কিছু সময় বরাদ্দ রাখতে হয়। সকল দিক বিবেচনা করে সঠিকভাবে সময় ব্যবস্থাপনা খুব কম মানুষই করতে পারে। কিন্তু যারা করতে পারে তারাই সফলতার মুখ দেখতে পায়। সঠিকভাবে সময় ব্যবস্থাপনা করা হলে দুশ্চিন্তা কিংবা মানসিক চাপ দূর হয়ে যায়। এই বইটি পড়ার পর আমার সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা হয়েছে। আমি মনে করি এটি একটি সময়োপযোগী বই। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী কিংবা ছাত্র-ছাত্রী সবারই এই বইটি কাজে লাগবে বলে আমি মনে করি।