একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের কোনরকমে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার চরম বাস্তবতা আছে এতে । বাবার বেতনের টাকায় চলে না এতগুলো মানুষের খাওয়া , পড়াশোনা , বাড়ী ভাড়া। নড়বড়ে ঘর , মায়ের তালি দেয়া শতছিন্ন ছেড়া শাড়ী , ছোট ভাই-বোনের ছোটখাটো আবদার পুরণ করতে না পারা এক সংগ্রামী জীবন মাহমুদের । বি.এ.পাশ করে একটা পত্রিকায় সাব এডিটর এর চাকরি করে মাহমুদ ৫০ টাকা মাইনে পায় , এতে নিজের খরচ রেখে পরিবারে একটু সাহায্য করে । চাকরি টা অনেক আশা করে নিয়েছিল কিন্তু সেই আশা সম্পাদকের নিয়মনীতির গণ্ডিতে বাঁধা পরে গেছে । বাড়ীর বড় মেয়ে মরিয়ম , অল্প বয়সে একটা ভুল করে ফেলে । যা তাকে পরবর্তী জীবনে সুখ থেকে বঞ্চিত করে রাখে । সেও নিজের পড়াশোনার খরচ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রী পড়িয়ে জোগাড় করে নেয় । ছাত্রী পড়ানোর সুবাদে একজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে । পারিবারিক আয়োজনেই বিয়ে হয়ে যায় বড়লোক ছেলে মনসুরের সাথে । যদিও এই বিয়েতে মরিয়মের বড় ভাই মাহমুদের মত ছিল না । মাহমুদ বড়লোকদের দুচোখে দেখতে পারে না ।
হেমা নয়ন কে বুঝতে পারা এক চমৎকার প্রেমিকা চরিত্র যার প্রেমের গভীরতা বুঝতে উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত যেতে হয়। হেমার বন্ধু রাহাতের হেমার প্রতি একতরফা ভালোবেসে কষ্ট পেয়ে যাওয়ার গল্পও এখানে উল্লেখ্য। এখানে লেখা আছে জীবনের প্রতি পরতের মায়া, স্নেহ, অবহেলা, ক্রোধ, লালসা,প্রতিশোধ, অপেক্ষা কিংবা হারিয়ে ফেলার গল্প। নয়নের নানা দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী তৈয়ব খাঁ কিংবা কুৎসিত মানসিকতার আব্দুল ফকিরের মধ্যকার বাইরে ঠান্ডা কিন্তু ভেতরে প্রচণ্ড শোধ নেয়ার মানসিকতা কিংবা নূরের আলোয় আলোকিত নয়নের মা কোহিনূরের জীবন, হেমার বাবা-মা রেনু- আসলামের মধ্যকার কথাহীন, স্পর্শহীন সংসার নামক বন্দী থাকার গল্প কিংবা জীবনের শেষ বেলায় এসে তৈয়ব খাঁ তার স্ত্রী আমোদি বেগমের প্রতি হঠাৎ ই স্বামী হিসেবে দমিয়ে রাখার ভুল বুঝতে পারার অংশ টুকু কিংবা কুৎসিত আব্দুল ফকিরের নিজের মেয়ে পারুল ছাড়া অন্য সবাই একটা মাংসের দলা বা ভোগ ছাড়া কিছুই নয় কিংবা নির্মম সত্য টা জানতে পারার পরে প্রতিশোধে উন্মুখ নয়নের মানসিক বিকারগ্রস্ততা এবং হেমার কাছের মানুষ হয়ে আগলে রাখার চেষ্টা এই সব কিছুই বিচ্ছিন্ন নয় বরং একটা মানবজনমের প্রতিটি ব্যর্থতা, গোপন কষ্ট এখানে এক এক করে লেখা।
ইন্টারনেটে আউটসোর্সিংয়ের বেশ কয়েকটি ভালো বাজার (মার্কেটপ্লেস) রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ওডেস্ক (www.odesk.com)। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এ মার্কেটপ্লেসের নানা তথ্য নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে বইটি। বইটিতে ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে কাজে বিড করার পদ্ধতি, কাজ পাওয়ার উপায় ইত্যাদির বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। সাতটি অধ্যায়ের বইটিতে ফ্রিল্যান্সিং, ওডেস্ক কী, কাজের ধরন, নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি, কন্ট্রাক্টর তৈরি, বিভিন্ন পরীক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি, প্রতিটি মেন্যুর বর্ণনা, প্রজেক্টে বিড করার পদ্ধতি, উপার্জিত আয়ের অর্থ উত্তোলনসহ রয়েছে বিস্তারিত নানা কাজের বর্ণনা। প্রতিটি অধ্যায়ে বিষয়ের সঙ্গে রয়েছে আলাদা ছবি। কাজের দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ওডেস্কে বিভিন্ন পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
কিন্তু তার কিছুই তারা করেননি। এর একটা কারণ হয়ত এই যে দ্রুত প্রকাশ করতে হবে সেই জন্যে তারা যা পেরেছেন, তাই-ই প্রেসে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কনটেন্ট ভাল না খারাপ তা নিয়ে দুবার ভাবারও টাইম পাননি। যাইহোক, ভূতের গল্প বা হরর কাহিনীর ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্য যথেষ্ট সমৃদ্ধ। রবি ঠাকুর থেকে শুরু করে হুমায়ুন আহমেদ, কোন বড় লেখক ভূত নিয়ে কমবেশি লেখেননি? সেসব গল্পের কোনোটা আক্ষরিক অর্থেই গায়ে কাটা দেয়। কোনোটা আবার স্রেফ লেখকদের অসামান্য লেখনি ও পরিবেশনক্ষমতার জোরে আমাদের নিকট গ্রহনযোগ্যতা লাভ করেছে। সুতরাং ভূতের গল্প নিয়ে বই প্রকাশ করে তাকে সাহিত্যের আঙ্গিনায় একটা ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়া খুব একটা সহজ কাজ না।
নবনীর স্বামী নোমানের সাথে অহনার কি সম্পর্ক তা বোঝা যাইনি। আমার মনে হই অনেক পাঠক এই ব্যাপারে আমার সাথে একমত হবেন। খারাপ লেগেছে সফিকের জন্য। তিনি হইত অতীতে এমন কোন কাজ করেছিলেন, যা থেকে তিনি শুধু স্ত্রীর ঘৃণার পাত্র হয়েছেন। নবনীর মামা গল্পকে তরান্বিত করেছেন বলতেই হই। ইরার চরিত্র টি তেমন গুরুত্ব বহন করে নাহ। গল্পের শেষে মনে হল , না পাওয়ার এক তীব্র হাহাকার! নবনী কে তার স্বামী যখন ছেড়ে চলে যাই,তখনই আমার ইচ্ছে হল আমি নিজে ছুটে গিয়ে তাকে নিয়ে আসি,নবনী কেন পারলনা? গল্প শেষ করে মনে হল ,শেষ হয়েও হল না শেষ!
স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যখন আরো উৎসাহী হবে এবং ছোটোবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং এ অনেক পারদর্শী হবে তখন এরাই বাংলাদেশকে পরিবর্তন করে দিতে পারবে এই প্রত্যাশায় আমার এই বইটি লেখার কাজ শুরু করি। বইটি স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ এবং সাবলীল ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। বইটিতে স্কুল-কলেজের পাঠ্যের কিছু গণিত, পদার্থ বিজ্ঞানের বিষয় গুলো প্রোগ্রামিং এর সাহায্যে দেখানো হয়েছে। বইটি ছোট আকারে রাখার চেষ্টা করেছি যাতে বইটি পড়ে একঘেয়েমি না আসে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ভালো করার জন্য এবং পাঠ্যসূচির প্রোগ্রামিং বিষয়টি সহজে আয়ত্ত করার জন্য প্রতিটি অধ্যায়ে যুক্ত করা হয়েছে অসংখ্য উদাহরণ এবং তার ব্যাখ্যা। আশাকরি বইটি স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সি প্রোগ্রামিং এর মৌলিক ধারণা দিতে পারবে।
আমি আমার গ্রন্থের নামকরণে অনেকবার কবিদের কাছে হাত পেতেছি। এবার হাত পাতবার আগেই নাম পেয়ে গেলাম। কবি নির্মলেন্দু গুন পান্ডুলিপি পড়ে নাম দিলেন- গৌরীপুর জংশন। তাঁকে ধন্যবাদ।
সূচিপত্রঃ
মডিউল-১
১. সম্ভাবনার আউটসোসিং
২. এন্টারপ্রাইজ মোবিলিটি ও আউটসোর্সি
৩. আউটসোসিং-এর কিছু পরিসংখ্যান
৪. অফশোর আউটসোসিং- কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা
৫. অনলাইনে ক্যারিয়ারের সম্ভাবনাঃ ঘরে বসেই উপার্জন
৬. অনলাইনে এ অর্থ উপার্জন
৭. যাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং
৮. ঘরে বসেই ডাটা এন্ট্রি
৯. আউটসোর্সিং: আইনজীবীদের জন্য খুবই ভঅলো একটি সুযোগ
১০. ওযেব বিজ্ঞাপন ও গ্রাহকের অধিকার
১১. ব্লগিং করে টাকা আয়
১২. ডিজাইন বেচাকেনার মার্কেটপ্লেস
১৩. লেখালেখি হতে পারে আয়ের উপায়
১৪. এনিমেশনেও রয়েছে আউটসোর্সিং এর সম্ভাবনা
১৫. সেরা কিছু ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সাইট
মডিউল-২
১. ভার্চুয়ালজগতের বন্ধুত্ব
২. ডায়েরি’র জায়গায় স্থান করে নিচ্ছে ইন্টারনেট ব্লগ
৩. ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব
৪. ব্লগিং-টাইমলাইন
৫. বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো ১০০ ডটকম ডোমেইন
৬. জনপ্রিয় ১০ ওয়েবসাইট
৭. বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়েব সাইট ও ডোমেইন নেম
৮. সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ১০ প্রতিযোগী
৯. অনলাইনে সারাবিশ্ব
১০. হাইটেক ক্রাইম-টাকা উপার্জনের বড় ধান্ধা
১১. নিরাপদ ইন্টারনেট
১২. ৫০টি সেরা ওয়েবসাইট
১৩. উইন্ডোজ প্লাটফর্মভিত্তিক ১৫০টি সফটওয়্যার
১৪. বিনামূল্যে প্রাপ্ত কিছু সফটওয়্যার
মডিউল-৩
১. গুগল এডসেন্স : আয় রোজগারের প্রাথমিক ধাপ
২. গুরু ডট কম
৩. গেট এ ফ্রিল্যান্সার ডট কম
৪. প্রোগ্রামিং বিডস্ ডটকম
৫. রেন্ট এ কোডার ডটকম
৬. গেট-এ-কোডার ডটকম
৭. ইল্যান্স ডটকম
৮. ওডেক্স ডটকম
৯. ৯৯ ডিজাইনস ডটকম
১০. জুমল্যান্সার্স ডটকম
১১. স্ক্রিপ্টল্যার্ন্স ডটকম
১২. সিআইএও ডটকম
১৩. মাই হোমপেজ ফ্রেন্ডস ডটকম
১৪. স্কোর ডটকম
১৫. ডিপাক্কো ডটকম
মডিউল-৪
১. ওয়েবসাইট ডিজাইন ধারণা
২. ওয়েব ডিজাইনে ৬০ টি শীর্ষ ত্রুটি
৩. ওয়েবসাইট ডিজাইন : যা জানা প্রয়োজন
৪. গ্রাফিক্স শেখার কয়েকটি সাইট
৫. জুমলা কিভাবে কাজ করবে
৬. জুমলা কিভাবে কাজ করবে
৭. বাংলা ব্লগিং এর প্রথম দাপ-পরিকল্পনা
৮. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট টুলস
মডিউল-৫
১. দেশে-ই-কমার্স প্রচলন
২. ই-কমার্স এ বাংলাদেশী সাইট
৩. অনলাইন আর্থিক লেনদেনে প্রধান দুটি পদ্ধতি হচ্ছে পেপাল ও ডিসকভার
৪. পেওনার ডেবিট মাস্টার কার্ড
৫. অর্থ লেনদেনের সহজ ও নিরাপদ পদ্ধতি-মানিবুকারস
দূর থেকে টুম্পা আর মুনিয়াকে দেখা যাচ্ছে ছোটাছুটি করে বই কিনছে। বইয়ের বোঝা আর টেনে নিতে পারছে না। - কী আনন্দ! টুনি আশেপাশে তাকাল, বাবা মায়েরা তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে হাঁটছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা হাত ধরাধরি করে হাঁটছে। চশমা পরা খ্যাপা ধরনের একটা মেয়ে হেঁটে গেল, বাতাসে চুল উড়ছে, কী সুন্দর লাগছে দেখতে। শাড়ি পরা দুজন মেয়ে হাসতে হাসতে কথা বলতে বলতে হেঁটে যাচ্ছে কী সুন্দর কপালে লাল-সবুজ টিপ দিয়েছে। দেখতে কী ভালো লাগছে। টুনি বসে বসে দেখে। তার মনে হয়, আহা বেঁচে থাকাটা কী আনন্দের!
অধ্যায় : এক * উপস্থাপনা কি এবং কেন ? * নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে * উপস্থাপনা কীভাবে শুরু করবেন ? * কি ধরনের উপস্থাপক হতে চান ? * মঞ্চে বক্তৃতা বিবৃতি * যন্ত্রপাতি সম্পর্কে জ্ঞান * মনের জড়তা দূর করুন * অন্যদের কাছে টানার বিশেষ জ্ঞান * শ্ৰোতাদের আকর্ষণ করার কৌশল * আঁধার পেরিয়ে আলো আসে * অস্থির হবেন না * আত্মবিশ্বাসের উপরই সাফল্য নির্ভর করে * কিছু ভয় আর জড়তা জনপ্রিয়তা অর্জনের অন্তরায় অধ্যায় ; দুই * একজন সফল উপস্থাপকরে গুণাবলি * নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন * রোমাঞ্চ সৃষ্টিকারী ভাব * ইতিবাচক চিন্তা * প্রভাব বিস্তার করা * সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের কথা বলা * সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত * শ্রোতা দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করা অ * পূর্ণ তথ্য * ভাষণ বা বক্তব্যের প্রস্তুতি * তথ্য সংগ্ৰহ করা জরুরি কেন ? * অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য কি ? * অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় * অনুষ্ঠানের স্থান * অনুষ্ঠানে আপনি আমন্ত্রিত কেন ? * অনুষ্ঠানের শ্রোতা দর্শক কারা * আপনার জন্য বরাদ্ধকৃত সময় * আপনি ছাড়া অন্যান্য বক্তা আছে কিনা * বক্তব্য বা ভাষণ তৈরি করার প্রয়োজনীয় বিষয় * কীভাবে ভাষণ তৈরি করা যায় ? * বক্তব্য শুরু করা * আমাদের দেশের প্ৰেক্ষাপটে বক্তব্য শুরু * তথ্য উপস্থাপন করা * বক্তব্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে কলাকৌশল * বক্তব্যের বা উপস্থাপনার মধ্যবর্তী অংশ * বক্তব্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে কতিপয় সতর্কতা * বক্তব্য বা ভাষণের উপসংহার অধ্যায় : তিন * শ্ৰোতা বা দর্শকের মন জয় করার কৌশল * স্রোতাদের প্রাণের কথা বলুন * ভালো কাজের প্রশংসা করুন * শ্ৰোতাদের আপনজন হয়ে উঠুন * নিন্দা বাক্য উচ্চারণ করবেন না * বেশি বেশি উৎসাহ আর প্রেরণা দিন * নিজের দিকে দেখুন * সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের উদাহরণ দিন * নিজেকে ছোট করে উপস্থাপন করবেন না * সমালোচনাকে এড়িয়ে যাবেন না * হুবহু নকল করবেন না * নিজেকে মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ করুন * মন জয় করবার জন্য দরকার চরিত্রবান ও পরিপূণু মানুষ * মানুষকে আপন করার জন্য সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন * কথা বলার সময় মনোযোগী হোন * যথাযথ সম্মান প্ৰদৰ্শন করুন * সবকথা শুনে সিদ্ধান্ত নিন * অন্যকে কথা বলার সুযোগ দিন * অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে সময় নস্ট করা * সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিন ও প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করুন * দূর্বল জায়গায় আঘাত করবেন না * অতিরিক্তি ঠাট্রা তামাশা করবেন না * নিজেকে বড় করার চেষ্টা করবেন না। অধ্যায় : সাত * মন জয় করার জন্য সামনের কাতারে থাকুন * মন জয় করার পদ্ধতি * মানুষকে খুশি করার পদ্ধতি * হৃদয় ছয়ে যায় এমন কিছু করুন * অন্যদের গুরুত্ব দিন * একজন ভালো শ্রোতা হোন * আন্তরিকতার সাথে প্রভাবিত করার চেষ্টা করুন * অন্যদের বিশ্বাসভাজন হতে হবে
স্কুলে অষ্টম শ্রেনীর ক্লাসে ইবু, সাচ্চু, সাজু, অনিক এই চারজন ভালো বন্ধু। ইবু এখানে গল্পকথক, সাচ্চু বই-টই বিশেষ পড়েনা, তবে দুনিয়ার সব খবর রাখে। অনিক মোটামুটি ভালো ছাত্র, বই-টই পড়ে। সাজু ক্লাশের ফার্স্ট বয়, সবচেয়ে ভালো ছাত্র। একটু লাজুক টাইপের, সবাইকে তুমি তুমি করে বলে। সেই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে একদিন ভর্তি হয় নতুন একটা ছেলে, নাম খায়রুল হাসান ওরফে সেন্টু। শুকনো পাতলা একটা মানুষ, মাথাভর্তি এলোমেলো চুল, মুখ গম্ভীর। সেন্টু হুইলচেয়ার ছাড়া চলতে পারে না। দুটো পা নীচ থেকে প্যারালাইজড। ওপরে যে চার বন্ধুর কথা লেখা হলো, তাদের সাথে সেন্টুর বন্ধুত্ব হতে খুব বেশি সময় লাগেনা। ক্লাসের গুন্ডা বকর, যে কী না বহুবছর ধরে ক্লাস এইটে আটকে আছে তাকে টাইট দেয়া, গরিলার মত দেখতে ভূইয়া স্যারের অপকর্ম ফাঁস করে দেয়া, জাল নোটের কারবারিকে ধরিয়ে পুলিশে দেয়া.. এগুলো করতে করতেই দিন কেটে যায় তাদের। সেন্টু একসময় গোটা ক্লাসের হিরোতে পরিণত হয়। এরকম একটা সময়ে হঠাৎ সেন্টু স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কেন? ব্যক্তিগত মতামতঃ জাফর ইকবাল স্যারের কিশোর উপন্যাস আর সায়েন্স ফিকশম পড়েই ছোট থেকে বড় হয়েছি। বাংলাদেশে আমার অত্যন্ত প্রিয় লেখক তিনি। তবে, বেশ কয়েকবছর ধরে তাঁর কিশোর উপন্যাসগুলো অতটা ভালো হচ্ছিলো না। গত বইমেলায় সে অচলাবস্থা ভেঙ্গে যায়। "গ্রামের নাম কাঁকনডুবি" যথেষ্ট জনপ্রিয়ও হয়।
নানিজান বললেন, অনেক ভুলভ্রান্তি আছে। এই ধর, তুই লিখলি তোর মা পাগল হয়ে গিয়েছিল। পাগল হবে কীজন্যে? মানুষ চিনত না। উলটাপালটা কথা বলত-এর বেশি তো কিছু না। এটাকে পাগল বলে? আমি দীর্ঘনিশ্বাস ফেললাম। আমার মেজো মেয়ে বলল, তুমি মন খারাপ করছ কেন? লেকাটা তো মোটামুটি ভালোই হয়েছে। তবে তুমি একটা জিনিস লিখতে ভুলে গেছ। কোন জিনিস মা?
মুগ্ধতায় স্নিগ্ধ এক নিরাভরণ বসন্তের আগমনের আগেই বসন্ত বিলাপের এক অস্ফুট আর্তি যেন একটা থমথমে অবস্থার সৃষ্টি করছে চারপাশে।যাইহোক বইটা হাতে পাবার পর সেই বিলাপের সাথে যেন নিজেকেই একাত্মতা ঘোষণা করতে হল । মনে হল আর কটা দিন যদি থেকে যেতে পারতেন তাহলে হয়তোবা তিনিও নিজেকে সপে দিতেন সেই বিলাপে।যার কথা বলছি তিনি আর কেউ নন সবারই পরিচিত হুমায়ূন আহমেদ এবং তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত একটি বই “বসন্ত বিলাপ” এর। “বসন্ত বিলাপ” বইটি রচিত হয়েছে তার লেখা পত্রিকার বিভিন্ন বিভাগের বিচিত্র বিষয়ে,গল্প-উপন্যাস এর বাইরেও তাঁর বেশ কিছু রচনা, কিছু ছোট আয়তনের গদ্য সংকলনের।বইয়ের একটি অংশে তাঁর সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে মনে হয় যেন আমি সেই হুমায়ূন আহমেদের সামনেই দাড়িয়ে আছি আর তিনি সাবলীলভাবে তার জীবনের দর্শন, বিশ্বাস,অপার সৃষ্টি হিমু ও মিসির আলী,মৃত্যুকে নিয়ে গভীর চিন্তা ,কিছু অলৌকিক ঘটনার অভিব্যক্তি,নিজের লেখালেখি নিয়ে কিছু বাস্তব অহংকার,লেখা নাটক ও চলচ্চিত্র নিয়ে অনর্গল বলে যাচ্ছেন।
হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ। বইটি একজন সাবেক অভিনেত্রীর সাক্ষাৎকার। মে মাসের এক সূৰ্যরাঙা সকালে আমরা তার বাসায় তার মুখোমুখি হয়েছিলাম একগাদা প্রশ্ন হাতে। আনন্দঘন সেই সাক্ষাতে তাকে আমরা একের পর এক প্রশ্ন করেছি। তাঁর পরিবার, ক্যারিয়ার, আগের জীবন, বর্তমান জীবন, সংসার, স্বামী, তাঁর স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ-পরিকল্পনা সম্পর্কে ক্ৰমাগত প্রশ্ন করেছি। আল্লাহর এই বান্দি আমাদের সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অবলীলায়, অকপটে। কোনাে কৃত্রিমতা বা ভণিতার আশ্ৰয় নেননি। যেমন আমরা তাকে প্রশ্ন করেছি, “আপনি আপনার সন্তান নিয়ে কী স্বপ্ন দেখেন?” উত্তরে তিনি বলেন, “আমি আমার সন্তান নিয়ে এ স্বপ্ন দেখি যে, আমি যদি আমার আমলের কারণে হাশরের ময়দানে নাজাত না পাই, যদি পুলসিরাত পার হতে না পারি তা হলে ওরা যেন আমার নাজাতের উসিলা হয়। আমার খুব ইচ্ছে- ওরা হবে হাফেয, আলেম, কারী, মুফতী, মুহাদিস। আমি যেন ওদেরকে দ্বীনদার সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। দেখা গেল, আখেরাতের ময়দানে আমি আমার আমল দিয়ে নাজাত পাচ্ছি না, তখন যেন ওরা আমার হাত ধরে এই কঠিন দুঃসময় থেকে আমাকে উদ্ধার করে জান্নাতে পৌঁছে দেয়।” আমরা আলোচনার সুবিধার্থে সাক্ষাৎকারটিকে তিনটি ভিন্ন পর্বে ভাগ করেছি। প্রথম পর্বে আমরা তার প্রাথমিক পরিচয় জানতে চেয়েছি। দ্বিতীয় পর্বে আমরা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত কিছু বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করছি। আর তৃতীয় পর্বে আমরা আলোচনা করেছি, তার বর্তমান জীবন, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ও ভবিষ্যৎ-পরিকল্পনা সম্পর্কে। আমরা মনে করি, তিন পর্বের এই ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার পাঠকবর্গের হাতে তাঁর জীবনের আদ্যোপােন্ত মেলে ধরবে। তাঁর কথাগুলো সত্যি আমাদের হৃদয় ছুঁয়েছে। সাক্ষাৎকারটি নেওয়ার মাধ্যমে আমরা বুঝেছি, আমাদের সমাজব্যবস্থা এমন যে, এখানে একটি মেয়ে চাইলে খুব সহজে “হ্যাপী হয়ে বেড়ে উঠতে পারবো।
‘নিরাশ্রয় পাঁচটি আঙ্গুল’ কবিতায় কিশোরী হেলেনের প্রতি কবির অসহায় প্রেমের দৃপ্ত উচ্চারণ অনুরণিত হয় পাঠকের হ্রদয়ে। মহান মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত সময়ে রচিত ‘দুঃসময়ে আমার যৌবন’ কবিতায় কবি যৌবনকে সাবধান করেছেন শুধু নারীকে না সাজানোর জন্য। মরণাস্ত্রের সাথে প্রণয় করা কবি আগুনের হোলি খেলার মুহূর্ত ১৯৭১ কে ফিরিয়ে এনেছেন ‘অস্ত্র সমর্পণ’, ‘অগ্ন্যুৎসব’ এবং ‘অন্যরকম সংসার’ কবিতাগুলোতে। পাঁচ দুপুরের নির্জনতার খুনী কবি হেলাল হাফিজ ‘বেদনা বোনের মত’, ‘ইচ্ছে ছিলো’, ‘প্রতিমা’, ‘হিরণবালা’, ‘তুমি ডাক দিলে’, ‘অমীমাংসিত সন্ধি’, ‘হ্রদয়ের ঋণ’ ‘প্রস্থান’ ইত্যাদি প্রেমের কবিতাগুলোতে এঁকেছেন শর্তহীন প্রেমের পবিত্র জলছবি, মৌনতাগ্রাসী পাখির প্রেমাকুলতা, অষ্টপ্রহরের খামখেয়ালী ভালোবাসা সমাচার আর নারী খেলার প্রথম ও পবিত্র ঋণ শোধাবার অব্যর্থ প্রয়াসের ছবি। শৈল্পিক তাবিজ কিংবা নিমীলিত লীলা নারী কে নির্ণয় করার চেষ্টা করেছেন ‘দুঃখের আরেক নাম’ আর ‘অনির্ণীত নারী’ নামক কবিতায়। স্বাধীনতার অপ্রাপ্তি আর স্বপ্নভঙ্গের অনুপম পান্ডুলিপি ‘যেভাবে সে এলো’, ‘নিখুঁত স্ট্র্যাটেজী’, ‘ব্যবধান’, ‘একটি পতাকা পেলে’ ইত্যাদি কবিতা পাঠকমনকে বিষন্ন করে তোলে কিন্তু হতাশ করে না।
বিক্ষিপ্ত ভাবে পরে থাকে কিছু মানুষ। আর এই মানুষগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন দিকে গড়ে তোলো বিচ্ছিন্ন কিছু শহর। আর সেই সব শহরের মানুষগুলো নিজের ক্ষমতার বিশদ পরিসরে ব্যবহার করার জন্য মস্তিষ্কে অপারেশনের মাধ্যমে ব্যবহার করে ক্রেনিয়াল । ক্রেনিয়াল এমন এক ধরণের মেশিন সেটাকে মানুষের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বসিয়ে নিদির্ষ্ট বিষয়ে তথ্য ভরে দেয়া হয়। আর এই তথ্যের জন্য ব্যবহার করা হয় ক্রেনি টিউব । মানুষ তখন হয়ে ওঠে অতিমানবীও জ্ঞানের অধিকারী। কিন্তু এই অতিরিক্ত জ্ঞানশক্তি মানুষের সাধারণ অনুভূতি শক্তিকে গ্রাস করে এক একটি যন্ত্র করে তোলে। আর যারা শহর গুলোর মানব নিয়ন্ত্রনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করে তাদেরকে ডিটিউন করে দেয়া হয়। কাউকে ডিটিউন করা হলে সে একটা অর্থব হয়ে যায়। মুছে যায় সব স্মৃতি। শুধু তার ক্রেনিয়াল যন্ত্রে নিদিষ্ট দুই একটা কাজ ছাড়া তার নির্জীব হয়ে থাকে। আর এমনই এক যান্ত্রিক শহরের এক কিশোরী টিশা আর কিশোর রিহি কে নিয়েই ক্রেনিয়াল। মানব নিয়ন্ত্রনের এই অদৃশ্য শিকলে বাধার নিয়মের বিরুদ্ধে ওরা বিদ্রোহ করে।
সহিহ হাদিসের ব্যাখ্যা সংবলিত পূর্নাজ্ঞ নামাজ শিক্ষার বই। সেরার মধ্যে এটা সেরা বই। নবি (সঃ) এর শেখানো নামাজ পড়তে হলে এই বইয়ের বিকল্প নাই। কারণ এই বইয়ে লেখক কোন মাঝহাবের পক্ষে বা বিপক্ষে লেখেন নি। সম্পূর্ন সহিহ সুন্নত অনুসারে লিখেছেন। আল্লাহ লেখক নাসিরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) কে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন।
এক রাতের ঘটনা। রাত ৪ টা বাজার কাছা-কাছি।অথাৎ এখন তার ঘুমাতে যাওয়ার সময়।খাটে উঠতে যাবে, এমন সময় শুনতে পেলো এক নারীর আত্মনাদ। কৌতুহলের কারনে বিনস দৌড়ে জানালার কাছে চলে যায়। আশে পাশে সব কিছু নিশ্চুপ।রাস্তায় একটা দামি গাড়ি দাড় করানো।হঠাৎ হেনরি বিনস দেখল সেই বাড়ি থেকে একটা লোক বেরিয়ে এলো, লোকটা গাড়ির দিকে যাচ্ছে এবং লোকটা যখন গাড়িতে উঠতে যাবে তখনই তার সাথে বিনসের চোখাচখি হল।হেনরি বিনস লোকটাকে দেখে, একদম স্থির ভাবে দাঁড়িয়ে পড়ল, কারন লোকটা আর কেও নই আমেরিকার ৪৪ তম প্রেসিডেন্ট কনর সুলিভান!!
আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা পৃথিবীর সেরা। কিন্তু আমি যখন দেখি তাদের সৃজনশীলতাকে পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়ে তাদের ঘাড়ে মোটা মোটা বই চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে মুখস্থ করার জন্য, তখন দুঃখে আমার বুকটা ভেঙে যায়। আমি হয়তো আমার কাছাকাছি দু-চারজনকে উৎসাহ দিতে পারি, সাহায্য করতে পারি; কিন্তু দেশের হাজার হাজার ছেলে-মেয়েকে সাহায্য করবে কে? তাই অনেক ভাবনা-চিন্তা করে আমি আর প্রফেসর কায়কোবাদ একটা বুদ্ধি বের করেছি। এই বইতে গণিত বিষয়ক কিছু লেখার পাশাপাশি মজার মজার দুইশ গাণিতিক সমস্যা তুলে ধরা হলো। এই অঙ্কগুলোর কোনো কোনোটা হবে সোজা, কোনো কোনোটা হবে কঠিন, কোনো কোনোটা হবে ইতিহাস বিখ্যাত, কোনো কোনোটা হয়তো হবে একেবারেই অসাধ্য! এ দেশের ছেলে-মেয়েরা সেগুলো করতে গিয়ে চিন্তা করতে শিখবে, সৃজনশীলতা বাড়বে, কল্পনাশক্তির বিকাশ হবে। তারা আবিষ্কার করবে অঙ্ক করা যতটুকু মজার ব্যাপার, তার থেকে একশ গুণ বেশি মজা সেই অঙ্কটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা। সেটা করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত তাদের মস্তিষ্কে নিউরনের অনুরণন হতে থাকবে। তাই এর নাম দিয়েছি নিউরনে অনুরণন।
একজন মায়ের কাছে তার সন্তান কতটুকু আদরের তা কাউকে কখনও বলে বোঝানো যায় না। সেই বোঝে যে প্রচন্ড কষ্ট, ত্যাগ আর ধৈর্য্যের বিনিময়ে সন্তান তার নিজের শরীরে ধারন করে, সেই সন্তানকে পৃথিবীতে নিয়ে আসে আর লালন-পালন করে যোগ্য সন্তান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। সেই সন্তান হারা মায়ের কষ্ট কতটুকু কেউ কোনদিন বুঝতে পারে? নাকি বোঝা কোনদিন সম্ভব? একজন মাই জানে তার সন্তান হারানোর বেদনা কতটা গভীর, যন্ত্রণাদায়ক, সেই সময় কতটা নির্মম। মা-সন্তানের সম্পর্ক দুনিয়ার সবচেয়ে মধুরতম সম্পর্ক। আর সেই সন্তান যদি হয় প্রথম সন্তান তবে তার প্রতি ভালবাসাটা যেন একটু বেশিই থাকে। আমি একজন মা। তাই আমি জানি আমি সন্তানের একটুখানি কান্না, অভিমান, কষ্ট আমার জন্য কতটা যন্ত্রণাদায়ক। বর্তমান কালে আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। ছিলেন বলব না। এখনও আছেন। এখনও বইমেলায় তার বই সর্বাধিক বিক্রির তালিকায় থাকে। আমরা সবাই জানি দূরারোগ্য কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি আমাদের ফেলে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।