Categories


নিহির ভালোবাসা

মহাকাশযানে এক ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে ছোট্ট স্কাউট শীপ নিয়ে হাইপার জাম্প নিতে বাধ্য হয় তরুণ বিজ্ঞানী নিও। একমাত্র সঙ্গী ছোট্ট রোবট পিপি। দীর্ঘ হাইপার জাম্প শেষে অবতরণ করে সম্পূর্ণ অপরিচিত কিন্তু অবিশ্বাস্য সুন্দর গ্রহ লিপিলে। কিছু বুঝে উঠার আগেই বন্দী হয় মানুষরূপী লিপিল অধিবাসীদের হাতে। হাত পা বেঁধে নিওকে নিক্ষেপ করা হয় ভয়ঙ্কর প্রাণী গোগোর খাদ্য হিসাবে। লিপিলের প্রচলিত আইন অমান্য করে শেষ মুহূর্তে নিওর সাহায্যে এগিয়ে আ সবুজ চোখ, সোনালী চুল আর মায়াবী চেহারার অপূর্ব সুন্দরী নিহি। আইন ভঙ্গের অপরাধে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় নিহিকে। ভয়ঙ্কর পরিণতি অপেক্ষা করছে তার জন্য।

শেষ পর্যন্ত কি ঘটেছিল নিও আর নিহির ভাগ্যে?


বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ত্রাতুলের জগৎ

তাদের একেবারে সােজা সাপটা কাড়াকাড়ি করে খাওয়া দেখতে আমার এক ধরনের আনন্দ হয়। প্রাণীগুলাে আজকাল আমাকে ভয় পায় না, আমার আস্তিনের নিচে নির্বিবাদে লুকিয়ে থাকে কিংবা আমার কাঁধে বসে কিচিরমিচির করে ডাকাডাকি করে। এই এলাকার রােবটগুলাে ভাবলেশহীন মুখে আমাকে লক্ষ্য করে, কিন্তু তাদের সবুজ ফাটাসেলের চোখে আলাের তারতম্য দেখে আমি বুঝতে পারি তাদের কপােট্রনে খানিকটা হলেও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং তারা নিজেদের ভেতরে কোনাে একটা হিসেব মেলাতে পারে না। একজন অল্পবয়সী মানুষের সুউচ্চ অট্টালিকার দেয়ালে হেলান দিয়ে চুপচাপ বসে থাকার কথা নয়, তার শরীরের ওপর দিয়ে পশুপাখির ছােটাছুটি করার কথা নয়। রােবটগুলাে কখনােই আমাকে বিরক্ত করেনি। কিন্তু সাইবর্গ এবং এন্ড্রয়েডগুলাে মাঝে মাঝেই থমকে দাঁড়িয়ে কৌতুহল প্রকাশ করেছে, কখনাে কখনাে অবজ্ঞা, তাচ্ছিল্য কিংবা ক্রোধ প্রকাশ করেছে। আমাকে দেখে মানুষেরা অবশ্যি সবসময়ই সহজাত সৌজন্যের কারণে নিজেদের অনুভূতি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সেটি কখনাে গােপন থাকেনি। আমি বুঝতে পারি তারা আমার জন্যে এক ধরনের করুণা এবং অনুকম্পা অনুভব করছে। প্রাচীনকালে মানুষ মানসিক রােগাক্রান্ত হয়ে জীবনবিমুখ হয়ে যেতাে- গত কয়েক শতাব্দীতে তার কোনাে উদাহরণ নেই। 


অঁহক

আমার সায়েন্স ফিকশানগুলি আসলেই সায়েন্স ফিকশান হয় কি না এ বিষয়ে অন্য অনেকের মত আমারো সন্দেহ আছে। আমি এই ধারার গল্পে বিজ্ঞানের সূত্র অবশ্যই ব্যবহার করি কিন্তু বিজ্ঞানের বাইরের ব্যাপারগুলিই শেষ পর্যন্ত প্রাধান্য পায়। সায়েন্স ফিকশান না বলে অন্য কোন নাম দিতে পারলে আমার কাছে ভাল লাগত।


রবো নিশি

পৃথিবীতে কি দ্বিতীয় কোন মানুষ বেঁচে রয়েছে? যদি দ্বিতীয় কোন মানুষ থেকেই থাকে, তবে কি তাদের দু'জনের দেখা হবে? যদি সত্যিই দেখা হয়, তবে দু'জন কী নিয়ে কথা বলবে?


বিজ্ঞান কল্পকাহিনী যারা বায়োবট

প্লুটোনিয়াম আলাদা করতে পারে সেটা দিয়ে একদিনের খাবারও কেনা যায় কিনা সন্দেহ। তবু ঘরে বসে না থেকে তাই করে মেয়েরা। আমি বসে বসে দেখলাম কিরীণা তার জীর্ণ আইসােটোপ আইসােলেটার দুলিয়ে দুলিয়ে সমুদ্রের তীরে হেঁটে যাচ্ছে। মাথায় একটা লাল স্কার্ফ বাধা। বাতাসে উড়ছে সেটি। সমুদ্রের কাছাকাছি গিয়ে ঘুরে তাকাল আবার, তারপর হাত নাড়াল আমার দিকে তাকিয়ে। আমিও হাত নাড়লাম। কিরীণাকে আমার বড় ভালাে লাগে।

দিনের বেলা আমি খামারে কাজ করি। খুব অল্প খানিকটা জমিতে চাষ আবাদ করা যায়। সেটা খুব যত্ন করে ব্যবহার করা হয়। যারা বড় তারা জমি চাষ করা, সার দেয়া, বীজ বােনা এই সব খাটাখাটনির কাজগুলি করে। আমরা যাদের অভিজ্ঞতা কম, তারা ছােট ছােট গাছের চারাগুলির দেখাশােনা করি। ঘরে তৈরি করা গ্রোথ মনিটর দিয়ে চারাগুলিকে পরীক্ষা করি। পুরানাে শুকনাে পাতা টেনে ফেলি, নূতন পাতাগুলিকে ভালাে করে ধুয়ে মুছে রাখি। জিনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে এই গাছগুলিকে তৈরি করা হয়েছে, বড় একটা গাছে একদিনে একজন মানুষের প্রয়ােজনীয় শ্বেতসার বের হয়ে আসে। সমস্যা হচ্ছে পানি এবং সার। পাহাড়ের পাদদেশ থেকে টেনে আনা হয় অনেক কষ্ট করে। সার কোথা থেকে আসবে তার কোনাে নিশ্চয়তা নেই। মধ্য অঞ্চল থেকে অনেক কষ্ট করে গােপনে সার আনার চেষ্টা করা হয়।

 


নিরি

সাত হাজার তিনশ আট সাল। রোবটদের দখল থেকে পৃথিবীকে মুক্ত করতে গিয়ে ভূ-গর্ভের বারো কিলোমিটার নিচে মারাত্মকভাবে আহত হয় নিরি। যখন বুঝতে পারে বাঁচার আর কোনো সম্ভাবনা নেই তখন হঠাৎই চোখের সামনে সে একজন পুরুষকে দেখতে পায়। পৃথিবী থেকে পুরুষদের নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে এক হাজার বছর আগে, পৃথিবীতে এখন আর কোনো পুরুষ নেই। অথচ কী অবিশ্বাস্য! তার সামনেই অপূর্ব সুন্দর আর মিষ্টি চেহারার একজন পুরুষ দাঁড়িয়ে আছে। নাম বলছে নিরো। নিরি জানত পুরুষ কতটা ভয়ংকর আর নিষ্ঠুর হতে পারে! কত সহজে তার মতো নারীকে হত্যা করতে পারে! কিন্তু নিরো যে সম্পূর্ণ ভিন্ন! তাকে হত্যা করা তো দূরের কথা, উলটো সারাটা সময় তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে। একসময় সত্যি নিরি বেঁচে যায় এবং পৃথিবীর প্রচলিত আইন অমান্য করে হারিয়ে যায় নিস্পাপ নিরোর নির্মল ভালোবাসায় ভরা অপূর্ব সুন্দর নিনিনের স্বপ্নময় রঙীন জীবনে! 
এদিকে ঘটনাক্রমে পৃথিবীর উপরিপৃষ্ঠের পুরুষ বিদ্বেষী নারীরা জেনে যায় ভূ-গর্ভস্থ জগত নিনিনের কথা। তারা একে একে হত্যা করতে থাকে নিনিনের সকল পুরুষদের। শুধু বাদ থাকে নিরো। হন্যে হয়ে তারা তখন খুঁজতে থাকে নিরোকে। কিন্তু নিরি যে নিরোকে মরতে দেবে না। তাই তো সে উঠে পড়ে লাগে নিরোকে বাঁচাতে। কিন্তু বাস্তবতা যে বড় নিষ্ঠুর! কেউ যে তার পক্ষে নেই। 
তারপর...তারপর কী ঘটেছিল? অপূর্ব সুন্দরী নিরি কী পেরেছিল তার ভালোবাসার মানুষটিকে বাঁচিয়ে ভালোবাসায় ভরা সেই আগের পৃথিবীকে আবার ফিরিয়ে আনতে?


সায়েন্স ফিকশান সমগ্র ৩য় খণ্ড

রু’র মন অকারণে খুশি হয়ে উঠল। এই মহাকাশযানে প্রায় পঞ্চাশ জন মানুষ রয়েছে। মহাকাশযানের মূল্যবান রসদ বাচানাের জন্যে প্রায় সবাইকেই শীতলঘরে নিদ্রিত রাখা হয়। মাঝে মাঝে এক-দুজনকে নিদ্রা থেকে তুলে আনা হয়—মহাকাশযানের পুরাে নিয়ন্ত্রণ, রসদপত্র পরীক্ষা করে দেখার জন্যে। এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ মহাকাশযান, এর ভিতরে যা আছে সেটা দিয়েই অনির্দিষ্টকাল তাদের বেঁচে থাকতে হবে। যে সমস্ত রবােটের দায়িত্বে

এই মহাকাশযানটি মহাকাশের নিঃসীম শূন্যতার মাঝে দিয়ে অচিন্তনীয় গতিতে ছুটে চলছে তাদের কার্যক্রম মাঝে মাঝে পরীক্ষা করে দেখতে হয়, তখন এক-দুজন মানুষকে ঘুম থেকে তােলা হয়। রু এই মহাকাশযানের আনুষ্ঠানিক দলপতি, তাই প্রতিবারই তাকে ঘুম থেকে জেগে উঠতে হয়। তাকে সাহায্য করার জন্যে একেকবার একেকজনকে জাগানাে হয়। এবারে যে মেয়েটিকে জাগানাে হচ্ছে তার জন্যে রুয়ের একটু গােপন দুর্বলতা রয়েছে। ত্রা মেয়েটি অপূর্ব সুন্দরী, অত্যন্ত খােলামেলা এবং অসম্ভব বুদ্ধিমতী। মহাকাশযানের রুটিনৰ্বধা কাজের সময় কাছাকাছি এরকম একজন মানুষ থাকলে সময়টা |

 


পিশাচ সম্রাট


‘আমি জামবু। রূপান্তরিত হতে ভাল লাগে না আমার। ভাল লাগে না কোথাও প্রাণীর দেহে হাত রেখে তার দেহ থেকে ডিএনএ জোগাড় করতে। তবুও কাজটা করতেই হয়। বাধ্য হয়ে। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ...... ‘

নিমো, তিয়াপা, সিসি, জিউস, জামবু।
পাঁচটি কিশোর ছেলেমেয়ে।

মৃত্যুর আগে ওদেরকে এক বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে গেছে ভিনগ্রহবাসী এক প্রিন্স, যে কোন প্রাণীর দেহে হাত রাখলেই সেই প্রাণীর দেহ থেকে ওদের গায়ে খানিকটা ডিএনএ চলে আসবে, তারপর ইচ্ছে করলেই সেই প্রাণীতে রূপান্তরিত হতে পারবে ওরা।

এই প্রচণ্ড ক্ষমতা দেয়ার কারণ, ভিনগ্রহবাসী আরেক জাতের প্রাণী, ভয়ঙ্কর ভাবেকরা মহাকাশের বহু গ্রহ দখল করে এখন পৃথিবীতে এসে হাজির হয়েছে। পৃথিবী দখল করে মানুষকে গোলাম বানাতে চায় ওরা।

অতএব, পৃথিবী বাঁচানোর দায়িত্ব এখন ওই পাঁচটি ছেলেমেয়ের হাতে।


বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি : মিশন ইমোশন

ইমােশন সেন্টারের বার্ষিক প্রকাশনা ‘লিম্বিক’-এর প্রচ্ছদ আরও কীভাবে সুন্দর করা যায়, সে বিষয়ে কিছুক্ষণ পরেই মিটিং শুরু হবে। ইমােশন সেন্টারের প্রধান গবেষক মুহম্মদ সাগর শামীম হক এই মিটিঙে সভাপতিত্ব করবেন । হকের রুমেই মিটিং অনুষ্ঠিত হবে । ইমােশন সেন্টারের বারােজন সহকারী গবেষকের মধ্যে নয়জন উপস্থিত হয়েছেন সময়মতােই। বাকি তিনজন ইমােশন-বিষয়ক বেশ কয়েকটি সেমিনারে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করছেন। উপস্থিত সহকারী গবেষকের মধ্যে ছয়জনই তরুণ।

মিটিঙের শুরুতে শামীম হক ইসরাত তন্বীকে কিছু নির্দেশনা দিলেন । তারপর তন্বীকে তিনি বললেন লিম্বিকের জন্য করা গ্রাফিকস প্রতিষ্ঠান ক্রোমাে গ্রাফিকসের করা ডিজাইনের স্লাইডগুলাে দেখাতে । তন্বী উঠে গিয়ে প্রজেক্টরের আরও সামনে দাঁড়াল। তারপর অফিস

সহকারীর সহযােগিতা নিয়ে ক্রোমাে গ্রাফিকসের দেওয়া প্রচ্ছদগুলাে দেখাতে থাকল।

 


বিজ্ঞান প্রজেক্ট

সূচিপত্র
ব্যারোমিটার তৈরি
অক্সিডাইজেশন তৈরি
ক্যামেরা তৈরি
কৃত্রিম স্ক্যানাকটাইট তৈরি
স্বয়ংক্রিয় পাম্প মেশিন
বায়ুর গতিমাপক যন্ত্র নির্মাণ
বাতাসের দিক নির্ণয় যন্ত্র তৈরি
পদার্থের ঘনত্বের পরীক্ষা
মিউজিক্যাল বোতল তৈরি
তাপের পরীক্ষা
ফোর্সফিল্ড তৈরি
স্থির বিদ্যু তৈরি
বৃষ্টির পানিতে লবন থাকে না তার পরীক্ষা
পানির ফ্রিজিং পয়েন্ট পরীক্ষা
জলীয় বাষ্পের ঘনীভূত করণ
মেরু অঞ্চলের রবফ কখনও গলে না
পানিতে ভেসে থাকার রহস্য পরীক্ষা
গুহা সৃষ্টির মডেল তৈরি
নেফোস্কোপ তৈরি
মজার দৃষ্টিভ্রম
ভৌতিক মোমের আলো
ডিমের রহস্যময় খেলা
কন্টকশয্যা তৈরি
ঘরের মধ্যে রামধনু তৈরি
স্ফটিক বা ক্রিস্টাল তৈরি
গ্লাসের গায় ক্রিস্টল তৈরি
রঙিন স্ফটিক বা ক্রিস্টাল তৈরি
বৃষ্টি তৈরি যন্ত্র তৈরি
বৃষ্টি পারিমাপক যন্ত্র তৈরি
অ্যাসিড বৃষ্টি হওয়ার পরীক্ষা
আকাশ কেন সবুজ হয় না
বায়ুমন্ডল ওপরে ওঠে
বাষ্পীভবনের পরীক্ষা
অক্সিজেন তৈরি করা
কার্বন-ডাই-অক্সিজেন তৈরি
নাইট্রোপজেন তৈরি
উদ্ভিদের ভ্রুণ কোথা থেকে আসে?
গাছ কি করে পানি শোষণ করে?
অস্কোৎগমনের পরও তাদের জন্য বীজ দরকার
কৃত্রিম কৃষি খামার তৈরি
ম্যাজিক ছক তৈরি-১ নং
ম্যাজিক অংকের ছক তৈরি-২নং
জমির মাপ
সাপের গর্তের ভাগ
কাঠের বোর্ডের অংক
রুটির টুকরা করা
চক্র সাজানোর খেলা
সুপারি গাছের ছক 
সংখ্যা নিয়ে পরীক্ষা ও খেলা 
অংকের আয়না তৈরি
আজব এক গুন অংক 
বিস্ময়কর বর্গ মূল
৯ সংখ্যার বাহাদুরি
১৭ সংখ্যার খেলা
সংখ্যার অদ্ভুট বৈশিষ্ট্য
কিভাবে ৩৭ সংখ্যা হয়
গুণ হল যোগের উল্টো
৮ দিয়ে এক হাজার


ক্রুগো

মানুষ আর রবােটের মধ্যে তফাৎ কোথায়! আমি অবাক হয়ে এই দু' জন তরুণতরুণীর দিকে তাকিয়ে রইলাম, এরা তাহলে রবােট! কী মিষ্টি চেহারার মেয়েটি, আর মুখে কী গাঢ় বিষাদের ছায়া! চোখে পানি টলটল করছে। এরপরও কি বলা যাবে রবােট মানে কেবল যন্ত্র! মানুষের সব অনুভূতি দিয়ে গড়া, ন্তুি মানুষ নয়! এই রবােটই একদিন বিদ্রোহ করে বসে—মানুষের বিরুদ্ধে। তখন সব রবােট ধ্বংস করে দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়। দুই পক্ষের হানাহানিতে যখন জমে উঠছে চারপাশে ধ্বংসস্তুপ, তখন এদের মাঝে এসে পড়ল এক মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা পাওয়া আসামী। কাকে বাঁচাতে? তখনই ঘটনা নতুন মােড় নিল।


টাইম মেশিন


চকচকে ধাতুর তৈরি একটা যন্ত্র দেখলাম সময়-পর্যটকের হাতে। টাইমপিসের চেয়ে সামান্য বড় যন্ত্রটা, কিন্তু নিখুঁতভাবে তৈরি। হাতির দাঁত আর কয়েকটা স্বচ্ছ কৃষ্ট্যালের কারুকাজও দেখলাম তার মাঝে। যন্ত্রটার বিচিত্র গঠন দেখে কৌতূহল না জেগে পারে না।
এর পরে যা ঘটল তা সত্যই অবর্ণনীয়। আটকোণা একটি টেবিল এনে রাখা হল আগুনের সামনে। ওপরে মেশিনটাকে বসিয়ে একটা চেয়ার টেনে নিয়ে সামনে বসলেন ভদ্রলোক। মেশিন ছাড়াও টেবিলের ওপর ছিল একটা শেড দেওয়া ল্যাম্প-চিকমিক করছিল মডেলটা তার আলোয়। ঘরের মধ্যে এদিকে—সেদিকে আরও প্রায় ডজনখানেক মোমবাতি থাকায় আলোর অভাব ছিল না মোটেই। আগুনের একেবারে কাছেই বসেছিলাম। আমি। সময়-পর্যটকের পেছনে বসল ফিল্বি। বাঁদিকে বসলেন ডাক্তার আর প্রাদেশিক মেয়র-ডানদিকে মনোবিজ্ঞানী, অলপ বয়েসী ছেলেটা রইল। আমার ঠিক পেছনেই। প্রত্যেকেই চোখ-কান খুলে বেশ সজাগ হয়ে বসে-কাজেই এ রকম পরিস্থিতিতে হাতসাফাই যে একেবারেই অসম্ভব, তা বুঝলাম সবাই।
আমাদের ওপর একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন সময়-পর্যটক….


নাইট ফল

চার সুর্যের আলােয় ভেসে যাওয়া চোখ ধাধানাে অপরাহ্ন। সােনালী বর্ণের সুবিশাল অনাস পশ্চিমাকাশের অনেকটা উপরে উঠে এসেছে, আর ঠিক তার নিচের দিগন্ত থেকে দ্রুত উদিত হচ্ছে রক্ত বর্ণের ডােভিম।

পূর্ব দিকে তাকালে দেখা যাবে দ্যুতিময় দুটো সাদা বিন্দু, ওরা ট্রিও আর পাটু, রক্তাভ পুবাকাশের পটভূমিতে মনে হয় আরাে বেশী উজ্জ্বল। কালগাশের সর্বদক্ষিণ মহাদেশের দিগন্ত বিস্তৃত সমভূমি ভেসে যাচ্ছে অফুরন্ত আলাের বন্যায়। জঙ্গলার পৌরসভার মনরােগ চিকিৎসা কেন্দ্রের পরিচালক কেলারিটান ৯৯ এর অফিস কক্ষের চতুর্দিকে বিশাল বিশাল জানালা দিয়ে চোখে পড়ে এই অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য।

 


হিমালয়ে রিবিট

আজিমপুরের অনেক ভেতরে একটা গলির শেষ মাথায় হিমালয়ধসের ঘটনাটি ঘটেছে। গলিটি এত সরু যে সেখান দিয়ে সাধারণ কোনাে গাড়ি ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। পুলিশের গাড়িও পারেনি, গলির এক মাথায় দাঁড়িয়ে আছে। গলিটি দিয়ে খুব বেশি হলে পায়ে চালিত রিকশা আর সিএনজি চালিত অটোরিকশা কোনােমতে চলাচল করবে পারবে। এ রকম একটা গলির মাথায় যেখানে গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের সাপোের্ট কিছুই পৌছাবে না, সেখানে কীভাবে নয়তলা একটা ভবন তৈরি করা হলাে, সেই প্রশ্নের উত্তর রিবিট খুঁজে পেল না।

হিমালয়কে রিবিটের একটা কংক্রিটের স্থূপ ছাড়া আর কিছু মনে হচ্ছে না। ঐ স্কুপের ওপর অনেক মানুষ। অধিকাংশই আশপাশের বাড়ি থেকে ছুটে এসেছে। সৌভাগ্যক্রমে যারা হিমালয়ের মধ্য থেকে বের হতে পেরেছে, তারাও আছে। তবে তাদের সংখ্যা নিতান্তই কম। এদের সকলের মূল উদ্দেশ্য ধসে যাওয়া হিমালয়ের নিচে যারা আটকা পড়ে আছে তাদের উদ্ধার করা। কিন্তু তেমন কিছু তারা করতে পারছে না। এর কারণ মূলত দুটো। প্রথম কারণ চারপাশটা অন্ধকার হয়ে আছে । হিমালয় ধসে পড়ার সময় কিছু অংশ ডান দিকে হেলে মূল ইলেকট্রিক লাইনের ওপর পড়ায় বেশ কিছু তার ছিড়ে গেছে। 


ফ্রিয়ন

ভূমিকা (লেখকের কথা)
এই বইয়ের সায়েন্স ফিকশন তিনটির আইডিয়া অনেক দিন ধরেই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। সেজন্য বেশ অস্বস্তিতে ছিলাম। একপর্যায়ে সঙ্গে যুক্ত হলো লোডশেডিং এবং গরমের অস্বস্তি। আর পারলাম না। অস্বস্তি কমানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠলাম। যেহেতু লোডশেডিং আর গরমের অস্বস্তি কমানো সম্ভব নয়, তাই ঠিক করলাম, সায়েন্স ফিকশন তিনটি লিখে ফেলে অস্বস্তি কমাব! বেশ কিছুদিন সময় লাগল লিখতে। লেখাগুলো দিয়ে বই প্রকাশের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে একটি প্রকাশনী। তাই এ মুহূর্তে বেশ আছি!

বই পরিচিতি:
এই বইয়ের কল্পকাহিনি তিনটিতে রয়েছে স্থান-কাল-পাত্রের বিভিন্নতা। চেষ্টা করেছি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বৈচিত্র্যময়তার সন্নিবেশ ঘটাতে। গল্প তিনটি যদি আপনাদের কল্পনার আকাশে একটুও রঙ ছড়ায়, তাহলেই আমি পরিপূর্ণ স্বস্তি পাব!

এই বইয়ে আছে আপনাদের প্রিয় লেখক আসিফ মেহ্‌দীর তিনটি সায়েন্স ফিকশন। সেগুলোর কাহিনিসংক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো:

১. ধ্রুব তূবার কানের কাছে মুখ বাড়িয়ে ফিসফিস করে বলল, ‘একটা বিশাল কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছি, তূবা। ব্যাপারটা কেউ জানে না। তোমাকেই শুধু জানাতে চাই। আমি প্রকৃতির একটি বড় রহস্য আবিষ্কার করে ফেলেছি। এখনও কিছু কাজ বাকি। পুরোটা শেষ হলে তোমাকে ডিটেল বলব।’ এই বয়সী একটা ছেলে কোনো মেয়ের কানের এত কাছে মুখ এনে এমন আঁতেলীয় মার্কা কথা বলতে পারে, তা আজকের এ ঘটনা না ঘটলে তূবা বিশ্বাসই করত না! কিন' আঁতেল ধ্রুব যা আবিষ্কার করেছে, তা সত্যিই পৃথিবীর যুগান্তকারী একটি আবিষ্কার! সেই আবিষ্কার নিয়েই ‘ভয়ংকর অনুনাদ’।

২. শান্ত একটি গ্রহ। ছায়া-সুনিবিড় একটি গ্রহ। সবুজে ঠাসা একটি গ্রহ। নির্মল পানি ও ঠাণ্ডা বাতাসের একটি গ্রহ। যেকোনো আগন্তুক গ্রহটিতে গেলে তার বিস্ময়ের সীমা থাকবে না! কোনো কলহ নেই, কোনো দূষণ নেই, কোনো যুদ্ধ নেই। যেন অপার শান্তির অপূর্ব লীলাভূমি! কিন্তু কিছুটা গভীরে গেলেই তিনি হতবাক হয়ে যাবেন! বুঝতে পারবেন, পুরো গ্রহ জুড়েই বিরাজ করছে দগদগে ক্ষত। প্রতিটা মুহূর্ত ভীষণ আতংকে ছটফট করছে সবাই। এই গ্রহের পরিণতি নিয়েই ‘বিজ্ঞানী গারাদের ত্রাসের জগৎ’।

৩. জারিফের বোন মীমের কঠিন অসুখ। অজানা এই অসুখের উপসর্গগুলো খুবই বিচিত্র ও ভয়াবহ! দেশ-বিদেশের কোনো ডাক্তারই এই মারাত্মক রোগের কারণ খুঁজে পাননি। জারিফও জানে যে তার বোনের মৃত্যু অনিবার্য। তবুও সে আশা ছাড়েনি। জারিফ কি পারবে তার আদরের ছোট্ট বোন মীমকে বাঁচাতে? তা নিয়েই ভিন্ন ধাঁচের সায়েন্স ফিকশন ‘ফ্রিয়ন’।


মেডিকেল সায়েন্স ফিকশন: লিটিল বিটিল

হাত ঘড়িতে সঠিক সময়টা দেখে নিলেন ড. অ্যারেক্স। জাস্ট ফোর ফোরটি ফোরপিএম। বাহ্ অদ্ভুত সময়ে তাঁর সাফল্য এলাে। এদিকে তারিখটাও ফোরথ এপ্রিল, শুধু বছরটা অন্য সংখ্যার। ২১১৩ সাল। সে যাই হােক পৃথিবীর ইতিহাসে তাঁর অবদান যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে সে কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক অভূতপূর্ব সাফল্যের দ্বার আজ থেকে উন্মােচিত হলাে। কিন্তু বিস্ময়কর সাফল্যের এই খবরটা তিনি এখনই সমগ্র বিশ্ববাসীকে জানাতে চান না। তার আগে দীর্ঘ এই গবেষণার দুই সহকারী এবং স্ত্রী লিভাকে খবরটা জানাতে হবে। কারণ গবেষণার পেছনে এদের কারাের অবদান খাটো করে দেখার উপায় নেই। দুই সহকারীর একজন ড. এনা শরীর ব্যবচ্ছেদ বিদ্যার অধ্যাপক। অন্যজন শরীর তত্ত্ববিদ্যার অধ্যাপক ড. ফিজি। দুজনেই হার্ভার্ড মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের সঙ্গে জড়িত। এদের দুজনই নিরলসভাবে ড. অ্যারেক্সকে সাহায্য করে আসছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার নির্জন এলাকায় ড. অ্যারেক্সের ল্যাবরেটরি গড়ে তােলার পেছনেও তাঁদের অবদান আছে। এনা ও ফিজি দুজনেই বয়সে ড. অ্যারেক্সের ছােট। অ্যারেক্সের বয়স পঞ্চাশের ওপরে। ওদের কাছে তিনি বিশেষ শ্রদ্ধার পাত্র। তাই ক্যালিফোর্নিয়া থেকে দূরে থেকেও ওরা নিয়মিত যােগাযােগ রক্ষা করছেন।


ওমিক্রণিক রূপান্তর

রু কোমল গলায় প্রায় হাসিমুখে বললেন, সেটা তােমার ইচ্ছে রিকি। কিন্তু তুমি যেহেতু বিষয়টি তুলেছ তােমাকে একটা ঘটনার কথা বলি। প্রায় কুড়ি বৎসর আগে পশ্চিমের পাহাড়ের অঞ্চলের একটা কৃষিজীবি এলাকার বাচ্চাদের স্কুল থেকে আমি একটা চিঠি পেয়েছিলাম। স্কুলের একজন শিক্ষকের চিঠি অনেক ঘুরে আমার কাছে এসেছিল। চিঠিতে শিক্ষক লিখেছেন তার ক্লাশে নাকি একজন অস্বাভাবিক প্রতিভাবান শিশু রয়েছে। আমি শিশুটির সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তার বয়স তখন সাত, সে ছয় বৎসর বয়সে মহাজাগতিক সূত্রের প্রথম সমাধানটি করেছিল। সাত বৎসর বয়সে সে সময়ে পরিভ্রমণের উপর প্রায় সঠিক একটা সূত্র দিয়েছিল। আমি তাকে এবং তার পরিবারকে রাজধানীতে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। বাচ্চাটি রাজী হয়নি। সে বিজ্ঞানে উৎসাহী নয় ।

 


বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী : ল্যাংগুয়েজ হান্টার

একটি মহাকাশযান এসে অ্যান্টার্টিকা মহাদেশের পাশে সমুদ্রে নামল। সমুদ্রের নিচ দিয়ে এটি বরফের একটি আচ্ছাদনের নিচে অবস্থান নিল। এই মহাকাশযানের নেতার রুমে পরদিন মিটিং শুরু হলাে। অদ্ভুদ আঁকিবুকি, ইশারা আর শব্দের মাধ্যমে ওরা কথা বলে যাচ্ছিল।

নেতার রুমের কথাবার্তার সারমর্ম হচ্ছে পৃথিবীতে যত ধরনের ভাষা আছে, সবগুলাে সম্পর্কে ধারণা নেয়া। প্রয়ােজন পড়লে প্রত্যেক ভাষাভাষীর একজন করে সদস্য আটক করে নিয়ে আসা। তারপর তাদেরকে নিয়ে মহাকাশযানের মাঝে থাকা ল্যাবে স্টাডি করা।

 


এখন তখন মানিক রতন

মানিকের সাথে রতনের পরিচয় হয়েছে বছর খানেক আগে। মানিক হচ্ছে একজন কবি আর রতন হচ্ছে একজন বিজ্ঞানী, দুজনের কাজকর্ম একেবারে আলাদা আলাদা জায়গায়। তাদের কখনাে দেখা হওয়ার কথা না। মানিক যখন পুরানাে বইয়ের দোকানে উইয়ে খাওয়া বই ঘেঁটে বেড়ায় রতন তখন পুরান ঢাকার ধােলাইখালে ভাঙা যন্ত্রপাতি টানাটানি করে। বৃষ্টির দিনে মানিক যখন বিছানায় আধশােয়া হয়ে ঢুলুঢুলু চোখে কবিতা পড়ে রতন সেই সময় তার ল্যাবরেটরিতে কোনাে একটা বিদঘুটে যন্ত্রের উপর উবু হয়ে বসে থাকে। গভীর রাতে মানিক যখন নিউজপ্রিন্টের কাগজে বল পয়েন্ট কলম ঘষে ঘষে উত্তর-আধুনিক কবিতা লেখার চেষ্টা করে রতন তখন কম্পিউটারের সামনে বসে জটিল কোনাে যন্ত্রের ডিজাইন করে-কাজেই তাদের দুজনের দেখা হওয়ার কোনাে সুযোেগই ছিল না।


আই, রোবট

হাঁটামাত্র পেছন থেকে ভেসে আসা মড়মড় শব্দ সাথে রােব্বির ধাতব পায়ের ছন্দোবদ্ধ আর যান্ত্রিক থপথপে সে টের পায় বড় দেরী হয়ে গেছে। দ্রুতবেগে ঘুরে দাঁড়াতেই সে তার বিজয়ী বান্ধবকে গুপ্ত স্থান থেকে বের হয়ে পূর্ণদ্যোমে বুড়ি ছুতে ছুটে যেতে দেখে।

 


বিজ্ঞানের মজার প্রজেক্ট বানাও

এটি একটি মজার খেলাও বটে। তুমি লুকিয়ে কাউকে পত্র বা খবর দিতে চাও? খামে ভরে মুখ বন্ধ করে দিলেও কেউ জোর করে ছিরে ফেলে তা দেখে নিতে পারে। তাহলে কী করা যায়?

তারচেয়ে যদি এমন গােপনভাবে কোনও পদ্ধতিতে লিখে দেয়া যায়, যাতে কেউ লেখাটাই দেখতে পাবে না। কাগজটা শাদাই থাকলাে ধবধবে।

অথচ তারই মধ্যে কৌশলে লিখে দেয়া আছে গােপন খবরটি। যারা এই গােপন কৌশলটা জানে তারাই শুধু উদ্ধার করতে পারবে এই লেখা।

 


ধুপপুর জঙ্গলে এ্যালিয়েন

শেষ পর্যন্ত দুপুরের দিকে মৃদুল আর ফজলু একটা সাইকেলে করে | রওনা দিল ধুপপুরের জঙ্গলের উদ্দেশে। মুকিত গেল না। তার নাকি পেট ব্যথা করছে। তা ছাড়া সাইকেলে তিনজন যাওয়াও যেত না। ধুপপুর জঙ্গলটা মূল শহর থেকে মাইল চারেক দূরে। মাটির রাস্তা, তবে রাস্তা সুন্দর। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ওরা পৌছে গেল, রাস্তায় অবশ্য মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করতে হয়েছে। জঙ্গলটা দেখে ওরা অবাক। শহরের এত কাছে এমন একটা জঙ্গল আছে আর তারা জানেই না। কিন্তু আশপাশে কেউ নেই। জঙ্গলের ভেতর দু-একটা সরু রাস্তা ঢুকে গেছে এদিক-ওদিক।

 


হিগস প্রলয়

মহাবিশ্ব ধ্বংসের প্রযুক্তি আবিষ্কার করে ফেলেছেন এক বিজ্ঞানী। তাই তাঁকে ধরে নিয়ে গেছে বিদেশি কমান্ডো দলের সদস্যরা। আটকে রেখেছে প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপে। সেই বিজ্ঞানীকে বাঁচানোর জন্য ও মহাপ্রলয়ের হাত থেকে বিশ্বজগতকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশের খ্যাতিমান বিজ্ঞানী দিদার, বুয়েটের ছাত্র তূর্য আর অন্য জগৎ থেকে আসা আরেক বিজ্ঞানী তাদের অভিযান শুরু করল। তারা কি পারবে মহাপ্রলয় (যার নাম হিগস প্রলয়) ঠেকাতে এবং সেই আবিষ্কারককে বাঁচাতে?